নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিটা স্বপ্ন হোক সুন্দর

মোঃ জুম্মা

আমি এখনো আমার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাই

মোঃ জুম্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিমু হেফাজতের মিছিলে

২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এক



ভাই এটা কি পাঞ্জাবি পড়েছেন ! হলুদ । আর কোন পাঞ্জাবি পেলেন না। দেখতে কেমন জানি লাগতাছে

হিমুঃ ভাই আমার এই একটাই পাঞ্জাবি । তাছাড়া এইটাই সমস্যা কি ?

বলেন কি ! আজকাল আপনার একটাই পাঞ্জাবি !!

হিমুঃ জ্বি

শোনেন ভাই আজকাল সস্তায় অনেক ভালো পাঞ্জাবি পাওয়া যায় । একটা কিনে নিবেন । সাদা দেখে কিনবেন। সাদা রঙ টাই ভাই পবিত্র

হিমুঃ জ্বি আচ্ছা সাদা দেখেই কিনব । সাদা ছাড়া আর কি রঙ এর কেনা যায় । একটু বলে দিন যদি মন চাই তাহলে ঐ রঙ এরও কয়েকটা কিনে রাখবো।

সবুজ কিনতে পারেন সবুজ রঙ চোখে বড়ই শান্তু দেয়।

( হিমু একটু মনে মেন বলল, হলুদ রঙ টা কি মানুষের অপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে নাকি। গায়ে হলুদেও আজকাল কেউ হলুদ শাড়ি তেমন পড়ে না। আর ঢাকা মেট্রোপলিটন তো রাস্তার সিগনাল থেকে হলুদ বাতিটাই বাদ দিয়ে দিয়েছে । এদেশের ড্রাইভার নাকি হলুদ বাতির মানে জানে না। ) লোকটা আবার জিঞ্জাসা করলো । ভাই আপনার টুপি কোথায়।

হিমুঃ ভাই আমার টুপিও নাই ।

টুপিও নাই । নেন আমার টা নেন। ( এই বলে লোকটা তার মাথার টুপি হিমুর মাথায় পড়িয়ে দিলো।

হিমুঃ ( মনে মনে বললো, পুলিশের লাঠি পেটা খাবার পুরা ব্যবস্থা লোকটা করে দিলো। ) তাহলে আপনি মাথায় কি দেবেন?

আমার কাছে আরেকটা টুপি আছে।

হিমুঃ পকেটে দুটো টুপি নিয়ে ঘুরে বেড়ান ।

জ্বি । কখন দরকার পড়ে যায়। এই যেমন আপনার দরকাল পড়ল। তা ভাই আপনি কোন মাদ্রাসা থেকে এসেছেন ।

হিমুঃ ভাই আমি কোন মাদ্রাসা থেকে আসি নি । নিজের প্রয়োজনে এখানে এসেছি।

আলহামদুল্লিলাহ । সবাই যদি ভাই আপনার মতো হতো। আর এই দেখেন নাস্তিকরা শাহাবাগে কি করতাছে। গান বাজনা নাচা নাচি । নাউজুবিল্লাহ। আর এই নাস্তিকদের লিডার ইমরান । বুঝলেন ভাই এসব কেয়ামতের আলামত।

(। হিমু মনে মনে বলল, কদিন আগে সে শাহাবাগে রাতে বল্গারদের সাথে বিরানি খেয়ে এসেছে। পকেটে কোন টাকা ছিল না সে জন্য সে এখানে এসে খেয়ে গেছে । শাহাবাগে সে এমনিতে যায় নি । একদিন রূপাকে ফোন করে জানতে পারে রূপা শাহাবাগে । রূপার খোঁজে শাহাবাগে গিয়ে দেখে বিরাট আয়জন। হাজার হাজার লোক মোমবাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । এর আগে এত সুন্দর কিছু এই শহরে সে আর দেখেনি। একজন তার হাতে একটা মোমবাতি দিলে সেও সেটা নিয়ে তাদের সাথে একত্মা প্রকাশ করেছে। রূপা সেখানে গান গাইল সে মুগ্ধ হয়ে সেটা শুনেছে। হিমুকে অবাক করে দিয়ে এমন সময় এক মেয়ে সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞাসা করে বসল আপনার কেমন লাগছে আজ এখানে যোগদান করতে পেরে। হিমু দেখতে পেল মেয়েটার গলায় আইডি কার্ডে লেখা মুন্নি সাহা । হিমু শুধু একটা কবিতা বলেছিল তাকে “ আজকের আগে যেই জীবনের ভিড় জমেছিলো তারা মরে গেছে; প্রতিটি মানুস তার নিজের স্বতন্ত্র সত্তা নিয়ে , অন্ধকারে হারায়েছে;

