নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাশেম সাহেব আমেরিকাতে থাকেন অনেক দিন। মাঝে মাঝে উনার বাড়ীতে উনার কিছু বড় লোক আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসে। তেমনি ২০০১ সনে উনার এক দুর সম্পর্কের আত্মীয় রতন সাহেব বেড়াতে আসেন। হাশেম সাহেবের দাদা আর রতন সাহেবের দাদা হলেন আপন ভাই-ভাই। তবে রতন সাহেব সবার অজান্তে বড় একটা ক্রাইম করে চুপিসারে আমেরিকা বেড়িয়ে বাংলাদেশে ফেরত চলে যান। হাশেম সাহেবের বাড়ীর কাছে হাইকিং ট্রেইলে একজন নারী রেইপ হন কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকারে রেপিস্ট কে চিনতে পারেন নাই মহিলা। পুলিশ অনেক খুজেও কোন ক্রিমিনাল কে গ্রেপ্তার করতে পারে নাই। তবে রেইপ কিট থেকে সিমেন সংগ্রহ করে স্টোরেজে রেখে দেওয়া আছে যাতে ভবিষ্যতে উন্নত কোন টেকনজি আসলে তা দিয়ে রেপিস্ট কে সনাক্ত করা যায়।
২০১২-১৩ সনের থেকে আমেরিকাতে অনেক লোক ই নিজেদের ডিএনএ ancestry.com; 23andme.com নামক ওয়েবসাইটে জমা দেয় নিজেদের পূর্বপুরুষ কে জানার জন্য আর সাথে সাথে তার কোন জেনেটিক রোগ হওয়ার সম্ভবনা কত ইত্যাদি জানার জন্য। আবার নতুন একটা ওয়েব সাইট GEDMatch তৈরী হয় যেখানে যে কেউ তার ancestry.com; 23andme.com থেকে পাওয়া ডিএনএ জমা দিলেই তারা বলে দেয় আপনার কোন লস্ট আত্মীয় যাকে হয়ত আপনি চিনেন না, তাকে খুজে এনে দেয়, অনেকের ই হয়ত বিবাহ বহির্ভুত সন্তান থাকে কিন্তু লুকিয়ে রাখে, কিন্তু ডিএনএ ম্যাচ করে আপনার কোন step brother/sister আছে কিনা তাও বের করে তারা বলে দেয়। আজ পর্যন্ত্য প্রায় ১২-১৩ লাখ লোকজন তাদের ডিএনএ GEDMatch আপলোড করেছে। আর মাত্র ৩০ লাখ হলেই, ১০০% আমেরিকান দের আত্মীয় স্বজন কে ডিটেক্ট করা যাবে ডিএনএ ম্যাচ থেকে। এখানে দেখতে পারেন Genealogy databases could reveal the identity of most Americans
তো হাশেম সাহেব ও একবার উনার ডিএনএ GEDMatch এ আপলোড করেছিলেন একটা কিউরিসিটি থেকেই, আর তাতেই পুলিশ পৌছে যায় হাশেম সাহেবের কাছে যেহেতু ২০০১ সনের রেপিস্ট এর সিমেনে যে ডিএনএ পাওয়া গিয়েছিল, সেটার সাথে হাশেম সাহেবের ৩.৩% ম্যাচ হয় (মিল অনুযায়ী রেপিস্ট হল উনার সেকেন্ড কাজিন)। পুলিশ উপরের ছবির ন্যায় হাশেম সাহেবের বংশের genealogy ম্যাপ করে দেখে যে রতন সাহেব ২০০১ সনে ক্রাইম সিনের আছে পাশে ছিলেন। তারপর বাংলাদেশে গিয়ে রতন সাহেবের অজান্তে উনার সিগারেট এর বাট থেকে ডিএনএ নিয়ে দেখা গেল যে ১০০% ম্যাচ রেপিস্ট এর ডিএনএ এর সাথে। ২০০১ সনের ক্রাইম ২০২০ সনে এসে সলভড হল।
(উপর এর ঘটনা কাল্পনিক)
