![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ধর্মের নামে বিদ্বেষঃ ড. ইউনূসকে অসুর রূপে দেখানো এবং অসুরের মুখে দাড়ি....
মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন কোনো সৌজন্য নয়- এটা সংস্কৃতি ও মানবতার পরিচয়। এটাই সভ্যতার প্রথম পাঠ, মানবতার মূল নীতি, আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পরিচয়।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজার মণ্ডপে নোবেলজয়ী ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসুর’ রূপে উপস্থাপন করা সেই মানবতার মুখে এক চপেটাঘাত। পশ্চিমবঙ্গের পত্রপত্রিকায় এসেছে, শুধু ড. ইউনূসকেই নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে এমনভাবে দেখানো হয়েছে, যেন দেবী দুর্গা তার ছিন্ন মস্তক ধরে আছেন।
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মকে ভালোবাসে, এই দেশে হিন্দু-মুসলমান সহাবস্থান ঐতিহ্যমন্ডিত। শেখ হাসিনার পতনের পর কেউ হিন্দু বলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি; বরং মুসলমান প্রতিবেশীরা লাঠি হাতে মন্দির পাহারা দিয়েছেন। তাহলে ড. ইউনূসকে অসুর রুপে দেবী দুর্গার পায়ের নিচে, অসুরের মুখে দাড়ি এঁকে কী বার্তা দিতে চাওয়া হচ্ছে? যারা এটা করেছে, তারা হিন্দুধর্মকেও অসম্মান করেছে। ধর্ম কখনো বিদ্বেষ শেখায় না, ধর্ম শেখায় সহমর্মিতা। পূজার মণ্ডপে জীবন্ত মানুষকে অসুর সাজানো ধর্ম নয়- এটা রাজনৈতিক নোংরামি।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন ভারতীয় মহল সহজভাবে নিতে পারেনি। সে হতাশা থেকেই ভারতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় ড. ইউনূসকে হেয় করার অপচেষ্টায় অসুর রূপে উপস্থাপন করা হয়; যা অত্যন্ত নিন্দনীয়, দুঃখজনক, অশোভন ও অসম্মানজনক। ধর্ম বিনোদন, ভণ্ডামি, সস্তা রং-তামাশার মতো ফুটিয়ে তুলে উদযাপন নয়। ধর্ম পালন কি উদযাপনের নামে নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো কাউকে ভগবান, ঈশ্বর বা অসুর বানানো স্ব-ধর্মেরই অবমূল্যায়নের বহিঃপ্রকাশ ও ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করা নয় কি?
অসুর যখন ইচ্ছেমতো বানানো যায়, তাহলে দুর্গাও তো ইচ্ছেমতো বানানো যায়। যেমন খুশি তেমন সাজো মার্কা ধর্ম! নিজের হাতে নিজেদের সৃষ্টিকর্তা তৈরি, আবার নিজের হাতে নিজেদের শক্রও তৈরি! সবকিছুই কি তাহলে অসার? ধর্ম হিংসা, প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ শিক্ষা দেয় না। ধর্ম শিক্ষা দেয় সাম্যের। ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা মূর্খতা। জীবন্ত মানুষের মূর্তি বানিয়ে তার পূজা করে ধর্ম পালন করলে তাকে তো বলা হবে ‘বিনোদন ধর্ম।’
এভাবে প্রতিমা বিগ্রহের নামে কেউ যদি দুর্গার জায়গায় ‘হাসিনা’কে বসিয়ে দেয়! ড. ইউনূসের ক্ষমতা গ্রহণে হিন্দু ধর্মের লোকের ক্ষতি কিংবা ভারতের কোনো ক্ষতি তিনি করেননি। বাংলাদেশের হিন্দুরা তো অসুরের জায়গায় নরেন্দ্র মোদি, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে উপস্থাপন করেনি। রাজনৈতিকভাবে ভারত হাসিনাকে ছাড়া বাংলাদেশের কাউকে মানতে পারছে না।
রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক যে কোনো কর্মকাণ্ডে অন্য দেশের নেতৃত্বকে অসম্মান করা কেবল অনভিপ্রেত নয়, বরং বিপজ্জনকও।
অসুরের মুখে দাড়িঃ আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন- "বাংলাদেশে এবার প্রায় ৩৪০০ পূজামণ্ডপ তৈরী হয়েছে। দেশজুড়ে ৭৯৩ টি দুর্গাপূজার প্রতিমায় অসুরের মুখে দাড়ি-গোঁফ আঁকাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গতকালই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন ছাত্র পবিত্র কোরআন পায়ে মাড়িয়ে উস্কানিমূলক আচরণ করেছে। কয়েক দিন আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে গনধর্ষনের মিথ্যা প্রচারণা করে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে তিনজনের মৃত্যু, সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর আক্রমণ- এসব পার্শ্ববর্তী একটি দেশের উস্কানিতে হয়েছে, যার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।"
গত দশ দিনে- পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, ভারতে অসুর রূপে ড. ইউনূস, অসুরের মুখে দাড়ি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ছাত্রে পবিত্র কোরআন পায়ে মাড়ানো- ধর্মের নামে এ কেমন বিদ্বেষ? কেন এমন উস্কানি? ধর্ম কি প্রতিশোধের উৎসব? পূজা কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রকাশ? এভাবে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্বকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা কেবল অরুচিকরই নয়- এটা সীমান্তপারের বন্ধুত্ব, সামাজিক সম্প্রীতি এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারের প্রকাশ্য অবমাননা।
আমরা আশা করবো- ভারত সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি অবিলম্বে দৃষ্টি দিক, ব্যাখ্যা দিক এবং ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই নিশ্চয়তা দিক। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়, অপমান নয়। ধর্ম হোক মানবতার, শিল্প হোক মর্যাদার- বিদ্বেষ নয়, সহমর্মিতাই হোক দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: বর্তমান জ্ঞান বিজ্ঞানের যুগে মানবিক হতে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:২০
কথামৃত বলেছেন: ওরা খুবই হিংসাত্মক
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: হিংসা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিপন্থি।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এনএসইউ এর ছাত্রটা কনভার্টেড মুসলমান এবং নেশাগ্রস্ত। তবে সে যাই হোক, জঘন্য কাজ করেছে। তাকে ভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং গ্রেফতারও করা হয়েছে।
অসুরের মুখে দাড়ি প্রসঙ্গে একটা প্রশ্ন আছে। মুসলমানদের দাড়ি বলতে আমি জানি মোচবিহীন সুন্নতী দাড়ি। অসুরের মুখে দাড়ি-মোচ দুইটাই ছিল। দাড়ি কি হিন্দুদের থাকতে পারে না?
