| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
মানবতাবিরোধী অপরাধঃ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাপ্রাপ্তদের তালিকায় বর্তমান ও সাবেক ২৩ সেনা কর্মকর্তা.....
এই দুই মামলায় সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলাতেই শেখ হাসিনা ও তার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীর নাম রয়েছে। অর্থাৎ প্রকৃত আসামির সংখ্যা ২৮। আসামিদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক ২৩ সামরিক কর্মকর্তার বাইরে রয়েছেন ৫ বেসামরিক নাগরিক। তারা হলেন- শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি ও র্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ , র্যাবের সাবেক দুই ডিজি পুলিশ কর্মকর্তা এম খুরশিদ হোসেন এবং ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর- রশিদ।
বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ অভিযোগ আমলে নেন। একইসঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আসামিদের মধ্যে ২৩ সামরিক কর্মকর্তা হলেন- শেখ হাসিনার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল হামিদুল হক।
অপর সেনা কর্মকর্তারা হলেন- মেজর জেনারেল মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম (অব.), মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কর্নেল কে এম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব আলম, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মখছুরুল হক (অব.)।
[/সব
ভাবা যায়- একটা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার পাঁচ জন উর্ধতন কর্মকর্তা গুম-খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি! অত্যন্ত মর্মস্পর্শী, আবার তীব্র ব্যথায় ভরা এক বাস্তবতা উঠে এসেছে এই লেখায়। যে ডিজিএফআই একদিন ছিল জাতির নিরাপত্তার প্রতীক, আজ সেই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন- “এতো পার্থক্য কেন?”
নিজে গুমের শিকার হয়ে, নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। এখন গুম নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের হয়ে কাজ করতে যেয়ে গত একটা বছর যাবত দেখেছি- অপরাধী সেনাকর্মকর্তাদের রক্ষা করার জন্য, সেফ এক্সিট দেওয়ার দাবীতে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে কিভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে.... কাজেই এই পার্থক্যটায় বিন্দুমাত্র মিথ্যা বা বাড়াবাড়ি নেই বরং কঠিন বাস্তবতা। এখনো সর্ষের মধ্যে ভূত আছে....
একসময় ডিজিএফআইয়ের কর্তা মানেই ছিল নীরব দৃঢ়তা, শৃঙ্খলা, পেশাদারিত্ব আর দেশপ্রেমের প্রতীক। তারা দেশের স্বার্থে কাজ করেছেন, কখনো রাজনীতির দালালি করেননি। আজ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে- পদমর্যাদার অহংকারে, রাজনৈতিক আনুগত্যে, আর ক্ষমতার মোহে কিছু, অফিসার কীভাবে পুরো প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ধূলিসাৎ করে ফেলেছে। এদের পতন ব্যক্তিগত নয়- এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক সতর্কবার্তা।
যখন একজন সেনা কর্মকর্তা নিজের শপথ ভুলে রাজনীতিবিদ হতে চায়, তখন তার হাত থেকে বন্দুক নয়, বিবেকটাই সরে যায়। যখন গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার জনগণের নয়, সরকারের হয়ে কাজ শুরু করে- তখন জাতির নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
এখন সময় এসেছে কঠিন আত্মসমালোচনার। সেনাবাহিনীকে ভালোবাসা মানে অন্ধ সমর্থন নয়- মানে তার সুনাম ও নিরপেক্ষতা রক্ষা করা। এই দুঃখজনক অধ্যায় আমাদের শেখাক, কোনো অফিসার, কোনো পদ, কোনো ক্ষমতা- দেশের চেয়ে বড় নয়।
ডিজিএফআইকে রাজনীতির হাত থেকে মুক্ত করা শুধু প্রয়োজন নয়- এটা রাষ্ট্র রক্ষার শর্ত।
আর আজ যারা সত্যিকারের সৈনিক, তাদের মনে রাখতে হবে- গর্ব থাকে সততায়, ক্ষমতায় নয়।
আদিম মানুষ ছিল অশিক্ষিত, বর্বর। তাই তারা নিজেদের মধ্যে হানাহানি করত, ক্ষমতা দখলের লড়াই করত, একে অপরের রক্ত ঝড়াত।
তারপর কত বই লেখা হল, কত শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা হল। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি উন্নতির শিখর ছুঁল। তারপরেও...তারপরেও সেই অশিক্ষা, সেই বর্বরতা! তাহলে কী হল এতদিনের সভ্যতার চর্চায়?
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার বিশ্বাস এদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। তবে বেশীরভাগ খুনীরা ভারতের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে আছে।
২|
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:০২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এগুলো দেশের শক্র গণমানুষের শক্র এদের ক্ষমা নেই
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: সর্বোচ্চ দদণ্ড মাথায় নিয়ে অনেকেই হয়তো আমরন বিদেশেই পালিয়ে থাকবে।
৩|
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: ডিজিএফআই নামে প্রতিষ্ঠানটি কেবল দেশের রাজনীতিতেই নয় - অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: শেখ হাসিনার কারসাজিতে "ডিজিএফআই আজ যেন গোয়েন্দা সংস্থা নয়, ‘দুর্নীতির জেনারেল ফান্ড ইনস্টিটিউট’। দেশের নিরাপত্তা নয়, এখন তাদের মূল মিশন - ক্ষমতাসীনদের সুরক্ষা, বিরোধীদের নিপীড়ন, আর অর্থনীতিতে গোপন দখলদারি। যে প্রতিষ্ঠানের নাম শুনে একসময় শত্রু কাঁপত, আজ সেই নামেই সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়- এটাই সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি!"
৪|
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:২১
বিজন রয় বলেছেন: এদের কে কোন আইনে বিচার হবে?
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কতৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন ১৯৭৩ বাংলাদেশ ততকালীন বাংলাদেশ সরকার সংবিধানে সংযুক্ত করে। বংগ বন্ধু স্বাক্ষরিত ১৯৭৩ সালে পাশ হওয়া একটি আইন যার অধীনে বাংলাদেশের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ আন্তর্জাতিক আইনের অন্তর্ভুক্ত সকল সশস্ত্রবাহিনী, প্রতিরক্ষা ও এর সহায়ক কোন বাহিনীর সদস্যকে আটক ও ফৌজদারি আইনের অধীনে দণ্ডদান করতে পারে। আইনটিতে ট্রাইবুনাল গঠনের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিতে আইনি সাহায্যের বিধান রাখা হয়। এই আইন প্রণয়নের জন্য আন্তর্জাতিক ল’ কমিশনের প্রতিবেদনসমূহের সাহায্য গ্রহণ করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট যাতে এই আইনটিকে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হবার কারণ দেখিয়ে একে অসাংবিধানিক ঘোষণা না করতে পারে সেজন্য ৭২ এর সংবিধান সংশোধন করে সংবিধান প্রথম সংশোধন আইন পাশ করা হয়। এই আইনেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিধান রাখা হয়েছে।
বংগবন্ধু হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধী হিসাবে শেখ হাসিনা সরকার জামাত-বিএনপির যেসব নেতাদের ফাঁসীতে ঝুলিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করেছিলো- তা এই আইনের আওতায়। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মানদণ্ডে তখনকার বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ছিলো না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সবগুলোকে ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত; এরা গণশত্রু।