Higher studies এ এখন Forensic genealogy সাবজেক্ট হিসাবে খুবই লেটেস্ট এবং হাই ডিমান্ড। এমন সময় আসবে যে সকল দেশে বাচ্চা জন্ম গ্রহন করার সাথে সাথেই ডিএনএ কে ন্যাশনাল ডাটা বেইসে রাখা হবে। এই ডিএনএ এর নানাবিধ ব্যবহার হবে (শুধু মাত্র ক্রিমিনাল/ রেইপ কেইস সলভ না) - সেটা বলতে গেলে আরেক টা পোস্ট দিতে হবে। বাংলাদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে মনে হয় Forensic genealogy পড়ানো হয় না। পড়ানো উচিত (ক্রিমোনলজি, বায়োলজি, আইন বিভাগ এ)। আপনি ইচ্ছে করলে অনলাইনে Forensic genealogy certification course করতে পারেন। যারা বিদেশে পড়তে আসতে চায় আর যদি এই বিষয়ে আগ্রহ দেখায়, ফেভারএবল রেসপেন্স পেতে পারেন। আপনি আপনার সন্তানদের এই বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে পারেন। এই বিষয় টা এখন খুব কম লোকই জানে কিন্তু এই টপিক এর ব্যবহার/এপ্লিক্যাশন অনেক
সাগর-রুনির ক্রাইম সিন থেকে কিলার এর ডিএনএ কিন্তু পাওয়া গিয়েছে... কিলার এর ডিএনএ দিয়ে ভবিষ্যতে হয়ত বাংলাদেশীরা কিলার এর আত্মীয়-স্বজন কে খুজে পাওয়া যাবে।
পাদটীকা: বাংলাদেশে দেখলাম জমজ ভাই জমজ বোন কে বিয়ে করেছে!!!! এখন এই দুই ফ্যামিলির ছেলে মেয়ে রা তো কাজিন না হয়ে বায়োলজিক্যালি আপন ভাই/বোন হবে। আর যদি কাজিন-কাজিন প্রেম হয়ে যায়......
২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫৯
কলাবাগান১ বলেছেন: অনেক লুকিয়ে রাখা ব্যাপার বের হয়ে আসছে..। সারা জীবন যাকে বাবা বা মা মনে করে বসবাস করে এসেছিল, genealogy রেজাল্ট তার জন্ম যে 'পরকীয়ার' ফসল তা জানিয়ে দিচ্ছে। পেরেন্টের পরকীয়ার ফলে জন্ম নেওয়া অন্য বাচ্চা (সৎ ভাই/বোন) কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে, বাচ্চা এডপ্ট করা হয়েছিল, সে তার বায়োলজিক্যাল পেরেন্ট কে খুজে পাচ্ছে। ৪০ বছর আগে ১৩ জন কে মার্ডার করা এবং ৩০ এর ও অধিক রেইপ করা গোল্ডেন স্টেট কিলার কে ৭৮ বছর বয়সে গ্রেপ্তার করা হয় এই টেকনলি ইউজ করে। বিস্তারিত এখানে দেখুন
Golden State Killer
গত ৬ মাসে ১২ থেকে ১৩ টা রেইপ/হত্যা র আসামীিদের ২০-৩০ বছর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই টেকনোলজি দিয়ে।
২| ২২ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১,
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
বাংলাদেশের মানুষ ডিএনএ টেষ্টের কথা জানে আগুনে পোড়ার ঘটনার পরে। এর বিশদ ব্যবহার এর কথা স্বাভাবিক ভাবেই তাদের জানার কথা নয়। আপনি এর ব্যাপক ব্যবহার ও ভবিষ্যতে এর গুরুত্ব কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে লিখুন।
২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:০৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ভবিষ্যতে ডিএনএ সবার জীবনে বিরাট ভুমিকা রাখবে বিশেষ করে মেডিক্যাল এপ্লিকেশন, খাদ্য উৎপাদন, সামাজিক ইত্যাদি নানা কাজে।
অনেক কাজের মাঝেও অল্প কিছু সময় পাই, তখন কাচা হাতে, তাড়াতারী লিখা যায় এমন সব পোস্ট দেই...
৩| ২২ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কালে কালে আরো কত কি যে দেখবো!
