![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-শোন, তোর কোন পছন্দ আছে কি না আমাদের বলতে পারিস। আমরা চেষ্টা করব তার সাথেই যাতে তোর বিয়ে হয়।
আজ দুবছর ধরে হাজার চেষ্টাতেও ছেলে বিয়েতে রাজী হচ্ছে না দেখে অবশেষ রহিমা খাতুন তার ছেলের সাথে খোলামেলা বৈঠকে বসতে বাধ্য হয়েছেন।
ছেলে কোন জবাব দিচ্ছে না দেখে আবার বললেন, দ্যাখ্ কোন সমস্যা নাই। মেয়েটা যেই হোক না কেন, আমরা খুব চেষ্টা করব। আমি তোকে কথা দিচ্ছি, তোর বাবাকে আমি নিজে বুঝাবো। তুই নিঃসংকোচে বল্।
সাকিব কিছুক্ষণ ভাবল। মা কে কথাটা বলার জন্য সাহস সঞ্চয়ের চেষ্টা করল, তারপর তার প্রেয়সীর নামটা বলার জন্য তৈরী হল,
-হুমমম...।
-নাম কী?
-ফ্লোরা।
-পুরো নাম বল।
-ফ্লোরা খন্দকার।
-বাসা কোথায়?
-ঢাকায়।
-বাবা কী করে?
-ব্যবসা-ট্যাবসা, কিছু একটা।
-দেশের বাড়ি কোথায়?
- বোধহয় রাজশাহী।
-এতো দূরে! তুই তাকে চিনলি কিভাবে?
-সিনেমায় দেখে।
-সিনেমায় দেখে! সাকিবের মা কিছুক্ষণ ভাবলেন। তারপর বললেন, ও...! তুই কি চিত্র নায়িকা ফ্লোরা খন্দকারের কথা বলছিস?
-হু!
মা হেসে উঠলেন। বললেন, আমি কিন্তু তোর সাথে সিরিয়াসলি কথা বলছি। ফাজলামি না করে সিরিয়াস হ।
-মা. আমার কণ্ঠে কি কোন ধরনের ফাজলামি প্রকাশ পাচ্ছে? আমি সিরিয়াসলিই বলছি। ফ্লোরাকে ছাড়া আমি আর কাউকে বিয়ে করতে পারব না মা।
-এসব কী পাগলামি করছিস! কোথায় ফ্লোরা খন্দকার আর কোথায় তুই? সে কেন রাজী হবে তোকে বিয়ে করতে?
-সে রাজী বলেই তো বলছি মা।
-সে রাজী? কী বলিস ত্ইু!! তার সাথে কি তোর যোগাযোগ হয়?
-হবে না কেন? হয়। প্রতিদিন হয়।
সাকিবের মার চোখ বড় বড় হয়ে গেল। চোখ বড় হয়ে যাবার যথেষ্ট কারণও অবশ্য আছে। ফ্লোরা খন্দকার এ সময়ের তুমুল জনপ্রিয় চলচ্চিত্র শিল্পী। দু বছর আগে লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করার পর তাকে আর কখনো পিছু ফিরে তাকাতে হয় নি। এখন সে বাংলাদেশের প্রথম সারির পাঁচ নায়িকার মধ্যে অন্যতম প্রধান। সেই বিখ্যাত নায়িকা, যে কিনা বাংলা সিনেমার এই আকালের সময়েও দেশের সকল তরুনদের মধ্যে ক্রেজে পরিণত, সেই নায়িকা সিলেট জেলার বড়লেখা থানার এক তরুনের প্রেমে পরে তাকে বিয়ে করতে চাইবে এটা একটা পাগলও বিশ্বাস করবে না।
২.
