![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদেশ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি । দেশের কথাও ভাবি । আমার এলার্জি বা ক্ষোভ রক্তচোষা পরাশক্তিধর সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের অনুগত দালাল,সুবিধা ভোগী ব্যক্তিত্বহীন জি হুজুর হহুজুর মার্কা চাটার দলদের ব্যাপারে । ব্যক্তিগত ভাবে কারো সাথে কোন শত্রুতা নেই । মত প্রকাশ ও লেখার কারণে মাঝে মধ্যে ঝগড়া হওয়া অস্বাভাবিক না কিন্তু পরক্ষনে সেটা ভুলে যায় । কারণ এ পৃথিবী বড় ক্ষনস্থায়ী !
তথ্য সুত্র : দৈনিক “প্রথম আলো”
শতাধিক নারী ধর্ষণের অভিযোগে ‘তান্ত্রিক বাবা’ গ্রেপ্তার
রাম রহিমের পর এবার নাম উঠল হরিয়ানার আরেক স্বঘোষিত বাবার। তান্ত্রিক সাধনায় সিদ্ধহস্ত এই ‘বাবা’ অমরপুরির বিরুদ্ধে শতাধিক নারী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফতেহাবাদ জেলার তোহানার আশ্রম থেকে গত শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর এক আত্মীয়ের অভিযোগের পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী পুলিশের হাতে ধর্ষণের পাঁচটি ভিডিও ফুটেজ তুলেও দিয়েছেন।
৬০ বছরের এই বাবার আশ্রমের নাম বালকনাথ মন্দির। তিনি এখানে বিল্লু বাবা নামেও পরিচিত।
ফতেহাবাদ জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার যোগিন্দ শর্মা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাবা অমরপুরিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের সময় আশ্রম থেকে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর জিনিস জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই স্বঘোষিত বাবার বিরুদ্ধে ১২০ জন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। বাবার ডেরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২০ জন নারীকে ধর্ষণ করার ভিডিও ফুটেজ। অভিযোগ রয়েছে, বাবা নিজেই ধর্ষণের ছবি তুলে রাখতেন।
গত শুক্রবার অমরপুরিকে গ্রেপ্তারের পর তোলা হয় তোহানা আদালতে। বিচারক তাঁকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে সিল করেছে অমরপুরির ব্যবহৃত ঘর। এদিকে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর ধর্ষণের শিকার আরও দুই নারী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চেয়েছেন। যদিও অমরপুরির দাবি, তিনি পুলিশকে ‘প্রোটেকশন মানি’ দিতে সম্মত না হওয়ায় পুলিশ তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব ঘটনায় জড়াচ্ছে।
এর আগে শিষ্যা ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন হরিয়ানা রাজ্যের কথিত সাধু ও ডেরা সাচা সৌদার প্রধান গুরুমিত রাম রহিম সিং ইনসান। গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে কারাবন্দী রয়েছেন রাম রহিম। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি তাঁরই আশ্রমের দুই সাধ্বীকে ধর্ষণ করেছেন।
এই ঘটনার সপ্তাহখানেক পর উত্তর প্রদেশের বস্তি জেলার সন্তু কুটির আশ্রমে স্বঘোষিত আরেক ধর্মগুরু স্বামী সচ্চিদানন্দের সন্ধান মেলে। তাঁর বিরুদ্ধে ওই আশ্রমেরই চার সাধ্বী অভিযোগ তুলে জানান, ওই আশ্রমের স্বামীজি এবং তাঁর সঙ্গী সাধুরা আশ্রমের সাধ্বীদের যৌন নির্যাতন করতেন, ধর্ষণ করতেন। এমনকি গণধর্ষণেরও শিকার হয়েছেন বহু সাধ্বী।
গত জুন মাসে গ্রেপ্তার হন আরেক ধর্মগুরু দাতী মহারাজ। এই ধর্মগুরুর আশ্রম রয়েছে দক্ষিণ দিল্লির ফতেপুর এলাকায়। আশ্রমের নাম ‘শ্রী শান্তি ক্ষেত্র’। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে এই আশ্রমের ২৫ বছরের এক শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘদিন বিষয়টি চাপা থাকলেও গত জুন মাসে ওই নারী দাতী মহারাজের বিরুদ্ধে স্থানীয় ফতেপুর বেরি থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন। ধর্ষণের শিকার শিষ্যা বলেন, ধর্মগুরু ও তাঁর দুই সঙ্গী তাঁকে ধর্ষণ করেছেন।
এই মামলা দায়েরের পর ওই ধর্মগুরু আত্মগোপন করেছেন। এক শিষ্যা বলেছেন, দাতী মহারাজেরই এক শিষ্যা তাঁকে জোর করে ঢুকিয়ে দিতেন মহারাজের কক্ষে। তাঁর অভিযোগ, অন্যদেরও ওই মহারাজ শ্লীলতাহানি করতেন।
