![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশি রূপকথার প্রাণী দিয়েই শুরু করা যাক
সুখ পাখি আর দুঃখ পাখি
বাংলার রূপকথার সবথেকে পরিচিত পাখি । কিন্তু এটার ছবি আপনাকে আপনাকে কল্পনা করে নিতে হবে। সুখের মত এই পাখি দুটিও অদৃশ্য।
ফায়ার বার্ড
এই রূপকথার পাখিটি আমাকে প্রচন্ড ভাবে আলোড়িত করেছিল। এটা অনেকটা ময়ূর সাদৃশ্য তবে এর পালক সোনালী অনেকে সোনার বলে থাকেন । পাখিটি রাজার বাগানের সোনার আপেল প্রতি রাতে খেয়ে যেত।
পেগাসাস
পেগাসাস গ্রীক রূপকথার প্রাণী। এটিই অন্য সব রূপকথার প্রাণীর চেয়ে বেশি পরিচিত এর সৌন্দর্যের কারনে। সাধারণত এটাকে দেখা যায় চরম সাদা রঙ এ তবে কালো হতেও পারে হলিউডের টাইটান ছবিতে নায়কের পেগাসাস ছিলো কালো রঙ এর। নায়ক তার পেগাসাসে চড়ে অসাধ্য কাজ গুলো করে থাকে। বলতে গেলে এটার সব দিকই সাধারণ ঘোরা কিন্তু দুটো পাখা তাকে অসাধারণ করে দিয়েছে। আসলেই সাধারণ কিছুর সাথে পাখা যুক্ত করলে সেটা অসাধারণ কিছু হয়ে যায় । আমাদের পিঠেও দুটো পাখা যুক্ত করলে আমরা অসাধারণ হয়ে যেতাম । উড়তে পারাটাই অসাধারণ কিছু। পেগাসাসকে জ্ঞান এবং প্রশংসার ব খ্যাতির প্রতীক বলে ধরা হয় তবে সময়ের পেক্ষিতে এর পরিবর্তন ঘটেছে । পেগাসাস গ্রিক দেবতার এক অনন্য সৃষ্টি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাজ্যের এয়ারবোর্ন ফোস উড়ন্ত পেগাসাসের উপর বসে যুদ্ধ করছে এই প্রতীক ব্যবহার করেছিল।
ইউনিকোন
এটা আসলে ঘোরা তবে পেগাসাসের যেমন পাখা আছে এর আছে মাথার উপর একটা লম্বা শিং । পেগাসাসের জাদুকরী কোন ক্ষমতা না থাকলেও ইউনিকোনের কিন্তু জাদুকরী ক্ষমতা আছে তার সমস্ত জাদু ক্ষমতা তার শিং টিতে। অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করতে ইউনিকোনের জুড়ি অসাধারণ। এটাও ইউরোপের রূপকথার প্রাণী। ইউরোপের রাজার এবং রাজ্যের মূল এবং সেনাবাহিনীর প্রতীকে ইউনিকোনের ব্যবহার অসাধারণ। ইউনিকোন বিশুদ্ধতা অনুগ্রহ ও প্রশংসনীয় গুনের গ্রতীক । দুটো শিং হলে কেমন হতো জানি না । এটি অবশ্য গন্ডারের কাছাকাছি শিং এর বিষয়ে।
ফিনিক্স
এটা আমার প্রিয় একটি রূপকথার প্রাণী। এটাও গ্রীক রূপকথার । এটাকে মৃত্যুহীন পাখিও বলা হয় । এটার যখন মৃত্যুর সময় আসে তখন সে নিজেকে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলে সেই ছাই থেকে সে নতুন ভাবে জীবন লাভ করে। খ্রিস্টানরা এটাকে তাদের প্রতীক হিসাবে নিয়ে ছিল। এটির ক্ষমতা শুনেই বুঝতে পারছেন এটা কিসের প্রতীক হতে পারে।
গ্রিফীন
