নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এখনও পড়াশুনা করছি। তার সাথে বেশ কিছু দিন ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি।

কাল্পনিক আমি

আমি এখনও পড়াশুনা করছি। তার সাথে বেশ কিছু দিন ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি।

কাল্পনিক আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাত্রপক্ষ দেখতে আসব........

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০০

ফাহমিকে বরপক্ষ দেখতে এসেছে। বাসা ভরতি ছোটখাটো একটা উৎসবের আমেজ। পাত্রের বাবা বিশাল ব্যাবসায়ি। শহরের ভি আই পি এলাকাসহ নানান জায়গায় তার কয়েকটা বাড়ি, গ্যারেজে প্রিমিও, কিয়া আর পোরসে তিন ব্র্যান্ডের তিনটা গাড়ি, ব্যাঙ্ক ভর্তি টাকা পয়সা, কোন কিছুরই কমতি নেই। কনে দেখা উপলক্ষে বাসায় ফাহমির খালারা এসেছেন। বড় খালা আসার পর থেকেই আল্লা আল্লা করছেন যেন বিয়েটা হয়ে যায়, আর সেইজন্য সতর্কতার কমতি নেই তার, কোথাও কিছু এলোমেলো রয়ে গেল কিনা, আপ্যায়নে কোন কিছুর কমতি হয়ে গেল কিনা, সেসব নিয়ে তার মাথা খারাপ অবস্থা। মেজ খালা কিছুটা আত্মভোলা , আল্লা চাইলে হবে নইলে হবেনা...এমন একটা ভাব নিয়ে বাসার এ মাথা থেকে ও মাথা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেই তুলনায় ছোট খালা কিছুটা চটপটে বলা চলে। ধনী ব্যাবসায়ি তো কি হয়েছে... আগে ছেলে কেমন সেটা দেখতে হবে, পরিবারের কি অবস্থা জানতে হবে, সব দেখে শুনে আস্তে ধীরে এগুনো যাবে এমনই ভাব তার। এরই মধ্যে ছোট খালা ফাহমির ঘরে এসে দু তিনবার দেখে গেছেন ফাহমিকে। ফাহমির চেহারার দিকে তাকিয়ে কি বুঝলেন কে জানে, কিছুটা অভয়ের সুর টেনে বললেন... আরে বড়লোক হইছে তো কি হইছে, দেখতে আসছে বলেই কি তোকে বিয়ে দিয়ে দিব নাকি? ফটাফট কথা জিজ্ঞাসা করবি। কি করে , কই থাকে, কই যায়... বিড়ি সিগারেট খায় কিনা। ...বুঝলি?



ফাহমি কিছুটা ঘোরের মধ্যে। ঠিক এই মুহূর্তে বিয়েটা করতে চাচ্ছেনা সে। আরও দু এক বছর পর এই নিয়ে ভাবা যেত । কিন্তু বাবার কোন এক পরিচিত এই সম্বন্ধটা নিয়ে এসেছে। কাল রাতেই হুট করে বাবা বলে বসলেন আজ তাকে দেখতে আসবে। ফাহমি বাবাকে কিছু বলতে পারেনি। নিজের ঘরে গিয়ে দরজাটা আস্তে করে বন্ধ করে দিয়েছে সে। ঠিক এই সময়টাতে সব মেয়ের জন্য পরম নির্ভরতার একজন হয়ে থাকেন মা, ফাহমির যে মা নেই। ফাহমি খুব অসহায় বোধ করে। মাকে মিস করতে থাকে খুব। হঠাত করেই ফাহমির ডুকরে কান্না আসে, কেঁদে উঠে সে... মা মা বলে।



সকাল থেকেই ছোট খালা ফাহমিকে তাড়া দিয়ে এসেছেন প্রস্তুত হওয়ার জন্য। শুক্রবার দিন, বরপক্ষ জুমার নামাজ পড়েই নাকি এসে পড়বে। দুপুরে বাসায় বরপক্ষের জন্য খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। খাবারের পরপরই ফাহমিকে সাজুগুজু করে একটা পণ্য সেজে অদের সামনে গিয়ে দাড়াতে হবে, এই ভেবেই ফাহমির মন খারাপ হয়ে যায়। মেয়ে হয়ে জন্মানোর অপরাধবোধ তাকে তাড়া করে ফেরে।



অথচ, ফাহমির চাওয়াগুলো ছিল একটু অন্যরকম। এমন একজন থাকবে মাঝরাতে যে তাকে ফোন করে ঘুম থেকে ডেকে তুলবে জ্যোৎস্না দেখার জন্য, ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাসার সামনে এসে তাকে ডেকে অস্থির করে তুলবে একসাথে ভেজার জন্য... শুধুই একটা মেয়ে ভাববেনা তাকে... আরও কত কি!



