নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মায়াবতী বেঁচে থাকবে আমার গল্পে, গল্পেই তার জন্ম, গল্পেই তার অস্তিত্ব আর আমার অস্তিত্ব মায়াবতীর কল্পনায়...... অসাধারন কল্পনা থেকে বাস্তবতায় সাধারন বেশে হেঁটে হেঁটে পৃথিবীর ধূলিকণা খাই...

কাব্যপ্রেমী রিফাত

হিমু মত এলোমেলো পথে জোছনায় ময়ুরাক্ষীর পাড়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা, ধীরে নদীর পানি গ্রাস করতে থাকে আমাকে .....। ফেসবুকে আমিঃ https://www.facebook.com/hiimmuu

কাব্যপ্রেমী রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা ও অপেক্ষা

২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১০

ক্লাসে গিয়ে তারেক তো পুরো অবাক ! ক্লাসে একটা সুন্দরী মেয়ে । তাও আবার তার সিটে বসেছে । তারেক স্কুল ক্যাপ্টেন ব্যাজ ঠিক করে নিলো ।



গিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে গম্ভীরমুখে বললোঃ এটা আমার সিট । উঠে পড়ো ।

মেয়েটাই বা কম কিসে ?

উঠে দাঁড়িয়ে বললোঃ সিটে তোমার নাম লেখা আছে কোথাও ? নজরে পড়েনি ।



তারেক খানিকটা অবাক হয়।

চুপ করে বসে পড়ে পিছের দিকে ।



দশম শ্রেনীর ক্লাস , সপ্তাহ দুয়েক ক্লাস শুরু হয়েছে । মেয়েটাও নতুন । তারেক ভেবে রাখে আজ মেয়েটাকে শিক্ষা দিবে ।

কিন্তু ফাঁকিবাজের দল কেউ ক্লাসে আসছে না ।



একদল যাবে প্রেম করতে অন্যদল স্কুলের এখানে ঐখানে । যে দুইটা চারটা আসবে সেগুলা খালি বই পড়ে ।



খানিকবাদে জি এম স্যার ক্লাসে ঢোকে । দেখে সুন্দরী মেয়েটার পিছে তারেক বসা । দেখেই হুংকারঃ

দেশে কি কায়দা কানুন উঠে গেছে । মেয়ে হতে মন চাইলে কানে দুল পড়ে আসবি । পেছন পেছন কি রে ।



তারেক আমতা আমতা করে জবাব দিতে যায় তার আগেই স্যার থামিয়ে দেয় । জানালার পাশের সিটটা বেদখল হতেই মন খারাপ করে তারেক ।



জানতে পারেঃ মেয়েটার নাম সামিয়া । নতুন এসেছে ।



ক্লাসশেষে বাড়ি ফেরার সময় দেখে মেয়েটা পিছে লেগে আছে । কয়েকবার খেয়াল করে দেখে কিন্তু মেয়েটার ভাবান্তর নেই । দেখতে দেখতে রাস্তার খাম্বায় প্রায় মাথা ঠুকে গিয়েছিলো ।



ঝাড়ি দিতে যাচ্ছিলো কিন্তু দেখে মেয়েটি পাশের বাড়ির গেট দিয়ে হাসতে হাসতে ভেতরে ঢুকে গেল।



ড্রেস চেন্জ করে থ্রি কোয়ার্টার পড়ে বারান্দায় এসে দেখে অপর পাশের বারান্দায় একটা টিয়ে পাখিকে ।

একটু পরে সামিয়া আসে ।



রাগ করে ভেতরে যায় তারেক ।



এভাবেই চলতে থাকে ।



সন্ধ্যায় ছাদে গান করতে গেলেই পাশের বাসার ছাদ থেকে কাগজ ছুড়ে দৌড়ে পালায় কেউ । পাশের বাড়ির ছাদ একতলা বেশী উঁচু তাই জানা হয় না ।



এভাবেই চলতে থাকে । প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কথা হয় ।

তবে বন্ধুত্ব হয় এস এস সি আগে ।



ফেসবুক আইডি দেয় সামিয়া কিন্তু তারেকের আইডি নেই ।



এস এস সি পরীক্ষার পরে তারেক সামিয়াকে প্রপোজ করা সিদ্ধান্ত নেয় ।



কিন্তু পরীক্ষা শেষ হতেই ওরা চলে যায় ।আগের নাম্বারটাও বন্ধ ।



শেষ উপায় খুঁজতে ফেসবুকে যায় । দেখে সামিয়ার সাথে একটা কিউট ছেলের ছবি । রিলেশানশিপ স্ট্যাটাস In a relationship.



তবু মনের কথা গুছিয়ে কিছু কথা লিখে পাঠিয়ে দেয়। আর বলে তার বি এফ কে তার পাশে বেশ মানায় ।



তারপর আইডি ডিএকটিভ করে দেয় ।



রাতে হঠ্যাত্‍ খেয়াল করে ফোন বাজছে ।

ফোনটা ধরতে ইচ্ছে করে না ।

গীটারে টুংটাং করতে করতেই ফোনটা হাতে নেয় । দেখে সামিয়া ।

ফোন কেটে দেয় রাগ করে ।



সামিয়া টেক্সট করেঃ গাধা ও আমার খালাত ভাই।ইন রিলেশানশীপ না দিলে সবাই ডিস্টার্ব করে । আর আমি ঐ কলেজেই ভর্তি হবো ।

আর বলতে এত সময় লাগলো ক্যান ? আমি তো জানতামই ....



কল দেয় তারেক ...



আজ কলেজের প্রথমদিন ।

তারেক সবার আগে ক্লাসে গিয়ে বসে থাকে ।

অপেক্ষা করে সামিয়ার ।



হঠ্যাত্‍ দেখে সামিয়া আসছে ।



কিন্তু

তার আগেই স্যার আসে । এসেই বলেঃ মেয়েদের সিটে বসা মোটেও ভালো লক্ষণ নয় ।



মুখ কালো করে উঠে বসে পাশের বেঞ্চে ।সামিয়া বসে তারেকের বসা সীটে ।



অপেক্ষা করতে থাকে ছুটির ঘন্টার ...



লিখাঃ কাব্যপ্রেমী রিফাত ।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩১

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: ভাল লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.