তবু তারা আজকের আলোর ভিতরে সঞ্চারিত হয়ে উঠে আজকের মানুষের সুরে। সে জানে এটা প্রচারিত হবে না )

হিমুঃ ভাই আপনি দাড়ান আমি একটা জরুরি কাজ শেরে আসি।

( হিমু আসল কথাটা লোকটাকে বলতে পারলো না। সে এখানে এসেছে নিজের প্রয়োজনেই তবে সেটা খালু সাহেবের কাছ থেকে টাকা নেবার জন্য । আজ মাসের ৫ তারিখ । সে হিমু হলেও তারও টাকা দরকার পড়ে। খালু সাহেব অফিস মতিঝিলে । আজ যে অবস্থা খালু জানকে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। )

হিমু খালু সাহেবের অফিসের নিচে এমন সময় সে মকবুল কে দেখতে পেলো। মকবুল খালু সাহেবের ড্রাইভার। তার জন্য সে একবার বিপদে পড়েছিল পুলিশের ডলাও খেয়েছে। খালু সাহেবের কাছে মাফ চেয়ে আবার চাকরিতে ঢুকেছে। খালু সাহেবের কাছে সে শপথ করেছে কেয়ামত হয়ে যাবে তবুও সে আমাকে আর গাড়ি দেবে না।

হিমুঃ কেমন আছ মকবুল

মকবুলঃ জ্বি ভাইজান ভালো।

হিমুঃ নতুন গাড়ি মনে হচ্ছে ।

মকবুলঃ জ্বি ভাইজান । তিন দিন হলো কিনছি। ৫০ লাখ টাকা নিছে

( মকবুল এমন ভাবে কথাটা বলল যেন সেই কিনেছে । ভালো লাগছে শুনতে।)

হিমুঃ খালু আছেন মকবুল।

মকবুলঃ জ্বি ভাইজান আছেন ।

হিমুঃ খালু সাহেবের সামনে গিয়ে আচমকা বলল আসসালামু আলাইকুম খালুজান

তিনি হিমুর দিকে তাকিয়ে দেখলেন হিমুর মাথায় টুপি। একটু আবাক হয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তোমার মাথায় টুপি কেন।

হিমুঃ টুপি পড়লে নাকি মাথা ঠান্ডা থাকে খালু ।

ভং করবে না আমার সাথে । সত্যি করে বলো তোমার মাথায় টুপি কেন ? নামাজ টামাজ তো পড়ো না । টুপি পড়ে ঘুরছো ।

হিমুঃ খালু সাহেব, ঠিক করেছি এখন থেকে নামাজ পড়ব ।

নামাজ পড়বে তুমি সূরা টুরা কিছু জানো। যে নামাজ পড়বে।

হিমুঃ নামাজ পড়ার মতো জানি

আয়াতুল কুরছী বলো

হিমুঃ ( খালু সাহেব ইচ্ছা করেই তাকে আয়াতুল কুরছী জিজ্ঞাসা করেছে, যাতে না পারি। নামাজ পড়তে আয়াতুল কুরছী প্রয়োজন হয় না। হিমু বলতে শুরু করলো ) আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম লাতা’খুজুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম, লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি, মান্ যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বিইয্-নিহী, ইয়া’লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীনা বিশাইয়িম্ মিন ইলমিহী ইল্লা রিমা শাআ, ওয়াসিয়া কুরসিয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল আলিয়্যুল আযীম।

( হিমু মনে মনে বলল, সে নিশ্চয় খালু সাহেব কে চমকে দিতে পেরেছে। কারণ খালু তার দিকে বড় বড় চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে )

তুমি আয়াতুল কুরছী জান কিভাবে ?

হিমুঃ ছেলে বেলায় বাবা শিখিয়েছেন খালু ।

আয়াতুল কুরছীর ফযীলত জানো?

