![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
কী আজব কারখানা!
সেই ২০০৬ সাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুকটাক লিখি এবং অনেকের লেখাই পড়ি। পরিচিত আইডি গুলোর কার লেখার কি মান, কি ধরন- তা মোটামুটি ঠোঁটস্ত, মুখস্ত এবং কণ্ঠস্ত। বছরের পর বছর যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই লাইনের একটা মন্তব্য লিখতেও পাঁচটা বানান ভুল এবং দুটো বাক্যই হযবরল করে ফেলতো, সেই তারাই কয়েক মাস ধরে নির্ভুল বানানে অত্যন্ত গোছানো দীর্ঘ পোস্ট লিখে, কবিতা লিখে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে!
কি অদ্ভুত কাণ্ড!
যারা বছরের পর বছর যারা "চোর"কে "চুর", "চোখ'কে "চুক' লিখতো, “আসছে” আর “আশছে” মিলিয়ে ফেলতো, যে আইডি থেকে তার ভালোবাসার মানুষটিকে বার্তা দিতো- "বিতি তুমারে আমি বালবাসি"- এখন সেই আইডি থেকেই ঝরঝরে পরিষ্কার বাংলায় কবিতা বের হয়। যারা ‘আমি আসবো’ লিখত “আশবু”, আর ‘মানুষ’ লিখত “হাইরে মানোস” লিখতো, তারাই এখন দিব্যি “রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ” লিখছে, তারাই এখন নির্ভুল বানানে “বিশ্লেষণধর্মী” পোস্ট লিখে সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপাচ্ছে।
তাও আবার মসৃণ বাংলায়।
আমার তো সন্দেহ হচ্ছে-
এরা কি মাঝরাতে চুপিসারে বাংলা একাডেমিতে গিয়ে বানান শিখে আসছে, নাকি- "দুইশো ট্যাকা দিয়া একটা মাস্টর রাইখ্যা গুপোনে গুপোনে মেট্টিক পাস দিয়া ফালাইসে"(একদা বিটিভি'র 'জব্বর আলীর ঈদ' নাটকে জব্বর আলী চরিত্রে আমজাদ হোসেনের সংলাপ)!
নাকি নতুন কোনো “অটো-লেখক” অ্যাপ বের হয়েছে, যেটা ভুলভাল চিন্তাধারাকেও হালকা লেপাপোতা দিয়ে “দার্শনিক পোস্ট” বানিয়ে দেয়?
কী আশ্চর্য!
যারা এতদিন ফেসবুকে লিখলে মনে হতো “বানান-ভাঙা বুলডোজার” চালাচ্ছে, তারাই হঠাৎ কয়েক মাসে “শুদ্ধ বানান একাডেমি” খুলে বসেছে!
মাথার ভিত্রে প্রশ্ন কিলবিল করে-
এরা কি গোপনে গোপনে রবীন্দ্রনাথ হয়ে গিয়েছে? নাকি “বানান টনিক” বাজারে এসেছে, যা খেয়ে খেয়ে এরা সবাই ব্যাকরণ পণ্ডিত হয়ে গিয়েছে?
আমার দৃঢ় সন্দেহ, এদের মগজের ভেতরে A I, ChatGPT সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্সন Install করিয়েছে। অথবা কিবোর্ডে “ঘোস্টরাইটার” ইনস্টল করিয়েছে।
না হলে হঠাৎই “গভীর বিশ্লেষক” হয়ে যায় কেমনে?
সোশ্যাল মিডিয়া আসলেই এক রহস্য!
মানুষ যত না নিজের বুদ্ধিতে লেখে, তার চেয়ে বেশি অন্যের কলমে “সাহিত্যিক” হয়ে যায়!
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, 'অবশ্যই' কিন্তু আছে! মনে করে দেখুন- 'তরকারি' সাহেবের আগের এবং বর্তমান লেখা....
আমরা যখন ভুলভাল লিখি, সেখানে আমাদের হৃদয়ের ছাপ থাকে, ভাঙা অক্ষরের মাঝেও লুকিয়ে থাকে একান্ত অনুভূতি। সেটাই আসল সৃজনশীলতা- অসম্পূর্ণ হয়েও সত্যিকারের। কিন্তু কপি-পেস্ট বা মেশিনের তৈরি লেখায় সেই উষ্ণতা থাকে না, থাকে শুধু ঠান্ডা যান্ত্রিকতা। মানুষের লেখার ভেতর যেমন দমকা হাওয়ার মতো প্রাণ থাকে, তেমনই ভুলের ভেতরেও সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ ভুলে ভর করেই তো একসময় জন্ম নেয় নিখুঁত সৃষ্টি।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:০৮
এ সং অফ আইস এন্ড ফায়ার বলেছেন: চ্যাট জিপিটি
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমারও তাই বিশ্বাস।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,

ঘটনা যদি তাই-ই হয় তবে কোথাও একটা কিন্তু আছে.......