![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন কইলেন, ‘আমি ফেসবুকে দেশ নিয়ে বেশি কিছু লিখি না। বাচ্চারা বড় হয়েছে, যদি গুগল ট্রান্সলেট দিয়ে পড়ে ফেলে। তাহলে দেশ সম্পর্কে তাদের একটা নেগেটিভ ভাবনা তৈরি হবে।’ বোঝেন অবস্থা, নিজের পোলাপাইনরে বাংলা বুঝতে হইলে গুগলের কাছ ধর্না দিতে হয়; হ্যারা ভাবেন দেশের নেগেটিভ ভাবমর্যাদা লইয়া। যাই কই! এমুন পাবলিকের কথা শুনলেই মাসির কথা মনে হয়। ওই যে মার থিকা যার দরদ বেশি। ডাইনি। মিছা কইলাম? নারে ভাই, মিছা কই নাই। এসির নিচে বইয়া যারা গরীবের কথা ভাবেন। নিজেগো পোলাপাইনরে বিদেশে পড়াশোনা করাইতে পাঠায়া দেশের শিক্ষা লইয়া কলাম ফাঁদেন, তাগো কী কইবেন, ডাইনি ছাড়া
আমাগো দেশের কথিত চিন্তকগো অবস্থাটা দেখেন। মামুগো কার গরীব মাইনষের লগে যোগযোগ আছে। আছেনি? এনজিও’র লাখ টাকা বেতনের উপদেষ্টা হইয়া, ‘চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয়’ মাইরা হ্যারা গরীবগো লইয়া গবেষণা করেন। নাকে রুমাল ঢাইকা দুই একদিন বস্তিতে যান। গাড়ি থিকা রাইতের ফুটপাতে উঁকিঝুঁকি মারেন, হ্যারপর গবেষণা সমাপ্ত। বিরাট গবেষক হইয়া বসেন দরিদ্র-দারিদ্র্য বিষয়ে। মাঝখানে এক বিদেশীর লগে দেখা হইছিলো। হ্যায় বাংলাদেশের ফুটপাতের মাইনষের জীবনযাপন বিষয়ে বুঝতে গিয়া এক রাইত ফুটপাতে কাটাইছে। হ্যাগো লগে খাইছে, ঘুমাইছে। না, হুমায়ূন আহমেদের হিমু’র গপ্পো না, বাস্তব কাহিনি। উল্টা আমাগো গবেষকগো দেখেন, ওই উঁকিঝুঁকি পর্যন্তই। আমি হ্যাগো কই ‘গবেশখ’। মাইনে ‘গবেট’গো ‘শখ’। এমুন গবেটের অভাব নাই আমাগো দেশে। পিএইচডি’র থিসিস কপি-পেস্ট এর ঘটনাই জানান দেয় এমুন ‘গবেট’ প্রজাতির কথা।
‘চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা’ এমুন প্রবাদটা মূলত আমাগো জন্যই স্পেশালি করা। ‘গবেট’গো মধ্যেও যারা নিম্নমানের হ্যারাই শুধু ধরা খায়। তেমুন অর্থে ঢাকা ভার্সিটির দুইজন আর শাহেদ-সাবরিনারে এক কাতারে ফালাইতে পারেন। কারণ হ্যারা ধরা খাইছে। এমুন আরো অনেক জিনিস আছে দেশে, যারা ধরা খায় নাই। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট জালিয়াতি নিয়াও কওন যায়, কিন্তু কইলাম না। কইলেই তো কইবেন, কইছে।
কই, কোনটা ছাইড়া কোনটা কইবেন। সবখানেই তো ঘটনা সেইম। কুনোখানে সেইমসাইড। এই যে দেখেন না, ‘ঘরের কথা পরে জানলো ক্যামনে’র মতন দুই প্রগতিশীল নর-নারীর কিচ্ছা ফেসবুকের বুকে ঘুইরা বেড়াইতাছে। আরেকজন তো হ্যাই রকম ‘শীল’। যিনি নিজেরে বাংলায় খুঁইজা না পাইয়া অন্যের ইনবক্সে খুঁজনের চেষ্টা করেন। এমুন ‘শীলে’র অভাব নাই আমাগো আশেপাশে। পাড়া-মহল্লা থিকা শুরু কইরা এক্কেবারে জায়গা মতন সবখানেই হ্যাগো দেখা পাইবেন। যারা গুগল দিয়া বাংলা পড়েন। হ্যারাই আবার আমাগো বাংলা শিখাইতে চান। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কথা কন। সংস্কৃত যে বাংলার আম্মিজান হ্যাইডা প্রমাণের চেষ্টা করেন। অথচ হ্যাই আম্মিজানের আব্বাজান সম্পর্কে বিলকুল নাখোঁজ থাকেন। নিজের উৎস সম্পর্কেও। এমুন নাখোঁজ পাবলিকগো কওনের কিছু নাই। শুধু কলিকাতার ঘটিগো মতন কই, বলিহারি যাই দাদা।
©somewhere in net ltd.