নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে মাঝে মাঝে মনে হয় ক্রেতার চেয়েও বিক্রেতা বেশী...একটু জায়গা পেলেও সেখানে টং, চাদর, ঝুড়ি বিছিয়ে 'দোকান' বসিয়ে দেওয়া হয়। ব্যবসা মানেই দোকান ...তবে যারা পড়ালিখা কম করেছে, তাদের জন্য এ ধরন এর দোকান বিজনেস এপ্রোপ্রিয়েট। কিন্তু শিক্ষিত গ্রাজুয়েট দের চিন্তা করা উচিত যে Futuristic ধারনা দিয়ে বিজনেস আরম্ভ করে অন্যদের থেকে স্বকিয়তায় আলাদা ভাবে গ্রো করার। উচ্চ টেকনোলজি বেইসড বিজনেস এর জন্য হয়তোবা বাংলাদেশ এখনও রেডি না..কিন্তু অন্যরা কিন্তু বসে নাই... নিজে না করতে পারলে, ওদের সাথে মিলে টেকনোলজি দেশে আনা সম্ভব। নিচে কিছু লাইফ সাইন্স বেইসড ফিউচারিস্টিক বিজনেস এর ধারনা/আলোচনা করা হল। যদিও এসব বিজনেস এখন একেবারেই ইনফেন্সিতে আছে, কিন্তু আগামী ৫০-৬০ বছর পরে হয়ত এসব হাই টেক বিজনেসই ডমিনেট করবে। আমার উদ্দেশ্য হল একটা ধারনা দেওয়া হয়ত কেউ কেউ অনুপ্রানিত হবেন এধরনের বিজনেস আইডিয়াতে...। আমার নিজের ব্যাকগ্রাউন্ড লাইফ সাইন্স হওয়াতে শুধু এই সেক্টর নিয়েই আলাপ করলাম। অন্যরা মন্তব্যের ঘরে ইন্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার, সোশাল সাইন্স, ইত্যাদি ভিত্তিক ফিউচারিস্টিক বিজনেস এর ধারনা দিতে পারেন।
১। Egg/sperm longterm freezing
আজকাল এর যুবক/যুবতীরা নিজেদের কেরিয়ার নিয়ে এমন ব্যস্ত যে ঠিক সময় মত বিয়ে করতে পারে না, আবার বিয়ে করলেও বাচ্চা নিতে পারে না, কেননা তাদের কেরিয়ার বিল্ড করার সময় বাচ্চা লালন পালন করা ডিফিকাল্ট হয়ে উঠে। কেরিয়ার স্টেবল হওয়ার পর যখন সময় হয়, তখন হয়ত বয়স ৩৫-৪০ হয়ে যায় আর তখন বাচ্চা নিলে কিছু টা রিস্ক থেকে যায় স্বাস্হ্য-সবল বাচ্চা হওয়ার। যত বেশীবয়স তত বেশী মিউটেশন ডিএনএ তে, আর তাতেই রোগাক্রান্ত বাচ্চা হওয়ার রিস্ক ও বেড়ে যায়। তার জন্য আজকাল মেয়েরা নিজেদের এগ ২০-২২ বছর বয়সে Egg bank জমা রাখে, স্বামী ও তার ইয়াং বয়সের sperm মাসিক ফি ভিত্তিতে sperm bank ফ্রিজ করে রাখতে পারে। আমেরিকাতে দেখি যে পার মান্থ ২০ ডলার ফি দিতে হয় এর জন্য কিন্তু মেয়েদের এগ ফ্রিজ করতে প্রায় ৫ থেকে৬ হাজার ডলার লাগে। যখন সময় হয়, বাচ্চা নেওয়ার ১০-১৫ বছর পর, তখন সে তার ইয়াং বয়স এর জমা করা এগ এবং স্পার্ম এর নিষিক্ত করিয়ে বাচ্চা নিতে পারে। প্রচুর কোম্পানী আমেরিকান কোম্পানী এই সার্ভিস দিচ্ছে.। আজকাল অনেক আমেরিকান কোম্পানী ভাল এমপ্লয়ী এট্রাক্ট করার জন্য হেলথ ইনসুরেন্স এর মাধ্যমে এই সার্ভিস দিচ্ছে এমপ্লয়ীদের। এই ব্যবসায়ে ধর্ম কি কোন অন্তরায় হবে কিনা জানি না। জাস্ট গুগুল করুন এগ ফ্রিজিং সার্ভিস
