| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
আমরা কোনো অপরাধ করিনি- তবু আমাদের গুম করা হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। দিনের পর দিন চোখ বেঁধে, দুইহাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ৪'×৫'×৫' যায়গায় আটকে রেখেছে। দিন আর রাতের কোনো পার্থক্য বুঝতে পারিনি। একদিনও গোসল করতে দেয়নি। কে বা কারা আমাদের ধরে নিয়ে গিয়েছে- তা মুক্তির আগে পর্যন্ত জানতে পারিনি। চোখের আলো কেড়ে নিয়েছে, ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে কান নষ্ট করে দিয়েছে। দাঁত, নখ তুলে ফেলেছে- শুধু মতভিন্নতার অপরাধে। মিথ্যা মামলার পর মামলা, মাসের পর মাস জেলের স্যাঁতসেঁতে দেয়ালে কাটিয়েছি, বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় দৌড়াতে দৌড়াতে নিঃস্ব হয়ে গেছি- তবুও ন্যায়ের দেখা পাইনি।
আর আজ দেখি, যারা আমাদের উপর সেই নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে, আমাদের শরীর পংগু দিয়েছে, জীবন থেকে আলো কেড়ে নিয়েছে- তাদেরই রাখা হয়েছে জেলের নামে সরাইখানায়! তারা আরাম করছে, আমরা এখনো শ্বাস নিই ব্যথার হিসাব রেখে। এই অবিচারই হয়তো আমাদের সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর চেহারা- যেখানে নির্দোষরা দগ্ধ হয়, আর অপরাধীরা হাসে ক্ষমতার ছায়ায়-
এ যেনো পিশাচের অট্টহাসি!
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: মানুষকে নিপীড়ন, গুম আর খুন করাটা ভয়াবহ এবং তা দেখলে মনে ক্রোধ ওঠাই স্বাভাবিক।
সবাইকে ক্লিনিক্যালভাবে ‘সাইকোপ্যাথ’ বা কোনো মানসিক ডিসঅর্ডার নয়। অনেক সময় রাজনৈতিক, আদেশ- চাপ, মানুষকে নির্যাতন করতে প্ররোচিত করে। ওদের আচরণের কারণগুলো বোঝার জন্য শুধুমাত্র “সাইকের” ট্যাগ দেওয়া যথেষ্ট নয়।
২|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:২৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা গুম খুনের শিকার তাদের জন্য সমবেদনা এবং যারা এটা করেছে তাদের কঠিনতম শাস্তি কাম্য।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: কঠোর শাস্তি চাইতেই হবে। আপনি ঠিক বলেছেন: যারা গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে জোরালো আইনগত ব্যবস্থা হওয়া উচিত- স্বচ্ছ তদন্ত, নিরপেক্ষ বিচার, এবং প্রাপ্য শাস্তি। একই সঙ্গে বিচারের নিয়ম লঙ্ঘিত হলে নির্দোষেরও কষ্ট বাড়ে; তাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনেই তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।
৩|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
গুম খুনের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার হবে। নাহলে, এরকম ঘটনা আরও ঘটবে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই বিচার হতে হবে। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানগত সংস্কার: নিরাপত্তা বাহিনী ও তদন্ত সংস্থার তদারকি, মানবাধিকার শিক্ষা ও নজরদারি বাড়াতে হবে।
আপনাদের মতো সচেতন মানুষই ন্যায়ের জন্য চাপ তৈরি করে।
৪|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:২৫
ঢাকার লোক বলেছেন: হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রায় দেড় বছর হয়ে গেলো, পালিয়ে যারা গেছে তাদের কথা নাহয় বাদই দিলাম, বিভিন্ন অপরাধে বেশ অনেক ক্ষমতাধর আসামিদের ধরা হয়েছে, মামলা হয়েছে, আদালতে উঠানো নামানো হয়েছে, কারো কোনো সাজা হয়েছে তেমন খবর আসেনি ! নির্বাচন দিয়ে এ সরকার বিদায় নিলে এদের বিচার কি আদৌ হবে ? কথায় বলে, জাস্টিস delayed জাস্টিস ডিনাইড !
