আমাগো ফেসবুকার বুদ্ধিজীবীগণ

২৫ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২১

ফেসবুকার বুদ্ধিজীবী লইয়া মহাজ্বালারে ভাই। এই ভাইলোগ রীতিমত চুইংগাম, শেষ হইবার চায় না। একটা কিছু শুরু করলে, নিজের ইগো টাইনা আইনা খাড়া করায়া দেয়। অন্যকিছু না খাড়াইলেও, খারাপ কিছু ভাইবেন না, বিবেকের কথা কই। বিবেক খাড়ায় না, খাড়ায় ইগো।

একজন একটা লেখলো হ্যাইডার পিছনে খাইয়া না খাইয়া ছুটলো পাল ধইরা। অবস্থান এমুন, ‘তোর শেষ দেইখা লমু শয়তান’, বাংলা সিনেমার টিপিক্যাল সংলাপের লাহান। এই বুদ্ধিজীবীরা সবকিছুরে বাংলা সিনেমা বানায়া ফালায়। মানুষের বারোটা বাইজা শেষ, সেইটা নিয়া খাড়ায় না, ইয়ে খাড়ায় গিয়া চুলকানি টাইপ আলাপে। আবার কেউ কেউ ইচ্ছা কইরাই পরস্পরের পিঠ চুলকায়। হ্যাগো ভাষায় এইডা হইলো জাতে উঠনের ও আলাপের থাকনের ভালো রাস্তা। আলাপে না থাকলে গণেশ উলটাইবো, ফান্ডিং ইন্ডিং হইয়া যাইবো।
জাকির তালুকদার, জাকির ভাইয়ের এক লেখা লইয়া পড়ছে একপাল। আরে জাকির ভাই কী শেষ কথা নাকি, হ্যায় যেইডা কইবো হ্যাইডাই ঠিক, আজিব! এমুন নারে ভাই। কুনো কথাই শেষ কথা না। জাকির ভাই একটা কথা কইছে, পাল্টা লজিক দিয়া আপনে বইলা শেষ কইরা দেন। আপনের লজিক ঠিক না বেঠিক তা পাবলিক বুঝবো। না, গামছা লম্বা করা লাগবো, নিজেরে পণ্ডিত প্রমাণে, পোঙ্গা পণ্ডিত।

জাকির ভাইয়ের এক পোস্টে আমিও একটা কথা কইছিলাম ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগররে লইয়া। কইলাম জাকির ভাইরে, জাকির ভাইয়ের কথা নাই, আইসা ধুয়া ধরলো হ্যাই পালে। আমি শুধু নিজে দুইটা কথা কইয়া কইলাম, এই শেষ এইটা নিয়া আমি আর কথা কমু না। বুঝলে বোঝেন, না বুঝলে মুড়ি খান। না, কথা আর বাড়ে নাই। ঠিক জায়গায় সঠিক ওষুধ লাগনে চুপ। আপনে টাইফয়েডরে করোনা বানায়া ওষুধ দিবেন কাম তো হইবো না, উল্টা হইবো। জ্বর মানে তর্ক যেইডা স্রেফ ঝগড়া, হ্যাইডা বাড়বো।

আরেকদল লাগছে, দুই লেসবিয়ান লইয়া। আরে প্রকৃতি সবসময় বৈচিত্র পছন্দ করে। কলো চিতার বাচ্চাও অ্যালবিনো হয়, পুরা ফকফকা সাদা। এইটা ব্যতিক্রম, ব্যতিক্রম উদাহরণ না। ব্যতিক্রম মাইনা লওন যায়, কিন্তু হ্যারে স্বাভাবিক বলাটা বোকামী। দুই লেসবিয়ান সেই ব্যতিক্রম, তাগো চুপচাপ মাইনা লওনটা বুদ্ধিমানের কাম। বোঝন আর বোঝানের চেষ্টা করণের লগে লগে তাগো মানবিক ও মৌলিক অধিকার যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় হ্যাইডা খেয়াল রাখন। তা না কইরা হ্যাই পালের খাড়ায়া গেছে, মানে ইগো আর কী। একেবারে ঝাড়েবংশে লাগছে সমকামীতা যে বৈধ তা প্রমাণ করতে। পারলে নিজেরা কইরা দেখায়া দেয়। এই সময় হুমায়ূন আহমেদরে বড় দরকার আছিলো। হ্যায় সুন্দরমতন কইতে পারতেন।

আজিব দেশের, আজিব বুদ্ধিজীবীরে ভাই। মানুষ বাঁইচা থাকনের দৌড়ে টিসিবির ট্রাকের পিছে লাইন দিছে। সব জিনিসের দাম আসমানে। হতাশ পোলাপাইনে একজনের পর একজন আত্মহত্যার মতন চরম পরিণতি বাইছা লওনের রাস্তায়। ধর্ষণ, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই নিত্যকার দৃশ্য। নদীতে জাহাজ লঞ্চের উপর দিয়া তুইলা দিতাছে। মানুষ হইতাছে লাশ। এই নিয়া কোনো খবর নাই, পালেরা খাড়াইছে যৌনকর্মীর টিপ আর লেসবিয়ান লইয়া। অ্যাগো বুদ্ধিমান কমু না বুদ্ধিযান, কমু। বুদ্ধি পরিবহন পাঁচ টন, বইয়া লইয়া যায়। মাঝি বাইয়া যাওয়ের মতন।

দেইখা মনে হয় হ্যারা হ্যাই জাহাজ, ছোটখাটো লঞ্চের উপর তুইলা দিলে যাগো কিছু যাইবো আইবো না। যাইবো আইবো হ্যাগো ইগো আহত হইলে। কইলাম তো আসল জিনিস খাড়ায় না, খাড়ায় খালি ইগো। খাড়ানের যখন সময় আহে তখন দুইবার কাইশা ঘুমায়া যায়, হ্যাগো বিবেক। আসল কথা হইলো এই বুদ্ধিযান গো গন্তব্য জানা নাই। বহন করাই যাগো কাম, তাগো চিক্কুর দেওন ছাড়া গন্তব্যটা অজানাই থাকে। কারণ তাগো চালায় আরেকজন আর মঞ্জিল হ্যারই জানা।

০ টি +০/-০