![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিঃ সরকারী নজরদারি ও প্রস্তাবনা...
বর্তমান পার্বত্য চুক্তি বাস্তবে প্রয়োগ হওয়ায় যেভাবে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ নির্বিকার ধরনেরভাবে চলে গেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। চুক্তির একটা দৃষ্টান্ত ছিল- “তোমরা যা চাও তা লিখে আনো, আমরা সই করে দেব”- ধরনের একপক্ষীয় ছন্দ! তার ফলশ্রুতিতে নিরাপত্তা, প্রশাসন ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বিষয়গুলো জাতীয় স্বার্থের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
আগে যেখানে নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব সেনাবাহিনী পালন করত এবং বিশৃঙ্খলারোধে সোরাপাতা হতো, সেখানে এখন অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়েছে। স্থানীয় কিছু গোষ্ঠী চাঁদা সংগ্রহ ও সাদৃশ্যকৃত অর্থনৈতিক অনুকম্পার মাধ্যমে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে; সাধারণ নাগরিকদের ওপর অনিশ্চয়তা দিন দিন বাড়ছে।
শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রস্তাবনাঃ
(১) সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বন্ধ করা সিআইও (Camp/Internment/Observation) ক্যাম্পগুলো অবিলম্বে পুনরায় চালু করে কার্যকর নজরদারি শুরু করতে হবে।
(২) পার্বত্য অঞ্চলের নিরাপত্তা-করণে প্রয়োজনীয় কড়া ব্যবস্থার জন্য ওই অঞ্চলকে অস্থায়ীভাবে বিশেষ জরুরি আইন (special emergency law) এর আওতায় আনা উচিত, যাতে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকর করা যায়।
(৩) ওই এলাকায় মৌলিক মানবাধিকার বজায় রেখে নাগরিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে- নাগরিকদের অবাধ চলাচল, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনকে সক্রিয় করতে হবে।
সবচেয়ে জরুরি ব্যবস্থা (মানবিক ও কৌশলগত):
(ক) পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক বাঙালি নাগরিককে নিজ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা-প্রশিক্ষণ দেয়া- যাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষা ও স্থানীয় নিরাপত্তা জোরদারের উদ্দেশ্যে হবে।
(খ) প্রতিটি বাঙালি পাড়ায় স্থানীয়ভাবে সংগঠিত বিশেষ আনসার জাতীয়করণের মতো সুরক্ষা দল গঠন করা- তাদের কর্মসূচি, বিধি ও নিয়ন্ত্রণ সরকারি নিয়মানুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে।
(গ) আনসার সদস্যদের কাছে সীমিত ও নিবন্ধিত নিরাপত্তা উপকরণ ও সমর্থন দিয়ে, স্থানীয় পর্যায়ে ছোট ছোট নিরাপত্তা কেন্দ্র (আনসার ক্যাম্প) স্থাপন করতে হবে যাতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া করা যায় এবং অপরাধ-প্রবণতা কমে।
উপরের যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার সময় সরকারের উচিত হবে, সামরিক পদক্ষেপ ও স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতাকে মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য করা; অতিরিক্ত কড়া নিয়ন্ত্রণ জনবিরোধী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলে তা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এছাড়া স্থানীয় অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেই দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
অবশেষে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধঃ পার্বত্য তিন জেলার সুস্থিতির জন্য দ্রুত, সুসংগত ও মানবতাবাদী পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। নয়তো বিদেশী প্রভাব বা স্থানীয় অস্থিতিশীলতা দীর্ঘমেয়াদে বৃহৎ সংকট ডেকে আনবে।
(ফেসবুক বন্ধু মেজর কামরুজ্জামান সাহেবের একটা লেখার প্রেক্ষিতে এই পোস্ট)
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লেখাটির সংগে আমি শতভাগ সহমত পোষন করি।