| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
এই অবক্ষয়ের শেষ কোথায়…?
গতকাল এক বিচারকের কিশোর সন্তান নির্মমভাবে খুন হলো। মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন বিচারকের স্ত্রীও। আর হত্যাকারী- স্ত্রীর বখাটে প্রেমিক। সমাজের এই গভীর পতনের প্রতিটি ঘটনা যেন আমাদের মুখের ওপরে সপাটে চপেটাঘাত করে।
মনে হয় মানুষের ভেতরের মানবিক প্রবৃত্তিও করোনাভাইরাসের মতোই মিউটেশন ঘটাচ্ছে- নতুন নতুন বিকৃত রূপে ফিরে আসছে। কয়েক বছর আগেও মানুষের মনোজগৎ এতটা হিংস্র, এতটা কদর্য ছিল না। তখন হৃদয়ে আলো ছিল, বিশ্বাসের এক নির্দিষ্ট পরিধি ছিল- যা সহজে কেউ অতিক্রম করত না। কেউ টপকালেই সমাজের তিরস্কারের চাবুক তার ওপর আছড়ে পড়ত।
মানুষ তখন নিন্দাকে ভয় পেত।
সৎ পথে থাকার এক নীরব গর্ব ছিল।
সম্মান, শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস ছিল সম্পর্কের সেতুবন্ধন- যৌনতার নয়।
সেই সব দিন কোথায় হারিয়ে গেল?
একসময় সম্পর্কের আয়ু ছিল দীর্ঘ- এক জীবনের মতো। ধীরে ধীরে পরিচয় হতো, ধীরে ধীরে বিশ্বাস জন্মাত, সময়ের সঙ্গে অনুভূতি গভীর হতো। আর এখন? দু’জন দু’জনকে ঠিকমতো জানার আগেই সবকিছু শেষ।
আগে ছিল মনের চর্চা-
আর আজ শুধু শরীরের চর্চা।
সম্পর্কের শুরুই হয় যৌনতা ফিয়ে। তারপর একসময় সেই যৌনতা একাধিক জনের দিকে গড়িয়ে যায়। আর পুরোনো সম্পর্ক খসে পড়ে মৃত চুলের মতো- নিঃশব্দে, নিঃশেষে।
মানুষের এই চরিত্রবদলের মূলেই আছে আমাদেরই উদাসীনতা। অন্যায়কে অন্যায় বলতে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে আমাদের। চারপাশের প্রতিটি অস্বাভাবিকতাকেই আমরা নীরবে মেনে নিচ্ছি। ফলে মানুষের মনে আগাছা জন্মায়, ছড়িয়ে পড়ছে- কিন্তু সাফ করার কেউ নেই। কারণ বেশিরভাগ মানুষই আজ অপপ্রবৃত্তির রোগে আক্রান্ত।
তাহলে প্রশ্ন- কে কার নোংরা পরিষ্কার করবে?
তবুও মনে একটাই প্রশ্ন জাগে-
আমরা কি সেই স্বর্ণময় দিনগুলোকে ফিরিয়ে আনতে পারি না?
সেই রোমান্টিকতার নরম আলো,
সেই চোখে চোখে প্রথম দেখা বিস্ময়,
সেই স্নিগ্ধ সারল্য,
সেই পবিত্রতার মাদকতা,
সেই প্রেমের শিহরণ-
সবই কি চিরতরে হারিয়ে গেছে?
নাকি এখনো কোথাও, আমাদের ভেতরেই, তা পুনর্জন্মের অপেক্ষায় আছে…?
---
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এখানে বিএনপি নেতার ছেলের সংশ্লিষ্টতা কোথায় পেলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপি নেতার ছেলে বলে ? এবার মিডিয়া তো পেয়ে বসবে ।