-আমি বাসায় গেলাম রে। আর বাইরে থাকা যাবে না। সাকিব চেয়ার ছেড়ে দুম করে উঠে দাঁড়াল। আবুল মামার চায়ের দোকানে বসে থাকা সাকিবের অন্য বন্ধুরা তার এই হঠাৎ উঠে পড়ায় অবাক হল।
-কেন? কী হয়েছে? আড্ডাটা শেষ করে যা।
-না, নিষেধ আছে। রাত আটটার পর বাইরে থাকা যাবে না।
-কার নিষেধ?
সাকিব মুচকি হাসল। তার এ হাসি দেখে সবচে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাহুল ঠিকই বুঝে নিল ঘটনাটা কী।
-কি, তোর নায়িকা নিষেধ করেছে বুঝি?
সাকিব মাথা নড়িয়ে আড্ডাস্থল ত্যাগ করল।
বাকিরা এবার রাহুলকে ঘিরে ধরল। সবার চোখে মুখ থেকে আগ্রহ ছিটকে পড়ছে।
-কী ব্যাপার? কোন নায়িকার কথা বলল রে? সবার মুখ থেকে এক সাথেই প্রশ্নটা বের হল।
-ফ্লোরা খন্দকার! রাহুল ফিসফিস করে উঠল, যেন বা কোন বেফাঁস কথা বলছে।
-কে? হালিমের প্রশ্ন।
-কী বললি! বাবুলের কণ্ঠে বিষ্ময়।
-কী কস তুই! মারুফের সন্দেহ।
-পাগল নাকি! মতি হেসে উড়িয়ে দিতে চাইল ঘটনাটা।
চার জনের চার রকমের কথার ভাবার্থ এক থাকায় রাহুলের উত্তর দিতে কষ্ট করতে হল না।
-ফ্লোরা খন্দকার নাকি সাকিবরে ভালবাসে।
-গাঁজা খাইসে বোধ হয়! হালিম এক মূহুর্তে তার সিদ্ধান্তের কথা জানাল।
-তাদের যোগাযোগটা হইল কিভাবে? মারুফের সন্দেহ তখন চরমে।
-প্রথমে নাকি ফেসবুকে মেসেজ দিসিলো সাকিব, ওইটার উত্তর দিসে ফ্লোরা। রাহুল জানাল।
-তুই দেখছস? বাবুল জিজ্ঞেস করল।
-হ। দেখসি।
-কী লেখা তাতে?
-সাকিব লিখসিল, আপনার অভিনয় আমার খুব ভাল লাগে। নায়িকা উত্তর দিসে, ধন্যবাদ।
-ঐটুকুই কেবল! হা হা হা। এইটা আবার প্রেম হইল? মারুফ হাসতে হাসতেই জিজ্ঞেস করল।
-না, তয় পরে ওরে মোবাইলেও মেসেজ দিসে। আই লাভ ইউ লিখসে। আমি দেখসি।
-তুই শিওর? নিশ্চয় হালায় অন্য মাইয়ার পাঠানো মেসেজ তোরে দেখাইসে।
-না। প্রথমে আমি বিশ্বাস করি নাই। পরে আমারে ওর নাম্বার দেখাইসে।
-রাহুল! তুই তো ওতো বোকা ছিলি না রে। সাকিব তোরে কোন একটা মোবাইল নাম্বার থেকে আসা মেসেজ দেখাল আর তুই তা বিশ্বাস করে ফেললি? তুই কি ফ্লোরার নাম্বার জানিস? বাবুল যুক্তি দেখাল।
-আমি সাকিবরে এইটাও বলসি। বলসি, দেখ আমি ফ্লোরার নাম্বার জানি না। তখন সাকিব আমারে দুই বছর আগের আনন্দ আলো ম্যাগাজিন খুলে দেখাইসে। ওখানে যে নাম্বারটা দেয়া ছিল, ওটা থেকেই মেসেজ আসছে।
এ কথার পর সবার চোখ যেন ছানাবড়া হয়ে গেল। কেউ আর এ বিষয়ে কোন কথা বলল না। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা যদি দেখতে পেতেন তাহলে বুঝতে পারতেন তাদের সবার মনের ভেতর যেন একটা আফসোস কাজ করছিল। যেন বা সবাই ভাবছিল, ইশ! ফ্লোরা যদি আমার প্রেমে পড়তো।।
খবরটা গোটা বড়লেখা শহরে চাউড় হতে খুব বেশি সময় লাগল না। কেউ কেউ খবরটাকে গাঁজাখুরি বলে এড়িয়ে গেল। আবার কেউ কেউ ভাবল, মাহিয়া মাহি যখন সিলেটের একটা ছেলেকে এসে বিয়ে করতে পারে তবে ফ্লোরা খন্দকারের মতো নায়িকা সাকিবের সাথে প্রেম করার ব্যাপারটাও অসম্ভব কিছু না।
৩.
