![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিমু মত এলোমেলো পথে জোছনায় ময়ুরাক্ষীর পাড়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা, ধীরে নদীর পানি গ্রাস করতে থাকে আমাকে .....। ফেসবুকে আমিঃ https://www.facebook.com/hiimmuu
- আমাকে স্পর্শ করবে না !
: আশ্চর্য ! হাতটাই তো ধরেছি ।
- না করেছি না ? এসব অন্যদের সাথে করবে ?
: অন্য কারো সাথে মানে কি ? হাত ধরতে অন্য একটা প্রেম করবো ?
হঠ্যাত্ ফারিয়ার ফোনটা বেজে উঠে । বর্ষনকে চুপ করতে বলে মেয়েটি ফোন ধরে । একটা ঠিকানা লিখে । অপরপাশে যে একজন ছেলে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে । ঠিকানা লিখে দ্রুত ভ্যানিটি ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে ।
তারপরঃ
- বর্ষন , আজ শপিং করা লাগবে ।
: ওকে । চল ।
প্রাইভেট কারে উঠতেই ফারিয়া সাজতে শুরু করে । লাল রঙ এর কড়া লিপস্টিক । দেখতে দেখতে বর্ষন প্রশ্ন করেঃ
- যে ঠিকানা লিখলে ঐটা তো ভালো জায়গা না । ঐখানে কি কাজ ।
হাত থেকে আয়নাটা পড়ে যায় ফারিয়ার । রাগ করে বলেঃ
: গাড়ি থামাও । আমাকে ডাউট করো ?
- সন্দেহ ? আমি ?
: সবসময়ই তো করো ।
- তুমি তো অনেক ছেলের সাথে বের হও । কিছু বলেছি । শপিং মলে অনেক ছেলের সাথে দেখেছি । এমনকি মাতাল অবস্হায় একদিন নিজে বন্ধুর বাসা থেকে এনেছি । আর ...
: Stop it. you son of bitch.
- ফারিয়া !
: just shut up and stop the car.
বর্ষন গাড়ি থামাতেই মেয়েটা নেমে যায় ।
সময়ঃ
রাতঃ সাড়ে বারোটা ।
বর্ষন ছদ্মবেশ নিয়েছে ।সাথে আছে দুজন বন্ধু । ওরা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে এটা একটা রেড পার্টি প্লেস।
স্বল্প আলো আর স্কার্ট পড়া মেয়েরা এলোমেলো ঘুরছে ।
বিয়ার আর শ্যাম্পেইন ছাড়াও সিগারেটের উত্কট গন্ধ ।
বেশি দেরী করতে হলো না । ফারিয়া একটা ছেলের সাথে আসে ।
ভেতরে এসেই ফারিয়াকে কিস করে।
একপাশে গান বাজছে । তার সামনে সব নাচছে । এলে পড়ছে এর ওর শরীরে ।
পাশে আছে খুপরী টাইপ ঘর ।
টলতে টলতে সব কাপল হয় ঢুকছে । ফারিয়া সাথে আসা ছেলেটাও গেল কাউকে নিয়ে ।
বর্ষন ফারিয়ার কাছে যেতেই ফারিয়া বলেঃ
টেন থাউসেন্ড ফর টু আওয়ারস।
বর্ষন উয়িগ [পরচুলা] খুলে ফেলে দেয় ফারিয়ার পায়ের কাছে ।চোখ ভর্তি জল থৈ থৈ করছে ।
ফেলে দিয়ে বাইরে এসে ড্রেনে মুখ ভরে বমি করে ।
অবাক হয়ে ভাবে , দশ হাজার টাকা ? মাত্র ? ফারিয়ার বাবা নিজেও তো কোটিপতি । বর্ষনেরই বা কি নেই ?
শরীর মূল্য এত কম ? ছিঃ ছিঃ
মেয়েটা কি তাকে কখনোই ভালোবাসতো ? খারাপ দেখায় বলে হাতটা পর্যন্ত ধরতে পারেনি ।
অথচ ? কি সহজেই শরীরটা ...
ভাবতেই আবার মাথা গুলিয়ে ওঠে । ফারিয়ার মুখ ভেসে উঠতেই দ্বিতীয়বার বমি করে ।
দ্রুত গাড়ি চালিয়ে আসতে থাকে । অল্পের জন্য এক্সিডেন্ট করতে বেঁচে যায় ।
রাত ৪ টায় নক করে দরজায় । প্রথম এত রাত করে বাসায় ফিরেছে । দেখে মা জেগে আছে । টেবিলে খাবারটা পর্যন্ত গরম ।
প্রথমে খেতে চায় না । পরে খায় । ফারিয়ার জন্য কষ্ট পেয়ে কি হবে ? বর্ষনের খেতে কষ্ট হয় । তবু মা এসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই কেঁদে ফেলে ।
ভালোবাসা কি দুষ্প্রাপ্য ? হ্যাঁ মায়ের মত ভালোবাসা বা যত্ন কারো কাছে আশা করা ভুল ।
আমরা ভুল মানুষের আবেগকেই ভালোবাসি অন্ধের মত । দিনশেষে চোখের জল ফুরিয়ে হয়ে যাই একা । ভীষণ একা ।
পাদটীকাঃ পশ্চিমা ধাঁচের গল্প ।মোটেও অবাস্তব গল্প না ।
কিছু মেয়ের ভালোবাসা কেবল বস্তুকেন্দ্রিক স্বার্থ নিহিত । নিজেদের নিয়ে মহাব্যস্ত বলে অন্যকে বুঝতে চায় না । ভালোবাসতে পারে না কাউকেই । মানিব্যাগের স্বাস্হ্য কমাতে পারদর্শী।
মোরালঃ কর্পোরেট প্রেমিকা হইতে সাবধান।
লিখাঃ কাব্যপ্রেমী রিফাত ।।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১১
তাসজিদ বলেছেন: বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে।
চালিয়ে যান। +++++++++++++++++++++
৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫১
বেলা শেষে বলেছেন: আমরা ভুল মানুষের আবেগকেই ভালোবাসি অন্ধের মত । দিনশেষে চোখের জল ফুরিয়ে হয়ে যাই একা । ভীষণ একা ।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: ঘটনা কি এরকম ঘটে? এত সস্তা হয়া গেছে এগুলা? বিশ্বাস হয় না।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪১
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: আবারও ভালোলাগা।
তবে পাদটিকাটা একতরফা হয়ে গেল।