২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:০৫
কলাবাগান১ বলেছেন: এই ডিএনএ ই বলে দিচ্ছে যে এই পৃথিবীতে কি ভাবে প্রানের উদ্ভব হয়েছিল
৪| ২২ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: পাদটীকা জোস লেগেছে। হুম আসলেই চিন্তার ব্যাপার।
২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১০
কলাবাগান১ বলেছেন: সেই কাজিন রা বিয়ে করলে বিজ্ঞান এবং ধর্মীয় ভাবে এটা জায়েজ হওয়া উচিত হবে না। এই রকম সিমিলার জেনেটিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে বাচ্চা হলে, সেই বিকলাংগ হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশী (inbreeding depression)। কাজিন বিয়ে কেন করা উচিত না, তা নিয়ে আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।
৫| ২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
Forensic Geneology অনলাইন কোর্স করে সার্টিফিকেট নিলে দেশে বিদেশে কি লাভ হবে?
২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:২৪
কলাবাগান১ বলেছেন: তখন হয়ত আপনার হাত ধরে বাংলাদেশে প্রথম বিশ্বখ্যাত Forensic Geneology কোম্পানী স্হাপিত হবে। যেহেতু সব ডাটা পাবলিক্যালি এভেইলএবল, আপনি হয়ত নিজেই কোন কঠিন সমস্যা/ক্রাইম কে সলভ করতে পারবেন। অনেক ক্রাইম নিয়ে নিয়ে কাজ হচ্ছে, অনলাইন এ গ্রুপ আছে যারা চেস্টা করছে কারো এর আইডেন্টিটি বের করতে, কিন্তু ডিএনএ ম্যাচ ১০% এর জায়গায় ১% হচ্ছে, আপনি হয়ত আপনার জ্ঞান দিয়ে নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করবেন কিভাবে এই শুধুমাত্র ১% ম্যাচ দিয়ে কাউকে আইডেন্টিফাই করা যায়... তখন অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী হয়ে যাবেন
৬| ২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকায় এসব এতটা সহযে হবে না। যে দেশে এখনো ৪০% মত টিকাই নিতে চায় না।
ডিএনএ দিলেও তদন্ত করতে বা আদালতে তার বিরুদ্ধে ব্যাবহার করতে দিবে না। যদি তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি মামলা না থাকে।
আইন আদালতের প্রচলিত কোড "আমার সেধে দেয়া বক্তব্য তথ্য উপাত্ত আমার বিরুদ্ধে ব্যাবহার করা যায় না"
২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:১৭
কলাবাগান১ বলেছেন: GEDMatch ডাটাবেইসে যেহেতু আপনি নিজেই ডিএনএ আপলোড করছেন, এটা অনেকটা অপেন সবার ইউজ করার জন্য। পুলিশ এই GEDMatch ক্রিমিনাল এর ডিএনএ আপলোড করে এ এই পর্যন্ত্য ১২-১৩ টাকোল্ড কেইস কে সমাধান করেছে। হত্যা, রেইপ, শিশু নির্যাতন এমন সব কেইসে কোম্পানীগুলিকে পুলিশের সাথে ডাটা শেয়ার করতে কোর্ট বাধ্য করছে।
৭| ২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:০৫
গরল বলেছেন: নেটফ্লিক্স এ সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে এরকম একটা মুভি দেখেছিলাম যেটার কাহিনীও মোটামুটি আপনার গল্পের মতই, Forensic genealogy এর মাধ্যমে প্রায় তিন বছর পর একটা আরব কিশোরীর খুনিকে খুজে বের করে। আমাদের দেশের পুলিশ এখনও Forensic Biometric ই ঠিক মত ব্যাবহার করতে পারে না। আমি UNDP এর কনসালটেন্ট থাকা কালীন DMP এর প্রতিটা থানায় দুটি করে FBI Appendix F সারটিফাইড Biometric Device, তাদের জন্য CIVS - Criminal Investigation and Verification System বানিয়ে দিয়েছিলাম, ট্রেইনিং ও দিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলোও এখন বোধ হয় অকেজো হয়ে পড়ে আছে। আগে ভোটার আইডি করার জন্য সাধারণ বায়োমেট্রিক ডিভাইস ব্যাবহার করত। আমরা স্বরাষ্ট্র মণ্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে দুবছর ধরে বুঝিয়েছি যে এটা দিয়ে একজন মানুষকে সনাক্ত করা হয়ত যাবে তবে বিচার কার্যের জন্য উপযুক্ত না কারণ এগুলো Forensic Standard না। অবশেষে তারা রাজি হয় যে বায়োমেট্রিক এর জন্য একটা ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড তৈরী করবে এবং সেটাও আমরা বানিয়ে দেই। পরিশেষে তারা এখন স্ট্যান্ডার্ড ডিভাইস ব্যাবহার করে আঙ্গুলের ছাপ নেয়।
২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২২
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কাজের জন্য। বাংলাদেশে অনেক কাজ তোড়-জোড় করে আরম্ভ করা হয় কিন্তু ব্যবহার তেমন হয় না। বাংলাদেশে ডিএনএ ন্যাশনাল ডাটা বেইস তৈরী করার উদ্দেগ (বানান হয় না) নেওয়া উচিত। এর যাতে মিস-ইউজ না হয় সেটা কে মাথায় রেখেই সব বাচ্চার ডিএনএ স্যাম্পল (চিক সোয়াব) জমা দেওয়া বাধ্যতা মুলুক করা উচিত (জন্ম নিবন্ধন এর জন্য)।
৮| ২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২১
এইচ তালুকদার বলেছেন: খুবই সময় উপযোগী লেখা। আমি নিজেই ফরেনসিক ফাইল সিরিজটির ভক্ত ইউটিউবে সময় পেলেই দেখি। ফরেনসিক জিনিওলজি এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে অনেক পুরনো বা ক্লুলেস কেস সল্ভ করা দেখতে ভালো লাগে।যেমন এই মুহুর্তে মনে পড়ছে ২০২০ সালে সলভ হওয়া প্রায় ত্রিশ বছর পুরনো একটা কেস যেখানে ক্যাম্পিং এ যাওয়া তিন কিশোর কিশোরীকে খুন করা হয়েছিলো, আবার অন্য আরেকটা কেসে লাশের শরীরে লেগে থাকা সিগারেটের ফিল্টার এর খোসা থেকে কুকুর এর ডিএনএ এক্সট্রাক্ট করে সন্দেহভাজন এর কুকুর এর ডিএন এ এর সাথে মিলিয়ে দেখে অপরাধী কে ধরা হয়।
২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ইয়েস আমিও আপনার মত ফরেনসিক ফাইল সিরিজের নিয়মিত দর্শক...আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশে বেশ কিছু উদাহরন ইউজ করি ল্যাব এক্টিভিটি হিসাবে।
৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপনও সুন্দর।
২৩ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০৫
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ২৩ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের সব রহস্য 'ডিএনএ' তে থাকে।
একদিন দুনিয়াতে কোনো রহস্য থাকবে। সব রহস্য মানুষের জানা হয়ে যাবে। ডিএনএ নিয়ে আরো অনেক গবেষনা করলে সব কিছু দিনের আলোর মতো পরিস্কার হয়ে যাবে। তখন দুষ্টলোকজন আর বাহাদূরি করতে পারবে না। তখন প্রতিটা মানুষ হয়ে আবে খোলা বইয়ের মতো।
বাংলাদেশে কারাগারে যত লোক আছে, এদের কিছু সংখ্যক অন্যায় না করেও সাজা ভোগ করছে। সত্যিকার অপরাধীরা অন্যায় করেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যায় করে কালো টাকার মালিকেরা। অথচ সাজা হয় নির্দোষ মানুষ। 'ডিএনএ' টেস্ট করে আসল অপরাধীদের ধরতে পারলে ভুল লোক সাজা পেতো না ।
২৩ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২৮