ছোট্ট শহর বড়লেখা এক সময় সাকিবকে ভুলে অন্য কোন মুখরোচক ঘটনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল হয়তো বা। কিন্তু কিছু দিন পর সাকিবের সাথে ফ্লোরার বিয়ের কার্ড বিলি করা শুরু হলে আবার সাকিবের গল্প মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। সাকিব তার বন্ধুদের নিয়ে সারা বড়লেখা শহরের সবাইকে কার্ড বিতরণ শুরু করল। বিয়ে আসছে মার্চের ১৬ তারিখ ধার্য্য হয়েছে। বিয়ের কার্ডখানা যখন সাকিবের মা-বাবার হাতে পৌছাল তারা তৎক্ষণাৎ সাকিবকে ত্যাজ্য পুত্র ঘোষণা করলেন। বললেন, বাবা-মার সাথে আলোচনা না করে, বাবা-মাকে না জানিয়ে যে ছেলে বিয়ে ঠিকঠাক করে ফেলে সে ছেলের থাকার চেয়ে না থাকাই উত্তম। সাকিব-ফ্লোরার প্রেমকাহিনী বড়লেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তাদের বিয়ের খবর সাথে সাথে জেলা শহর মৌলভীবাজার, তারপর বিভাগীয় শহর সিলেট ও তারপর আশেপাশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল। সাকিব- ফ্লোরার বিয়ের কার্ডের ছবি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ল সামাজিক মাধ্যমে। খবর পেয়ে দৈনিক মানব জমিন তার তৃতীয় পাতায় ছোট্ট করে সংবাদ ছেপে দিল,
চিত্র নায়িকা ফ্লোরা খন্দকার অবশেষে বিয়ে করছেন
জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা ফ্লোরা খন্দকার অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার তরুণ ও সুদর্শন ব্যবসায়ী সাকিব হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন আগামী ১৬ মার্চ। বিয়ের কার্ডটি বড়লেখা থানা থেকে আমাদের হাতে এসে পৌছেছে। তবে এ বিষয়ে ফ্লোরা খন্দকারের সাথে কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
মানব জমিন ফ্লোরা খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করতে না পারলেও একাত্তর টিভির ‘শোবিজ এখন’ শীর্ষক অনুষ্ঠান ঠিকই নায়িকার সাক্ষাৎকার নিতে সক্ষম হল,
-ফ্লোরা খন্দকার, অবশেষে আপনি কি তবে বিয়ে করতে যাচ্ছেন?
-এসব ভোগাস নিউজ আপনারা কোথায় যে পান আমি সেটাই বুঝি না।
-আমাদের হাতে আপনার বিয়ের কার্ড আছে ম্যাডাম।
ফ্লোরা খন্দকার কার্ডটি হাতে নিলেন। তারপর ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, বুল শিট সব! যড়যন্ত্র! জাস্ট একটা ষড়যন্ত্র!
-তাহলে কি আপনি সাকিব নামের কাউকে চিনেন না?
-না আমি চিত্র নায়ক সাকিব আর ক্রিকেটার সাকিব ছাড়া আর কোন সাকিবকে চিনি না। প্রশ্নই উঠে না।
ফ্লোরা খন্দকার সরে গিয়ে টিভির পর্দায় ভেসে আসল সাকিবের মুখ।
-সাকিব, আপনি বলছেন আগামী ১৬ মার্চ আপনার বিয়ে। তাও ফ্লোরা খন্দকারের সাথে?
