নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়নাঘরের সাক্ষীঃ গুম জীবনের আট বছর......

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫

গুম নিয়ে যে কয়টি বই ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে- সেগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। নিজের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে চোখের পানিতে কষ্টগুলো ধুয়ে ফেলতে চেষ্টা করি। ইতিপূর্বে পড়েছি- লেঃ কর্নেল অবঃ Hasinur Rahman এর লেখা "আয়নাঘরঃ তুমি ও আমি", ব্রীগেডিয়ার জেনারেল অবঃ আবদুল্লাহ আল আজমী সাহেবের "আয়নাঘরে বিভিষিকাময় দিনগুলি" এবং কয়েক দিন আগে পড়েছি "আয়নাঘরের সাক্ষী গুম জীবনের আট বছর"।

“আয়নাঘরের সাক্ষী গুম জীবনের আট বছর”- বইটা কেবল একটি আত্মজীবনী নয়, এটি এক রক্তাক্ত ইতিহাসের দলিল, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মজলুমের নীরব, অসহায় আর্তনাদের প্রতিধ্বনি। ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম (আরমান) নিজের আট বছরের বন্দীজীবনের করুণ কাহিনী যেমন তুলে ধরেছেন, তেমনি এর ভেতর দিয়ে ফুটে উঠেছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সময়ের ভয়াবহতম সত্য- গুম নামের এক অমানবিক বাস্তবতা!

এই বই পড়তে পড়তে মনে হয়, লেখকের প্রতিটি শব্দ যেন কারাগারের দেয়ালে খোদাই করা ক্ষতচিহ্ন, প্রতিটি বাক্য যেন ভারী দীর্ঘশ্বাস। নিঃসঙ্গতা, মানসিক নির্যাতন, ক্ষুধার জ্বালা, অনিশ্চয়তা, প্রিয়জন থেকে বিচ্ছিন্নতা- সবকিছুর বর্ণনায় হৃদয় কেঁপে ওঠে। আমরা যারা বাইরের আলো-বাতাসে শ্বাস নিই, তাদের জন্য গুম জীবন হয়তো কেবল খবরের কাগজে পড়া একটি শব্দ। কিন্তু এই বই দেখিয়ে দেয়, এর ভেতরে কতটা রক্ত, কান্না আর অন্ধকার লুকিয়ে আছে।

আরমানের লেখা শুধু ব্যক্তিগত বেদনার নয়, এটি প্রতিরোধের এক দলিল। তিনি ভয় পেয়েছেন, কিন্তু ভেঙে পড়েননি, বরং নিজেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের ইবাদত বন্দেগীতে নিজেকে সঁপে দিয়ে কষ্টকে শক্তিতে রুপান্তর করেছেন। দীর্ঘ আট বছরের দুঃসহ অভিজ্ঞতাকে পরিনত করেছেন শক্তিতে। ফলে বইটি শুধু আবেগঘন পাঠ্য নয়, এটি ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রামের আহ্বানও বটে।

শেষ পাতা পর্যন্ত পড়তে পড়তে কতোবার অশ্রুসিক্ত হয়েছি....নিজের স্বল্পকালীন গুম জীবনের সাথে মিলিয়ে নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছি, বাকরুদ্ধ হয়েছি। আসলে এই বই কেবল একজনের গুম জীবনের সাক্ষ্য নয়, এটি একটি জাতির বিবেককে, বিশ্বমানবতাকে নাড়া দেওয়ার মতো ভূমিকম্প! বলা যায়, “আয়নাঘরের সাক্ষী গুম জীবনের আট বছর” শুধু একটি বই নয়, এটি অমানবিক অন্ধকারে আটকে থাকা হাজারো নিখোঁজ মানুষের শব্দহীন চিৎকারের প্রতিধ্বনি। এই বই পড়ে জেনেছি- তার দুঃসহ বন্দী জীবনের কথা।

তখনও এই বইটি প্রকাশিত হয়নি। গুম নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে 'expert led consultation on truth and healing of victims of post conflict Bangladesh' আয়োজিত একটা সেমিনারে দেখা হয়েছিলো ব্যারিস্টার আরমান সাহেবের সাথে। অনুষ্ঠান শেষে Mahdi Amin ভাই এবং আমি তার সাথে অনেকক্ষণ কথা বলি। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী। পারস্পরিক কথা বার্তায় তার মুখেই শুনেছিলাম- একদা দেশের অন্যতম ধনাঢ্য পরিবারের সব সম্পদ আওয়ামী লীগের নেতারা কিভাবে লুটপাট করে নিঃস্ব করে দিয়েছে!

