নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওমিক্রন যেভাবে সারা পৃথিবীতে প্যানিক সৃস্টি করছে, তাতেই বুঝা যাচ্ছে যে বিভিন্ন সরকার/জনগন কিরকম ভাবে এই প্যানডেমিকে বদলিয়ে গিয়েছে। অবশ্য প্যানিক সৃস্টি করার মতই এই ভ্যারিয়েন্ট এর নতুন মিউটেশন দিয়ে তৈরী গঠন। এটা কি বেশী ইনফেক্টিভ হবে, নাকি ইমিউন সিস্টেম কে এভোয়েড করবে, নাকি সিভিয়ার ডিজিজ তৈরী করবে, নাকি কারেন্ট ঔষুধ এর কার্যকারীতা আর থাকবে না, নাকি সব ইফেক্ট একসাথে থাকবে, ইত্যাদি নানা ইমপোর্টেন্ট কোস্চেন তৈরী করছে। যেহেতু এখনই সাইন্টেফিক্যালি এসমস্ত প্রশ্ন এর উত্তর জানা যাচ্ছে না, তাই ব্যাপক অনিশ্চয়তার মাঝেই প্যানিক তৈরী হচ্ছে। কিন্তু করোনার পিছনের ইতিহাস বিজ্ঞান এর চোখে দেখলে, এরকম প্যানিক হওয়ার কোন দরকার আছে বলে মনে হয় না।
ভাইরাস এর কাজ ই হচ্ছে নতুন নতুন মিউটেশন তৈরী করে নিজেকে আরো ভালভাবে বিস্তার করা..বিশেষ করে আরএনএ ভাইরাস (করোনা) যারা যত বেশী মানুষের ভিতর সংক্রমন করতে পারবে তত বেশী মিউটেশন করার সুযোগ পায় (আরএনএ মিউটেশনকে কারেকশান করা হয় না)..তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ভাইরাসে এমন কোন মিউটেশন দিয়ে তৈরী হবে না যেটা তার হোস্টকে একেবারেই মেরে ফেলে...হোস্ট মারা গেলে তো ভাইরাস এর বংশবিস্তার আর কোন সুযোগ থাকবে না...সেই রকম এক্সট্রিম মিউটেশন হলেও নেচার সেই মিউটেশনকে সিলেক্ট করবে না, তাই আপনাতেই এর অবসান হবে। এখন যারা মারা যাচ্ছে, তারা সরাসরি ভাইরাস এর জন্য মারা যাচ্ছে না, তারা অন্যান্য ইফেক্টে মারা যাচ্ছে ভাইরাস দেহ থেকে ক্লিয়ার হয়ে যাওয়ার পরেই।
ভাইরাস ইভোলভড হচ্ছে নিজের বেচে থাকার জন্যই, তাই সে হয়ত এমন মিউটেশন তৈরী করবে যাতে ঔষুধ তাকে মারতে পারে না অথবা ভ্যাকসিন যাতে তাকে ইনফেক্ট করতে বাধা না দিতে পারে। ওমিক্রন এর মিউটেশন হয়ত তাকে বেশি বেশি ইনফেক্ট করার ক্ষমতা দিবে। তাই আমার মনে হচ্ছে ওমিক্রন হয়ত অনেক বেশী সহজেই মানুষকে ইনফেক্ট করতে পারবে কিন্তু অন্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে সিভিয়ার ডিজিজ তৈরী করতে পারবে না। হয়ত সে এই একটা trait acquire করল (সহজেই ইনফেক্ট করা) কিন্তু অন্যদিকে হয়ত সিভিয়ার ডিজিজ করার ক্ষমতা কমে যাবে। তাই আমি বেশী চিন্তা করছি না...মনে হচ্ছে এটা হলেই ভাল হয়..। আমাকে যদি হাসপাতালে ভর্তি হতে না হয়, তাহলে কভিড হলেও চিন্তা নাই। ফ্লু এর মতই ওভারকাম করা যাবে। তবে সব কিছুর উত্তর ২-৩ সপ্তাহের মাঝেই জানা যাবে (বেশী ইনফেক্ট করার ক্ষমতা কিন্তু ক্ষতি করার ক্ষমতা কমে গিয়েছে কিনা এই ভ্যারিয়েন্ট এর অথবা নতুন কোন সিম্পটম হচ্ছে কিনা এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে)
