![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিমু মত এলোমেলো পথে জোছনায় ময়ুরাক্ষীর পাড়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা, ধীরে নদীর পানি গ্রাস করতে থাকে আমাকে .....। ফেসবুকে আমিঃ https://www.facebook.com/hiimmuu
একটি ধর্ষনঃ অতঃপর ?
পাশের রিকশায় লুবনার মত একটা মেয়েকে দেখে চমকে ওঠে রাব্বী ।বন্ধুদের কাছে শুনেছে লুবনার অনেক ছেলের সাথে রিলেশান।কিন্তু লুবনাকে রাব্বী চেনে। সুন্দরী বলেই এত অপবাদ । পরীক্ষা করে প্রমান পেয়েছে অনেকবার ।মেয়েটার দোষ নেই ।
জ্যামে পড়ে পাশের রিকশায় লুবনার স্বর শুনে ভড়কে যাবার পর রাব্বী খানিকটা অসহায় বোধ করতে থাকে । ৫ বছরের রিলেশান ওদের ।
ক্লাস নাইনে থাকতে লুবনা আর রাব্বী একই কোচিং সেন্টারে যেত । প্রায় দিন পাশাপাশি সিএনজিতে বসতো ।
রাব্বী খানিকটা লাজুক প্রকৃতির । তাই একটু সরে বসতো । ফান বা অন্য যাই উদ্দেশ্যেই হোকঃ লুবনা চেপে বসতো আরো।সেটা অন্য কারো সাথে করতো না । ছোট বেলার বন্ধু বলেই এতটা চিনতো রাব্বীকে ।
একদিন হাতটাও ধরেছিলো । আর রাব্বী অবাক হয়ে হাতটা অন্য হাতে ধরে রেখেছিলো । বুকের মধ্যে বান ডেকেছিলো ভালোবাসার।রাব্বীই প্রপোজ করে লুবনাকে । কয়েকদিন ঝুলিয়ে রাজি হয় লুবনা।
ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়া আর শপিং পাগল মেয়েটার পিছে টাকা উড়াতেই বেশি পছন্দ করতো রাব্বী। লুবনা বাঁধা দিতো । বলতো এত আস্কারা দিয়ো না ।
প্রথম চুমু ক্যাফের আলো আঁধারীতে।পারিবারিক ভাবেই বিয়ে ঠিক দুজনার। এমনকি ফিজিক্যাল রিলেশানও আছে।
তবু ?
রাব্বী আর ভাবতে পারে না ।
পকেটের ফোন বের করে লক খুলে ওয়ালপেপারে দেয়া লুবনার মুখটা দেখে কষ্ট লাগে।
নিশ্চিত হতে ফোন দেয়।
পাশের রিকশায় ফোন বাজে ।
হ্যাঁ , লুবনার ফোন বাজছে । কারন রিংটোনটা চেনা ।
লুবনা পাশের ছেলেটিকে বলেঃ
ছাড়ুন।
আর্তনাদ করে লুবনা ।
ছেলেটা হয়তো থামতে চায় না ।
আহ করে একটা অস্ফুট শব্দ করে লুবনা বলেঃ কি হচ্ছে এসব ! আপনি আমাকে প্লিজ স্পর্শ করবেন না এভাবে। আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে !
রাব্বী ফোন রেখে দেয়। লুবনাকে সে ভালোবাসে ।সন্দেহও করতে গিয়েও পারে না।কারন জানে লুবনা এমন নয় ।ভাবে হয়তো অন্য কেউ হবে।লুবনার অনেক সাহস ।সে এমন অন্যায় সহ্য করবে না ।
ততক্ষণে জ্যাম ছেড়ে রিকশা এগিয়ে চলছে বহুদুর ।
দু"মাস পরের ঘটনাঃ
লুবনার স্ক্যান্ডাল ভিডিও বেরিয়ে পড়ে ।সাথে খবরঃ লুবনা প্রেগনেন্ট ।
সব ভুলে গিয়ে রাব্বী আবার লুবনাকে ফোন দেয় ।
লুবনা ফোন ধরে না প্রথমে ।
কয়েকবার রিং হবার পরে ধরে।
কাঁপা কন্ঠে বলেঃ
- হ্যালো । তুমিও কিছু বলবে ? বলো।
: তুমি প্রেগন্যান্ট ।
- হ্যাঁ ।
: আমি যদি সন্তানটার বাবার পরিচয় দিতে চাই রাজি হবে ?
- না ।
: ক্যানো ?
- কারন সন্তানটা তোমার নাও হতে পারে ।
: প্লিজ ।
- আমি ভুল করেছি আর তুমি উপহাস করছো ?
: আমি আসছি । তুমি লাল শাড়ি পড়ে থাকো ।
- আমি জানি তুমি আসবে না । বড্ড দেরী করেছি আমি।তোমায় অনেক কিছু বলার ছিল । তোমায় ভালোবাসতে পারি নি । প্লিজ ক্ষমা করো না আমায় অভিশাপ দিয়ো ।
বলেই ফোন কেটে দেয় ।
গুছিয়ে লাল শাড়ি পড়ে।বড় করে টিপ দেয় লুবনা ।
কয়েক ঘন্টা পর রাব্বী আসে । এসে দেখে অনেক ভীড় । এম্বুলেন্সের শব্দ আর ভীড় ঠেলে যেতে শোনে ছাদ থেকে মেয়েটা লাফিয়ে পড়েছে ।
লাল শাড়িটা রক্তে ভিজে আরো লাল হয়েছে। হাতের মুঠোয় ধরা একটা চিঠি পায়ঃ
প্রিয়তমমেষু ,
কয়েকজন কলিগ অফিসের একটা পার্টিতে আমায় ধর্ষণ করে ক্যামেরায় ধারণ করেছিলো নগ্ন দৃশ্য ।
আমি শরীর দিতে বাধ্য হয়েছি । শুধু তাদেরকেই না অনেক মানুষকে।আমি সেই সন্তানকে তাই পিতার পরিচয় দিতে পারি না ।
আমায় ক্ষমা করো দিয়ো ।
ইতি
লুবনা ।
রাব্বীর হাত থেকে চিঠিটা পড়ে যায় । চোখে ভাসে মেয়েটার মিষ্টি হাসি। সাহসী মেয়েটার লাশ নিয়ে যায় লাশকাটা ঘরে।রাব্বী কিছুই করতে পারে না ।
রাতের আঁধার নামতেই শপথ নেয় রাব্বী । যে করেই হোক সে লুবনার সাথে অন্যায়ের বদলা নিবে।
একটা একটা করে খুন করবে ঐ পিশাচদের।
শখের বশে শেখা শ্যুটিং প্রাকটিস কাজে দিবে তাকে । একটা একটা করে পশুকে সে পাঠাবে লাশ কাটা ঘরে ।
জোছনা করেছে খুব । রাব্বী এলোমেলো পা ফেলে হাঁটে ।
চিত্কার করে বলতে চায়ঃ লুবনা আমায় ক্ষমা করে দিয়ো ।
লুবনা কি শুনছে ?
[[ গল্পটি লিখার পর নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই । ]]
লিখাঃ কাব্যপ্রেমী রিফাত ।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: ঠিক যুত লাগলোনা !
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বুঝতে পারলাম না। পরে আবার হয়তো পড়তে হবে।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
নীলাবেশ বলেছেন: এমন তাই দরকার। এখন সময় এসেছে প্রতিশদ নেয়ার।
৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫৪
কাব্যপ্রেমী রিফাত বলেছেন: দুঃখিত । দেরি করে ফেলেছি
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: ভালো লাগলো,কিন্তু কেমন যেন!