নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় ইবাদতে নামের বিবর্তনঃ \'সিরাতুননবী\' থেকে জশনে-জুলুস.....

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৫৫

ধর্মীয় ইবাদতে নামের বিবর্তনঃ 'সিরাতুননবী' থেকে জশনে-জুলুস.....

(১) আমাদের ছেলে বেলায় ছিলো- 'সিরাতুননবী'। তারপর এলো- 'মিলাদুননবী'। তারপর 'ঈদে মিলাদুননবী'। এখন 'জশনে-জুলুস ঈদে মিলাদুন নবী'।

(২) আমরা ছেলেবেলায় বলতাম- নামাজ। তারপর সালাত। এখন সালাহ।

(৩) আমাদের ছেলেবেলায় বলতাম- রোজা। তারপর এলো রমজান। তারপর রামাদান। তারপর রামাদান মোবারক। এখন সিয়াম।

(৪) আমাদের ছেলেবেলায় বলতাম- 'রোজা খোলার সময়'! তারপর ইফতার। এখন ইফতার পার্টি।

(৫) আমাদের ছেলেবেলায় বলতাম সেহরি। তারপর সাহারী। এখন সাহারী পার্টি।

একশ্রেণীর ইসলাম ধর্মীয় উগ্রবাদী নেতাদের কারণে ইসলাম অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়... জানার জন্য, বোঝার জন্যও কোন প্রশ্ন করলে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয়! তাই এই বিষয়ে যত কম বলা যায় ততই আত্মরক্ষা।

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুননবী। আমাদের ছেলে বেলায় 'সিরাতুননবী' নামে একটি বই ছিলো- যা মহানবী হজরত মুহাম্মদ সঃ এর জীবনীগ্রন্থ। দু’টি আরবী শব্দের সমন্বয়ে ‘সীরাতুন্নবী’ গঠিত। ‘সীরাত’ ও ‘আন্-নবী’। আরবী ভাষায় ‘সীরাত’ শব্দের অর্থ জীবনী। যে কোনো মানুষের সীরাত বলতে বোঝায় তার জীবনাতিহাস। আর শুধু ‘নবী’ বললে যে কোনো নবী বুঝালেও ‘আন্-নবী’ বললে শুধু মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাঃ কেই বুঝায়।

সীরাতুন্নবীর মতো মীলাদুন্নবী শব্দটিও ‘মীলাদ’ ও ‘আন্-নবী’ নিয়ে গঠিত। মীলাদ অর্থ জন্ম। মীলাদুন্নবী মানে মহানবীর জন্ম। বর্তমানে মীলাদুন্নবী শব্দের আগে একটি ‘ঈদ’ শব্দ বসিয়ে বলা হয় ঈদে মীলাদুন্নবী। ঈদ অর্থ খুশি, আনন্দোৎসব। তাই ঈদে মীলাদুন্নবী অর্থ মহানবীর জন্ম দিবসের আনন্দ বা জন্মোৎসব।

জশনে-জুলুস উৎসবঃ ‌বাংলাদেশে "জশনে-জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী মিছিল" ১৯৭৪ সালে প্রকাশ পায়। চট্টগ্রামের ষোলশহরে আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) এর নেতৃত্বে প্রথম এই মিছিল বের হয়। পরবর্তীতে একই ট্রাস্ট এই শোভাযাত্রা ঢাকাতেও আয়োজন করে।

কোথা থেকে এলো জশনে-জুলুসঃ পাকিস্তানি দুই অখ্যাত পীর হজরত সিরিকুটি (রহ.) এবং আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ পাকিস্তানে 'জশনে-জুলুস মিছিল' শুরু করলেও সেখানে অর্থাৎ পাকিস্তানে সুবিধা করতে পারেনি বরং সাধারণ মুসুল্লিরা তাদেরকে দৌড়ানি দেওয়ার তথ্য আছে। তবে তাদেরই মুরিদ চট্টগ্রামের আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহর মাধ্যমে পবিত্র জশনে-জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী' চট্টগ্রামের জব্বারের বলী খেলার মতোই এক জমজমাট উৎসবে পরিনত হয়েছে।