-জ্বি।
-উনার সাথে আপনার পরিচয় কবে থেকে?
-উনার প্রথম ছবি ‘যবনিকাপাত’ যখন মুক্তি পায় তখন থেকেই আমি উনাকে চিনি।
-না, আমরা বলতে চাচ্ছি, উনি আপনাকে কবে থেকে চিনেন? কিভাবে পরিচয়?
-আমি ২০১৫ সালে যখন পঁচিশে ডিসেম্বর বড়দিনের রাত একটা বেজে এক মিনিটে যখন আমি তাকে প্রথম ফেসবুকে মেসেজ দেই তখন থেকে।
-উনার সাথে সরাসরি কখনো কি দেখা হয়েছে?
-না। উনি চান দেখা করতে, কিন্তু অতো বড় নায়িকা। আমার মতো অপরিচিত এক ছেলের সাথে দেখা করলে লোকে কী বলবে, তাই দেখা করেন না।
-বিয়ের দিনক্ষণ উনি ঠিক করে দিয়েছেন?
-না, আমি নিজেই ঠিক করেছি। উনি কতো ব্যস্ত মানুষ। এসব তুচ্ছ কাজে সময় দেয়াটা উনাকে ঠিক মানায় না।
-উনাকে কি আপনি বলেছেন, যে আপনি কার্ড ছাপাতে যাচ্ছেন।
-না। উনি কার্ডটি দেখলে তো নিজেই জানতে পারবেন ।
-উনি কি আপনাকে ভালবাসেন?
-অবশ্যই বাসেন। সিনেমায় যখন ক্লোজ শটে উনি হাসেন ওটা তো আমার দিকে তাকিয়েই হাসেন। আমার উদ্দেশ্যেই সে হাসি। আর তাছাড়া এই দেখে আই লাভ ইউ লেখা মেসেজটা তো এখনো আমার মোবাইলে আছে। এই যে এই দেখেন। সাকিব মোবাইলটা প্রশ্নকর্তাকে দেখালো।
‘শোবিজ এখন’ তারপর ক্যামেরায় নিয়ে আসল বিখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মোহিত কামালকে।
‘রোগটির নাম ইরোটোম্যানিয়া। এ রোগীরা সবসময় তার থেকে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বা জনিপ্রয় কারো প্রেমে পড়ে এবং মনে করে ঐ ব্যাক্তিটিও তার প্রেমে পড়েছে। এ ধরণের রোগীদের কখনো বিশ্বাস করানো যায় না যে তাদের এ ধারণা মিথ্যে। ঐ নির্দিষ্ট ভালবাসার মানুষটি নিজে থেকেও যদি ভুলটা বুঝাতে চায় তাও রোগী তার বিশ্বাসে অটল থাকে। সাকিবের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এটাই ঘটেছে। সে ঘটনাটি তার বন্ধুদের বিশ্বাস করানোর জন্য নিজে থেকে সিম রি-রেজিষ্ট্রেশনের সময় অনেক আগে ব্যাবহৃত ফ্লোরা খন্দকারের সিমটি নিজের নামে তুলে নিয়ে তা থেকে মেসেজ লেনদেন শুরু করে। মেসেজ লেনদেনের এ বিষয়টি সে করে থাকে পুরোপুরি ঘোরের মধ্যে। সে নিজেই যে মেসেজগুলি দিত এটা সে বুঝতে পারতো না। আর বিয়ের কার্ড ছাপানোর ঘটনা নির্দেশ করে সাকিবের অসুস্থতা বেশ জটিল আকার ধারণ করছে। তাকে শীঘ্রই হাসপাতালে না নিলে তার দ্বারা আরো বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।'
৪.