পুনশ্চঃ আমরা যারা গুম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি- তাদের প্রত্যেকেরই নিজনিজ গুম নির্যাতনের কথা লেখা উচিৎ। বই লেখা উচিৎ। আমার চেনাজানা যারা গুম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত। প্রত্যেকেরই লেখালেখির অভ্যাস আছে। তাই শ্রদ্ধেয় মারুফ জামান Zaman M Zaman ভাই, Rajon Bapari Wasim Iftekharul Haque Shovan Rezwanul Haque S M Sagor Zahid Hassan ফসিউল আলম Iqbal Chowdhury Lion Anwar Hussain Uzzal আরজান ইভান হাবিব সাত্তার সবুজ এবং আরও যারা গুম নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণে বেঁচে এসেছেন তাদেরকে অনুরোধ করবো, সবাই লিখুন। বক্তৃতার মঞ্চে ২/৪ মিনিট বলা কথা কেউ মনে রাখবে না। বইয়ের লেখা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পড়ে জানবে- দ্বিপদী জানোয়ার লেডি হিটলার শেখ হাসিনার নিষ্ঠুরতার কাহিনী।

"Not for glory but to stop forgetting”
আমরা যে পথচলা শুরু করি, তা কখনোই গৌরব কুড়ানোর জন্য নয়। আমরা দাঁড়াই ইতিহাসের পাশে- যাতে আগামী প্রজন্ম ভুলে না যায়। আমরা লিখি, স্মরণ করি, দাঁড়িয়ে যাই ইতিহাসের পাশে।
কারণ ভুলে যাওয়া মানে আবার একই ভুলের দিকে হাঁটা।
আবারও বলছি- গৌরবের জন্য নয়, Not for glory… স্মৃতি বাঁচানোর জন্য! ভুলে যাওয়া মানে হারিয়ে যাওয়া- We fight to stop forgetting.
History never dies, যদি আমরা ভুলে না যাই।
Not for glory, বরং memory alive রাখার দায়ে।
ভুলে যাওয়া নয়- That’s our promise to history.

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:০০

নতুন বলেছেন: যারা ঐখানে কাজ করে তারা কি সাইকোপ্যাথ? নতুবা এতো গুম, খুন, নির্যাতনের জন্য বড় একটা সংখ্যা দরকার।

এতো সাইকোপ্যাথ এক সাথে করলো কিভাবে? এদের ৫% ও কি বিচারের আওতায় এসেছে?

প্রধানউপদেস্টা কে যেই আয়াঘরে নিয়ে গেছে সেটা পুরাই নতুন করে রেনোভেসন করেছে। তার মানে তারা খুবই অল্প জিনিস রেখেতে তাকে দেখাতে। বাকি সবই সরিয়ে ফেলেছে। :|

সমাজে এতো সাইকোপ্যাথ, সোসিওপ্যাথ থাকলে সমাজে মানুষ কিভাবে ভালো থাকবে?

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: শেখ হাসিনা একাধারে সাইকোপ্যাথ সেই সাথে ঠান্ডা মাথার খুনী। তার সহযোগী সবাই প্রোমোশন, ক্ষমতা এবং বিত্তবৈভবের লোভে হাসিনার মতোই বেপরোয়া ছিলো।

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রশাসনে এবং বাহিনীতে রেখে গিয়েছে তার অপকর্মের দোসরদের। যেহেতু Victims of Enforced Disappearances
দের নিয়ে কাজ করছি, তাই দেখছি কিভাবে সেই অপশক্তি এখনো তদন্তে, বিচার প্রক্রিয়ায় কিভাবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়!

আমাকে যেখানে গুম করে রেখেছিল- সেই বন্দীগুহাও ভেংগে স্ট্রাকচার বদলে ফেলেছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা ভবনের অরিজিনাল স্ট্রাকচারাল ডিজাইন বের করে বদলে ফেলার প্রমাণ বের করেছে।


২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উহা এখনো বিশ্বাস করেনা আপনার এমন দুঃসহ জীবন কেটেছে। দুঃখের কথা হলো পাপিষ্ঠদের যথাযথ বিচার হলোনা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: যার মধ্যে বিন্দুমাত্র মানবিকতা থাকে সে কখনও অমানবিক হতে পারে না। 'উহা'কে আমি আদৌ মানুষ মনে করি না। স্রেফ দ্বিপদী জানোয়ার মনে করি।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১৩

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:



আপনাদের সবার জন্যে সমবেদনা। সত্যিই মর্মান্তিক।

আমি এক 'লীকার'-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আয়নাঘর সম্পর্কে। সে উত্তর দিয়েছে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এটার প্রচলন আছে।

ব্যাপারটা আমার কাছে ভালো লাগে নাই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়টাযে নর্মালাইজ করতে পারে বলেই ওরা আওয়ামী লীগ!

