![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
সেনাবাহিনীকে কেন্দ্র করে বিতর্ক, অভিযোগ ও বাস্তবতা.....
দুইদিন আগে এটিএন বাংলায় একটা মনোজ্ঞ টকশো দেখলাম। আলোচ্য বিষয় ছিলো- সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা.....প্রধান আলোচক ছিলেন Abu Rushd A R M Shahidul Islam। বিষয়টা নিয়ে তিনি বরাবরের মতোই চমৎকার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। আবু রুশদ এর বক্তব্যের আলোকে একই বিষয় নিয়ে আমিও চিন্তা ভাবনা করেছি, যা ফেসবুক ও ব্লগেএর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করছিঃ-
বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সবসময়ই রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রাষ্ট্র নির্মাণের প্রতিটি অধ্যায়ে সেনাবাহিনীর ভূমিকা আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেনাবাহিনীকে নিয়ে গালাগালি, হাইপ, অসভ্যতা, অশ্লীলতা ও ব্যক্তি আক্রমণ বেড়ে গেছে। এর পেছনে কিছু বাস্তব কারণ যেমন আছে, তেমনি আছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণাও। বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি স্তর স্পষ্ট হয়।
★★ প্রথমেই জানতে হবে- সেনাবাহিনীকে ঘিরে বিতর্ক কেন তৈরি হয়?
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ইতিহাসঃ স্বাধীনতার পর থেকে বারবার সামরিক হস্তক্ষেপ, অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক ভূমিকা সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করেছে। এ কারণে মানুষ সেনাবাহিনীকে শুধু একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী হিসেবে দেখেনি; বরং কখনো তা হয়েছে ক্ষমতার অংশীদার।
ফ্যাসিস্ট শাসনের সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগঃ গত ১৬ বছরের স্বৈরশাসনে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ও কিছু সিনিয়র অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের সহযোগী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা প্রমাণিত সত্য। বিরোধী দল দমন, অন্যায় গ্রেফতার, নিখোঁজ-বিষয়গুলো সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক দায়ে ফেলেছে নিঃসন্দেহে!
সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াঃ ফেসবুক-ইউটিউব -টুইটারসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সেনাবাহিনীকে নিয়ে অতি আবেগপ্রবণ, কখনো যাচাইহীন তথ্য ছড়ানো হয়। এগুলো অনেকে ব্যবহার করে সেনাবাহিনীকে অসম্মানিত করার জন্য, আবার অনেকে ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর প্রতি জনমনে ক্ষোভ উসকে দিতে।
★★ গালাগালি, হাইপ ও অসভ্যতা কার স্বার্থে?
বিদেশি এজেন্ডাঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী মিশনে বড় ভূমিকা রাখে। বিশ্বব্যাপী তাদের একটি সুনাম আছে। সেই সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে দেশি-বিদেশি কিছু শক্তি সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে।
দেশীয় রাজনৈতিক প্রপাগান্ডাঃ ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সেনাবাহিনীকে টেনে আনা হয়। সরকারবিরোধীরা সেনাবাহিনীকে দায়ী করে, সরকার সেনাবাহিনীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে- ফলে আস্থা নড়বড়ে হয়েছে বললে ভুল বলা যাবেনা।
জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়ানোঃ একটি রাষ্ট্রকে দুর্বল করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো তার সেনাবাহিনীকে মানুষের চোখে সন্দেহজনক করে তোলা। এ ধরনের বিভ্রান্তি মূলত রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা দুর্বল করার ষড়যন্ত্র। যেমনটা দেখা গিয়েছিল বিডিআর ম্যাচাকারের সময় তাদের নিষ্ক্রিয়তায় এবং গত ষোলো বছর স্বৈরশাসকের সহায়তায়। এবং সম্প্রতি ভিপি নুরের উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে স্পিকটি নট ভুমিকায়।
গত ষোলো বছর যাবত একটা উপহাস্য জিজ্ঞাসা (অশ্লীল প্রশ্নটা বাদ দিয়ে আমি ভদ্র চিত ভাবে লিখলাম)- ''গোয়েন্দাদের কাজ কি?''
