![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
বর্তমান রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার প্রেক্ষাপট এবং প্রত্যাশা......
বিএনপি নেতারা ডক্টর ইউনূসের দেখা করতে সময় চেয়ে এক সপ্তাহ ধরে ঘুরতেছেন। কিন্তু ইনটেরিম প্রধানের শিডিউল- ই পাচ্ছেনা। আর ওদিকে নাহিদ শুনলেন, ডক্টর স্যার গোস্সা করে পদ ছাড়তে চাইতেসেন- শোনা মাত্র সন্ধ্যায় তিনি গোসসা ভাঙাতে ডক্টর সাহেবের খাস কামরায় হাজির হলেন! ওদিকে ভিউ ব্যবসায়ীরা এবং আলবটর বাহিনীর ক্ষুদে চ্যালাপেলা তারস্বরে চিৎকার করে বলছে- ইনটেরিম প্রধান বিএনপির কারনে পদত্যাগ করতে যাচ্ছে।
আমার প্রশ্নঃ বিএনপি কেন ডক্টর ইউনূসের পদত্যাগ চাইবে? এতে বিএনপির লাভ কি? বরং বিএনপিতো ইনটেরিমকে আগলে রেখেছে সেই শুরু থেকেই। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রথম দিনের ভাষন থেকে যতবার তিনি কথা বলেছেন, ততবার তিনি ইনটেরিমকে সহযোগিতা করার কথা বলেছেন। তাহলে আলবটর বাহিনী আর জানাপা সব দোষ বিএনপির ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন কেন?
আমার বিশ্বাস, ইনটেরিম যতটুকু বিতর্কিত হয়েছে তার অনেক খানি দায় ইনটেরিমের নিজেদের অযোগ্যতায়। আর অনেক খানি নয়া বন্দোবস্তের শ্লোগানে সদ্য প্রতিষ্ঠিত দল এনসিপির। "তোরা সব রাজুতে আয়" বলে দিকে দিকে মব ভায়োলেন্স কারা করছে? সরকার ও প্রশাসন এমনকি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্গানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা কারা করছে? সচিবালয় গিয়ে তদবির বানিজ্য কারা করছে।
বিএনপি তো কোথাও নেই, তাহলে?
ইউনূসের ইনটেরিম নিয়োগ দেয়া ইসি, সেই ইসির সামনে গিয়া এনার্কি কারা করছে?
সব কিছুতে বিএনপির দোষ খোঁজা ছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও লস্করদের মজ্জাগত স্বভাব। সেই একই ভুত ভর করেছে, এনসিপি নেতাদের ঘাড়ে। যদিও জুলাইয়ের ১৫ তারিখের আগেও এই দলের অনেক নেতার ভাষা ছিলো- "প্রিয় আপা", "জননেত্রী", "গনতন্ত্রের মানষ কন্যা"।
মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র পরিচালনায় মান অভিমানের কোনো সুযোগ নেই। আপনাকে রুল করতে হবে। আরো ঋজু হতে হবে। ডক্টর ইউনূস ব্যর্থ হলে শুধু তিনি একাই ব্যর্থ হবেননা।পুরো বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে। সুতরাং তাকে ব্যর্থ হওয়া চলবেনা। প্রয়োজনে কতিপয় উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে, দেশ ও দেশের মানুষের সাথে যাদের সম্পর্ক আছে তেমন মানুষদের নিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করতে হবে। আসলে ডক্টর ইউনূসের এখন পিছু হটার সুযোগ নেই। তাকে সফল হতে হলে তাকে তার ক্যাবিনেট রিসাফল করতে হবে। ডিসেম্বরকে টার্গেট করে একটি গ্রহনযোগ্য ইন্টারন্যাশনাল স্টার্ন্ডাডে একটি নির্বাচন করতে যা করনীয় তাই করতে হবে।
বর্তমান রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় প্রত্যাশা......
★ প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস পদত্যাগ করবেন না। কিন্তু তার উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে নিম্নোক্ত উপদেষ্টাদের পদত্যাগ/প্রত্যাহার করতে হবেঃ-
(১) আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া
(২) মাহফুজ আলম
(৩) খলিলুর রহমান
(৪) রেজওয়ানা হাসান
(৫) আদিলুর রহমান
(৬) মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী
★ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল এবং সশস্ত্র বাহিনী প্রধানদের পরামর্শ গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
★ সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, হান্নান মাউসুদ গংদের সচিবালয়/ মন্ত্রণালয় অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে।
★ জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থান এর বর্ষপূর্তির দিন স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারের কয়েকটি রায় প্রদান করে রায় কার্যকর করতে হবে।
★ জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থান এর বর্ষপূর্তির দিন সুস্পষ্ট নির্বাচনী রোড ম্যাপ দিতে হবে।
★ প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সাহেবকে উপদেষ্টা পরিষদ এবং প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: সাধারণত আমি বট আইডি এড়িয়ে চলি। তারপরও বলিছি- বিএনপি কখনোই বলেনি- অমুক দিন নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি নির্বাচনের রূপরেখা চেয়েছে।
২| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সালাউদ্দিন স্যারের বক্তব্যে মনটা খুশিতে ভরে গিয়েছে, " ড. ইউনূস চলে যেতে চাইলে জনগণ উনার বিকল্প বেছে নিবে "। কেয়ারটেকার সরকার বহালের রায় ঠেকিয়ে রেখেছে আসিফ নজরুল ! পদত্যাগ চেয়েছে খলিলুরের কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কেন গায়ে লাগলো?