২। বেশীরভাগ লোকই জানতে চায় তার বিভিন্ন রোগ হওয়ার প্রবাবিলিটি কত (ডায়বেটিস, হার্ট ডিজিস, ব্রেস্ট ক্যান্সার) (অবশ্য সবাই না) ...আমেরিকায় এখন মাত্র $৯৯ ডলার দিলেই আপনার হোল জিনোম সিকোয়েন্স (ডিএনএ/জিন) করে আপনাকে জানিয়ে দিবে কোন রোগ হবার প্রবাবিলিটি কত, যেটা দেখে আপনি আপনার খাওয়া/দাওয়া, জীবনযাত্রা বদলায়ে এসব রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ভাল হয় নিজের সন্তান এর দের ছোট বেলাতেই এই টেস্ট করানো।
Genome sequence
মজার কথা হল এরা শুধু রোগ নিয়েই প্রিডিক্ট করে না, আরো অনেক কিছু বিশেষ করে আপনার পূর্ব পুরুষ কারা তাই বের করে আপনাকে জানিয়ে দেয়। আমেরিকা তে ৫০-৬০ বছর আগের ক্রাইম কে সলভ করতে পেরেছে এই সার্ভিস ইউজ করে। যে ক্রাইম করেছে, তার আত্মীয়/স্বজন দের ডিএনএ সিকোয়েন্স মিলিয়ে। অনেক আগের ক্রাইম যেটা সলভ হয় নাই কিন্তু রেইপ/মার্ডার হওয়ার পর কিছুটা টিস্যু/জামাকাপড় নির্দশন হিসাবে সেইভ করা থাকে, তার থেকে ডিএনএ নিয়ে পুলিশ মিলায়ে দেখে ডিএনএ ব্যাংকে থাকা কারো ডিএনএ সিকোয়েন্স এর সাথে মিলে কিনা..। যে ক্রিমিনাল তার ডিএনএ না থাকলেও, তার কোন আত্মীয় স্বজন এর ডিএনএ সিকয়েন্স থাকলে ও পুরানো ক্রিমিনাল কে শনাক্ত করা সম্ভব। এভাবে প্রায় ৩-৪ টা ৫০ বছর এর অধিক সলভ না হওয়া কেইস কে সলভ করতে পেরেছে আমেরিকান পুলিশরা। মনে পড়ে সাগর-রুনির কেইস
৩। যদিও একটা কোম্পানী ফ্রড করেছিল (থেরানস), কিন্তু এখন একফোটা রক্ত কে এনালাইসিস করে (তার মাঝে সেল ফ্রি ডিএনএ দেখে) বলে দেওয়া যাচ্ছে আপনি কি কোন ক্যান্সার এ ভুগছেন কিনা..আর্লি ডিটেকশান করা সহজ হয়ে আসছে. প্রায় ৫০ রকমের ক্যান্সার আর্লি ডিটেকশান করা যাচ্ছে
Cancer Early Detection
৪। আপনার শরীরে যত কোষ আছে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশী ব্যাকটেরিয়া এর কোষ আছে আপনার শরীর এর ভিতর। কোন কোন প্রকার এর ব্যাকটিরিয়া আছে সেটা সামান্য একটা টেস্ট করেই বলে দেওয়া যাচ্ছে .। এটাকে বলাহয় microbiome. And your Microbiome determines your health in many ways. সুতারাং মাইক্রবায়োম টেস্ট করার পর সেই কোম্পানী এনালাইসিস করে দেখবে কোন কোন উপকারী ব্যাক্টিরিয়া আপনার শরীরে নাই, তখন তারা সেই অনুযায়ী প্রোবায়টিক আপনাকে প্রতি মাসে সাপ্লাই দিবে। মাসে প্রায় $৫০ ফি দিতে হয় (টেস্ট প্লাস সাপ্লিমেন্ট)। আমাদের শরীর অনেক ক্যামিক্যাল সিনথিসিস করতে পারে না, তার জন্য শরীর এ থাকা ব্যাক্টিরিয়ার সাহায্য নিতে হয় এগুলি কে সিনথিসিস করতে বিশেষ করে ইমিউন সিস্টেম অনেকাংশে ডিপেন্ড করে আপনার মাইক্রবায়োম এর উপর। আজকাল যার মাইক্রবায়োমে বেশী ভাল এবং উপকারী ব্যাক্টিরিয়া আছে, সেই মাইক্রবায়োম stool transplant দ্বারা অন্যের শরীরে উপকারী মাইক্রবায়োম প্রতিস্হাপন করা হচ্ছে।
৫। বিয়ের আগে স্বামী/স্ত্রী দুজন এর জেনেটিক কাউন্সিল দরকারী যাতে আগেই দেখা যায় তাদের যদি সন্তান হয়, সেই সন্তান এর বিভিন্ন জেনেটিক রোগ (অটিজম এর মত রোগ) হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কিনা। আর যদি কনসিভ করার পরও এই সমস্ত টেস্ট করে দেখা যায় কোন জেনেটিক রোগ কি পেটের বাচ্চার মাঝে আছে..থাকলে অনেকেই এবরশন করিয়ে থাকেন।
