নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ চালায় ভুতে......

০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:১৩

সরকারের একজন উপদেষ্টা, যার নামে কিছুদিন আগেও অর্থনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে কন্ট্রাক্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ক'দিন পরে সেই উপদেষ্টার কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির খবর বেরিয়েছে। এমনকি একটি পদের জন্য ৩০ কোটি টাকার দুর্নীতির খবরও এসেছি।

সেই একই উপদেষ্টা তুরস্কে সরকারি সফরে গিয়ে সেখানে বসবাসরত ৩৩ বছর বয়সী এক প্রবাসী বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ডক্টর নাজমুল ইসলাম এর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। নাজমুল ইসলাম এর স্ত্রী একজন তুর্কী নারী এর তুরস্কের বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদে কর্মরত। যাইহোক, উপদেষ্টা স্যার দেশে ফিরে এসে ২৭ জুলাই কোনো প্রোটোকল না মেনে, কোনো আলোচনা ছাড়াই সেই ৩৩ বছরের যুবককে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেছে নিয়েছেন। মালদ্বীপে এই যুবককে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশে দলীয় পদায়ন বা ব্যক্তিগত পছন্দের মানুষকে বসানোর সবচেয়ে কলঙ্কজনক উদাহরণ তৈরি করেছিলেন শেখ হাসিনা, যখন বাংলাদেশের দুই গ্যাংস্টারের ভাই আজিজকে সেনাপ্রধান বানিয়েছিল। আজও সেই ক্ষত সেনাবাহিনী বয়ে বেড়াচ্ছে, আজও সেই বাহিনীর অনেক অফিসার এই ঘটনা বলতে লজ্জা পান। বর্তমান সরকারের সময় ছাত্র উপদেষ্টারা একই ধরনের কাজ করছেন। একজন উপদেষ্টা ঢাকার এক অঞ্চলের সিটি কর্পোরেশনে নিজের পছন্দের এক অদ্ভুত ব্যক্তিকে বসিয়েছেন; তিনি বসার পর থেকেই উল্টোপাল্টা কাজ করছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আসছে। আর এখন কথা নাই বার্তা নাই, আরেকজনকে রাষ্ট্রদূতের মতো এত বড় পদ দিয়ে দেওয়া হলো।

জবাবদিহিতাহীন সরকার হলে এমনটাই হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ছাত্র উপদেষ্টাদের উপর থেকে আস্থা হারিয়েছি অনেক আগেই। কিন্তু রাষ্ট্রদূতের মতো উচ্চপদে নিয়োগের ব্যাপারে তো প্রধান উপদেষ্টার জানার কথা। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরও, নির্বাচিত সরকার আসার আগে দেশ নিয়ে এমন ছেলেখেলা করাটা অত্যন্ত হতাশাজনক।

সত্যি বলতে, বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো। যে বয়সে বিসিএস দিয়ে ক্যাডার হিসেবে যোগদান করে, সেই বয়সে রাষ্ট্রদূত! একজন বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের অফিসারকে অন্তত ২০ বছর চাকরি করে রাষ্ট্রদূত হতে হয়।

ডক্টর নাজমুল ইসলামের জন্ম ১৯৯২ সালে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নিয়োগ অতীতের সমস্ত রেকর্ড ব্রেক করেছে। তাকে যদি একান্তই নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন হতো, তবে অন্য কোথাও দেওয়া যেত। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতা রক্ষায় সরাসরি রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ?
মালদ্বীপে ২০২০-২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন  নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। বর্তমানে রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থাৎ বর্তমান হাইকমিশনারকে স্থলাভিষিক্ত করে নাজমুল ইসলামকে নতুন হাইকমিশনার নিয়োগপ্রাপ্ত হচ্ছেন।
কিন্তু তার কি এমন অভিজ্ঞতা যে, সরাসরি এই পদে বসানো হলো?


গত ১ বছরে কেন দেশের দৃশ্যমান সংস্কার হয়নি? কারণ সব সেক্টরে এমন লোকজনকে নিয়োগ দিয়েছে এই উপদেষ্টা পরিষদ। ঘনিষ্ঠতা ও আত্মীয়তা রক্ষায় উপদেষ্টারা অনভিজ্ঞ লোককেই নিয়োগে প্রাধান্য দিয়েছে।

ইহাই হলো নতুন বন্দোবস্ত!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



চুপ! একদম চুপ! মুখ বন্ধ, মুখ ব-ন্ধ - - -! বেশি কথা বললে একদম দোকান বন্ধ করে দিবানে! - আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ভালো লিখেছেন, তবে এখন আর কিছু করার নেই, এইসব চলমান থাকবে - দেখতে থাকুন।