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: রূঢ় অভব্যতা।
৩| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:০৬
কাঁউটাল বলেছেন: সম্ভবত ইউনুস সাহেব পদত্যাগ করবেন না। তবে যদি করেন, সেই ক্ষেত্রে বিএনপি'র অবস্থান বা পরিকল্পনা কি হতে পারে?
২৪ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ডক্টর ইউনুস অপরিহার্য নন, শূণ্যস্থান পূরণ হয়ে যাবে। বিএনপি ইউনুস সাহেবের উপর ভরসা করে রাজনীতি করে না। বিএনপি এগিয়ে যাবে স্বাভাবিক নিয়মে।
৪| ২৪ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
কাঁউটাল বলেছেন: শূণ্যস্থান কিভাবে পুর্ন করবেন? কাকে দিয়ে? ভারতীয় এসটাবলিশমেন্টের সাথে কমপ্রোমাইজ করে শুন্যস্থান পূরণ করবেন নাকি কমপ্রোমাইজ না করে করবেন। আদৌ ভারতীয় এসটাবলিশমেন্ট এর মোকাবেলা করা বিএনপি এর একার পক্ষে সম্ভব হবে কি না? অনেক প্রশ্ন আছে কিন্তু। ২০০১-২০০৬ এ বিএনপি শুধুমাত্র দল হিসাবে ভারতীয় এসটাবলিশমেন্টের সাথে মোকাবেলা করতে পারে নাই - এটা কিন্তু ইতিহাস। যেখানে চার দলীয় জোট সরকারকে ১/১১ এর মাধ্যমে খরচ করে দেয়া হয়েছিল সেখানে ১৫ বছর ধরে ক্ষতবিক্ষত বিএনপির সেই আগের সক্ষমতা ছাড়া, আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী একটা ভঁড়তীয় এসটাবলিশমেন্টের মুখোমুখি হবে। বিএনপিকে এখানে দলীয় সংকীর্নতার উপরে উঠতে হবে কিন্তু। নাইলে ঘরোয়া ক্যাঁচাল লাগিয়ে বিএনপিকে খরচ করে দিবে।
বিএনপি যদি ইউনুস সাহেবকে ছাড়া একটা মডেল চিন্তা করে সেইটা দুই ভাবে হতে পারে
১) ভারতের আশির্বাদ নিয়ে
২) ভারতের আশির্বাদ ছাড়া
১ নম্বরটা কোন অপশন না, ২ নম্বরটা ভ্যায়াবল অপশন। এবং অত্যন্ত কঠিন এবং প্রায় অসম্ভব একটা অপশন বলে আমি মনে করি।
আমি কিন্তু বিএনপির বিরু্দ্ধে কিছু বলছি না।
২৪ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: ইতিহাস যাইহোক, বিএনপি কঠিনকে বেছে নিয়ে সফল হবে ইন শা আল্লাহ।
৫| ২৪ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:০৭
কাঁউটাল বলেছেন: বিএণপি সফল হোক - এইটা আমরাও চাই। কিন্তু "দুর্গম গিরি কান্তার মরু .............যাত্রিরা হুঁশিয়ার"
পরে যেন এমন না হয় - যে মানুষ বলে বিএণপি ক্ষমতার লোভে জুলাই বিপ্লবকে বিক্রি করে দিছে। মানুষ বলার সময় কিন্তু বাড়িয়েই বলবে। সাথে তাল মিলাবে হাউয়ামি হুক্কাহুয়ারা।
৬| ২৪ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮
কাঁউটাল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:৪১
আমি নই বলেছেন: বাংলাদেশ আর শ্রীলংকা কাছাকাছি দু্টা দেশ অথচ কত অমিল। দেউলিয়ার মুখে পরা শ্রীলংকা কত বড় সমস্যায় পড়েছিল, সেখান থেকে মাত্র একবছরেই ঘুরে দাড়াতে পারল কারন দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সরকারকে সহযোগীতা করেছিল। আর আমরা? পহেলা দিন থেকেই ব্যাক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়েছি। শুরু হল অটোপাশ দিয়ে এর পরতো মনে হয় ১০-১৫ হাজার আন্দোলন হয়েছেই, সরকার আন্দোলন থামাবে, চোর-বাটপার থামাবে না কি করবে বুঝতেই পারছেনা।
আর এক দল যারা ১৭ বছর অমানিক নির্যাতনের ঠেলায় তাদের নেত্রীর চিকিৎসার দাবীর বাহিরে টু শব্দ করার সাহস পায় নাই তারাও নির্বাচনের আল্টিমেটাম দিয়ে রাজপথ দখলের হুংকার দিচ্ছে। অথচ তারা ইচ্ছা করলেই সরকারকে সহোযোগীতা করে আমাদের একটা সুন্দর দেশ উপহার দিতে পারত। এতে তাদের ক্ষমতা হাতে নিতে হয়ত কিছুদিন অপেক্ষা করা লাগত। কিন্তু মানুষের মনের ভিতরে জায়গা করে নিতে পারত। হাসিনা থাকলেতো মনে হয় না মড়ার আগ পর্যন্ত কিছু করতে পারত।
বাংলাদেশীরা অনেক বড় একটা সুযোগ হারালো। আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম আমাদের মাফ করবেনা।