Vaccines that let the hosts survive but do not prevent the spread of the pathogen, allow the evolution of hotter pathogens to occur. This type of vaccine is often called a leaky vaccine. When vaccines prevent transmission, as is the case for nearly all vaccines used in humans, this type of evolution towards increased virulence is blocked. আমাদের দরকার এমন ভ্যাকসিন যেটা ইনফেক্ট করাই বন্ধ করবে কিন্তু বর্তমান এর কোন করোনা ভ্যাকসিন ই পুরাপুরি ভাবে ইনফেকশান বন্ধ করতে পারে না, তাই এমন নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট বের হওয়ার ও সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।এরকম নতুন নতুন মিউটেশান বানিয়ে ভাইরাস আসতেই থাকবে আর ভ্যাকসিন আর ঔষুধ এর আপডেট ও চলতে থাকবে। । তবে অরাল পিল আসলে এর প্রকোপ কিছুটা কমে আসবে।
উপরের ছবিতে দেখুন ভাইরাস এর স্পাইক প্রোটিন আর লাল অংশগুলিই হল ওমিক্রন এর নতুন মিউটেশন। আর সবুজ পেচানো ফিতার অংশ টা হল মানুষের ACE2 প্রোটিন যেটার সাথে ভাইরাস এর স্পাইক প্রোটিন বাইন্ড করে মানুষের শরীরের কোষে প্রবেশ করে। লক্ষ্য করে দেখবেন যে বেশ কয়েকটি লাল অংশ (মিউটেশান) দেখা যাচ্ছে স্পাইক প্রোটিন এর এমন যায়গায় যে অংশটি দিয়ে সে ACE2 প্রোটিন (সবুজ পেচানো ফিতা) এর সাথে বাইন্ড করে। তার মানে দাড়াচ্ছে যে, এমন ঔষুধ যেটা ভাইরাস এর এই অংশ টাকে 'ঢেকে' রাখতো যাতে ভাইরাস ACE2 এর সাথে বাইন্ড করতে না পারে, সেই ঔষুধ এর প্রভাবেই এই ভ্যারিয়েন্ট বের হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। আর এমন ঔষুধ ই হল Regeneron এবং Eli Lilly এন্টিবডি দিয়ে তৈরী ঔষুধ (যেটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিয়েছিলেন)। হয়ত এই ঔষুধ এর প্রভাবেই এমন মিউটেশান হয়েছে যাতে এই ঔষুধ এর কার্যকারীতা আর না থাকে।
সময় ই বলে দিবে (২-৩ সপ্তাহ) এই ঔষুধ কি তার কার্যকারীতা হারিয়েছে ওমিক্রন এর বিরূদ্ধে। তবে কোম্পানীগুলি খুব সহজেই এবং খুব তাড়াতাড়িই ওমিক্রন স্পেসিফিক এন্টিবডি ঔষুধ তৈরী করতে পারবে।
ভ্যাকসিন কে এভোয়েড করার মত মিউটেশান ওমিক্রন এ এখনও নাই বলেই মনে হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে ভ্যাকসিন এর কার্যকারীতা কিছুটা কমলেও, ওমিক্রন বর্তমান ভ্যাকসিন গুলিকে একেবারেই নন ইফেক্টিভ বানাতে পারবে না। বানালেই এক মাসের মাঝেই ওমিক্রন স্পেসিফিক ভ্যাকসিন বাজfরে আসার জন্য তৈরী হয়ে যাবে কেননা এটাকে নতুন ভ্যাকসিন হিসাবে ধরা হবে না। মাত্র ১৪-১৫ জন মানুষের ভিতর পরীক্ষা করেই এর অনুমোদন পাওয়া যাবে। এর জন্য ফেজ ১, ২, ৩ (৫০-৬০ হাজার মানুষের উপর পরীক্ষা) করার দরকার হবে না। যেমন প্রতি বছর ফ্লু ভ্যাকসিন আপডেট হয়।
তিনটা বিষয় লক্ষ্যযোগ্য (প্লাস সাইড)
- অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট কে খুব সহজেই ল্যাবে ডিটেক্ট করা যায় না (কভিড ডিটেক্ট করা যায় কিন্তু কোন ভ্যারিয়েন্ট সেটা জানার জন্য পুরা জিনোম কে সিকোয়েন্স করতে হয় যেটা এক্সপেনসিভ এবং টাইম লাগে, অনেক দেশেই এটা করা সম্ভব ই না কেননা জিনোম সিকোয়েনসিং মেশিন ই নাই)। ডেল্টা কে বুঝতে না পারাতে খুব দ্রুত পুরো বিশ্বে এটা ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু ওমিক্রন কে যেভাবে পিসিআর দিয়ে ডিটেক্ট করা হয়, সেভাবেই ডিটেক্ট করা যাবে। নরমাল কভিড হলে এক রকম রেজাল্ট হবে আর ওমিক্রন হলে অন্যরকম রেজাল্ট আসবে সেইম স্যাম্পল থেকেই। তার মানে খুব সহজেই জানা যাবে কে কোথায় ওমিক্রন এ আক্রান্ত আর প্রতিকারও খুব তাড়fতাড়ি করা যাবে। ভাইরাস ট্র্যাক করা সহজ হবে, সব দেশে।
- সাউথ আফ্রিকার বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানাতেই হয় এত আর্লি এই ভ্যারিয়েন্ট কে ডিটেক্ট করার জন্য। এত প্রাথমিক স্টেজে ধরা পড়াতে সব সরকার/বিজ্ঞানীরা তৈরী হয়ে যাচ্ছেন ভ্যারিয়েন্ট স্পেসিফিক রেসপন্স করার জন্য।
- আর আগেই বলেছি, ওমিক্রন স্পেসিফিক ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসতে বেশী সময় নিবে না, কেননা mRNA vaccineকে আপডেট করা খুব সহজ। অলরেডি মর্ডানা আজ ঘোষনা দিয়েছে সেই রকম ভ্যাকসিন বাজারে আনার। যেহেতু এটা নতুন ভ্যাকসিন না, তাই ২ মাসের মাঝেই এটা বাজারে চলে আসবে বলে বিশ্বাস। যদি বেশী লিথ্যাল হয় এই ভ্যারিয়েন্ট, আমি গত সপ্তাহে বুস্টার নেওয়ার পরও আবার ওমিক্রন ভ্যাকসিন নিতে একবার ও দ্বিধা করব না)
শেষ কমেন্ট হল যে ভয় পাওয়ার কোন কারন নাই...নানা ব্লগ সাইট ও অন্যান্য বিজ্ঞানী/ডাক্তার দের কথা শুনে মনে হচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্ট মাইল্ড হবে (হয়ত বেশী বেশী মানুষকে ইনফেক্ট করবে কিন্তু মারাত্মক হবে না)
২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৩
কলাবাগান১ বলেছেন: সবকিছু ধ্বংশ বলে মানতে নারাজ...এটাই প্রকৃতির খেলা...।দু পক্ষের মাঝে খেলা দুজনেই চাচ্ছে নিজে বিবর্বিত হয়ে অন্য পক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকতে
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আর্লি ডিটেক্ট হয়েছে; তাই ভয়াবহ হলেও মানুষ তা হতে দিবে না; মানুষের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে ভাইরাস মিউটেশন নিয়ে।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৮
কলাবাগান১ বলেছেন: আর্লি ডিটেকশান টা আসলেই এটার স্প্রেড ঠেকাতে কার্যকরী হবে
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
এরকম একটা পোষ্ট এক্সপেক্ট করেছি ।
উই নো করোনা একসময় ফ্লুয়ের মতোই হয়ে যাবে কিন্তু সময় লাগবে ।
অরাল পিল সেটাও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মার্কেটে এভেইলেবল হতে একটু সময় লাগবে ।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফাইন্যালি ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট ওপেন হয়েছে ।