কলাবাগান১ বলেছেন: নিরাপরাধ কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসিমীদের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মুক্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক/ছাত্র/ছাত্রীরা মূখ্য ভুমিকা পালন করতে পারে। উন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন বিভাগের ক্লাব গুলি এভাবে অনেক নিরাপরাধ আসামি কে মুক্ত করেছে
১১| ২৩ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নতুন নতুন আইডিয়া আসবে যা মানুষের ভাল কাজে ব্যবহার করাই লক্ষ্য হোক।
২৪ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৩:০৭
কলাবাগান১ বলেছেন: ম্যাক্সিমাম সময়েই ভাল কাজে ব্যয় হয়।
১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৩২
সাসুম বলেছেন: বাংলাদেশে আসলে কিছু করা পসিবল না। আমাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলটাই এর মূল কারন। আমি এই মুহুর্তে ৩ টা স্টার্টাপ নিয়ে কাজ করছি।
১। ফিমেল বার্থ কন্ট্রোল টেকনোলজিঃ আমরা নারীদের পিরিয়ড ডেটা নিয়ে সেটা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং দিয়ে তাদের বডি টেম্পারেচার নিয়ে তাদের নন ওভালুটিং ডেট করে এমন একটা ফিক্সড টাইম বের করতে চেয়েছি ( মাসে ১২ দিন) যখন সেক্স করলে আর প্রেগ্নেন্ট হবেনা। দুনিয়ার অনেক প্রান্তে অনুমতি পাওয়া গেছে , আমাদেরর হেলথ মিনিস্ট্রি অনুমতি দেয়নাই। অথচ আমরা দেখিয়েছি আমাদের এফেক্টিভ নেস ৯৮% যেখানে কন্ডোম এর এফেক্টিভনেস ৮৪%
২। বায়ু দূষনঃ ঢাকা শহরের বায়ু দূষন এড্রেস ও লাইভ ডেটা ট্রান্সমিশান এবং সেটাকে নিয়ে কাজ করার জন্য পরিবেশ অধিদপতরে আজ অনেক দিন ধরে একটা এপ্লিকেশান পরে আছে। কেউ খুলেও দেখেনা। অথচ অনেকগুলা টাকা ইনভেস্ট করে ফেলেছি টেকনোলজি টা নিয়ে
৩। ক্রিমিনাল ডেটাবেইজঃ এটা সবচেয়ে দামী প্রজেক্ট আপনার আজকের পোস্টের সাথে মিলে। আপনি যেমন খালি ডিএন এ ভিত্তিক ডেটাবেইজ করতে চাচ্ছেন, আমরা চাচ্ছিলাম আমাদের ক্রিমিনাল দের এখন পর্যন্ত দেশে যত কেইস , জিডি, এফ আই আর , আর কেইস হিস্টোরি আছে সব ডেটা বেইজে ঢুকাতে আর সেই সাথে এই ডেটা গুলোকে সকল ল এনফোর্স্মেন্ট এর হাতের নাগালে রাখার জন্য যাতে করে সহজে অপরাধী সনাক্ত করা যায়। আমরা খুব বাজে ভাবে রিজেক্ট হইছি
বাট অন্যদেশে একটা ট্রায়াল প্রজেক্ট কিন্তু ঠিকই চালাচ্ছি। ইভেন আমাদের পাশের দেশ ভারতের দিল্লীতেও সেইম প্রজেক্ট চলছে এবং গুরুগ্রামের একটা এলাকা কিন্তু একদম ডীজিটালাইজড।
আমাদের সরকারের উপরের মহল যদি সচেতন না হয় তাহলে কোন কিছুই পসিবল না আসলে।
০২ রা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৫০
কলাবাগান১ বলেছেন: আমাদের দেশে যারা সিদ্ধান্ত দেওয়ার জায়গায় আছে, তারা নিতান্তই 'অক্ষম' আজকাল কার টেকনিক্যাল যুগে। বুঝেই না এমন সব টেকনোলজির ব্যবহার। আপনার নেওয়া তিনটা কাজই যুগান্তরী পরিবর্তন আনতে পারে কিন্তু এটা বুঝার মত লোকই নাই প্রশাসনে। বাংলাদেশে কাউকে না ধরলে (তদবির করার জন্য) কোন কাজ হয় বলে মনে হয় না।
১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৩৫
জ্যাকেল বলেছেন: ইন্তেরসান্তে!
১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৩৬
জ্যাকেল বলেছেন: মাইন্ড খাইয়েন না কলা ভাই, স্পানিশ একসেন্ট মাঝে মধ্যেই ব্যবহার করা হয় বাস্তব জগতে। আপনার পোস্ট পড়ে আর সামলাইতে পারলাম না।
০২ রা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৫২
কলাবাগান১ বলেছেন: ট্রান্সলেট করলে বুঝতে পারতাম... ইন্টারইস্টিং???