উত্তরঃ আমরা দেখেছি- গত ষোলো বছর এরা শুধুমাত্র 'বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে কল্পিত ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব এবং তথ্য' ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পায়নি।
আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর মধ্যে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- DGFI, NSI এবং CID। এক কথায় বলতে গেলে গত ষোলো বছর এরা সবাই একই কাজ করেছে।
সংস্থাগুলো কার অধীনে?
★ DGFI (Directorate General of Forces Intelligence): তিন বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে, কার্যত সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। এর নেতৃত্বে থাকেন একজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা। তবে তিনি এবং তার বাহিনী সেনাবাহিনী প্রধানের কাছে জবাবদিহি করেন না। জবাবদিহি করেন প্রধানমন্ত্রী কিম্বা তার পক্ষে তার সামরিক উপদেষ্টার কাছে।
ডিজিএফআই বাংলাদেশের প্রধান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা, যার কাজ হলো-জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা হুমকি পর্যবেক্ষণ করা, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা এবং দেশ ও সামরিক বাহিনীর সুরক্ষার জন্য কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করা। এটি বিদেশী সামরিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়াবলিও পর্যবেক্ষণ করে থাকে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা কার্যক্রমেও ভূমিকা রাখে।
★ NSI (National Security Intelligence): এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে, বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের একটি বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা, যার প্রধান কাজ হলো জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই সংস্থাটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন করে থাকে। এর মধ্যে সন্ত্রাস দমন, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স (প্রতি-গোয়েন্দা), রাজনৈতিক গোয়েন্দা কার্যক্রম, এবং VIP ও VVIPদের নিরাপত্তা বিধান অন্তর্ভুক্ত হলেও গত ষোলো বছর শুধুমাত্র রাজনৈতিক কাজে তথা বিএনপি-জামাত ঠ্যাংগাতেই ব্যবহারের অভিযোগ ষোল আনা।
অর্থাৎ, উভয় গোয়েন্দা সংস্থাই সরাসরি সরকারের নীতিগত নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। কাজেই শুধু সেনাবাহিনীকে দায়ী করলে পুরো চিত্র পাওয়া যায় না- কারণ নির্দেশ আসে রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ থেকেই।
★ CID (Criminal Investigation Department) বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ একটি বিশেষ শাখা। যার প্রধান কাজ হলো সন্ত্রাসবাদ, খুন, এবং সংগঠিত অপরাধের মতো জটিল ঘটনাগুলো তদন্ত করা, অপরাধী শনাক্ত করা এবং অপরাধের জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করা। সিআইডির মূল লক্ষ্য হলো দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখা। সিআইডি একটি বিশেষায়িত বিভাগ, যা অন্যান্য পুলিশ ইউনিটগুলোর চেয়ে আরও জটিল ও বিশেষায়িত অপরাধগুলোর তদন্ত করে থাকে।
★★ অভিযোগ মিথ্যা নয়, তবে দায় একতরফা নয়।
সেনাবাহিনীকে ঘিরে যে অভিযোগগুলো আছে, যেমন- কতিপয় সদস্যদের বিরুদ্ধে অপহরণ, গুম, দমননীতি ইত্যাদির পেছনে কিছু বাস্তবতার শেকড় আছে। তবে এগুলো শুধুই সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ। রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না থাকলে এই সংস্থাগুলো এককভাবে এমন কাজ করার সুযোগ পায় না। ফলে, দায় শুধু সেনাবাহিনীর নয়; দায় মূলত শাসক গোষ্ঠী এবং তাদের রাজনৈতিক ব্যবহারের।
★★ করণীয় ও পথনির্দেশঃ
সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক খেলার বাইরে রাখা জরুরি।