০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: কূটনীতি একটা বিশেষায়িত প্রফেশন। এখানে সিনিয়র সহকারী সচিবের মত ব‍্যক্তিকে যদি নেভাল চীফের ছেড়ে যাওয়া পদে চুক্তিতে রাষ্ট্রদূত বানান, যার ভিনদেশী স্ত্রী, দেশের প্রতি কমিটমেন্ট বা সংযোগ ছাড়াই— তাতে আর যাই হোক, সামষ্টিক ব‍্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাকে দ্রুততর করবে।


নাজমুলের বয়সী পেশাদার কূটনীতিকেরা সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার হয়ে থাকেন। পেশাদার কূটনীতিকদের ক্ষেত্রে গ্রেড থ্রি পদে মহাপরিচালক/কনসাল জেনারেল/মিনিস্টার পদে দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোড় খাওয়া একজন জাতিয়তাবাদি যদি কাল্প্রিটের নাম প্রকাশে ভয় তাহলে জাতি এদের পরিচয় কিভাবে জানবে?

০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন, কার নাম প্রকাশ করা হয়নি? আপনি কি মিন করেছেন আমি বুঝতে পারিনি।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখানে ঢাবিয়ান কে আশা করে ছিলাম খুূউববববব। উনার কাছে এর বিশেষ বেককখা আছে। =p~

০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: তিনি ভালো লিখেন। তবে তিনি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:২৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: মালদ্বীপে আমাদের খুব একটা কুটনৈতিক গুরুত্ব নেই। তাই স্বজনপ্রীতি সেখানে চলতেই পারে। এই উপদেষ্টারা আর কয়দিন? ক্ষমতায় তো দেশকে দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানানো সেই খাম্বা মামুনের দল বিএনপিই আসছে। তখন যে আরো কত কিছু দেখবেন!

০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার ভূ-রাজনৈতিক জ্ঞানের যথেষ্ট অভাব আছে, তাই আপনার দৃষ্টিতে মালদ্বীপের সাথে আমাদের কুটনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ মনে না হবারই কথা। ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে মালদ্বীপ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কয়েকটি মূল কারণ তুলে ধরছিঃ-

★ ভারত মহাসাগরের কৌশলগত অবস্থানঃ
মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরের মাঝামাঝি অবস্থান করছে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যের অন্যতম ব্যস্ততম সমুদ্রপথ। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের সঙ্গে সমুদ্রপথে সংযুক্ত হতে চায়- তাতে মালদ্বীপের সঙ্গে সুসম্পর্ক নিরাপত্তা ও বাণিজ্য উভয়ের জন্যই লাভজনক।

★ ভারত-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রভাবঃ
ভারত ও চীনের মধ্যে মালদ্বীপ এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক্ষেত্র। বাংলাদেশ যদি ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি বজায় রাখে, তাহলে দুই শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায়ও ভূমিকা রাখতে পারবে।

★ সমুদ্র নিরাপত্তা ও নৌ-সহযোগিতাঃ
জলদস্যুতা, অবৈধ মৎস্য আহরণ, মানবপাচার- এসব প্রতিরোধে মালদ্বীপ নৌ-সহযোগিতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পারে। বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি (Blue Economy) উন্নয়নে এ ধরনের সহযোগিতা সহায়ক।

★ শ্রমবাজার ও অর্থনৈতিক সম্পর্কঃ
মালদ্বীপে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মরত, যাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সম্ভাবনা আছে, বিশেষত পর্যটন ও সামুদ্রিক খাতে।

★ আঞ্চলিক কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তারঃ
দক্ষিণ এশিয়ার ছোট রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা SAARC ও IORA (Indian Ocean Rim Association) এর মতো ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান শক্ত করে।

সংক্ষেপে, মালদ্বীপ বাংলাদেশের জন্য শুধু এক বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী নয়—এটি ভারত মহাসাগরে প্রবেশাধিকার, আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য, ও অর্থনৈতিক সুযোগের জন্য একটি কৌশলগত সেতুবন্ধন।
(আশা করি, আপনি কিছুই বুঝতে পারেননি)

খাম্বা, চ্যাম্পিয়ন ইত্যাদি ইত্যাদি- সবই প্রমাণিত হয়েছে, তাই জ্ঞাতি গুষ্টি নিয়ে পালিয়ে গিয়ে মোদির আশ্রয়ে লালিত পালিত হতে হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.