হিমুঃ শুনেছি আয়াত পাঠ করলে আযরাঈল আঃ মৃত্যুর সময় অত্যন্ত আরামের সহিত জান কবজ করবেন। মৃত্যু যন্ত্রনা ভয়ঙ্কর খালু সাহেব । আপনি পড়েন তো ।

খালুঃ আরও ফযীলত আছে এই আয়াতের যা হোক কি কারনে এসেছে তাই বলে বিদায় হও ।

হিমুঃ খালু আজ মাসের ৫ তারিখ টাকা নিতে এসেছি।

খালুঃ ক্যাশিয়ারকে বলে দিচ্ছি, টাকা নিয়ে বিদায় হও

হিমু বের হয়ে দেখল মকবুল নতুন গাড়িতে তার চেহার দেখছে। হিমু তাকে জিজ্ঞাসা করল । আচ্ছা মকবুল তোমার কাছে হলুদ বাতির অর্থ কি ?

মকবুলঃ আমার কাছে হলুদ বাতির অর্থ হচ্ছে ভাইজান একটু পরে লাল বাতি জ্বলবো।

( আযাতুল কুরছীর কারনেই বোধ হয় খালু টাকা নিয়ে কথা শুনালেন না। ) হিমু টাকা নিয়ে রাস্তায় বের হলো। এই সামান্য সময়ের মধ্যেই রাস্তাই আরও মানুষ জড়ো হয়েছে। এতো মানুষের ক্যামপেইন করতে আমেরিকার প্রার্থীদের মিলিয়ন ডলার খরচ হয়ে যাবে। এদেশের বেকার লোকের সংখ্যা বেশি হওয়াতে রাজনীতিবিদদের কপাল খুলে গেছে। ডাকলেই শত শত লোক এসে হাজিরা দিয়ে যায়। হিমুর মাথায় টুপিটা তেমন ফিট হচ্ছে না, বারবার খুলে যেতে চাইছে । অনেকদিন চুল কাটা হয়নি । মাথার চুলের জন্য টুপিটা আরও ফিট হচ্ছে না। সে চিন্তা করতে লাগল একটা নতুন টুপি কিনেলে মন্দ হয়না। হিমু একটু হেটে সামনে যেতে । পিছন থেকে একজন ডাক দিয়ে বলল হিমু ভাইজান না। হিমু তাকিয়ে দেখে রমিজ । রমিজ এক অদ্ভুত ছেলে, এই ছেলের প্রতি হিমুর একটু মায়া আছে। হিমুদের মায়ায় আবদ্ধ হতে নেই তবুও মায়াতে পড়েত হয় । তহে পারে এই ছেলে তার মতই এতিম বলে মায়া অনুভব করে। এদেশের বেশির ভাগ এতিম ছেলেদের জায়গা হয় মাদ্রাসায়। রমিজ একবার মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়েছিল হিমু একদিন রাতে হাটছে হঠাৎ চোখে পড়ল একটা ছেলে ফ্লাই ওভার ব্রিজের ওপর বসে আছে, সেই থেকে রমিজকে চেনে সে। রমিজকে মাদ্রাসাতেই ফিরে যেতে হয়েছে । )

রমিজঃ হিমু ভাইজান আপনি এখানে। বড়ই ভালো লাগছে আপনারে এইখানে দেইখ্যা। মনটা শান্তি শান্তি পাইতাছে।

হিমুঃ মন শান্তি লাগার কারণ কি?

রমিজঃ আপনি হলেন আমার সবচেয়ে আপনা মানুষ। আমার আপনা মানুষ এইখানে এটাই ভাইব্যা শান্তি পাইতাছি।

( হিমু দেখলো মতিঝিলের এককোনায় কালো ধোঁয়া উঠছে, এরই মধ্যে এতো বিশাল সমাগম কেমন জানি অস্থির হয়ে উঠেছে যে হুজুরের আসার কথা তার আসার নাম নেই। তার উচিত এখান থেকে বের হয়ে যাওয়া । বের হতে গিয়ে বাধল আরেক বিপত্তি। বের হবার সকল মুখেই শতশত পুলিশ দাড়িয়ে। হিমু সাহস করে সামনে এগিয়ে গেল। তাকে দেখতে পেয়েই চার পাঁচ জন পুলিশ বন্দুক তাক করল তাকে লক্ষ করে। হিমু হাত উঠালো কে জানে গুলি ও করে দিতে পারে একটা গুলি খেলে বাঁচার সম্ভবনা আছে চার পাঁচটা খেলে ভিন্ন কথা। আজকাল আর পুলিশের কাছে রাবার বুলেট থাকে না।

