নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোনার মানুষ খুঁজি

কাজী জাকির হোসেন

প্রাক্তন সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষক

কাজী জাকির হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবার আক্রান্ত প্রিয় বাংলাদেশ

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

একটু একটু করে অবশেষে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়েছে। বড় ধরনের জিম্মিদশার মধ্যে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকেও পড়তে হলো! রক্তাক্ত প্রিয় জনপদ। এরই মধ্যে বনানীর ওসি সালাউদ্দিন নিহত হয়েছেন। এসি রবিউল ইসলামও নিহত হয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, রক্তাক্ত, আহত, আশাঙ্কাজনক পুলিশবাহিনীর আরও অনেকে। দুদিন আগেই প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ জীবন দিলো তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে। তার কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডোতে জীবন দিলেন প্রায় অর্ধশত। তার আগে উপসাগরীয় যুদ্ধের পরে গত কয়েক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী একের পর এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এখনো দিচ্ছে। কী মিত্রবাহিনী, কী সরকারি বাহিনী, কী জঙ্গিগোষ্ঠী নানা পক্ষের হামলায় মানুষ রক্তাক্ত হচ্ছে, মৃত্যুবরণ করছে। জনপদ রক্তাক্ত হচ্ছে। বাস্তুচ্যূত হচ্ছে। মানুষের শ্রমে-ঘামে গড়ে ওঠা বহু সভ্যতা নিমেষেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হচ্ছে। ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, ইথিওপিয়া, সোমালিয়াসহ বিশ্বের বহুদেশে আজ মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই! গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশও ধীরে ধীরে সন্ত্রাসবাদের শিকার ওই সমস্ত দেশের মতো সহনশীল মৃত্যুপুরীতে প্রবেশ করছে। প্রথমে গুম-খুন, তারপরে দেদারছে ব্লগার হত্যাকাণ্ড, মন্দিরের পুরোহিত, সেবায়েত, খ্রিস্টান পাদরি, বিদেশি, দেশি সাধারণ মানুষ। কেউ যেন আর রেহাই পাচ্ছেন না। যেসব দেশ ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে, তারা একইসঙ্গে পরস্পর মারামারি, কামড়াকামড়ি ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। প্রায় উন্নত দেশ আজ পশ্চাৎপদ দরিদ্র দেশে পরিণত হচ্ছে। অনেক দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা প্রায় বিলীন হতে চলেছে। অথবা কোনোভাবে নামেমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে আছে। জননিরাপত্তা বলে কিছুই থাকছে না। খোদ মার্কিনি, ব্রিটিশ, কিংবা ইউরোপীয়রা আর নিরাপদ থাকছে না। যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন রাষ্ট্রনায়ক কিংবা খলনায়ক বিশ্বের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এই পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন, তিনি কিংবা তার দোসররা এখন কেমন চুপচাপ ভালো মানুষ হয়ে নিশ্চিন্ত জীবন-যাপন করছেন! বিশ্বের কয়েকটি সংকটে তারা বিকল্প পথে না গিয়ে আত্মঘাতী একটি বিশ্বব্যবস্থা তৈরি করেছেন। শেষ পর্যন্ত আল কায়েদা, তালেবান তো নিঃশেষ হয়ইনি, বরং আইসিসসহ বহু নতুন নতুন উপসর্গ বিশ্বকে উপহার দিয়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে এসব নিয়ে টুঁ শব্দটি করাও এখন বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ মুক্তচিন্তার পথেও বিশ্বব্যাপী একটি জিম্মিদশা তৈরি হয়েছে। বিশ্বের মানবতাকামী মুক্তিকামী মানুষের প্রতি আহবান স্বার্থপরতায় নিমজ্জিত হয়ে কেউ বাঁচতে পারবেন না। আজ না হয় কাল আপনিও আক্রান্ত হবেন। সুতরাং মুক্তির উপায় খুঁজতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্যাসিবাদ যখন সারাবিশ্বকে গ্রাস করছিল, ঠিক তখন রোমা রোলাঁ, রবীন্দ্রনাথের মতো বিশ্বের মানবতাকামী শিল্পী-সাহিত্যকেরা একযোগে আওয়াজ তুলেছিলেন। এখন দরকার তেমনি এক ঐক্য। ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.