এটা অনেকটা ফিনিক্স এর কাছাকাছি , দুটো পাখা বিদ্যমান পৃথক হচ্ছে এটা মাথা ঈগল পাখির আর দেহ সিংহের। আসাধারণ না। আবার বলতে হচ্ছে এটা গ্রীক রূপকথার । গ্রিফীন বিশ্বাস ভবিষ্যৎ জ্ঞানের এবং রক্ষাকের প্রতীক । এসে সাধারণত গুপ্তধন বা মূল্যবান সম্পদ পাহারা দেবার ভূমিকায় দেখা যায়। গ্রিফীনকে ফাঁকি দিয়ে কিছু নেওয়া অসম্ভব। ইউরোপের সেনাবাহিনী, গাড়ি বা স্কুল কলেজের প্রতীকে গ্রিফীন দেখতে পাওয়া যায়।
রক পাখি
বলতে ভালো লাগছে এটা গ্রীক রূপকথার নয়। এটা আরবদের রূপ কথার প্রাণী । এটি অকল্পনীয় বড় আকারের । সিন্দাবাদ যারা দেখেছেন তারা এটার সম্বন্ধে একটা আইডিয়া করতে পারবেন । বড় বড় পাথর দিয়ে পাখিটি জাহাজ ডুবিয়ে দিচ্ছে। এর পালকে কিছুটা জাদুর ক্ষমতা আছে বলে ধরা হয় ।
ড্রাগন
পেগাসাসের মতো এটাই পৃথিবীর সবথেকে পরিচিত এবং বিখ্যাত রূপ কথার প্রাণী । এটা বিখ্যাত হয়েছে মারশাল আট ছবির জন্য। এই রূপকথার প্রাণীই সবথেকে বেশি রূপে আবিভূত হয়েছে। ইউরোপে এবং চীনে । আমরা একেই চীনের প্রতীক বলেই জানি। ড্রাগনের ভিন্নতা সৃষ্টি হয় এর নখের সংখ্যায় এবং শিং এর জন্য । তিন ক্ল চার ক্ল বিশিষ্ট নখ । এটা কমন যে সব ড্রাগনই উড়তে পারে পাখা থাক বা না থাক এবং আগুন বের করতে পারে তার মুখ দিয়ে। ড্রাগনের জাদুকরী ক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করা হয়, যেমন ইচ্ছা পূরনের ক্ষমতা, যারা ড্রাগন বল কাটুনটি দেখেছেন তার জানেন ড্রাগন তার ক্ষমতার মধ্যে যে কোন তিনটি উইশ পূরণ করতে পারে। এবং পৃথিবীতে ড্রাগনের ট্যাটুই সবথেকে বেশি আঁকা হয়ে থাকে। বলতে গেলে ড্রাগন সাপ সাদৃশ্য তবে মাথা ভিন্ন। ড্রাগন ভাল এবং খারাপ দুটোই হতে পারে। এটাই একমাত্র রূপকাথা সেই প্রাণী যে কথা বলতে পারে।
সবশেষে যেটা বলা কাম্য সেটা হল আসলে মানুষের কল্পনার সীমাবদ্ধতা আছে। আমার এমন কিছু কল্পনা করতে পারি না যা আমরা কখনও দেখি নি। তাইতো মানুষ এমন কিছু সৃষ্টি করে যেটার মাথা একপ্রানীর দেহ অন্য প্রাণীর । কল্পনার প্রাণী গল্পের মাঝেই থাকা ভালো সেটা যেন উপাসনার বিষয় না হয়ে দাড়ায় সেটা হলে ধ্বংস অনিবার্য। এক সৃষ্টিকর্তাকেই আমাদের বিশ্বাস করা উচিত যিনি সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা।
১৬ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
মোঃ জুম্মা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও ।
২| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: দারুন। লিখায় ★★
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০০
স্বপনবাজ বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট! ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য! দেশী রুপকথার পাখির ছবি কই পাইলেন?