পুলিশঃ কই যাস

হিমুঃ গোসল করতে

পুলিশঃ গোসল করতে মানে ফাজলামো করস । পুলিশের সাথে ফাজলামি

হিমুঃ সত্যি গোসল করতে যাচ্ছি সারাদিন গোসল করা হয়নি গা দিয়ে ঘামের গন্ধ বের হচ্ছে । নিজেরই গন্ধ নিজেরই সহ্য হচ্ছে না্

পুলিশঃ ব্যাটাকে গাড়িতে ওঠা ব্যাটা শিবির । মাথায় টুপি গায়ে পাঞ্জাবি সব মিলা গেছে । তোর হাতে কি

হিমুঃ টাকা

পুলিশঃ ব্যাটা আসলেই শিবির । লোকরে টাকা দিয়া ব্যাড়াইতাছে। ব্যাটাকে ডলা না দিলে সত্যি কথা বের হইব না। ( এই বলে একজন তার হাত থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পকেটে ভরল।

হিমু দেখল আর উপায় নেই সন্ত্রাসী হয়ে মরলেও একটা নাম হয় শিবিরের অপবাদ নেবার কোন মানেই হয় না। হিমু গলার সুর চেঞ্জ করে বলল । জানেন আমি কে

পুলিশঃ কেডা তুই । এই তুই কেডা। আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখছস পুলিশের ডলা খাইয়া এখন কথা কইতে পারে না।

হিমুঃ আমি পুলিশের লোক

পুলিশঃ কি তুই পুলিশের লোক ।

হিমুঃ আপনি আর ফোন দিয়ে ধানমন্ডি থানায় ফোন করেন । সেখানকার এএসপি সুলেমান আমাকে আমার পরিচয় দেবেন। ( ওসি সুলেমান স্যার ওসি থেকে প্রমোশন পেয়ে এএসপি হয়েছেন। এর জন্য তাকে বেশ ধরাধরি নাকি করতে হয়েছে। আজকাল ধরাধরি না করলে উপরে ওঠা যায় না। তিনি যদি আর একটু টাইট করে ধরেন তাহলে এসপি ও হয়ে যেতে পারেন।

পুলিশঃ একটু বিব্রত হয়ে ধানমন্ডি থানায় ফোন করল। ( পুলিশ বলল স্যার আমরা একজনকে ধরেছি সে বলে সে আপনার লোক। কি নাম জিজ্ঞাসা করবো)

পুলিশঃ ভাই আপনার নাম কি?

হিমু

পুলিশঃ স্যার হিমু নাম । কি তাকে ফোন দেবো। ( পুলিশ হিমুর দিকে ফোন এগিয় দেয় )

হিমু ফোন নিয়ে বলল স্যার ভালো আছেন পারুল ভাবী কেমন আছেন।

সুলেমানঃ তুমি টুপি পড়ে হেফাজতের মিছিলে ঘুরছো । কথাটা কি সত্যি !!!

হিমুঃ স্যার কথাটা সত্যি। একজন ভালোবেসে টুপি পড়িয়ে দিয়েছে । কেউ ভালোবেসে কিছু দিলে রাখতে হয় তাই টুপি পড়ে আছি।

সুলেমানঃ তুমি এক্ষনি টুপি পকেটে ভরে । ওখান থেকে বের হবে।

হিমুঃ স্যার টুপি খুলতে পারব না। টুপি রাখবো কোথায় আমার তো পকেট নেই স্যার। আপনি বললে যেই পুলিশ আমাকে ধরেছে তার মাথায় পড়িয়ে দিয়ে আসতে পারি ।

সুলেমানঃ ফোনটা পুলিশ কে দেও

হিমু ফোন পুলিশকে এগিয়ে দিতে দিতে বলল নেন স্যার আপনার সাথে কথা বলবে।

পুলিশঃ ফোন নিয়েই বলল । জ্বি স্যার ঠিক আছে স্যার। ( পুলিশ ফোন রেখেই হিমুকে বলল আপনি যান )