১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৩৫
অধীতি বলেছেন: আমার এ বিষয়ে তেমন কোন ধারনাই ছিলনা। বেশ ইন্টারেস্টিং লাগল। এ বিষয়ে এখন থেকে চোখ বুলাবো।
১২ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৯
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ..এই টেকনোলজি এখন অনেক পুরানো আনসলভড কেইস কে সমাধান করতে সাহায্য করছে। আমেরিকাতে আর অল্প কিছু মানুষ যদি তাদের ডিএনএ কে জমা দেয় তার নিজের বংশ/রোগ জানার জন্য, তাহলেই ১০০% লোকদের কে আইডেন্টটিফাই করা যাবে কে কার সাথে রিলেটেড।
১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
চমৎকার একটা বিষয় শুরুতেই গল্পের মধ্যে দিয়ে বলা হয়েছে, যেটা ভালো লাগলো ।
সত্যি ঘটনা অবলম্বনে ক্রাইম বেইজড মুভিগুলো খুব দেখা হয় ।
ওখানে দেখেছি অনেক বছরের পুরনো কেইস নতুন করে ওপেন হয় বা ক্রিমিনাল ধরা পরেছে ।
নিঃসন্দেহে ডিএনএ বিশাল ভূমিকা রাখে ।
কিন্তু অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে এটা সেভাবে কাজে লাগাতে পারবে না ।
কারন আর কিছুইনা, দুর্নীতি । বাংলাদেশের জন্মাবধি সকল ক্ষমতাসীন সরকারেই দুর্নীতি কমবেশি ছিলো, আছে ।
টাকা দিয়ে তারা সব কিনে ফেলে । যেখানে দশটা কেইসের দশটাই এই উন্নত প্রজুক্তির মাধ্যমে ক্রিমিনাল আইডেন্টিফাই করা পসিবল, সেখানে মেজরিটি নির্দোষ মানুষ দোষী সাব্যস্ত হবে আর আসল অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাবে । ডাটাবেইজে দেখাবে এক অপরাধী আর রিপোর্ট আসবে অন্য কেউ ।
দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি আমাদের দেশে ক্ষমতা আর টাকা সব কন্ট্রোল করে ।
যাদের অনেক অর্থ, তারা ক্ষমতা কিনে নেয় ।আবার যাদের ক্ষমতা তারা সেটা অপব্যবহার করে প্রচুর অর্থের মালিক হয় । সাধারণ মানুষের যত জ্বালা !
ক্যান ইউ ইমাজিন, লাস্ট ইয়ার দিজ টাইম বাংলাদেশে একটা মার্ডার কেইসে আসল সাস্পেক্টকে একটা কোয়েশ্চেনও ফেইস করতে হয়নি, no interrogation, no accountability, nothing.
ক্ষমতা আর টাকার বলে কি স্মুদলি পার পেয়ে গেলো ।
যাই হোক আমরা আশাবাদী, সংখ্যায় কম হলেও আমাদের দেশেও নিশ্চয়ই কাজে দিবে ।
কিছুদিন আগে এক ডকুমেন্টারিতে দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্রে বিশ বছর আগের হারিয়ে যাওয়া ফস্টার কেয়ারে বেড়ে উঠা একটা মেয়ে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার বায়োলজিক্যাল ফ্যামিলির খোঁজ পেয়েছে । ওয়ান্ডারফুল !
১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩৭
কলাবাগান১ বলেছেন: কিন্তু টেকনোলজি দিয়েই এসব অনিয়ম কে বন্ধ করা যায়- যদি ইচ্ছা থাকে। আমি এত হতাশ না...আপনার চেয়ে বয়সে আমি অনেক বড়...এর চেয়েও ভয়াবহ অনিয়ম দেখেছি, কিন্তু এখন কিছুটা হলেও কমে আসছে, তবে বড় মাপের অনিয়ম কমে নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক অপরাধীদের পেছনে না দৌড়িয়েও অপরাধী ধরা যায়। উন্নত দেশে ফরেনসিক বিভাগ অত্যন্ত আধুনিক।
উপরের ঘটনাটা কাল্পনিক হলে অবাস্তব নয়।