গালাগালি, অশ্লীলতা নয়- যৌক্তিক সমালোচনা ও তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ হওয়া উচিত। জনগণের আস্থা ফেরাতে সেনাবাহিনীরও পেশাগত স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা প্রদর্শন করা প্রয়োজন।
উপসংহারঃ
সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই সবার আগে বাহিনীর সদস্যদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। রাজনৈতিক স্বার্থে বা ষড়যন্ত্রমূলক কারণে তাদের ঘিরে গালাগালি, অপপ্রচার ও বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে- সেগুলো বন্ধ করে তাদেরকে আস্থার যায়গা ফিরিয়ে দিতে সহায়তা করতে হবে। তবে এটাও সত্য যে, সেনাবাহিনী যদি বারবার রাজনৈতিক খেলায় ব্যবহৃত হয়, তবে জনগণের আস্থা হারানো অনিবার্য। তাই একদিকে যেমন বাহিনীকে নিরপেক্ষ ও গণমুখী হতে হবে, অন্যদিকে নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে যাতে অশ্লীলতা, হাইপ ও গালাগালির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা না হয়।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সেনাবাহিনী নিয়ে যত রাগ-ক্ষোভই থাকুক, সত্যটা হলো তারা দেশের সবচেয়ে সংবেদনশীল আর শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। ডিজিএফআই-এনএসআই সেনাবাহিনীর অধীনে না হলেও, শীর্ষ পদে সেনা অফিসাররাই বসেন- এটাই বাস্তবতা।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, তারা কেন বারবার ক্ষমতায় আসে? কারণ আমাদের গণতন্ত্র দুর্বল, রাজনীতি ভঙ্গুর, আর রাজনীতিবিদরা নিজেদের ব্যর্থতায় সেনাবাহিনীর জন্য দরজা খুলে দেয়। তাই শুধু সেনাবাহিনীকে দোষারোপ নয়, রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতাকেও সমানভাবে দায়ী করতে হবে। গণতন্ত্র শক্তিশালী না হলে সেনাবাহিনী রাজনীতিতে ঢুকবেই- এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কি মনে হয়, লীগের নেতারা দেশ থেকে ভাগার পরে কিংবা তাদের সেইফ এক্সিট দেবার বিনিময়ে কি পরিমান টাকা কিছু অসাধু সেনাকর্মকর্তা হাতিয়ে নিয়েছেন?
জুলকারনাইন সায়ের, শাহেদ আলম, তুষার সহ আরো কিছু সাংবাদিক আর মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব কি সেনাবাহিনীর পারপাস সার্ভ করছে না?
হানিট্রাপে যেসকল রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবি, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ফেঁসে আছেন এবন দেশবিরোধী ও উল্টাপাল্টা ও তাদের ব্যক্তিত্বের সাথে যায় না এমন কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন এটা কাদের সুতোর টানে?
আসিফের ওয়েস্টিনে হাস খাওয়া আর মাহফুজ ও হাসনাতের বিরুদ্ধে মিডিয়াকে উস্কে দিয়ে কারা তাদের ক্ষোভ মেটাচ্ছে?
আরো অনেক কথা আছে বলতে চাই না-একটু ভেবে দেখুন, এই ক্ষোভের পেছনে অনেক যদি কিন্তু আছে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: তপন ভাই, প্রথমেই বলে নেই- আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মুখ চেনা কতিপয় দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও প্রশাসনের কুশীলবরা ৯০% এখনো যথাস্থানে বহালতবিয়ত আছে। আমাদের দুঃখ–ক্ষোভের জায়গাটা এখানেই- দেশের লুটপাট, ভাগার টাকা, সেইফ এক্সিটের ডিল- এসব যখন হয়, তখন কেবলই কিছু অসাধু সেনাকর্মকর্তার পকেট ভরে যায়, আর জাতি পড়ে যায় অন্ধকারে। সাংবাদিক-সেলিব্রিটি, মিডিয়ার নামধারীরা যখন ‘পারপাস সার্ভ’ করে, তখন বোঝা যায় কারা অদৃশ্য সুতো নেড়ে তাদের দিয়ে খেলা দেখাচ্ছে। হানিট্রাপের ফাঁদে পড়ে রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, মিডিয়াকর্মীরা যখন নিজেদের মানহানি করেও নির্বিকার থাকে- তখন প্রশ্ন জাগে, তাদের পেছনে আসলে কার ছায়া? আসিফের ওয়েস্টিন কেলেঙ্কারি কিংবা মাহফুজ-হাসনাত ইস্যু- এসব কি নিছক কাকতালীয়? নাকি কারো ‘অসন্তুষ্টি মেটানোর খেলায়’ জাতিকে টেনে নেওয়া হচ্ছে?