আর পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের মিথ্যা প্রচারণা? হ্যাঁ, মেডিকেল টেস্টে তো তাই বলেছে। সেক্ষেত্রে একটা ছবি আপনাকে দেখাই
খাগড়াছড়িতে তো ঘর পুড়াইছে পাহাড়ীদেরই, মরেছে পাহাড়ীরাই। তারপরেও দোষ তাদেরই?
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: তনু হত্যার প্রতিবাদে আমরা মানবাধিকার সংস্থা অধিকার থেকে অনেক লেখালেখি করেছি। পাহাড়ে শান্তির জন্যও করেছি এবং করছি। আজকের এই পোস্টও তার ব্যতিক্রম নয়।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪
নতুন বলেছেন: অসুরকে ভিলেন হিসেবে দেখানো হয়। দূর্গা দূগতীনাসিনি হিসেবে আসে অসুর বধ করে।
কলকাতাতে এটা করে আসেছে অনেক আগে থেকেই।
ট্রাম্পকেও অসুর বানাইছে ওরা।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট।
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাজার পাদে কোন গন্ধ থাকে না।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: যাদের পাদে গন্ধ আছে তাদের পাদের গন্ধই শুকতে থাকুন।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭
অগ্নিবাবা বলেছেন: ইউনুনুসাভুতির উপর প্রচণ্ড আঘাত এসেছে, দুর্গাপূজা বয়কট করা হোক।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা চাই সব ধর্মের পারস্পরিক সম্মানবোধ এবং সহাবস্থান। চাইলে আপনিই বয়কট শুরু করেন।
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৩
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: এইগুলা পুরান ছোটলোকি। এগুলা আগেও করসে ওরা। মাহাত্মা গান্ধীকেও অসুর বানাইসিলো। এইসব খবিসদের নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই মঙ্গল। এরা এ্যাটেনশন চায়। Just say nothing.
আমাদের দেশে সারা জীবন হিন্দু-মুসলমান সহাবস্থান করে আসছে। সুন্দরভাবেই আছে। ইণ্ডিয়ানদের ছোটলোকি আগেও ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: সম্পুর্ণ একমত আপনার সাথে।
৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: অসুরের মুখে দাড়ি, এটাকেও পারসোনালি নেবার কিছু নেই। শয়তান নানান ভাবে উৎপাত করে, করবে। এগুলো নিয়ে কথা না বলাই ভালো।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: ধর্মীয় আচারকে তার জায়গায় থাকতে দেওয়া উচিৎ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। ব্যক্তিগত ভাবে আমি ধর্মীয় বিষয় খুব জানি এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে লিখি না (লেখার যোগ্যতা নাই বলেই)। তবে বিশ্বাস করি- সব ধর্মের মানুষের পারস্পরিক সম্মানবোধ থাকতে হবে।
১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হামা রেগে যাওয়ার কারণ কী? উনিও মনে হয় হাসিনা সুশীল
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আবার জেগায়
১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৪
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: ইহা প্রবৃত্তি এবং খেয়ালখুশি থেকে হয়েছে,
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: এমন খেয়াল খুশী থাকা উচিৎ না, যে খেয়াল খুশীতে মানুষের মধ্যে বিভেদের কারণ হবে।
১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাইয়া, আপনি এখানে মশিউর রহমানের সাথে একমত হলেন। কিন্তু আমি হাসিনা সুশীল হবার মতো কী বলেছি একটু ব্যাখ্যা করবেন প্লিজ? আপনি বয়সে এবং অভিজ্ঞতায় অনেক বড়, আপনার কাছ থেকে শুনে আমার ভুল শুধরে নিতে পারব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ওরা নোংরা মানসিকতার জাতি।