| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
হোরাস এবং যীশু.........
প্রথমেই স্বীকার করে নিচ্ছি- আমি ধর্মীয় বিষয়ে ততটুকুই জানি যতটুকু আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের জীবন চারিতায় প্রয়োজন। মূলতঃ এই পোস্টে উল্লেখিত বিষয়বস্তু নিয়ে আমার মাথা আউলা করে দিয়েছিলো প্লানেট আর্থ চ্যানেলে প্রচারিত চার পর্বের ড্যান ব্রাউনের 'দি ডা ভিঞ্চি কোড' অবলম্বনে The arrival- Documentary Film.
আলোচ্য বিষয়ে আরও জানতে গুগল সার্চ করে অনেক লেখা পেয়েছি। পোস্টে সেইসব তথ্যসূত্র উল্লেখ করে দিলাম- কেউ আগ্রহী হলে পড়ে দেখতে পারেন।
ড্যান ব্রাউনের 'দি ডা ভিঞ্চি কোড' অবলম্বনে The arrival- Documentary Film...বলেছে/ দেখিয়েছে তার উল্লেখযোগ্য হলো-
প্রাচীন মিশরীয় দেবপুরুষ হোরাস। হোরাস খ্রীস্টের জন্মের প্রায় তিন হাজার বছর আগে মিশরী এবং ইউনান অঞ্চলে বিশেষ প্রভাব ছিল। হোরাসের সঙ্গে যীশুর প্রভূত সাদৃশ্য পাওয়া যায়। প্রচলিত মত অনুসারে খ্রীস্টাব্দের বহু আগের থেকে ইউনানের মানুষ ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ জুড়ে হোরাসের জন্মৎসব পালন করতেন।
জন্মগত দিক থেকে হোরাস আর যীশুর খানিক সাদৃশ্য পাওয়া যায়- উভয়ই কুমারী মায়ের সন্তান। হোরাসের পিতা অসিরিসকে হত্যা করে তার ভাই সেত। কিন্তু অসিরিসের স্ত্রী আইসিস জাদুবিদ্যার দ্বারা অসিরিসকে জীবিত করে এবং দুজনের সঙ্গমে আইসিস গর্ভবতী হয়- এইখবর যখন সেত জানতে পারে তখন অসিরিসের দেহকে ১৪ টুকরো করে দেয়।
আইসিস গর্ভবতী অবস্থায় চেমিস দ্বীপে আত্মগোপন করে এবং হোরাসের জন্মদেয়। হোরাস যখন জানতে পারেন তার পিতার হত্যাকারী তার কাকা সেত তখন হোরাস মিশরে ফিরে আসেন এবং নিজের রাজত্ব দাবী করেন। এরপর সেত আর হোরাসের বছরভর যুদ্ধ চলে, সেত হোরাসের একটি চোখ অন্ধ করেদেয় আর হোরাস সেতে অণ্ডকোষ থেতলে দিয়ে তাকে বন্ধ্যা করে দেয়। এরপর হোরাস রাজা হয় এবং সেতকে মরুভূমিতে নির্বাসিত করা হয়।
হোরাস প্রধানত ইগল পাখির টোটেম ব্যাবহার করেতেন, তাই অনেকে তাকে ইগল দেবতা বলে থাকেন। আবার অনেকে হোরাসকে সূর্য দেবতাও বলেন, Horus শব্দ থেকেই আধুনিক Hours শব্দের উৎপত্তি।
হোরাস আর যীশুর কিছু মিলঃ
(১) যতটুকও জানা যায় যীশু জন্মের প্রায় ৩০০০ বছর পূর্বে হোরাসের পৃথিবীতে আগমন। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে তারা দু জনই জন্ম গ্রহণ করেন ২৫ ই ডিসেম্বর।
(২) তাদের দু জনের জন্মই কুমারী মাতার গর্ভে। জেসাস এর মা ছিলেন মেরী অন্যদিকে হোরাসের মা ছিলেন আইসিস যিনি আইসিস মেরি নামেও পরিচিত ছিলেন।
