নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'সময় গেলে সাধন হবে না\'......

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

'সময় গেলে সাধন হবে না'......

অস্বীকার করার সুযোগ নাই, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি প্রার্থীদের ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কারণ- এখন পর্যন্ত কোনো আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত ঘোষণা না করা। ঘোষিত সময় অনুযায়ী যদি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে হাতে মাত্র চার মাস সময় বাকি। অথচ এ সময়ের মধ্যেই প্রতিটি আসনে একাধিক "গ্রীন সিগনাল পাওয়া" প্রার্থী এলাকায় গিয়ে নিজ নিজ নামে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

কেউ লন্ডন গিয়ে তারেক রহমান সাহেবের সাথে দেখা করে ফিরে এসে দাবি করছেন- "গ্রীন সিগনাল পেয়েছি, এলাকায় গিয়ে কাজ করতে বলেছেন।" আবার কেউ প্রবাস থেকে উড়ে এসে, কেউ ঘনিষ্ঠ মহলের সাথে যোগাযোগ করে, আর কেউ ঢাকায় রিজভী আহমেদের সাথে দেখা করে একই দাবি করছেন। ফলে প্রতিটি আসনে ঠ্যাংগা ভাই, চ্যাংগা ভাইসহ একাধিক প্রার্থী সমান্তরালভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং নিজ নিজ গ্রুপিং তৈরি করছেন।

উদাহরণঃ ঢাকা-১০ এবং ঢাকা-১২ দুটো আসনেই দুইজন করে প্রভাবশালী এবং যোগ্য নেতা প্রার্থী আছেন। ঢাকা ১০ আসনের একজন প্রার্থীর জনসংযোগ এবং জন সম্পৃক্ততা সীমিত। অন্যজনের জনসংযোগ, জন সম্পৃক্ততা এবং কর্মী বান্ধব হিসেবে অনেক বেশি এগিয়ে আছেন। আবার প্রথম জনের সাথে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবের ঘনিষ্ঠতা থাকায় তিনিই মনোনয়ন পেতে এগিয়ে আছেন বলে মাঠপর্যায়ে চাউর হয়েছে। এখানে নিবেদিত মাঠ কর্মী সমর্থকেরা দ্বিতীয় জনকে ছেড়ে যাবে না। ফলাফল- বিভক্তি অনিবার্য।

ঢাকা-১২ আসনে দুজন প্রার্থীরই জনপ্রিয়তা আছে। অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা গত ২২/২৩ বছর অনেক নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে মাঠ ছেড়ে যাননি। তবে তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার-অপপ্রচার আছে। কিন্তু বর্ষীয়ান নেতার ক্লিন ইমেজ আছে। সবাইকে সম্মান দেন, সবার কথা শোনেন এবং মুরব্বিদের মাঝে জনপ্রিয়। লিডার যে সিদ্ধান্তই দিবেন- এখানেও কর্মী সমর্থক কেউ কাউকে ছাড় দিবেনা।

এতে যে সমস্যাটি তৈরি হচ্ছে তা হলো-
★ কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, আসল প্রার্থী কে তা তারা বুঝতে পারছেন না।

★ সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজের নামে, নিজের অর্থ খরচ করে বলয় গড়ে তুলছেন; অথচ তারা দলের প্রতীক ‘ধানের শীষ’-এর জন্য সংগঠন গড়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন না, ব্যক্তির জন্য ভোটের জন্য কাজ করছেন।

★ শেষ পর্যন্ত যখন দল একজনকে প্রার্থী ঘোষণা করবে, তখন বাদ পড়া বাকিরা সহজে মেনে নেবেন না। তাদের গড়ে তোলা গ্রুপিং থেকেই যাবে, যা দলে বিভাজন ও দ্বন্দ্ব তৈরি করবে।

নির্বাচন তফসিল ঘোষণার আগে যখন প্রতিটি আসনে একজন প্রার্থী চুড়ান্ত ঘোষণা করা হবে তখন "তথাকথিত গ্রীন সিগনাল" পাওয়া কিম্বা অবশিষ্ট প্রার্থীরা ছিটকে যাবেন। কিন্তু ঠ্যংগা ভাই, চ্যাংগা ভাইদের নিজ নিজ গ্রুপিংটা থেকেই যাবে। কারণ, তারা কেউই গাঁটের পয়সা খরচ করে 'ধানের শীষ' প্রতীকের জন্য কর্মী সমর্থক গড়েননি, নিজ নিজ নামে গাঁটের পয়সা খরচ করে কর্মী সমর্থক গড়েছেন। তারা কেউ কাউকে ছাড় দিবেনা।

এই প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হচ্ছে বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দল। হাইকমান্ড যদি দ্রুত প্রতিটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে না দেয়, তবে এই বিভাজন আরও গভীর হবে এবং নির্বাচনে দল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লিডার ভিডিও বার্তায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন না। এইসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য অতিদ্রুত তারেক রহমান সাহেবকে দেশে ফিরে আসতে হবে। সবাইকে নিয়ে বসতে হবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: আশাকরি জনাব তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরে আসবেন আর বিএনপিকে সঠিক পথে রাখবেন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: দেখা যাক......

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জনপ্রিয় নেতা মনোনয়ন বঞ্চিত হলে সুযোগ নেবে জামাত,তারা পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা দিয়ে বঞ্চিত দের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাড়া করিয়ে দিবে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার সাথে একমত।
বিএনপির জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের যদি মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়, তবে তার রাজনৈতিক খেসারত দলকেই দিতে হবে। কারণ এই শূন্য জায়গাটা জামাত হাতছাড়া করবে না। তারা ক্ষমতায়-অর্থে ভর করে বঞ্চিত নেতাদের বিদ্রোহী প্রার্থী বানাবে। তখন বিএনপির ভোটভিত্তি ভাঙবে, মাঠে বিভ্রান্তি ছড়াবে, আর সুযোগসন্ধানী জামাত সেটাই চায়। তাই বিএনপি যদি সত্যিই শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে চায়, তবে অভ্যন্তরীণ অবমূল্যায়ন বন্ধ করে জনপ্রিয় নেতাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে, নইলে আঘাতটা ভেতর থেকেই আসবে।

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২০

নিমো বলেছেন: ৭৫ এ জিয়া, ৯০ এ খালেদা, ২৪ এ তারেক!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.