এই ঘটনার মাঝেই নতুন করে আরেক স্বঘোষিত ‘গডম্যান’ বা বাবার সন্ধান মেলে দিল্লি রোহিণী এলাকার একটি আশ্রম ও আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এই আশ্রমের প্রধান আরেক স্বঘোষিত বাবা বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিত। তিনিও তাঁর আশ্রমের কিশোরীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন। ওই মেয়েদের অভিভাবকেরা দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন জানান। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে ওই আশ্রম থেকে উদ্ধার করা হয় ৪০ কিশোরীকে। তাদের বিভিন্ন হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ-ই শেষ নয়, সম্প্রতি ভারতের ভণ্ড বাবাদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ। এটি দেশের আখড়াগুলোর একটি বড় সংগঠন। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর এই আখড়া পরিষদ প্রথম প্রকাশ করেছিল ভণ্ড বাবাদের প্রথম তালিকা। তখন ওই তালিকায় ছিল ১৫ জন ভণ্ড বাবার নাম। এরপর সেই তালিকায় আরও তিন ভণ্ড বাবার নাম যুক্ত হয়। এবার অমরপুরিকে নিয়ে সেই তালিকা দাঁড়াল ১৯ জনে। এই ১৯ জন হলেন গুরুমিত রাম রহিম সিং, আশারাম বাপু, রাধে মা, সচ্চিদানন্দ গিরি, স্বামী ওম, নির্মল বাবা, ইচ্ছাধারী বাবা, স্বামী অসীমানন্দ, নারায়ণ সাঁই, রামপাল, আচার্য কুশমুনি, ব্রাহাস্পতি গিরি, ওম নম শিবায় বাবা, মালখান সিং, বীরেন্দ্র দীক্ষিত, সচ্চিদানন্দ সরস্বতী, ত্রিকাল ভগবান, দাতী মহারাজ ও অমরপুরি।
ভারতের সকল মানুষের এ ব্যাপারে দায়বদ্ধতা আছে । পুরুষ মহিলা ঐক্যবদ্ধভাবে এ অনাচার ,অন্যায় ও মহাপাপের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে । প্রচার গণমাধ্যমগুলির যথেষ্ট গনসচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে । বিশেষ করে ইলেকট্রনিক মিডিয়া কে । ভারত সরকারকে দোষীদের ব্যাপারে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ড ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মতো কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে । এ ন্যাক্কার জনক ও জঘন্য কাজ সনাতন হিন্দু ধর্মকে প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্থ ও অবমাননা করছে শতাধিক নারী ধর্ষণের অভিযোগে ‘তান্ত্রিক বাবা’ গ্রেপ্তার
২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
বিদেশ পাগলা বলেছেন: সকলে যদি আপনার মত ভাবতো তাহলে তো কোন সমস্যা থাকভো না ভাইয়া। হ্যা,ঠিক বলেছেন ।
অনেক ধন্যবাদ
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর এই ক্লান্ত এ অশান্ত কিনারা দেশে
এখানে আশ্চর্য সব মানুষ রয়েছে।
------------এই সব দিনরাত্রি, জীবনানন্দ দাশ
২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
বিদেশ পাগলা বলেছেন: পৃথিবীর এই ক্লান্ত এ অশান্ত কিনারা দেশে
এখানে আশ্চর্য সব মানুষ রয়েছে।
------------এই সব দিনরাত্রি, জীবনানন্দ দাশ
বা বেশ চমৎকার বলেছেন !
অসংখ্য ধন্যবাদ------জনাব রাজীব নুর
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪০
সনেট কবি বলেছেন: সচেতনতা মূলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৮
বিদেশ পাগলা বলেছেন: ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ -------- সনেট কবি
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সনেট কবি বলেছেন: আপনাকে নিয়ে একটা পোষ্ট দিলাম। সময় করে পড়ে নিবেন।
২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:১১
বিদেশ পাগলা বলেছেন: হে মহান কবি ! আমার মতো একজন চুনোপুটি লিলিপুট মার্কা অখ্যাত ব্যক্তিকে নিয়ে লিখেছেন তাতে আমি ধন্য ও গর্ব বোধ করছি। কিন্তু লজ্জা লাগছে এ জন্য যে আমি এ কবিতার উপযুক্ত কিনা ? কবি স্মরণ করিয়ে ভালো করেছেন কারণ বর্তমান আমি ব্লগে নিয়মিত নয়। মহান সৃষ্টি কর্তা্র নিকট আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি । আপনার লিখা আমাদের দারুণ অনুপ্রাণিত করে । আপনার কবিতা বাংলা ভাষার সম্পদ । লিখা চালিয়ে যান নবউদ্যমে সাবলীল গতিতে । আমরা আছি আপনার সাথে । ব্লগের সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি ।
অসংখ্য ধন্যবাদ--------- জনাব সনেট কবি
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু দুষলোকের জন্য সমগ্র ভারতকে দোষ দেওয়া ঠিক না ।