এখন ওমিক্রনের স্প্রেডিং যদি হাই হয়, তাহলে আবারও বর্ডার ক্লোজ হয় কিনা এটাই কনসার্ন ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৯
কলাবাগান১ বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে ওভার রিয়েকশান হচ্ছে কিন্তু আমার ভুলও হতে পারে...।
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১০
বিটপি বলেছেন: হাসপাতালে যদি ভর্তি হতে না হয়! - পারফেক্ট কথা বলেছেন। মরতে আমার দুঃখ নেই, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমাকে বা আমার পরিবারকে সর্বসান্ত করে ফেলার আতঙ্কই সব সময় আমায় গ্রাস করে ফেলে। আমার এক নিকটাত্মীয়কে ভর্তি করা হয়েছি স্কয়ারে। ৬ দিন রেখে কেবল অক্সিজেন দিয়েছে, তাতে ঔষধের বিল ২লাখ ২৩হাজার সহ সর্বমোট বিল এসেছে ৪লাখ ৩৬ হাজার টাকা। আমার কাছ থেকেও ১ লাখ টাকা লোন নিয়েছে এক বছর হয়ে গেল। জানিনা সেই টাকা কবে ফেরত পাব!
২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৯
কলাবাগান১ বলেছেন: এজন্যই সবার স্বাস্হ্য বীমা থাকা প্রয়োজন
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা টিকা নিয়েছেন, শরীরে টিকার উপস্হিতির কারণে ভাইরাসের পক্ষ থেকে "মিউটেশন" করার প্রচেষ্টা তো একটা লজিক্যাল এ্যাকশন?
২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০১
কলাবাগান১ বলেছেন: ইয়েস..এটাই ন্যাচারাল...শরীর নতুন নতুন এন্টিবডি তৈরী করে আর প্যাথোজেন নতুন নতুন মিউটেশন তৈরী করে
৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: বাঙালীর মন থেকে করোনার ভয় ডর একদম দুর হয়ে গেছে । আর যত ভ্যারিয়েন্টই আসুক বাঙালী আর ভয় পাবে বলে মনে হয় না ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৩
কলাবাগান১ বলেছেন: এটাই খারাপ অবস্হা....স্বাস্হ্যবিধি না মানলে যেকোন সময় ভয়ংকর আরো কোন ভ্যারিয়েন্ট বের হয়ে আসবে
৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: Existing Covid-19 vaccines should be highly effective at preventing severe disease and hospitalisation from the newly identified Omicron variant, a top South African infectious disease expert said on Monday।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৩
কলাবাগান১ বলেছেন: সেটাই হবে বলে মনে হচ্ছে
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটা পোষ্ট দিয়েছেন।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৩
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে এই ভাইরাস যতই শক্তিশালী হোক মানুষের কাছে পরাজিত হবে এইবার।
তারপরও এই বিশদ বর্ণনা জেনে শান্তি হলো।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:১২
কলাবাগান১ বলেছেন: বিজ্ঞানীদের জ্ঞান এর কাছে ভাইরাস পরাজিত হবে, মানুষের সহায়তায়
১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে সংক্রমন কম হওয়ার কারন কতটুকু যানা গেছে?
