নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গণমাধ্যমকর্মী, লেখক।

কাকন রেজা

গণমাধ্যমকর্মী, লেখক ।

কাকন রেজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যার কাজ তারই সাজে, অন্য লোকের লাঠি বাজে

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০০


জ্ঞানী মানুষ যখন উদ্ধত হন, তখন বুঝবেন তার জ্ঞানের কোথাও কমতি রয়েছে। ঔদ্ধত্য সে কমতিরই চিহ্নরেখা। আহম ছফা’কে একই সাথে আমি জ্ঞানি এবং উদ্ধত হিসেবে জানি ও মানি। মানে উনি জ্ঞানী হলেও তার কমতি আছে বলেই কোনো ক্ষেত্রে তিনি উদ্ধত। তবে আহমদ ছফা অন্যদের থেকে অনেক পরিষ্কার কথা ও বার্তায়।

আহমদ ছফা’র মতন কেউ যখন কাউকে বলেন, তোমার ওই বিষয়ে লেখা বা বলা উচিত নয়। তবে ধরে নেয়া যায়, তিনি না বুঝে সে কথা বলেননি। কাউকে যদি বলে থাকেন, তবে তার সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তারপরও যদি তিনি লিখে বা বলে থাকেন সে দায়িত্ব তার। পাঠক ও শ্রোতারা যদি বিভ্রান্ত হন সে দায়িত্বও।

মূলত দায়িত্বহীনদের দায়িত্ব নেয়ার উদগ্র একটি বাসনা থাকে। কারণ তারা জানেন দায়িত্বের জন্য তিনি যোগ্য নন। অথচ পালনের চেয়ে দায়িত্বের পরিচিতিটা লোভনীয়। যে পরিচিতি বিভিন্ন কাজে-কর্মে লেগে যায়। যারা দায়িত্বশীল তারা জানেন পরিচিতি থেকে পালনটা কঠিন। তাই একটু দূরে দূরে থাকতে চান। তাদের ‘খুঁজে-পেতে’ দায়িত্ব দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ধরে-বেঁধেও। সঙ্গতই দায়িত্বের জন্য তাই ‘বান’দের চেয়ে ‘হীন’দের বেশি পাওয়া যায়। আর তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে এমন হীন-হাভাতের দেখা পাওয়াতো ডাল-ভাতের মতন। যার ফলেই দেশগুলির শুধু শিক্ষা কেনো রাষ্ট্রের সব ব্যবস্থারই ‘হাতে হ্যারিকেন’ অবস্থা।

জ্ঞান সূচকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবস্থা নিয়ে বলার খুব কিছু নেই। নেই কারণ, এসব দেশের জ্ঞান সূচক নিয়ে যখন ‘পণ্ডিত’রা অন্যদের দোষারোপ করতে চান তখনই বোঝা যায় জ্ঞান সূচকের নিম্নগামীতার বিষয়টি। যার কাজ জ্ঞান বিতরণ, তিনি যদি কাজ না করে সমালোচনায় লেগে যান, তাহলে অন্যদের আর দরকার কী! অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সমালোচনা কর্মটি খুব সহজ। আপনি নিজের ব্যর্থতাটা পূর্ববর্তীর কাঁধে অনায়াসে চাপিয়ে দিয়ে সমালোচনা চালিয়ে যেতে পারেন। আপনার এমন নির্লজ্জতাকে অন্য দায়িত্বশীলরা পিঠ চাপড়ে দেবেন। কারণ এতে তাদেরও দায়মুক্তি রয়েছে।

‘করিমের বন্ধ্যা কুকুরি পোয়াতির মতন হাঁটে’ কার কবিতার লাইন মনে নেই। তবে যার যেটা কাজ নয় যখন তাকে তা করতে দেখি, তখন কবির নামটা মনে করার চেষ্টা করি। কারণ এতটা সত্য অনায়াস ভাবে বলে যাওয়া কোনো সহজ কর্ম নয়। আর সেই অনায়াস সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে ‘পোয়াতি’দের চেহারা রেটিনায় ভেসে ওঠে। তখন, তখন আবার কী! উপায়হীন মানুষের হাত কামড়ানো বা মুখ লুকানো ছাড়া আর কী করার থাকে বা আছে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.