![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তর আমাদের সত্ত্বা আমাদের পরিচয়......
মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তর আমাদের সত্ত্বা আমাদের পরিচয়- "একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার"। সেই বাংলাদেশের জন্ম উনিশ’শ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এই মুক্তিযুদ্ধ তো কারও ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিম্বা দলীয় বাণিজ্যের পণ্য হতে পারে না। রাজনৈতিক পণ্য হতে পারে না। এই মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ সন্তান হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান- স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
সেই মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা সর্বোচ্চ সম্মান দিতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু, রাজনৈতিক কারণে আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা করতে পারি নাই। কেন পারি নাই?
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের দলিল, স্বাধীনতা যুদ্ধের থাকা দরকার ছিল। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সৃজন নয়, লিপিবদ্ধ করা দরকার ছিল। মুক্তিযুদ্ধের দলিল, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও নির্ভেজাল ইতিহাস থাকলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন বিতর্ক থাকতো না। কেন হয় নাই? স্বাধীনতা প্রাপ্তীর পর পরই এটাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিৎ ছিল। যোগ্য লোকদের সমন্বয়ে এই কাজটি শুরুতেই সম্পাদন করা উচিৎ ছিল। কিন্তু যাদের দায়িত্ব তারা সেই কাজটি করেনি।কারণ, তাদের মুক্তিযুদ্ধে অবদান তেমন ছিলো না।
জাতির সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ সবাই সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্য ছিলেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ খুবই সুশৃঙ্খলভাবে সেক্টর কমান্ডারদের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। পুলিশ, আনসার অন্যান্য বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। সমগ্র জাতি তাদের সাথে ছিল। যে যেভাবে পেরেছে সমর্থন দিয়েছিল। এর মধ্যে অল্প কিছু বেঈমান মোনাফেক অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে। দরকার ছিল তাদেরও তালিকা করা। তারা সংখ্যায় অল্প ছিলো। তাদের তালিকা করা খুব সহজ ছিলো। তবুও হয় নাই। কেন হয় নাই? মুক্তিযুদ্ধের ধ্বজ্জাধারী যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা কি করেছিল? ইতিহাস তো ভাল কিছু বলে না। একটা সঠিক ইতিহাসই যারা লিখে যেতে চায় নাই। সেই থেকেই তো নানা বিতর্কের শুরু। ত্রিশ লক্ষ, নাকি অন্য কোন সংখ্যা আজও ঠিকভাবে জানি না। সাড়ে সাত কোটি মানুষের তালিকা যদি করা যায়, আঠারো কোটি মানুষের তালিকা যদি করা যায়, পাঁচ বছর পর পর কোটি কোটি ভোটারের তালিকা যদি করা যায়, তাহলে মাত্র কয়েক লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা, কয়েক হাজার মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের তালিকা কেন করা হলো না? মুক্তিযুদ্ধে কারা ছিল রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত আর কারা ছিল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা- সেই সত্য উন্মোচন করা করা হলো না।
স্বাধীনতার পর পরই অনেক রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত মুক্তিযোদ্ধা সেজে যায়। হত্যা লুটপাট শুরু করে সারা দেশব্যাপী। হাজার হাজার বাটপার রাজনীতিতে আসে। হাজার হাজার রাজনীতিবিদও রাজনীতির সঠিক পথ খুঁজে না পেয়ে বাটপারিতে নিজেদেরকে সামিল করে ফেলে। এই সবই আমাদের লজ্জাজনক ইতিহাস। আমাদের জনগণের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে প্রতিটা বিজয়ের পর যেখানে রক্ত দিয়েছে মূলত: দেশের সাধারণ জনগণ। সব শেষ উদাহরণ- জুলাই বিপ্লব ২০২৪, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের উৎখাত।
উনিশ’শ একাত্তরের সেই পাকিস্তানী বাহিনী আর ফিরে আসতে পারেনি এই বাংলায়। একবারও আর চোখ তুলে চায়নি স্বাধীন বাংলাদেশের দিকে। কিন্তু, সেই হিন্দুস্তানী যারা সাহায্যের নামে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্ব দখল করে নিয়েছিল, তারাই তাদের লক্ষ লক্ষ সেবাদাস তৈরি করেছে এই দেশে। দেশের বেশীর ভাগ বাটপার হাত মিলিয়েছিল তাদের সাথে। বাটপারদের চরিত্র থাকে না। তারা দেশ বুঝে না। তারা বুঝে স্বার্থ।
এদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছে ছাত্র নেতৃত্বের হাত ধরে। আর সেই নেতৃত্বের সূতিকাগার হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ একটি অগণতান্ত্রিক এবং হটকারী সিদ্ধান্ত।
আমাদের দুর্ভাগ্য, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আমাদের মধ্যে যে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করে ব্যক্তি সামাজিক, রাজনৈতিক বিভাজনের বিষবৃক্ষ রোপণ করেছিলো, সেই বিষবৃক্ষ মহিরুহ হয়ে তাকেই শুধু বিতাড়িত করেনি, একাত্তরের পরাজিত রাজনৈতিক শত্রুদেরও ফিরিয়ে আসতে দিয়ে নিজে জ্ঞাতিগুষ্টি নিয়ে শরনার্থী জীবন বেছে নিয়েছে।
অন্যদিকে, একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে! তারা ভুলে গেছে, এ দেশ রক্তে কেনা, এ পতাকা শহীদের ত্যাগে রঙিন! যারা একদিন এই মাটিকে পাকিস্তানের প্রভুর কাছে বিকিয়ে দিতে চেয়েছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে রক্তে থামাতে চেয়েছিল, তারা আজ আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
কিন্তু মনে রাখতে হবে, বাংলার মাটি এখনও গর্জে উঠতে জানে! স্বাধীনতার শত্রুরা যতই শক্তি জোগাড় করুক, দেশপ্রেমিক জনতা তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। শহীদের রক্তের শপথ আমরা ভুলিনি, রাজাকার-দালালদের স্থান কেবল ইতিহাসের আবর্জনার স্তূপে। বাংলাদেশের মানুষ আবারও রুখে দাঁড়াবে- দেশ বাঁচাবে, স্বাধীনতা রক্ষা করবে।
একাত্তরের পরাজিত শত্রু- বাংলার মাটিতে জায়গা নেই! দেশপ্রেমিক জনতা রুখে দেবে রাজাকার দালালদের!
শহীদের রক্তের শপথ,
রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ব আমরা।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ৭১ আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। ২০২৪ জুলাই বিপ্লব আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:২৭
কাঁউটাল বলেছেন: অন্ততঃ কমপক্ষে তিনশ বছরের ইতিহাস বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে। ১৭৫৭, ১৮৫৭, ১৯৪৭, ১৯৭১, ২০২৪ সবগুলা নিয়ে আসতে হবে। নাইলে ১৯৭১ - ২০২৪ নিয়ে টানা হেচড়া হবে এবং হাউয়ামী লীগ আবার সুযোগ নিবে। আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: গত দুইশো বছরের ইতিহাস এবং ঐতিহাসিকতা মুসলিম জাগরণের ইতিহাস। সেই ইতিহাস ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতের সেবা দাস আওয়ামী লীগ।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:২৮
কাঁউটাল বলেছেন: শুধু ১৯৭১ কে হাইলাইট করলে আবার আমরা ভঁড়ৎের করদ রাজ্যে পরিনত হব।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন:
জামাত ইসলামি সংগঠনের আড়ালে মুসলমানদের ভুল পথ দেখায়, তাই এদের তাত্ত্বিকভাবে বিচক্ষণভাবে মোকাবেলা করা প্রয়োজন। কিন্তু জামাতের বিরোধিতায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুযোগ দেওয়া অনুচিত, কারণ এরা দেশের গণতন্ত্র ও মুক্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সবায়কে সামলাতে হবে।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩২
কাঁউটাল বলেছেন: জামাতের বিরোধিতা করতে গিয়ে হাউয়ামী, বাল ভাদাদের সুযোগ করে দেওয়া যাবে না। জামাতে ইসলামী মূলত কোন ইসলামি সংগঠন নয়। এদের প্রকৃত নাম হওয়া উচিত জামাতে মৌদুদিবাদি। এদেরকে আরও তাত্বিক ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এরা বেসিক্যালি একটা শয়তানি গ্রুপ। ইসলামের নামে মুসলমানদের ধোকা দেয়।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: জামাত সব সময় সময়ই আওয়ামী লীগের সাথে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে গিয়েছে, এখনো তার পরিবর্তন হয়নি। বরং আওয়ামী লীগের পতনের পর একক ভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সাথে নিয়েছে জা-শি র বি টিম জানাপা।
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৫১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: "বাংলার মাটি এখনো গর্জে উঠতে জানে" লাইন টি খুব ভালো লাগলো ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নাহিদ ইসলাম বলেছেন যারা ৭১ এ ফিরে যেতে চান তারা ২৪ কে মানেন না । এর কথা শুনে কোটা আনদোলনে গিয়েছিলাম। এখন সে শিবিরের মতো কথা বলছে। গতবছর রাসতায় যে সময়টুকু ছিলাম ৭১ এর গান , কবিতা গাইতাম সবার সাথে । এখন ৭১ শুনলে গা্য়ে কাটা দিবে কেন ? ২৪ কে ডিফাইন করতে ৭১ কে কেনো টানা লাগবে ? এটা আনদোলনের আগে বললে ভালো হতো । পলিটিকিলা দলগুলো এক জোট হয়েছিল একটা মিশনে ।এদের চিনতা ভাবনা আনদোলনের পরও এক থাকলে পলিটিক্স করবে কেমনে ?