![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
জুলাই সনদঃ রাজনৈতিক নাট......
জুলাই সনদ নিয়ে যত হইচই, যত বাগাড়ম্বর- সব মিলিয়ে পুরো ঘটনাটা একটা সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই নয়। এনসিপি-র ভূমিকাই তার সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ। “বলা হয়নি, জানানো হয়নি, আলোচনা হয়নি”- এই অভিযোগগুলো হতাশার শোনালেও বাস্তবে সবই সাজানো স্ক্রিপ্ট। যারা আজ নীতিকথা বলছেন, তারা সনদের লাইন-বাই-লাইন মুখস্থ জানেন; কেউ কেউ হয়তো গতরাতেই মাস্টারমাইন্ডের পায়ের কাছে বসে তা মুখে মুখে আওড়ে এসেছে।
অদ্ভুতভাবে, সবচেয়ে সততার পরিচয় দিয়েছে তথাকথিত বাওয়ামী ঘরানাই! কারণ তাদের বিশ্বাস আপা ফিরবেন, তাই তারা নিজেদের হাত ময়লা করতে রাজি হয়নি। কিন্তু বাকি যারা নাটকটা সাজাল, তারা জানে- “এসবে স্বাক্ষর করলেই কী, না করলেই বা কী?- এসবের ফুটা পয়সাও দাম নাই”- এটাই আসল সত্য।
বাস্তবতা হলো, জনগণের কাছে এসব সনদ বা সংবিধান সংশোধনের কোনো মূল্য নেই। মানুষ ভোট চায়, ন্যায়বিচার চায়, কাজ চায়- সনদ নয়। এই কাগজপত্রের দাম এখন কেজিদরেই মাপা যায়। দেশে এত আইন, সংবিধান, সংস্কার আর সংসদীয় বিবরণী আছে যে, সব একত্র করলে কাগজ দিয়েই সংসদ ভবনের মতো আরেকটা কপি ভবন বানানো সম্ভব।
কিন্তু পরিবর্তন?
শূন্য।
এই দেশে সমস্যা সনদে নয়, সমস্যা চরিত্রে। আমলাতন্ত্র এবং রাজনীতিবিদদের চরিত্র না বদলালে আগামী পঞ্চাশ বছরেও কিছু বদলাবে না। নৈতিকতা, দায়বোধ আর জবাবদিহিতাহীন রাজনীতি যতদিন থাকবে, ততদিন “পরিবর্তন” শব্দটা কেবল বক্তৃতার অলংকার হিসেবেই থাকবে।
তাই এসব BAL-ABAL এর সনদে স্বাক্ষর না করে যদি কেউ মদনমোহন তর্কালঙ্কারের কবিতায় স্বাক্ষর করত-
“সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন দেশের টুপকি না মারি”-
তাহলেই দেশটার হাজারগুণ ভালো হতো।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমজনতার স্বতঃস্ফূর্ততা ছাড়া কোনো একক দলের পক্ষে বৈপ্লবিক কিছু করা অসম্ভব।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
জুলাই বিপ্লব, জুলাই যোদ্ধা, জুলাই সনদ শব্দগুলো এখন চরম বিরক্তিকর সেই সাথে হাস্যকর করে ফেলা হয়েছে। সেইসাথে ডক্টর ইউনুস এর কার্যক্রম চরম বিরক্তিকর এবং প্রশ্নবিদ্ধ? উনি দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর পর ই টেলিভিশনে আংগুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টেলিপ্রম্পটার দেখে ভাষন দিতেন। জনগণের সমর্থন কমে গেছে বুঝার পর এখন সেই ভন্ডামি ও বাদ দিয়েছেন।
আন্দালিব পার্থকে এখন আর দেখতে পারছি তেমন? কোন টকশো, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গতকালের জুলাই সনদের প্রোগ্রানে দেখিনি।! জুলাই আন্দোলন পর যদি ও মিডিয়া কে উনি একটু পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রতি যুগেই কিছু স্লোগানকে এমনভাবে চিবিয়ে খাওয়া হয় যে, শেষমেশ সেগুলো শুধু শব্দের গন্ধে দুর্গন্ধ ছড়ায়! “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” আর “প্রজন্ম” শব্দদুটোর পরিণতি আমরা দেখেছি- রাজনীতি, ব্যবসা আর সুযোগসন্ধানের ঢাকঢোলের নিচে সত্যিকার চেতনা গলা টিপে মেরে ফেলেছে। এখন সেই একই নাটক “জুলাই যোদ্ধা” আর “জুলাই সনদ” নামের নতুন মুখোশে ফিরে এসেছে। এত হইচই, এত নাটক- অথচ বাস্তব কাজ, আদর্শ বা দায়বোধ কোথাও নেই! চেতনা আর সনদ এখন শুধু ফেসবুকের স্ট্যাটাস, টকশোর ডায়লগ, আর রাজনীতির নতুন ট্রেন্ড মাত্র।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৩৬
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বাস্তবতা হলো, জনগণের কাছে এসব সনদ বা সংবিধান সংশোধনের কোনো মূল্য নেই।
.........................................................................................................................
যে দল বা প্রতিনিধি আজ অবধি জনসাধারনের নিকট পরিবর্তনের বার্তাটুকু
তাত্বিক বা প্রায়োগিক ভাবে উপস্হাপন এবং প্রতিক্রিয়া সন্পন্ন করতে পারে
নাই, সেখানে আশাকরা, একটি অসুস্হ প্রক্রিয়া মাত্র ।