নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্যাসিবাদের পতন, কিন্তু দোসররা অক্ষত- মুক্তির লড়াই কি তবে অসমাপ্ত!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ফ্যাসিবাদের পতন, কিন্তু দোসররা অক্ষত- মুক্তির লড়াই কি তবে অসমাপ্ত?

২০২৪ সালের জুলাই- বাংলার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো। তরুণদের বুকের তাজা রক্ত, মা-বাবা-ভাই-বোনের চোখের পানি, শ্রমজীবীর হাহাকার- সব মিলিয়ে আমরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম, এক নতুন ভোরের সূচনা হবে। ভেবেছিলাম, এত প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আন্দোলন আমাদের মুক্তির নিশান উড়াবে।

কিন্তু আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি এক বিভ্রান্তির মোড়ে। স্বৈরশাসক পালিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসররা কি সত্যিই পরাজিত হয়েছে? না, তারা এখনো সমহিমায়, এখনও ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছে। প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ- সবখানে তাদের অদৃশ্য দাপট। শুধু একজন স্বৈরশাসক তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে দেশ ছাড়লো, কিন্তু তার বপন করা বিষবীজ অক্ষত রয়ে গেল।
এ কারণেই আজও আমরা মুক্তির কোনো সুফল পাচ্ছি না। এ কারণেই আমার বুক কাঁপে এই ভেবে- ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে আসবে ভয়ে। ওরা সুযোগের অপেক্ষায় আছে, আবার রক্তচক্ষু নিয়ে ফিরে আসার!

ইতিহাস সাক্ষী, যদি দোসরদের শেকড় উপড়ে না ফেলা যায়, তবে ফ্যাসিবাদ নতুন মুখে, নতুন নামে আবারও ফিরে আসে। তাই আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে।

এখনই সময়-
শহীদের রক্তের শপথ মনে করার,
ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচ্ছিন্ন করার,
নতুন প্রজন্মকে সংগঠিত করার,
আর একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলার।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না- ফ্যাসিবাদ মানে কেবল একজন শাসকের পতন নয়। ফ্যাসিবাদ মানে পুরো একটি দমন-পীড়ন, স্বার্থপর লুটেরাদের প্রণালী। সেই প্রণালী না ভাঙতে পারলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।

অতএব, আজই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- মুক্তির পথ অসমাপ্ত রাখা যাবে না। নইলে আগামী ভোরে আবারো ফ্যাসিবাদ আমাদের বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: বি এন পি আর আওয়ামীলীগের পার্থক্য কি কি, ২০০৭ সালে পূর্ব পর্যন্ত।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি কি ধরনের পার্থক্যের কথা জানতে চেয়েছেন তা নির্দিষ্ট করে বলেননি। ২০০৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ (১৯৯৬–২০০১) এবং বিএনপি (১৯৯১–১৯৯৬, আবার ২০০১–২০০৬)-এর শাসনামলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য নিচে তুলে ধরছিঃ-

বিএনপি (১৯৯১–১৯৯৬, ২০০১–২০০৬)
১৯৯১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটে জিতে বিএনপি সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রথম নির্বাচিত সরকার গঠন করে। ২০০১ সালে আবারও বিপুল ভোটে জয়ী হয়।
বিএনপির ১৯৯১–৯৬ সময়কালে তুলনামূলক কম সহিংসতা, তবে ২০০১–২০০৬ মেয়াদে জোট সরকারের সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতা (গ্রেনেড হামলা), জঙ্গিবাদ উত্থান ভয়াবহ আকার নেয়।
বিএনপি চীন এবং ইসলামপন্থী দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছে। ভারতের সাথে সম্পর্ক ছিল টানাপোড়েনপূর্ণ।
বিএনপি সরকার বাজার অর্থনীতি, বেসরকারিকরণ ও বিদেশি বিনিয়োগের ওপর বেশি জোর দিয়েছিল।পোশাকশিল্প (RMG) ও রেমিট্যান্স খাতে বড় ধরণের প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। বিএনপি ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন একটি ঐতিহাসিক অবদান।

আওয়ামী লীগ (১৯৯৬–২০০১) সেই পদ্ধতির অধীনে জুন ১৯৯৬-এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
আওয়ামী লীগ কৃষিখাতে ভর্তুকি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো এবং গ্রামীণ উন্নয়নকেন্দ্রিক নীতি গ্রহণ করে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়।
১৯৯৬–২০০১ মেয়াদে তুলনামূলক কিছুটা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল।
তবে বিরোধী দমনমূলক আচরণ (হরতাল দমন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া পদক্ষেপ) ছিল।
আওয়ামী লীগ ভারতের সাথে চুক্তি অসম এবং অকার্যকর গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিরোধীদের বয়কট, সংসদে অনুপস্থিতি, এবং ভয়ংকর প্রতিহিংসার রাজনীতি অব্যাহত রাখে।


২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: ফ্যাসিবাদের পতন, কিন্তু দোসররা অক্ষত- মুক্তির লড়াই কি তবে অসমাপ্ত!

অত সহজে সমাপ্ত চান? সেটা কি সম্ভব?

বাস্তবতা কি তাই বলে?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো প্রত্যাশা, ভালো কাজের প্রেরণা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.