বিশেষ করে শ্রমজিবীদের, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তিতে ও রহিঙ্গাক্যাম্পে সংক্রমন খুবই কম ছিল, তারা মাস্কও পরতো না।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪৭
কলাবাগান১ বলেছেন: এটা একটা বিরাট পাজল যার জন্য বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের জন্য বিরাট অপরচুনিটি এই পাজল এর সমাধান বের করার। বিশেষ ১০০০ জিনোম ডাটাবেস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জনগন এর হোল জিনোম সিকোয়েন্স পাওয়া যায়..বাংলাদেশের প্রায় ১৩২ মেয়ে ১৭৯ জন ছেলের জিনোম সিকোয়েন্স এখানে আছে...অন্য দেশের লোকজন এর সাথে বাংলাদেশের লোকজন এর ACE2 Receptor sequence compare করে দেখলে হয়ত কোন ক্লু পাওয়া যাবে। বাংগালীদের ACE2 একটু ডিফারেন্ট হতে পারে আর তাতে ভাইরাস হয়ত 'শক্ত' ভাবে ACE2 এর সাথে বাইন্ড করতে পারে না।
Bangladeshi female genome sequences 132
Bangladeshi male genome sequences 179
১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৬
মিরোরডডল বলেছেন:
ওভার রিইয়েকশান না । হেলথ নিয়ে ওয়ারিড না যেহেতু এখানে খুব ভালোভাবে মেইন্টেইন হয়েছে এবং হচ্ছে । আমাদের এখানে ৯০% দুটো ডোজ নেয়া, মিড ডিসেম্বর ৯৫% যেটা খুবই ভালো রেজাল্ট । লাইফ মোটামুটি স্বাভাবিক বলা যায় । আশাবাদী নেক্সট ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার কন্ট্রোল থাকবে ।
অস্ট্রেলিয়াতে ওমিক্রন পজিটিভ কেইস পাওয়া গেছে কিছু সাউথ আফ্রিকার ফ্লাইট ক্যারি করেছে । তাই সেই ফ্লাইটগুলো ক্লোজ করেছে । এভাবে যদি অন্যান্য দেশেও কিছু পজিটিভ কেইস পাওয়া যায়, সেগুলোও বন্ধ করে দিবে । যেমন নেদারল্যান্ড এখন পজিটিভ কেইস আছে । তাহলে আর বের হতে পারছি না । আবার বের হবার পর বর্ডার ক্লোজ করলে রিটার্ন করতে পারবো না ।
Either way inconvenient.
প্রথম মন্তব্যে তাই বলতে চেয়েছি ।
থ্যাংকস, আশা করি এটার আপডেট পোষ্ট পাবো টাইম টু টাইম ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪৯
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকে ওভার রিয়েকশান বলি নাই। ওভার রিয়েকশান করছে বিভিন্ন দেশের সরকার...
১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৩
কল্পদ্রুম বলেছেন: বেশ ধারণা পাওয়া গেল। আর্লি ডিটেকশনের সুবিধা বাংলাদেশ নিতে পারলে হয়।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫১
কলাবাগান১ বলেছেন: শুধু বাংলাদেশ না, পুরা পৃথিবী উপকৃত হবে আর্লি ডিটেকশান হওয়াতে
১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:০৫
কাছের-মানুষ বলেছেন: করোনা মোটামুটি নিয়ন্তনে আসছে, করোনা মোকাবেলায় যেই ধরনের রিসার্চ হচ্ছে বা ইতিমধ্যে হয়েছে সেগুলোর আউটপুট/অভিজ্ঞতা নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে কাজে লাগবে মনে হয়, সেই ক্ষেত্রে নতুন ভ্যারিয়েন্ট খুব একটা সুবিদা করতে পারবে না!
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৩
কলাবাগান১ বলেছেন: কথা সেটাই..আগে হাসপাতালের ডাক্তার দের করোনা রুগী দেখার সময় মনে হত অন্য গ্রহের মানুষ...।এখন বুঝে গেছে যে শুধু একটা ভাল মাস্কই ডাক্তার কে সুরক্ষা দিতে পারে করোনা রুগী থেকে
১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪১
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক সময়োপযোগী এবং তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ !
বিবর্তনের খেলায় ভাইরাস মনে হয় প্রাণীকুল থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে ! যেখানে প্রাণীকুলের দৃশ্যমান বিবর্তন হতে সহস্র বা লক্ষাধিক বৎসর লাগছে সেখানে ভাইরাস কয়েক মাসেই বিবর্তিত হয়ে ভিন্ন রূপ লাভ করছে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৫
কলাবাগান১ বলেছেন: কিছু গোড়া বিজ্ঞানী দেখেছি যারা চোখে সামনে বিবর্তন হতে দেখলেও বিবর্তনে বিশ্বাস করে না। এদের কাছ থেকে বিজ্ঞান শিখা যায় না।
ভাইরাস এর জিনোম (ডিএনএ/আরএনএ) এত ছোট/সরল যে খুব সহজেই রূপান্তরিত হয়। প্রানীকুল এর জিনোম অনেক বড় আর কমপ্লেস্ক, তাই হাজার বছরেও হয়ত দৃশ্যমান কোন বিবর্তন চোখে পড়ে।
১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসা যখন সত্যি সত্যি আপনার পোস্টকে ভালবাসবে তখন এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত পাতায় চলে যায়। ওনার ভালোবাসার ভিত্তি উনি বিভিন্ন সময় ব্লগে প্রকাশ করেছেন। এখন আমার মনে নেই।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৬
কলাবাগান১ বলেছেন: ওকে....