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: আপনি সৌভাগ্যবান জীবিত ফিরতে পেরেছেন। ইলিয়াস সাহেবের কথা চিন্তা করুন। উনার মত হাজার হাজার লোক আছে পরিবার যাদের লাশটাও পায় নাই। বিজাতীয় ব্রিটিশরা, পাকিরাও নির্বিচারে হত্যা করেছিল, কিন্তু স্বজনরা অন্ততপক্ষে লাশটা পেয়েছিল। হাসিনাকে মানুষ বলা যায় না।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন সৌভাগ্যবান মনে হলেও গুম অবস্থায় শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ক্রস ফায়ারেই মৃত্যু কামনা করছিলাম। এবং যেদিন ক্রস ফায়ারে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাবার কথা বলে তওবা করিয়েছিলো- তখন আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়ে ছিলাম!

যাই হোক, গুম থেকে ফিরে না আসা ব্যক্তিদের কোনো সর্বজনীন বা চূড়ান্ত তালিকা নেই, তবে "গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন" (ইনকোয়ারি কমিশন) এর কাছে সম্প্রতি জোরপূর্বক গুমের শিকার হওয়া ৩৩০ জন ব্যক্তির একটি তালিকা রয়েছে, যাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। এছাড়াও আমাদের সংগঠন, "ইউনাইটেড ফর দ্য ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সেস" (ইউভিইডি) সম্প্রতি গুম থেকে ফেরত না আসা আরও ২০২ জন ব্যক্তির একটি তালিকা কমিশনে জমা দিয়েছে।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের তালিকাগুলো সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে। এ কারণে একটি একক, চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা কঠিন। তবে অনুসন্ধান চলমান। দুটি সংগঠনই এ সকল ব্যক্তিদের বর্তমান অবস্থা শনাক্ত করতে এবং তাদের ফেরত আনার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মাধ্যমে কাজ করছে।

গুম একটি সংবেদনশীল বিষয় এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হলে তাদের পরিবার ও সমাজে নতুন করে ভীতি ও অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪

বিজন রয় বলেছেন: "গুম".... শব্দটা শুনলে আৎকে উঠি!!

অপরাধ করলে শাস্তি হোক, কিন্তু বিনা বিচারে বা অপরাধে গুম?

আমি সবসময় এসবের প্রতিবাদ করেছি।
এমনকি র্যাবের কর্মকান্ড।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: গুম'- একটি নিঃশব্দ মৃত্যু!

যে মানুষের হৃদয়ে সামান্যতম মানবিকতা আছে, যে মানুষ এখনো মানুষ হয়ে বাঁচতে চায়- সে কখনোই এহেন অমানবিকতার কাছে নীরব থাকতে পারে না। কিন্তু এই ব্লগেই অন্তত চারজন ব্লগার নামক অসভ্য আছে, যারা আমার গুম নিয়ে উপহাস করেছে.....

গুম- শব্দটা কেবল একটি ঘটনায় সীমাবদ্ধ নয়; এটা একটা চলমান ভয়াবহতা, এক অদৃশ্য মৃত্যুর ছায়া।
ভাবুন তো, প্রতি দিনের মতোই একদিন কেউ ঘর থেকে বের হলেন- হয়তো অফিসে, কাজে, বা কারও সঙ্গে দেখা করতে। স্ত্রী দরজায় দাঁড়িয়ে বললেন, “সাবধানে যেয়ো।”
তারপর? তারপর সেই মানুষটি আর ফেরেনি।

একটা ফোন কল, একটা বার্তা, একটা চিহ্ন- কিছুই নেই।
বেঁচে আছেন কি না, কেউ জানে না।
স্ত্রী দিনরাত অপেক্ষায় থাকে দরজার পাশে, হয়তো ভাবেন- এখনই দরজা খুলে ঢুকবে প্রিয় মানুষটা।
ছেলেমেয়ে প্রতিদিন জিজ্ঞেস করে- “আব্বু কবে আসবে?”
কেউ উত্তর দিতে পারে না।

আইজিপি, পুলিশ কমিশনার, র‍্যাব ডিজি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দরজায় দরজায় ধর্ণা দিয়েছে..... ঢাকা মেট্রোর সকল থানায়, হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছে- কোথাও আমি নেই! স্ত্রী সন্তান হাসপাতালের মর্গে যেয়ে প্রতিটি অজ্ঞাতনাম্না৷ লাশের মুখটা দেখেছে....! খবরের কাগজে, টিভি নিউজে যেখানেই অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়ার সংবাদ পেতো- সেখানেই ছুটে গিয়েছে....