হিমু পুলিশের ঘেরা থেকে বের হয়ে এলো । তার মাথায় টুপি নেই । বেরিয়ে আসার সময় পুলিশ সেটা রেখে দিয়েছে, সুলেমান স্যারের কথায় এটা হয়েছে। হিমু রাস্তায় হাটছে আজকের দিন কেন জানি অন্য রকম । এক অদ্ভুত নিরবতা বাতাসে ।

দুই

খালূ সাহেবের অবস্থা খারাপ তার নতুন গাড়ি হেফাজতরা আগুনে ধরিয়ে দিয়েছে। মকবুল আবার পালিয়েছে । গাড়ি রক্ষার দায়িত্ব তার ছিল । হিমু রমিজের মাদ্রাসায় গিয়েছিল পরের দিন দুপুরে। রমিজের খোঁজ পাওয়া যায় নি। সে হাসপাতাল আর সুলেমান স্যারের কাছেও গিয়েছিল । সুলেমান স্যার বলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শোননি মাত্র ১১ জন মারা গিয়েছে। হিমু আর কিছু বলে নি, বলতে ইচ্ছাও করে নি। সে হাটতে লাগল, হাটতে হাটতে সে এক পার্কে গাছের নিচে বসল । তার খুব ক্লান্ত লাগছে। চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষন থাকতেই । সে তার বাবাকে দেখতে পেল। তার বাবার হাতে একটা বন্দুক ।

হিমু স্বপনেই তার বাবা জিজ্ঞাসা করল বাবা তোমার হাতে বন্দুক কেন

বাবাঃ দেখতে ইচ্ছা করছিল এই জিনিসটা হাতে থাকলে কেমন করে মানুষ বদলে যায়।

হিমুঃ বাবা আমার মনটা মারাত্মক খারাপ ।

বাবাঃ মন খারাপ করার কারণ

হিমুঃ কারন রমিজ

বাবাঃ মন খারাপ করার কারণ নেই সকলকেই মরতে হবে । হিমুদের মায়া পড়তে নেই । তুমি মায়ায় পড়ে যাচ্ছো ।

হিমু চোখ খুলল এমন সময় সে আযান শুনতে পেল । কেন যানি তার ইচ্ছা করছে একটা টুপি কিনতে।





মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

চারশবিশ বলেছেন: ভাল লাগল, খুবই ভাল লাগল

২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

মোঃ জুম্মা বলেছেন: আমারও ভালো লাগল যে আপনার ভালো লেগেছে ।

২| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ভাল লেগেছে ! :)

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

মোঃ জুম্মা বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ !

৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১৪

রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: হুমায়ন আহমেদকে খুবই মিস করি, মিস করি হিমুকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

মোঃ জুম্মা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেউ পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য। স্যারকে সত্যি মিস করছি ।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১৬

তাজুল ইসলাম2009এ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে হয়তবা এরকম একটা ঘটনা নিয়েই হিমুর নতুন বই লিখতেন..তার অভাব কিছুটা হলেও পূরণ হল..

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

মোঃ জুম্মা বলেছেন: ভালো লাগছে বন্ধু তোমার মন্তব্য শুনে।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২৮

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: গল্পের মাধ্যমে ইঙ্গিত দিলেন অনেক কিছুর প্রতি...........

গল্প ভালো লাগছে...................

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪০

মোঃ জুম্মা বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩১

হিমু71 বলেছেন: খুব ভাল লাগছে। স্যার তাকলে …………………

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪২

মোঃ জুম্মা বলেছেন: স্যার থাকলে অসাধারণ কিছু সৃষ্টি হতো । তিনি শেষের দিকে ইতিমূলক এবং সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লিখতে শুরু করেছিলেন।

৮| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এক নিঃশ্বাসে পড়লাম ... ভালই ..

৯| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৫

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: মনে হচ্ছে কতদিন পর হিমু পড়লাম । সুন্দর হয়েছে ভাই

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০৭

মোঃ জুম্মা বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১:০১

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: :)

১১| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩৩

নূর আদনান বলেছেন: + + + +
apni to sir ar motoi lekhtesen dekhi..

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০৭

মোঃ জুম্মা বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

শোয়াইব আহেমদ বলেছেন: ভালো লাগলো ++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.