Genetic Counseling Service
৬। আজকাল কিছু কোম্পানী বের হয়েছে যারা আপনার কোষ এর মাঝে থাকা ক্রমোজম কে টেস্ট করে বলতে পারে যে আপনার আয়ু আর কত..আর তা তারা বলে ক্রমোজমের মাথায় থাকা টেলোমিয়ার বলে ডিএনএ এর একটা অংশ দৈর্ঘ্য মেপে। যত কম দৈর্ঘ্য, ততই কম সময় বেচে থাকার। তবে তাদের সার্ভিস হল যে কিছু টেকনোলজির দ্বারা এই টেলোমিয়ার এর সাইজ কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করা
Telomere size increase service
৭। পোষা প্রানী ক্লোনিং: আজকাল এটা একদম রুটিন বিজনেস হয়ে দাড়িয়েছে। আপনারা তো জানেন যে পশ্চিমা বিশ্বে পোষা প্রানীকে নিজের চেয়েও বেশী ভালবাসে, তাই অনেকেই তাদের পোষা প্রানীর ডিএনএ/কোষ কে সেভ করে রাখে, আর যখন পোষা প্রানী মারা যায়, তখন সেই ডিএনএ দিয়ে একেবারে ১০০% সেইম পোষা প্রানীকে ক্লোনিং করে 'আবার' জন্ম দেওয়া হয়। এখন তো পোষা প্রানী হচ্ছে, ভবিষ্যতে মানুষের নিজের প্রিয় কেউ মারা গেলে যে, তাকে আবার ক্লোন করার ব্যবস্হা যে চালু হবে সেটা বলা বাহুল্য।
Pet Cloning
ব্লগারদের থেকে আশা করছি আরো ফিউচারিস্টিক বিজনেস আইডিয়ার
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৪
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশে কর্মচারীর চেয়ে ম্যানেজার এর সংখ্যা বেশী হবে (ঘরে ঘরে এমবিএ পাশ)
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
সাসুম বলেছেন: কলাবাগান ভাই, একটা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। মানুষ মারা যাওয়ার পর তার প্রিয়জন দের কে যাতে করে সেই মানুষের একটা ভার্চুয়াল প্রেজেন্স রাখা যায় এটা নিয়ে।
এটা হবে, মানুষের সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, বেচে থাকা অবস্থায় পাওয়া তথ্য উপাত্ত, ছবি, ভিডিও কে কম্পাইল করে এ আই এবং মেশিন লার্নিং ইউজ করে একটা ভার্চুয়াল এভাটার তৈরি করার মাধ্যমে। মূলত ফেসবুকের মেটাভার্সের জন্য করা শুরু করলেও আমরা এখন এটাকে মাস মার্কেটে বাজারজাত করার জন্য কাজ করছি মূলত টেক সাইডে।
মূলত যেসব বাবা মাদের সন্তানেরা অল্প বয়সে মারা যায় তাদের বাবা মা রা বেশ মনে করেন তাদের কে, এই স্মৃতি জীবিত রাখতেই মূলত এই প্রজেক্ট এর চিন্তা এবং সেখান থেকেই আগানো। আমার বেশ কয়েকটা স্টার্টাপ এর এটা একটা
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫০
কলাবাগান১ বলেছেন: এক্সিলেন্ট স্টার্টাপ .।গুড জব। যদিও আমি এআই নিয়ে কম বুঝি, তবে এটা বুঝি যে ভবিষ্যতে আপনার জীবন যাপন, পছন্দ/অপছন্দ সবই কিছুই নিয়ন্ত্রন করবে এআই বেইসড টেকনোলজি। আমি চেস্টা করেছি, সেই সমস্ত ফিউচারিস্টিক ব্যবসা কে আলোচনা করতে যেটা অলরেডি বাজারে ইউজ করার জন্য বাজারে চলে এসেছে।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
