| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
বেগম খালেদা জিয়াঃ সময়ের অতল গহ্বর পেরিয়ে উঠে আসা এক জীবন্ত কিংবদন্তি...
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস যতদিন বলা হবে, মানুষের হৃদয়ের গভীরে যতদিন স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং মানবিক মর্যাদার আকাঙক্ষা জাগ্রত থাকবে- ততদিন একটি নাম অনিবার্যভাবে উচ্চারিত হবে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও অশ্রুভেজা স্মৃতির মিশেলে। সেই নাম- বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রী নন; তিনি এক সংগ্রামী মায়ের প্রতিচ্ছবি, দুর্দিনে সাহসের প্রতীক, এবং অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্ব-সম্মানে মাথা উঁচু করে থাকা এক অদম্য মানবী। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি প্রমাণ করেছেন- মানবিক শক্তি কখনো বন্দী হয় না, ন্যায়ের পথ কখনো হারায় না, আর জনগণের ভালোবাসা কখনো ম্লান হয় না।
নিঃসঙ্গ লড়াইয়ের মহাকাব্যঃ
বছরের পর বছর অন্যায়, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, অবরুদ্ধ জীবন- অনেকেই ভেঙে পড়তেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া ভেঙে পড়েননি; বরং প্রতিটি আঘাত তাকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি জানতেন- তার পথ ব্যক্তিগত নয়, এটা গণমানুষের পথ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অস্তিত্ব রক্ষার পথ। তার নিঃসঙ্গতা ছিল দেশের কোটি মানুষের নীরব কান্নার প্রতিচ্ছবি। তার ধৈর্য ছিল ইতিহাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক নেত্রীর অভিজ্ঞান।
জনগণের ভালোবাসায় অমরত্বঃ
যারা ক্ষমতার অন্ধকারে ইতিহাসকে হত্যা করতে চেয়েছে, তারা একটি সত্য ভুলে গেছে- ইতিহাস লেখা হয় জনগণের হৃদয়ে, ক্ষমতার কাগজে নয়। যে ভালোবাসা কোটি মানুষ তার প্রতি লালন করে, তাকে কোনো শক্তি কখনো নিভিয়ে দিতে পারে না।
বেগম খালেদা জিয়া আজ শুধু এক রাজনৈতিক পরিচয়ের নাম নন; তিনি এক মানবিক স্পর্শ, এক ভরসার প্রতীক, এক মায়ের অবিনাশী স্নেহ। তিনি এমন এক চরিত্র, যিনি কোটি কোটি মানুষের মা-জননী হয়ে নিজের অর্জনকে অতিক্রম করে গেছেন সর্বস্তরের মানুষের শুভকামনা, দোয়া ও অশেষ শ্রদ্ধায়।
কালে কালে অমর হয়ে ওঠাঃ
একজন মানুষ, একটি জীবন, একটি আন্দোলন- যদি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে, তবে সে জীবন অমরত্ব লাভ করে। বেগম খালেদা জিয়া সেই অমরত্ব অর্জন করেছেন সংগ্রাম, ত্যাগ, সাহস আর অটল মনোবলের মাধ্যমে।
সময়ের নির্মমতা হয়তো তাকে শারীরিকভাবে ক্ষত-বিক্ষত করেছে, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা তাকে আরও আলোকিত ও মহিমান্বিত করেছে। আজ তিনি বেঁচে আছেন- গৌরবে, খ্যাতিতে, মর্যাদায় এবং কোটি মানুষের আস্থা-বিশ্বাসের শিখরে। তিনি অমর হয়ে থাকবেন পরম শ্রদ্ধায়।
শেষ কথাঃ
জীবন্ত কিংবদন্তি তাকে বলা হয় শুধু ইতিহাসের কারণে নয়- বরং জীবন্ত মানুষের হৃদয়ে তিনি সর্বদা স্পন্দিত।
গণতন্ত্র, ন্যায় ও মানবিকতার যে সংগ্রাম তিনি বহন করেছেন, সেটাই তাকে স্থায়ী খ্যাতি, গৌরব এবং সম্মানে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, মানুষের অন্তরে মানবিকতা থাকবে-
বেগম খালেদা জিয়া ততদিন থাকবেন এক অনির্বাপিত আলোকশিখা হয়ে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
বেগম জিয়া নিয়ে চমৎকার এই লিখাটি আপনার শুদ্ধ মনের ভাবনা আর আইসিওতে সংকটাপন্ন ব্যক্তি খালেদা জিয়ার সংগ্রাম হিসেবে ধরে নিলাম। রাজনৈতিক আর দেশের প্রধানমন্ত্রী বিবেচনায় খালেদা জিয়া গতানুগতিক আর কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীদের মতোই।
মানুষ হয়তো ব্যাক্তি খালেদা জিয়াকে মনে রাখবে প্রধানমন্ত্রী ম্যাডাম জিয়াকে নয়.....
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার কথায় সহমর্মিতা আছে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
মানুষ খালেদা জিয়াকে শুধু একজন অসুস্থ নারী হিসেবে মনে রাখবে- এটি ইতিহাস স্বীকার করে না। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন রাজনৈতিক সময়ের রাষ্ট্রনায়ক, গণতন্ত্রের লড়াইয়ের মুখ এবং দক্ষিণ এশিয়ার নারী নেতৃত্বের প্রতীক।
যে নেত্রী বারবার কারাবরণ সত্ত্বেও নতি স্বীকার করেননি, যিনি অস্থিতিশীল রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল করেছেন- তাকে “গতানুগতিক প্রধানমন্ত্রী” বলা যায় না।
আজ তিনি আইসিইউতে- এটা মানবজীবনের বাস্তবতা।
কিন্তু মানুষের হৃদয়ে, আর দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে-
তিনি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াই,
যিনি সংগ্রাম, গৌরব ও ত্যাগের জন্য অমর হয়ে থাকবেন।
৩|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: খালেদা জিয়া রিকোভারি করে আবার আমাদের নিকট ফিরে আসুক । এভাবে দেশের মুরুববিদের হারিয়ে আমরা তো পথে পথে হয়ে যাবো।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১০
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: পড়লাম। সুন্দর লিখেছেন, ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।