সাকিবকে ঢাকার একটা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরেও শান্তিতে থাকা হচ্ছে না ফ্লোরা খন্দকারের। সে হাসপাতালের ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়ে বলছে ফ্লোরা খন্দকার এসে তাকে না নামালে সে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়বে। সবগুলো টিভি চ্যানেলে সাকিবের কার্ণিশে দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনাটা লাইভ দেখাচ্ছে। গোটা বাংলাদেশ সাকিব জ্বরে আক্রান্ত তখন। ফ্লোরা খন্দকার খবরটি দেখে অবাক ও বিরক্ত হলেন। তারপর নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে সেই হাসপাতালে পৌছে গেলেন। টিভি ক্যামেরাওলারা গল্পে টুইস্ট খুঁজে পেয়ে ফ্লোরা খন্দকারের সাথে লিফট চেপে ছয় তলার ছাদে উঠে পড়ল।
সাকিবের সামনে গিয়ে ফ্লোরা হাত বাড়িয়ে দিলেন। এই প্রথম সাকিবকে তিনি সামনাসামনি দেখছেন। বাহ! ছেলেটা তো বেশ হ্যান্ডসাম। ছবিতে আনলে নাম্বার ওয়ান সাকিব খানের চেয়েও গ্ল্যামারাস নায়ক হয়ে উঠবে সে। এই ছেলের সাথে বিয়ে হলে তো মন্দ হয় না ব্যাপারটা। শুনেছে এই ছেলের মধ্যে ইরোটোম্যানিয়া ছাড়া আর কোন অস্বাভাবিক আচরণ নেই। ফ্লোরা সাকিবের দিকে তাকিয়ে হেসে বললেন, কি হল, নামুন!
সাকিব আবেগে আপ্লুত হয়ে চিৎকার দিয়ে বলতে থাকল, আমি জানতাম ফ্লোরা তুমি আসবে। তুমি ঠিক আসবে আমাকে এখান থেকে নামাতে। জানো ফ্লোরা, এরা সবাই আমাকে পাগল বলে। বলে আমি নাকি তোমাকে নিয়ে মিথ্যে কথা বলি। তুমি আজ সবাইকে বলে দাও, সবার সামনে বলে দাও, তুমি আমাকে ভালবাস।
-আপনি নামুন, আমি বলব। সবাইকে বলব।
-বলবে তো? সাকিব ফ্লোরার হাত ধরে কার্ণিশ থেকে নামল।
-হুমম। বলব। ফ্লোরা মুচকি করে হাসলেন। তারপর বললেন, এখন লক্ষ্মি ছেলের মতো আপনার রুমে যান তো!
-ওকে ফ্লোরা । আমি যাচ্ছি। তুমি কিন্তু সবাইকে বুঝিয়ে বল ব্যাপারটা।
সাকিবকে নার্সরা লিফটে নিয়ে গেল। ফ্লোরা খন্দকার পাশের লিফটে উঠলেন।সাকিবকে দেখে তিনি একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেলেও কিছুক্ষণ পরেই বাস্তবে ফিরে এলেন।লিফট থেকে নেমে তার পিএস কে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন, তোমাকে কবে বলেছিলাম একটা জিডি করে রাখতে। এই ছেলে কখন কী করে তার ঠিক নেই। আজকে যেন জিডি করার কাজটা ভুলে না যাও।
পি এস বলল, ঠিক আছে ম্যাম। আজ আর ভুল হবে না।
২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:০১
কয়েস সামী বলেছেন: অনেক দিন পর খুব আনন্দ নিয়ে গল্পটি লিখেছিলাম প্রিয় লেখক। কিন্তু কেন জানি না কেউ কোন মন্তব্য করল না। বোধ হয় গল্পটা তেমন ভাল হয় নি। কেউ মন্তব্য না করুক, আপনি তো করলেন। অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভয়ানক বিভ্রমে ভোগা গল্প
কোন কমেন্ট নেই কোন!?
প্রথম প্লাস!