(৩) খৃষ্টান ধর্মের ইতিহাস থেকে আমরা জানি যে যীশুর জন্মের সময় স্টার সিরিয়াস এবং থ্রি কিংস নামে তিনটি তারা একই লাইন বরাবর ছিল। আশ্চর্যের ব্যাপার হল হোরআসের কাহিনীতেও এই চারটা তারা একইভাবে ছিল। তাছাড়া দুজনের জন্মই গুহার মধ্যে।
(৪) দু জনেরই ১২ জন করে শিষ্য ছিল।
(৫) যীশুর সিম্বল ছিল fish, beetle, the vine & shepard’s cross. তখন খুব অবাক হয়েছিলাম যখন প্রথম আমি জেনেছিলাম যে এই চারটি সিম্বলের প্রত্যেকটিই হরাসের সিম্বল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
(৬) তারা দুজনেই একই রকম মিরাকল বা অলৌকিক ঘটনা দেখাতে পারতেন। যেমন দুজনেই পানির উপর হাঁটতে পারতেন। দুজনেই অন্ধত্বকে দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দিতে পারতেন।
(৭) তারা দুজনেই নিজ নিজ অনুসারিদের নিকট King of Kings, Son of God, Light of the Worl, Saves of humanity ইত্যাদি নামে পরিচিত।
আরেকটি তথ্য- যিশু মনে হয় ডিসেম্বরের শীতে জন্মগ্রহণ করেনি অন্তত নতুন টেস্টামেন্ট অনুযায়ী। বাইবেলের লুক খণ্ড বলা হয়েছে যখন যিশুর জন্ম হয় "যখন ভেড়ারপাল গুলিকে রাখাল মাঠে চড়াতে দিয়ে ছিল" ভেড়ারপাল শীতে নয় বসন্তে মাঠে চড়াতে দেওয়া হয়, ডিসেম্বরে নয়।
এমন করে দুজনের মধ্যে আরও অনেক মিল আছে। এসব মিলই কি শুধুমাত্র co incidence নাকি ভুল ইতিহাস। না-কি ইচ্ছে করেই ইতিহাস পরিবর্তন করা হয়েছে কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থে? লক্ষ্য করে দেখবেন- খুব সুকৌশলে জেসাসের ইতিহাস গুলিয়ে ফেলা হয়েছে হোরআসের সাথে। ফলতঃ ধর্মবিশ্বাসী মানুষজনকে বিভ্রান্ত করতে সত্য ইতিহাস থেকে দূরে রাখা হয়েছে সুকৌশলে। পুরো ব্যাপারগুলো এতটাই ঘোলাটে যে এগুলোর সম্পর্কে একটি জায়গায় থিতু হওয়া সত্যিই কষ্টকর। কিন্তু এটা যদি সত্যি মানেন যে ভিঞ্চি নিউটনরা সত্যিই একটি সিক্রেট সোসাইটির সদস্য ছিলেন তবে পুরো ষড়যন্ত্রের ব্যাপারটি মেনে নিতে হয়। আর নিও টেস্টামেন্ট এ যীশুর জীবনী যতটুক বিকৃত হয়েছে তাতে আসলে আমাদের পুরো ব্যাপারটা বিশ্বাস করা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা।আসলে একটা গোষ্ঠী এত নিখুঁত ভাবে এগুলো করে আসছে যে আমরা তাদের দাবার গুটি হয়েই সবকিছু সত্য মানছি।
মূলতঃ এই পোস্টে উল্লেখিত বিষয়বস্তু নিয়ে আমার মাথা আউলা করে দিয়েছিলো প্লানেট আর্থ চ্যানেলে প্রচারিত চার পর্বের ড্যান ব্রাউনের 'দি ডা ভিঞ্চি কোড' অবলম্বনে The arrival- Documentary Film.
আলোচ্য বিষয়ে আরও জানতে গুগল সার্চ করে অনেক লেখা পেয়েছি। সেইসব তথ্যসূত্র উল্লেখ করে দিলাম- কেউ আগ্রহী হলে পড়ে দেখতে পারেন।
তথ্যসূত্রঃ
* প্রিওরিই অব সাইওন।
* ড্যান ব্রাউনের 'দি ডা ভিঞ্চি কোড'
* D. M. Murdock, Acharya SChrist in Egypt: The Horus-Jesus Connection.
* The conspiracy theory
©somewhere in net ltd.