ভেবে দেখুন, ভিপি নুরকে কারা মেরেছে.... হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে? দ্রব্যমূল্য কেন আকাশচুম্বী? প্রশাসন কেন স্থবির? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ধান্ধা কেন করছে? জা-শি'র শক্তির উৎস কোথায়?
ভেবে দেখুন- এই ক্ষোভ, এই বিক্ষোভ, এই অসন্তোষের পেছনে অজস্র ‘যদি-কিন্তু’ লুকিয়ে আছে। কিন্তু একটাই সত্য- জাতি প্রতারিত হচ্ছে, আর আমরা নীরব থাকলে ইতিহাস আমাদেরকেও ক্ষমা করবে না।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: ডাক্তার জাহেদতো কট খেয়েছে । বিএনপি সায়ের টাইপ দালালদের ট্র্যপে পড়ে নিজেদের সামনে বিপদে ফেলবে। ১/১১ এর পরেও বিএনপির শিক্ষা হয় নাই। বিএনপি বুঝতে পারছে না যে, ডক্টর ইউনুসকে সরানো অনেক কঠিন কিন্তু বিএনপিকে সরানো আর্মির জন্য দুধভাত।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাই, বিষয়টা এত সরল নয়। বিএনপি কোনো দালালের ট্র্যাপে পড়ে নিজের জন্য বিপদ ডেকে আনছে—এমনটা বলা ঠিক না। বাস্তবতা হলো, ১/১১ এর অভিজ্ঞতা বিএনপির আছে, আর সেই কারণেই আজকের দিনে তারা অনেক বেশি সতর্ক। ড. ইউনুস আন্তর্জাতিকভাবে একজন স্বীকৃত ব্যক্তি বটে, কিন্তু সেটাই তাঁকে অজেয় করে না। একইভাবে, সেনাবাহিনী কখনোই বিএনপিকে “দুধভাত” মনে করে না- কারণ তারা জানে বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম গণভিত্তিক রাজনৈতিক শক্তি।
রাজনীতি কখনোই এক লাইনে মাপা যায় না। আন্দোলন, আন্তর্জাতিক চাপ, জনমতের শক্তি- সবকিছু মিলেই সমীকরণ তৈরি হয়। তাই বিএনপিকে অবমূল্যায়ন করা কিংবা শুধুই “ট্র্যাপে পড়ছে” বলে দেখানো আসলে বাস্তবতাকে অস্বীকার করার শামিল।
আসলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে জামায়াত শিবিরকে অনেকটা "টুল" হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, জনগণের চোখে তাদের 'ধর্মীয় মুখোশ', 'ধর্ম ব্যবসা' আর 'রাজনৈতিক ব্যবসা' এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাই সরাসরি তাদেরকে টার্গেট করলে মানুষ একপ্রকার উৎসাহ নিয়েই প্রতিরোধে নামবে। কিন্তু এর আগে তাদেরকে ব্যবহার করে বিএনপি বা অন্য দলগুলোকে দুর্বল করে ফেলা- এটা বহু মহলের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনে। শেষ পর্যন্ত জামায়াত শিবিরকে জড়িয়েই বড় ধরনের রাজনৈতিক লাভ তোলা সম্ভব হয়। অর্থাৎ, তারা আজ কারো জন্য ঢাল, আবার কালকে হবে বলির পাঠা- ঠিক এই ফর্মুলাতেই খেলা চলছে।
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার প্রতিউত্তর- ধন্যবাদ আমার মনের কথাগুলো বলে দেবার জন্য ভাই।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাকে বলার স্পেস দেওয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ডাক্তার জাহেদতো কট খেয়েছে । বিএনপি সায়ের টাইপ দালালদের ট্র্যপে পড়ে নিজেদের সামনে বিপদে ফেলবে। ১/১১ এর পরেও বিএনপির শিক্ষা হয় নাই।
