![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
দুনিয়ার প্রতিটি ইউনিফর্ম পরা বাহিনীতেই থাকে একটা স্পেশাল ফোর্সেস-
যারা আলাদা প্রশিক্ষণ নেয়, বিশেষ পোশাক পরে, উন্নত সরঞ্জামে সজ্জিত থাকে। তাদের বাসস্থান আলাদা, বেতন ভাতা আলাদা, জীবনযাপনও আলাদা।
কিন্তু পৃথিবীতে একটিমাত্র বাহিনী আছে,
যাদের কোনো স্পেশাল ফোর্সেস নেই।
কেন জানেন?
কারণ এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যই নিজেই একেকজন স্পেশাল ফোর্সেস।
অন্য বাহিনীগুলোতে সংকট মোকাবিলায় ডাকা হয় বিশেষ টিম। আর এই বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি মুহূর্তেই সংকটের মাঝেই বেঁচে থাকেন।
তাদের নিয়মিত ডিউটি মানেই জীবন বাজি রাখা,
তাদের দৈনন্দিন কাজ মানেই মৃত্যুকে ছুঁয়ে ফেরা।
এই ব্যতিক্রমী বাহিনীর নাম- ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।
তাদের চাকরির প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় এক অবিরাম যুদ্ধ-
আগুন, ধোঁয়া, ধ্বংসস্তূপ, দুর্ঘটনা আর মৃত্যুর বিরুদ্ধে।
মানু- জীবন - মাল বাঁচানোর তাগিদে তারা ছুটে যায়-
যেখানে মানুষ ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায়,
সেখানে তারা বুক চিতিয়ে সামনে দাঁড়ায়।
কোনো বিপর্যয়ের খবর মানেই তাদের আহ্বান,
আর আহ্বান মানেই জীবন উৎসর্গের প্রস্তুত
এই বাহিনীর সদস্যদের জীবনের প্রতিটি সেকেন্ডই দায়বদ্ধ মানবতার প্রতি। তারা বাঁচায় জীবন, রক্ষা করে পরিবার, ফিরিয়ে আনে আশার আলো।
তাই আপনার আশেপাশে যদি কোনো ফায়ার সার্ভিস সদস্যকে দেখেন-
তাকে শুধু সম্মান জানাবেন না, তার জন্য দোয়া করবেন।
কারণ আপনি, আমি, কিংবা আমাদের প্রিয়জনরা
যদি কখনো ভয়ংকর দুর্ঘটনায় পতিত হই,
তাহলে হয়তো এই মানুষটিই,
নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে,
আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাদের বাঁচাতে আসবেন।
তাদের কাছে কর্তব্য মানে শুধু দায়িত্ব নয়-
এটা এক পবিত্র ত্যাগ, এক মহিমান্বিত প্রতিজ্ঞা।
জীবন বাজি রাখাই যাদের জীবন।
ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীলতা নিয়ে এমন একটা লেখা বছর আগে লিখেছিলেন সাবেক সেনাকর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রাজীব হোসাইন(★)। আমি সেই লেখাটা মনে রেখে নিজের মতো লিখেছি।
(★) ক্যাপ্টেন রাজীব হাসানঃ গুম নির্যাতনের শিকার। যাকে শেখ তাপসকে হত্যা পরিকল্পনার কল্পিত অভিযোগে ১১ মাস গুম করে রাখে। অতঃপর কোর্ট মার্শাল নামের প্রহসনের বিচারে আরও চারজন সেনা কর্মকর্তার (কমান্ডো মেজর হেলাল, কমান্ডো মেজর রেজা, কমান্ডো ক্যাপ্টেন রাজীব, কমান্ডো ক্যাপ্টেন সুবায়েল, কমান্ডো ক্যাপ্টেন ফুয়াদ) সাথে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়ে জেল বন্দী করে রেখেছিল।
প্রকৃতপক্ষে, ক্যাপ্টেন রাজীব সহ উল্লেখিত চারজন তরুণ অফিসার পিলখানা বিডিআর ম্যাচাকারের ঘটনায় ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনার সময় থেকে পিলখানা বিডিআর গেইটে কমান্ডো ইউনিটকে ডেপ্লয় করা হলেও শেখ তাপসের নির্দেশে তাদেরকে উদ্ধার অভিযান করতে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। তখন উক্ত পাঁচ অফিসার তাপসের নির্দেশ অমান্য করে অবরুদ্ধ সেনা কর্মকর্তাদের উদ্ধার করতে কমান্ডো ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু উর্ধতন কমান্ডারের নির্দেশে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। তারপর সংসদ সদস্য শেখ তাপসের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ততকালীন বিজিবি ডিজি ব্রীগেডিয়ার জেনারেল মাইনুল ইসলাম এর নির্দেশে ডিজিএফআইয়ের হাতে গুম হন। অতঃপর কোর্ট মার্শাল নামের প্রহসনের বিচারে আরও চারজন সেনা কর্মকর্তার সাথে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়ে জেল বন্দী করে রেখেছিল।
©somewhere in net ltd.