![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হঠাৎ মনে হইলো লেখার ধরণ-ধারণটা তো আমার মতন। চিন্তাটাও কাছাকাছি। দুইদিন আগেই এমুন একটা লেখা লেখছি আমি। প্রকাশও পাইছে। এইটাও কী আবার ঘুমের মইধ্যে লেইখা ফালাইলাম কিনা। না, ওই লেখা আরেক সেলেব্রেটি লেখকের। ওই যে পোলাপাইন যাগো সংক্ষেপে ‘সেলেব’ কয়। নাম দেইখা নিশ্চিত হইলাম। হ্যারে কী কওন যায়, ‘টুকলিফাই সেলেব্রেটি’ ওরফে ‘টেলেব’। মন্দ না কি কন?
আমার লেখার ধরণে শাখামৃগগিরি ফলাইতে গিয়া আমি হইয়া উঠতে চাইছিলেন। মূল চিন্তাটাও আমারই। তয় মইধ্যে নিজের কিছু কথা ঢুকাইতে গিয়া আউলাইয়া ফালাইছেন। চেহারা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার, পেটটা খালি ভারতীর হইয়া গেছে। যাউকগা, তাও ভালো, তিনি বিষয়টা নিয়া লেখার চেষ্টা করছেন। নয় শাখামৃগই হইছেন। ভালো জিনিসের অনুকরণ করণও ভালো, খারাপের অনুসরণ করাও খারাপ।
আমার নাম মুখে না নেন অসুবিধা নাই। কিন্তু যারা পড়ুয়া হ্যারা আপনার লাইনে লাইনে আমারে স্মরণ করবো। আপনে নিজে পড়লেও করবেন। বছর চারেক আগে আরেকজন শুরু করলেন, লেখার শেষে ‘ফুটনোট’ এবং ‘পুনশ্চ’ লেখন। একজন শ্রদ্ধেয় অগ্রজ একযুগেরও আগে লেখার শেষে ‘ফুটনোট’ রাখতেন। তারপর আমি। তার সাথে যোগ হইছে ‘পুনশ্চ’। এরমইধ্যে আর কারও এই জিনিস নাই। কিন্তু হ্যাই ভদ্রলোকে শুরু করলেন। আমি সামান্য কইরা জানান দিলাম। তিনি বন্ধ কইরা দিলেন। হ্যাই সম্মানেই তারে ভদ্রলোক কইলাম। একবারেই বুঝতে পারছেন। এনারা সত্যিকার অর্থেই ভদ্রলোক, নিজের কামের ভালোমন্দটা বুঝতে পারেন।
এখন যারে লইয়া আলাপ, হ্যার নিজস্ব কুনো টাইপ নাই। লেখায় হেএক সময় হেএকজনরে পাওয়া যায়। যিমুন এইবার আমি আমারে পাইলাম। তয় তিনি কিন্তু সেলিব্রেটি লেখক, সেলেব। যতটা লেখার গুনে, ততটা তার ‘দর্শন’ গুনে। ওই যে, আগে দর্শনধারী পরে গুনবিচারী। কার লেখায় যেন পড়লাম, কইছেন সম্পাদনাও যে একটা কাম, এইডা অনেকে ভুইলা গেছেন। সম্পাদনা করতে হইলে সব ধারণাই থাকতে হয়। বানান শুদ্ধ করাই সম্পাদকের কাম না। আরো কামের লগে টুকলিফাই ধরাও তার কামের মধ্যেই। বুঝলাম, একবার নয় চোখ এড়ায়া যায়, বারবার ঘুঘু তো ধান খাইতে পারে না। যে সম্পাদক হ্যার লেখা ছাপান হালে আপলোড করেন, হ্যাও ঘুঘু চিনতে পারেন নাই।
কইতে পারেন, কে কুন বিষয়ে টুকলিফাই করছে হ্যাইডা না কইয়া খালি আউফাউ আলাপ পারতাছেন। যারা কন, হ্যাগো কই, পোলাপাইনের গেঞ্জিতে লেখা থাকে না, ‘নাম কইলে চাকরি থাকবো না’ দেখছেননি। আমিও অমন একটা গেঞ্জি পইরা আছি। সেলিব্রেটিরা অবশ্য গেঞ্জিরে টিশার্ট কয়। হ্যাগো টিশার্টে লেখা থাকে, সহমত ভাই। সহমতে থাকলে দুনিয়ার সব মুশকিল আছান। অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান, সবতের সমাধান। সুতরাং পাছে লোকের কথা ভুইলা গিয়া কন চিয়ার্স। মাইরা-ধইরা-লুইটা-টুকলিফাই সব কইরাই চিয়ার্স। চিয়ার্সের চিৎকারে পাছে লোকের সব কথা ঢাইকা যাইবো। আর লজ্জা- পুরুষের আবার লজ্জা কী! যার কথা কই, হ্যায় তো পুরুষ না মহাপুরুষ। হ্যার নির্বাণ লাভ হইছে। জরা-মৃত্যু-শোক সবের উপরে তিনি। জয়গুরু।
©somewhere in net ltd.