সাধারণভাবে সুফিবাদী ও বরেলভি সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন ব্যাপকভাবে প্রচলিত। অনেক দেশে এটি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত ছুটি বা উৎসব হিসেবে পালিত হয়।
ফতিমিদ ও আব্বাসি শাসনামলে এবং সুলতান সুলেমান বংশের শাসকদের আমলে পবিত্র মসজিদে মদিনায় মিলাদ (মাওলীদ) পালনের চল শুরু হয় (সুলতান সুলেমান ড্রামা সিরিজে দেখেছি)।

তবে দেওবন্দি ও সালাফি মতবাদ সম্প্রদায় সাধারণত মিলাদ পালনকে 'বেদাতি' বলে বর্জন করেন। কারণ, এর জন্য প্রমাণ হিসেবে নবী বা সাহাবাদের কোনো পরামর্শ বা ইতিহাস পাওয়া যায় না।

হজরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.) সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পরিচয়ঃ

তিনি সিরিকোটি শরীফ, হরিপুর জেলার (বর্তমানে পাকিস্তানের Khyber Pakhtunkhwa প্রদেশের অংশ) সিরিকোট (Sirikot) গ্রামে ১৮৫৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতা সৈয়দ সদর উদ্দিন শাহ ধর্মীয় শিক্ষায় প্রখ্যাত আলেম। বংশগত দিক থেকে নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাতৃকুল মাশওয়ানি গোত্র উৎস।

হজরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.) কুরআন হাফিজ; পরিশেষে কুরআন, হাদিস, সূফি তত্ত্ব, ফিকহাদি ইসলামী জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি কাদিরিয়া সুফি সিলসিলার অনুসারী ছিলেন এবং খাজা আবদুর রহমান চৌহরভীর থেকে খেলাফত গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম (১৯৩৭ সাল) এবং মায়ানমারে দাওয়াত-ও-তরিকাত ব্যাপকভাবে প্রচার করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামে Jamia Ahmadiyya Sunnia Kamil Madrasa প্রতিষ্ঠা করেন।

হজরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.) ২৭ এপ্রিল ১৯৬১ (১১ জিলক্বদ ১৩৮০ হিজরী) সালে সিরিকোটে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মাজার সিরিকোট (শেতালু শরীফ)-এ অবস্থিত, যেখানে প্রতিবছর তার ভক্ত অনুসারীরা ওরশে যোগদান করেন।

(স্বীকার করতে দ্বিধা নাই- আমার ধর্মীয় জ্ঞান বলতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, রোজা, হজ্জ জাকাত, কোরআন তেলওয়াত এর মতো প্রাথমিক বিষয় পালনে সীমাবদ্ধ। কাজেই এই লেখায় ভুল ত্রুটি মার্জনীয়। কাজেই কেউ ভুল শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো। )
হজরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.) তথ্যসূত্রঃ জশনে-জুলুস গুগল।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১০

বাজ ৩ বলেছেন: মিলাদুন্নবী নামে কোনো ঈদ শরিয়ত প্রবর্তন করেনাই।ইহা নতুন আবিষ্কার

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১

বিজন রয় বলেছেন: স্কলে এই দিনটি পালন হতো, এখনোও হয়। আমরা ঈদে মিলদুননবী বলতাম ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

ঢাকার লোক বলেছেন: রাসূলুল্লাহ (স) ১২ই রবিউল আউয়াল মারা গেছেন যেমন নিশ্চিত, ঐ তারিখেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেইরূপ নিশ্চিত না। জন্মদিন নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। কেউ কেউ ৯ তারিখও মনে করেন। এর অর্থ তিনি (স) তার জীবদ্বশায় জন্মদিন পালন বা উদযাপন করেননি, করলে এর বর্ণনা থাকতো এবং তারিখ নিয়েও কোনো সন্দেহ বা দ্বিমত থাকতো না। এ দিবস পালনে বা উদযাপনে মুসলমানের জন্য কোনো উপকার বা সওয়াব থাকলে তিনি তা করতেন, বা করতে বলতেন। এমতাবস্থায় এটিকে সওয়াব মনে করা সম্পূর্ণ ভুল, এ থেকে বিরত থাকায়ই কল্যাণ !

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: সবগুলো পয়েন্টে একমত।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি ট্রাকে করে সবুজ পতাকা টুপি পরে মাইকে ইসলামি সংগিত বাজিয়ে ট্রাক সারিসারি, কোথায় যায় কেন যায়, কারা যায় বুঝতামনা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: বুঝতে পারছি- আপনার জন্ম ১৯৭৪ এর পর। যারা ট্রাকে করে যায় ওরা ভণ্ড।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.