প্রষ্টেট ও ইউটেরাস ক্যান্সারের সহজ ও সস্তা টেষ্ট আছে নাকি?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৬
কলাবাগান১ বলেছেন: পোস্টে লিং দেওয়া কোম্পানি প্রায় ৫০টি বিভিন্ন ক্যান্সার কে সনাক্ত করতে পারছে।
তবে ইয়ারলি হেলথ চেক আপ এর সময় যে নরমাল ব্লাড টেস্ট হয়, তখন ডাক্তার PSA (Prostrate specific antigen) level ও সনাক্ত করার জন্য বলে দেয়, এর জন্য আলাদা কোন ফি দিতে হয় না (বা দিলেও সেটা নরমাল ব্লাড টেস্ট ফি এর মাঝেই ইনক্লডেড)
এই লেভেল দেখেও প্রিডিক্ট করা যায় প্রস্টেট এ কোন ক্যান্সারাস গ্রোথ আছে কিনা
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।
আইডিয়া ভালোই দিয়েছেন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৮
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংগালীদের স্বকীয়তা অর্জন করতে হবে..। মান্ধাতা আমলের বিজনেস ত্যাগ করে...।
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪০
গরল বলেছেন: বাংলাদেশে এত মানুষ যে এদের বর্জ্য কাজে লাগিয়েও অনেক কিছু করা সম্ভব যেটা করছে চীন। যে পরিমান প্রাণীজ হাড়গোড় আমরা ভাগাড়ে ফেলে দেই তা থেকে জিলেটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস উৎপাদন করা সম্ভব। ডেইলি ষ্টার এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে বছরে মাছের উৎপাদন ৪১ লাখ টন যা থেকে অন্তত ১ লাখ টন আঁশ ও আরও ১ লাখ টন নাড়ি-ভূড়ি আমরা বর্জ্য আকারে পাই যা থেকে বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাণিজ্য হতে পারে যা ইতিমধ্যে চীন করে যাচ্ছে। একই ভাবে পোল্ট্রির উৎপাদনও কিন্তু কম না। মুরগির নাড়ি-ভূড়ি পেট ফুড ও পালক থেকে কৃত্তিম তুলা ও তন্তু ও তাপ নিরোধক তৈরী হয় যা জ্যাকেটের ভেতরে ব্যাবহৃত হয়। পশু-পাখি ও মাছের নাড়ি-ভূড়ি থেকে কিন্তু সার্জিক্যাল সুতাও তৈরী হয় যেটাতে চীন এখন এক নম্বর রফতানিকারক।
ইলেক্ট্রনিক কনজুমার বাংলাদেশে প্রায় দশ কোটির মত অথচ এই খাত সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর। কোটি কোটি যানবাহন চলে বাংলাদেশে যার মূল পার্টস বাদ দিলাম, অ্যাকসেসরিজ ও আমদানি হয় বিদেশ থেকে। হিইটেক বা ফিউচারোষ্টিক বাদ দিলাম, ব্যাক ডেটেড জিনিষেও আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে। কোটি কোটি রিক্ষার বিয়ারিং পর্যন্ত চায়না থেকে আসে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার আইডিয়া..। আপনার আলোচনা থেকে যদি একজন উদ্দোক্তা ও চীন থেকে এমন টেকনোলজি বাংলাদেশে আনে, তাতেও কিছুটা উপকার হবে। বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস হয়ত তৈরী হচ্ছে কিন্তু ব্যাপক হারে না...।পৃথিবীর ৮ম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হয়ে যে পরিমান বর্জ্য বাংলাদেশ তৈরী করে,তার এমন অলটারনেঠিভ ব্যবহার হওয়া বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: গোটা বাংলাদেশ একটা বাজার!