আমি রাজনীতি বুঝা বা করা কোন মানুষ না, ব্লগে আসি আপনাদের লেখা পড়ে সমসাময়িক বিষয়গুলো জানতে, বোঝাতে এবং শিখতে। সত্যি কথা বলতে ঢাবিয়ান সম্পর্কে আমি কিছুটা উচ্চু ধারনা পোষন করতাম। কিন্তু ওনার এমন শিশু শুলভ বালখিল্য মন্তব্য আমি খুবই হতাশ! বাংলাদেশে কোন নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে আর্মির ক্ষমতা দখলের ইতিহাস আছে? জিয়া এবং এরশাদ ক্ষমতায় এসেছে দেশের ক্রিটিক্যাল একটি মুহূর্ত; সর্বশেষ ১/১১ ছায়া সরকার আর্মি সরাসরি দেশ পরিচালনা করার সাহস করেনি এবং সেনাবাহিনী তখন হটস্পট বা ছায়া সরকার তখনই পরিচালনা করেছে যখন বড় দুইটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে সমঝোতা বা ঐক্য পৌঁছাতে পারেনি।
ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আর্মি ক্যূ করে ক্ষমতা গ্রহন করবে? ব্যপারটি কি এতোই সহজ? আর্মির উপর পশ্চিমা, জাতিসংঘ থেকে কি ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে? বিএনপি কি বিদেশি বন্ধুহীন? গতকাল ফেঞ্চ বিদায়ী রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে গেছেন। বিদেশে বিনিয়োগ, ব্যবসায়ী পরিস্থিতির কি অবস্থা হবে এই ভংগুর অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা করা যায়? আমার তো মনে সেনাবাহিনী তথা জুজুর ভয় দেখিয়ে; নির্বাচন পিছিয়ে ওনার পিয়ারের দল এনসিপির আরো কিছুদিন যাতে গুড়-বাতাসা খেয়ে নিষ্ঠো-পুষ্টো হতে পারে সেই কথাটি এনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করছেন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: জা-শি, এনসিপি'র অবস্থা লেজেগোবরে.... নির্বাচনে জেতার কোনো সম্ভাবনা নাই। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আজই গোয়ালন্দে নুরু ফকিরের লাশ কবর থেকে তুলে পিটিয়েছে৷তারপর আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে- এসব জা-শি র হিংস্রতার. ৯৯% মাত্র। ওরা জিন্দেগীতে শান্তিপ্রিয় মানুষের ভোটে ক্ষমতায় আসবে- তা চর্মচক্ষু দিয়ে দেখা লাগবে না।
ঢাবিয়ান ভাইয়ের বিশ্লেষণ শুনে মনে হচ্ছে তিনি যেন দেশের রাজনীতি নয়, বরং কোনো ভুতের গল্পের বই লিখছেন। সেনাবাহিনী নাকি টুং টাং করে এসে হুট করে ক্ষমতা নিয়ে নেবে- এমন সরল কল্পনা করলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, জাতিসংঘের ভূমিকা, বৈদেশিক সম্পর্ক- এসব নাকি জাদুকরের মতো উধাও হয়ে যাবে! আসলে ব্যাপারটা হলো, জুজুর ভয় দেখিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে জামাত-এনসিপিকে আরো একটু গুড়-বাতাসা খাওয়ানোর ফন্দিই চলছে। রাজনীতি বিশ্লেষণ নয়, একেবারে নাটকীয় “গল্পের বই” বানানোর চেষ্টা!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক; সেনাবাহিনী দেশের সংবেদনশীল জায়গা। সেনাবাহিনী ও দেশের কূটনীতি জনমানুষের চর্চার বাইরে রাখা উওম বলে আমি মনে করি। আরো একটু সংযোগ করি, DGFI & NSI সেনাবাহিনীর অধিনে না থাকলে ও তাদের বেশিরভাগই উর্দ্ধতন কর্মকর্তা মহাপরিচালক আর্মি থেকে রিক্রুট করা।
সর্বোপরি সেনাবাহিনী নিয়ে রাগ ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক; তারা দেশের অনন্যা প্রতিষ্ঠান মতো একটি সংগঠন। যেহেতু তারা স্বঅস্ত্র এবং ওয়েল ডিসিপ্লিন তাঁদের প্রভাব প্রতিপত্তি ও অনন্যা বাহিনীর থেকে বেশি। বাংলাদেশের দুর্বল গনতন্ত্র এবং শাসন ব্যবস্থার সুযোগে তারা ক্ষমতায় এসেছে। এদিক বিবেচনায় রাজনীতিবিদের দায় কম নয়!