মৃত মানুষের অন্তত একটা সান্ত্বনা থাকে- তাকে দাফন করা যায়, তার কবরের পাশে কান্না করা যায়, তার স্মৃতিতে ফুল দেয়া যায়। কিন্তু গুম হওয়া মানুষদের কোনো মৃত্যু নেই, কোনো কবর নেই, কোনো স্মৃতিও নেই- শুধু অন্ধকারে এক অনন্ত প্রতীক্ষা। আর তার পরিবার বেঁচে থাকে না, শুধু টিকে থাকে- প্রতিদিন একটু একটু করে মরে।

গুম শুধু একজন মানুষকে নিখোঁজ করে না- একটা পরিবার, একটা সমাজ, একটা রাষ্ট্রের বিবেককেও নিখোঁজ করে ফেলে। মানুষ হারিয়ে যায়, অথচ রাষ্ট্র নীরব থাকে- এই নীরবতাই সবচেয়ে ভয়ংকর।

আমরা চাই- এই নীরবতা ভাঙুক।
যারা গুম হয়েছে, তারা ফিরুক- অথবা রাষ্ট্র অন্তত সত্যটা বলুক। একটা পরিবারকে এই অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঝুলিয়ে রাখা কোনো সভ্য সমাজের কাজ হতে পারে না।

মানবিক রাষ্ট্রে, মানুষ গুম হয় না- গুম হয় না ভালোবাসা, বিবেক, আর ন্যায়বোধ। আমরা সেই মানবিক রাষ্ট্রটাকেই ফিরিয়ে আনতে চাই।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর প্রতিউত্তরে ধন্যবাদ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

নতুন বলেছেন: কোন দেশেই কোন একটা দলকে এতো বেশি ক্ষমতাবান হতে দেওয়া ঠিক না।

এই দানব একটা সময় সবাইকে গ্রাস করে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: মেরি শেলির কালজয়ী উপন্যাস 'ফ্রাঙ্কেনস্টাইন' এর গল্পের কথা মনে করি- ফ্রাঙ্কেনস্টাইন নামক বিজ্ঞানীই তার সৃষ্ট দানবের হাতে শেষ পর্যন্ত মারা যান। এই দানবটিই ছিল তার সৃষ্টিকর্তার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উদ্যত এবং এই প্রতিশোধের কারণেই বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়। অতএব সাধু সাবধান!

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: জেনারেল ওয়াকার এইসব ঠান্ডা মাথার সিরিয়াল কিলার আর্মি অফিসারদের ইন্ডেমনিটি চান!!!!!

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা এই নিয়েই সমস্যা! অভিযুক্ত সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিচার সেনাবাহিনী কোর্টমার্শাল করে বিচার করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত গো ধরে ছিলো। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বলেছে- "গুম হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধ। মানবতাবিরোধী অপরাধের (গুম) অপরাধের বিচার করার কোনো সুযোগ কোর্টমার্শালে নাই।
এই নিয়ে গুমের বিচার প্রক্রিয়া আটকে ছিল। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে জাতিসংঘের ----- সেনাবাহিনী থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারের জন্য নৈতিক সম্মতি দিয়েছে.....তবে ইতোমধ্যেই বেশীরভাগ অপরাধী পগারপার!

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ট্রাইবুনালের প্রধান এক সাক্ষাতকারে নভেম্বরে কিছু রায় বের হবার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু ঘুনে ধরা , অপদার্থ ইন্টারিম সরকারের সেই সাহস আছে কিনা সন্দেহ । অনেক উপদেষ্টাই নাকি আখের গুছিয়ে সেইফ একজিটের ধান্দায় আছে। এরা বাধাগ্রস্ত করতে পারে বিচার।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মামলাগুলো যেহেতু জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিধিমালা অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে এবং জাতিসংঘ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে তাই অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সূক্ষ্ম প্রক্রিয়া মেন্টেন করে পরিচালিত হচ্ছে। নভেম্বরের মধ্যে গনহত্যার গোটাদুই মামলার রায় হবে ইন শা আল্লাহ।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারপতিগণ, চিফ প্রসিকিউটর এবং তার প্রসিকিউটর টীম প্রত্যেকেই জিনিয়াস, অনেস্ট তাই আমি আশাবাদী- ন্যায় বিচার হবে। গুম কমিশন, জাতিসংঘ প্রতিনিধি, প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, এটর্নি জেনারেল ছাড়াও, চিফ প্রসিকিউটর এডভোকেট তাজুল ইসলাম সাহেবের সাথে আমরা "ইউনাইটেড ফর দ্য ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সেস" (ইউভিইডি) টিম একাধিক বার মিটিং করে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছি। আমরা আশ্বস্ত তার ভুমিকায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.