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার প্রশ্নটা যথার্থ—“Justice delayed is justice denied” কথাটা যেমন সত্য, তেমনি এর পেছনের বাস্তবতাটাও বিবেচনা করা দরকার।
হাসিনা সরকারের পতনের পর যে নতুন প্রশাসন এসেছে, তাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ন্যায়বিচারের পথকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ থেকে আলাদা রাখা। আগের আমলে যেমন বিচার ব্যবস্থাকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছিল, এখন সেটি যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটাই মূল উদ্দেশ্য।
তাছাড়া, যেসব মামলা হচ্ছে সেগুলোর বেশিরভাগই জটিল, নথিপত্র-নির্ভর ও দীর্ঘ তদন্তের দাবি রাখে। কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ যাতে না ওঠে, সেজন্য আদালত ও তদন্ত সংস্থাগুলো ধীরে কিন্তু প্রমাণভিত্তিক পথে এগোচ্ছে। এটা হয়তো সময় নিচ্ছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে বিচার হবে না।
সবশেষে একটা কথা মনে রাখতে হবে- দ্রুত বিচার মানেই সবসময় ন্যায়বিচার নয়, কিন্তু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে স্বচ্ছতা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ অপরিহার্য। জনগণের চোখ এখন খোলা, তাই বিলম্বের অজুহাতে বিচার গায়েব হয়ে যাওয়ার সুযোগও আগের মতো সহজ নয়।
সংক্ষেপে: বিলম্ব হতাশাজনক বটে, তবে প্রক্রিয়াটা যদি সঠিক পথে এগোয়, তাহলে দেরিতে হলেও বিচার হবেই- আর এবার সেটা হবে আইনের, মানুষের নয়।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সমস্ত কার্যক্রম জাতিসংঘ প্রণীত আইনের মানদণ্ড বজায় রেখে করতে হয় এবং স্থানীয় জাতিসংঘের প্রতিনিধি তা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে, তাই মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া তড়িঘড়ি করে সম্পন্ন করার সুযোগ নাই।
৫|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ঢাকার লোক বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে বিশদভাবে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ !
সরকার ও আসামি, উভয় পক্ষের বক্তব্য, সাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে ন্যায় বিচার হোক, সরকার পরিবর্তনের সাথে রাজনৈতিক বা অন্য কোন স্বার্থে যেন সেই লক্ষ্য ব্যাহত না হয়, সেই জনগণের প্রত্যাশা।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।।
৬|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ ভোর ৫:৫২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমাদের সমাজে পচন ধরেছে
তাই ন্যায় বিচার মাথা ঠুকে মরে
অন্যায় কারী পুরস্কৃত হয় !!!
...........................................................................
কথায় আছে মাছের পচন শুরু হয় মাথা থেকে
রাষ্ট্রের পচন ধরে উপর থেকে ।
এক বৎসর হয়ে গেল , অথচ ন্যায় বিচার পেলনা ভুক্তভুগিরা
অথচ টাকার ভাগ নিয়ে মারামারি দেখলাম অন লাইনে ।!?
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: কোন টাকার ভাগ নিয়ে মারামারির খবর কোথায় দেখেছেন- যদি লিংক দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে দেখে জানতে পারতাম।
আমরা ভুক্তভোগীরা যে সংগঠন চালাচ্ছি- সেই সংগঠন কারোর কাছ থেকে একটি পয়সাও নেই না। আমরা কয়েকজন মিলে যে যার সাধ্যমতো অর্থ দিয়ে সংগঠন চালাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:১৭
নতুন বলেছেন: যারা গুম খুনের সাথে জড়িতো তারা সাইকোপ্যাথ। কোন সুস্থ মানুষ একজন মানুষকে নির্যাতন করতে পারেনা। এদের কঠিন সাজা হউয়া উচিত।