আজ ইসরাইল থেকে বলা হচ্ছে যে বর্তমান ভ্যাকসিন ওমিক্রন থেকে রক্ষা দিবে যেটা উপরের ছবি (মিউটেশন এর) দেখেই বুঝা যাচ্ছিল এবং সেটাই লিখেছিলাম-
"ভ্যাকসিন কে এভোয়েড করার মত মিউটেশান ওমিক্রন এ এখনও নাই বলেই মনে হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে ভ্যাকসিন এর কার্যকারীতা কিছুটা কমলেও, ওমিক্রন বর্তমান ভ্যাকসিন গুলিকে একেবারেই নন ইফেক্টিভ বানাতে পারবে না।"
এখন দেখা দরকার Regeneron এবং Eli Lilly এন্টিবডি দিয়ে তৈরী ঔষুধ কাজ করে কিনা ওমিক্রন এর বিরূদ্ধে.। কাজ করবে না বলেই মনে হচ্ছে
১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৭
কলাবাগান১ বলেছেন: এই মাত্র দেখলাম যে Regeneron এর এন্টিবডি কম কাজ করছে যেটা মিউটেশান এর ছবি তে ই মনে হচ্ছিল। তবে চিন্তার কোন কারন নাই.. ২-৩ সপ্তাহের মাঝেই Regeneron তার এন্টিবডি কে নতুন করে এডিট করতে পারবে ওমিক্রন স্পেসিফিক ভাবে তবে তাদের স্টক প্রাইস এ ধ্বস নামবে বলে মনে হচ্ছে
Regeneron antibody less effective against Omicron
১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর একটা গুছান পোস্ট। পড়ে ভাল লাগলো।
এটার জন্য ব্লগে অনেকেই অপেক্ষা করছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপডেট সহ ২য় পর্ব দিয়েন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০২
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। চাদগাজী ও আপনিই প্রথমে বলেছিলেন এটা নিয়ে লিখার জন্য।
১৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৯
আগন্তুক৬৯ বলেছেন: কলাবাগান ভাই,
আপনার পোস্ট পড়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনি বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমার দুই একটা প্রশ্ন ছিল। বুস্টার ডোজ কি প্রথম বা দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের মত ডোজ নাকি বুস্টার ডোজের component আলাদা বা special। আর দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো বুস্টার ডোজ নিলে শরীরে নাকি জ্বর তীব্র ব্যথা হয়। আমার এক আত্মীয় astrazeneca ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তীব্র জ্বর ও গায়ে ব্যথা হয়েছে
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৬
কলাবাগান১ বলেছেন: আমাদের পরিবারের সবাই সেইম ডোজ ই নিয়েছে (তিনটাই ফাইজার) যদিও অপশান ছিল মর্ডানা কে বুস্টার হিসাবে নেওয়ার। ফাই জার এর তিনটাই সেইম ডোজ শুধু মর্ডানার বুস্টার ডোজ আগের নেওয়া ডোজ থেকে হাফ এমাউন্ট।
আমাদের ৪ জনের ই কোন প্রতিক্রিয়া হয় নাই। এন্টি বডি লেভেল 'মেপে' দেখতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: মানব জাতি তথা প্রাণী জগতের জন্য একটার পর একটা প্রাকৃতিক মরণশীল মহামারীর সাথে মানব সৃষ্ট মহামারীও নিত্য সংগী! সব কিছুর ফলাফল- ধংশ।