![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আহযাবের যুদ্ধে জয়লাভ করলেও মদীনা ও মক্কার সর্বময় কর্তৃত্ব তখনও ইসলামের হাতে আসেনি। কাফেররা প্রতিনিয়ত ইসলামের পথে চলা সাহাবীদের মনোবল দুর্বল করে দেয়ার চেষ্টা করতে থাকল। তখনও তারা হযরত মুহম্মদ (সাঃ) ও ইসলামের বিরূদ্ধে কুৎসা ও গুজব রটানো চালিয়ে গেল। কেউ কেউ সরাসরি মহানবী (সাঃ) এর কাছে কিয়ামতের দিনক্ষণ জানতে চেয়ে বিদ্রুপ করতে থাকল। তাদের সতর্ক করে দিয়ে আয়াত নাযিল হল:
৬০. মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে এবং যারা নগরে গুজব রটনা করে, তারা বিরত না হলে আমি নিশ্চয়ই তাদের বিরূদ্ধে তোমাকে প্রবল করব। এরপর এই নগরীতে তোমার প্রতিবেশী রূপে তারা স্বল্প সময়ই থাকবে-
৬১. অভিশপ্ত হয়ে; তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই ধরা হবে। এবং নির্দয়ভাবে হত্যা করা হবে।
৬২. পূর্বে যারা অতীত হয়ে গেছে তাদের ব্যাপারে এটাই ছিল আল্লাহর বিধান। তুমি কখনো আল্লাহর বিধানে কোন পরিবর্তন পাবে না।
৬৩. লোকেরা তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বল, এর জ্ঞান শুধু আল্লাহরই আছে। তুমি এটা কি করে জানবে যে সম্ভবতঃ কিয়ামত খুব শীঘ্রই হয়ে যেতে পারে?
৬৪. আল্লাহ কাফিরদেরকে অভিশপ্ত করেছেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জ্বলন্ত অগ্নি।
৬৫. সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং তারা কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।
৬৬. যেদিন তাদের মুখমন্ডল আগুনে পুড়ানো হবে সেদিন তারা বলবে, হায় আমরা যদি আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ) কে মানতাম।
৬৭. তারা আরো বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের আনুগত্য করেছিলাম এবং তারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল।
৬৮. হে আমাদের প্রতিপালক! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি প্রদান করুন এবং তাদেরকে দিন মহা অভিসম্পাত।
৬৯. হে মুমিনগণ! মুসা (আঃ) কে যারা কষ্ট দিয়েছে তোমরা তাদের মতো হয়ো না। তারা যা রটনা করেছিল আল্লাহ তা হতে তাকে নির্দোষ প্রমানিত করেন। এবং আল্লাহর নিকট তিনি মর্যাদাবান।
৭০. হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর ও সঠিক কথা বল।
৭১. তাহলে তিনি তোমাদের কর্মকে ত্রুটিমুক্ত করবেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। যারা আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ) এর আনুগত্য করে তারা অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে।
৭২. আমি তো আসমান জমিন ও পর্বতমালার প্রতি এই আমানত অর্পন করেছিলাম, তারা এটা বহন করতে অস্বীকার করল। এবং শংকিত হল। কিন্তু মানুষ এটা বহন করল। নিঃসন্দেহে সে বড় জালিম ও অজ্ঞ।
৭৩. পরিণামে আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী এবং মুশরিক পুরুষ ও মুশরিক নারীকে শাস্তি দিবেন। এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে সুরা আল আহযাবের ব্যাখ্যামূলক যে লেখাটি শুরু করেছিলাম, আজ তার সমাপ্তি টানতে সক্ষম হলাম। আমার চেষ্টা ছিল এমনভাবে সুরাটি সম্পর্কে লিখতে যাতে সবার পড়ার আগ্রহ হয় এবং সবাই সহজে এর বিষয়বস্তু বুঝতে পারে। জানি না, আমার চেষ্টায় কতোটা সফল হলাম। এ প্রচেষ্টাটি যদি অন্তত একজনকেও কোরান বুঝে পড়ার প্রতি আগ্রহী করতে পারে, আমি আনন্দিত হব। সবাইকে দীর্ঘদিন পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।)
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
কয়েস সামী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগ ল ভাই । আপনি এই সিরিজ চালিয়ে যাবেন (অন্য সুরা দিয়ে ) অনুরধ রইল । শুভেচ্ছা ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
কয়েস সামী বলেছেন: অাপনি প্রথশ থেকে সাথে ছিলেন দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬
বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ভাই, চালিয়ে যান।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
কয়েস সামী বলেছেন: ইনশাআল্লাহ।
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
তাজ ২৭ বলেছেন: THANKS VAI,CARRY ON
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
কয়েস সামী বলেছেন: চেষ্টা থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
রাশেদ বিন জাফর বলেছেন: ভালোই লাগল..........