![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
প্রসঙ্গঃ পিটার হাস এবং জানাপা'র পাঁচ নেতার কক্সবাজার ভ্রমণ.....
পিটার হাস বর্তমানে মার্কিন কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশের প্রধান। বাংলাদেশে দুটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অ্যাকসিলারেট এনার্জি। এর একটির মালিক তারা নিজে। অন্যটি সামিট গ্রুপের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া।
অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে হস্তান্তর করে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এলএনজি টার্মিনাল ব্যবসায় অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
অ্যাকসিলারেট এনার্জির হয়ে পিটার হাস সম্প্রতি ঢাকায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) একটি আলোচনায়ও যোগ দেন। বিদেশি বিনিয়োগের ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরেক অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস উন্নয়ন অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান শেভরনের প্রেসিডেন্ট এরিক ওয়াকার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সামিট গ্রুপ এবং অ্যাকসিলারেট এনার্জির টার্মিনাল ব্যাবস্থাপনা চুক্তি বাতিল করে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে এলএনজি টার্মিনাল দুটির ব্যবস্থাপনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যেই অ্যাকসিলারেট এনার্জি টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশে টেন্ডারে কিভাবে কাজ পেতে হয়- সেটা পিটার হাস সাহেবের অজানা নয়। এমতাবস্থায় মার্কিন কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশের প্রধান পিটার হাস সাহেবের কক্সবাজার ফাইভ স্টার হোটেল / রিসোর্টে অবস্থান করা স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক হচ্ছে- জাতীয় নাগরিক পার্টির পাঁচ নেতার ঢাকা থেকে বিমানে কক্সবাজার পৌঁছে, এয়ারপোর্ট থেকে আরও ৩০ মিনিটের সড়ক পথে হোটেলে পৌঁছে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ভাড়া দিয়ে দেড় ঘন্টা অবকাশ যাপনের পর আবার একই পথে ঢাকায় ফিরে আসার ব্যাপারটায়।
ইশ! কি কষ্টই না করেছে পঞ্চপাণ্ডব নেতারা! তবে হাজার হাজার কোটি টাকার বিজনেস ডিল করতে এমন কষ্ট করতেই পারে!
০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: পিটার হাস কোথায় ছিলেন বা ছিলেন না, সেটা নিয়ে কিছু লিখিনি। আমি লিখেছি- তিনি তার কোম্পানির স্বার্থে কক্সবাজার থাকতেই পারেন। জানাপা নেতাদের দেড় ঘন্টার অবকাশ যাপনের জন্য কক্সবাজার যাওয়াটা অস্বাভাবিক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পিটার হাস দেশে ছিলো ? মনে হয় না ।