![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রিগোরি স্টিফেন চ্যাপেল, এমবিই (জন্ম: ৭ আগস্ট, ১৯৪৮) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আনলে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলে খেলেছেন। পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংও করতেন গ্রেগ চ্যাপেল। এছাড়াও তিনি জাতীয় দলের অধিনায়কও ছিলেন। অবসর পরবর্তীকালে তিনি কোচের দায়িত্ব পালন করেন। প্রারম্ভিক জীবন:দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আনলে এলাকায় গ্রেগ চ্যাপেল জন্মগ্রহণ করেন। মার্চিন ও জেন দম্পতির তিনি ছিলেন তৃতীয় পুত্রের মধ্যে দ্বিতীয়।[১] খুব অল্প বয়সেই ক্রিকেটের প্রতি আসক্ত হন তিনি। বাবা মার্টিন ছিলেন অ্যাডিলেডের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার। মাতুলালয়ের দাদা ভিক্টর রিচার্ডসন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক ছিলেন।[২] বড় ভাই ইয়ান চ্যাপেল ও ছোট ভাই ট্রেভর চ্যাপেল অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে খেলেছেন। বড়ভাই ইয়ানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শীর্ষস্থানে উঠে আসেন। লিন ফুলারের কাছ থেকে সাপ্তাহিক শিক্ষা গ্রহণ করতেন। খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সময়কালে তিনি অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। তারপর তিনি বিতর্কিত বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। তারপর তিনি পুণরায় ১৯৭৯ সালে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন যা ১৯৮৪ সালে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পূর্ব-পর্যন্ত ছিল।[৪] চ্যাপেল ভাতৃত্রয়ের মধ্যে দ্বিতীয় গ্রেগ চ্যাপেল অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রভাববিস্তারকারী খেলোয়াড় ছিলেন ও গভীর মনোযোগের সাথে ব্যাটিং করতেন।[৫] ব্যতিক্রমধর্মী অল-রাউন্ডার হিসেবে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। অবসর নেয়ার সময় তিনি টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ক্যাচ লুফে নেয়ার রেকর্ডের দাবীদার ছিলেন।[৬] চ্যাপেলের খেলোয়াড়ী জীবন দুইটি যুগে বিভক্ত হয়েছে যা বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটের পর ক্রিকেট খেলায় পেশাদারীত্বের সৃষ্টি হয়।
আন্ডারআর্ম বিতর্ক
১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১ তারিখে আন্ডারআর্ম ঘটনার সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। ১-১ ব্যবধানে সিরিজ অগ্রসর থাকা অবস্থায় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটের তৃতীয় ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় তাঁর দল।[৮] ২৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে ব্রুস এডগার (১০২*)[৯] ও স্ট্রাইকিং প্রান্তে ব্রায়ান ম্যাককেচনি তখন চূড়ান্ত বলে ছক্কা হাঁকিয়ে টাইয়ের দিকে দলকে নিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ও বড় ভাই হিসেবে তাঁর পরামর্শক্রমে আম্পায়ার বোলিংয়ের ধরন পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু অস্ট্রেলীয় উইকেট-কিপার রড মার্শ আপত্তি তোলেন। মার্শের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ট্রেভর চ্যাপেল মাঠে বল গড়িয়ে বোলিং করেন ও ম্যাককেচনি বলটি আটকিয়ে দেন। এরপর ম্যাককেচনি তাঁর ব্যাট দূরে ছুড়ে ফেলে দেন। এ সময় খেলার ধারাভাষ্যকার হিসেবে নিয়োজিত তাঁদের বড় ভাই ইয়ান চ্যাপেলকে ‘না, গ্রেগ, না, তুমি এমনটি করতে পার না’ বলতে শোনা গিয়েছিল।[১০] এরফলে তৎকালীন ক্রিকেটের আইনে বর্ণিত নিয়মাবলী অনুসরণ করেও অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে।[১১][১২] অস্ট্রেলিয়া শিরোপা লাভ করলেও স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৫০,০০০ দর্শকের অধিকাংশ অস্ট্রেলীয় দর্শক বু-বু-বু বলে ধিক্কার জানায়। খেলার পর চ্যাপেল ভ্রাতৃদ্বয় জনসমক্ষে তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও ম্যাককেচনি ঘটনাটিকে পাশ কাটিয়ে যান।
অবসর পরবর্তী সময়কাল
১৯৮৪ সালে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। পাশাপাশি তিনি পেশাদার ক্রিকেটের সাথে জড়িত থাকেন। ২০০৫ সালে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলে দুই বছরের চুক্তিতে কোচ হন। কিন্তু সিরিজে বিতর্ক ও ব্যক্তিত্বের সংঘাতের ফলে ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করায় ৪ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে কোচের পদ থেকে অব্যহতি নেন।[১৪][১৫] রাজস্থান রয়্যালসের অ্যাকাডেমি কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালের টুয়েন্টি২০ খেলায় অল স্টার্স কোচের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অংশ নেন।[১৬] চ্যাপেল ওয়ে’র অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট সামার ক্যাম্পের কয়েকটি সিরিজে নির্বাহী কোচ ছিলেন তিনি।[১৭]
জাতীয় পর্যায়সহ কুইন্সল্যান্ড দলের নির্বাচক নিযুক্ত হন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য ও জাতীয় দলের কোচ মনোনীত হন। ২৯ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে মার্ভ হিউজের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের নির্বাচক মনোনীত হন। ২০১০-১১ মেয়াদে নির্বাচকের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে টেস্ট দল ব্যাপক সাফল্য লাভ করে। ইংল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে অ্যাশেজে পরাজিত করাসহ শ্রীলঙ্কাকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে অস্ট্রেলীয় দল। ড্রেসিং রুম থেকে খেলোয়াড়দের বের হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। আগস্ট, ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে তাঁকে নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে অব্যহিত দেয়া হয়।
সম্মাননা
২০০০ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক প্রণীত শতাব্দীর সেরা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড দলেও তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পড়ে ভালো লেগেছে।