নামাজের পর পরই ছেলে পক্ষের লোকজন চলে আসে। বাসার সবার মধ্যে ফিসফাস সুরু হয়ে যায়। ব্যাস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুন। ড্রয়িংরুমের দিকে বাসার সবার উৎসুক দৃষ্টি। ফাহমির ছোট ভাই হঠাৎ দৌড়ে এসে হাফাতে হাফাতে বলে... আপুনি, জিজু কে দেখে এলাম। অনেক সুন্দর। কিন্তু কেমন করে যেন কথা বলে। আমাকে বলেছে তোমাদের বিয়ের পর একটা সামসাং গ্যালাক্সি মোবাইল কিনে দেবে...ইয়াহু...।। এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে চলে গেল সে।



দুপুরের খাবারের পর অনেকটা ধিরপায়ে ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করল ফাহমি। সাভাবিক সময়ে নিজের রুম থেকে ড্রয়িং রুমে আসতে ফাহমির কয়েক সেকেন্ড লাগে। ফাহমি এখন সেই পথ পেরিয়ে এসেছে কয়েক মিনিট সময় নিয়ে। শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ফাহমিকে ছোট খালা কেন ধরে ধরে নিয়ে আসছেন, সেটা ও ফাহমি বুঝতে পারল না।



ড্রয়িংরুমে কিছুক্ষনের নীরবতা । ফাহমি জানে, এই সময়টায় আসে পাশের মানুষগুলো আপাদমস্তক তাকে গিলে খেয়ে ফেলছে। চরম অস্বস্তি বোধ করে সে। মাথাটা একটু উপরের দিকে তুলে সহজ হতে চেষ্টা করে । কিন্তু মুখোমুখি বসে থাকা ভাবি জামাইয়ের জন্য সেই চেষ্টা ও ব্যারথ হয়। কিছুটা অসহায়ের ভঙ্গিতে পাশে দাঁড়ানো খালার দিকে তাকালে খালা স্মিত হাসলেন।



নীরবতা ভাংলেন বরের মা

-কেমন আছ তুমি মা?

-জি ভাল, আপনি কেমন আছেন

- হ্যাঁ ভাল মা, তোমার নাম ফাহমি না মা?

-জি , ফাহমি ইমতিয়াজ

- খুব সুন্দর নাম। এখন কিসে পড়ছ তুমি মা?

মহিলাটি তার প্রত্যেক কথার শেষে মা বলে যাচ্ছে। ব্যাপারটা ফাহমির খুব ভাল লাগছে। ফাহমির ইচ্ছে করছে তার কথার শেষে ও মহিলাকে মা বলতে। কিন্তু সেটা খুব বাড়াবাড়ি রকমের হবে। এরই মধ্যে মুখোমুখি বসা ভাবিজামাইকে ফাহমি এক নজর দেখে নিল। ফর্শা চেহারার গুল্টু গাল্টু টাইপের একটা কানা ছেলে । চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা পরে ওর দিকে ইদুরের মত তাকিয়ে আছে।

কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে ফাহমি উত্তর দেয়

-বিবিএ

- ভাল মা ভাল, এস এস সি তে কি রেজাল্ট ছিল মা?

- জি পি এ ৫

- খুব ভাল মা , খুব ভাল, আর এইচ এস সি তে?

- জি পি এ ৫

কথাটা শুনে মহিলা খুব খুশি হয়ে উঠেন। আসে পাশে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে আবার বলে উঠেন খুব ভাল , খুব ভাল। ফাহমির হাসি পায়। মহিলা হয়ত জানেন না এ বছর প্রায় এক লক্ষ পোলাপাইন এস এস সি তে জি পি এ ৫ পেয়েছে। এটা এখন আর খুব ভাল কোন রেজাল্ট না।



এরপর সামনে থাকা প্লেট থেকে একটা আঙ্গুর মুখে তুলতে তুলতে ছেলের ভাবী ঝেড়ে কাশেন। ইয়ে মানে তুমি কি ভাবছ... বিয়ের পর চাকরি বাকরি করবা?

ফাহমি কি বলবে ভেবে পায়না। পাস থেকে ছোট খালা খামোখাই হাসতে হাস্তে বলে উঠেন......আরে না। ওতো চাকরি বাকরি একদমই পছন্দ করে না। ও একেবারেই সংসারি মেয়ে।

ফাহমি এরই মধ্যে ভাবতে সুরু করেছে, ছোট খালাকে সে এ ধরনের কথা কক্ষনো বলেছে কিনা। কিন্তু সে চিন্তায় বাধ সাধলেন ছেলের চাচী।

- তুমি রান্নাবান্না করতে পার?

- জি, ( আবারো এগিয়ে এলেন ছোট খালা। আরে খালাম্মা, আজকের সব রান্না তো ওই করেছে। সব রান্না করতে পারে... হা হা হা ) ফাহমি ছোট খালার দিকে আড় চোখে তাকায়। ছোট খালা সবার অলক্ষে ফাহমিকে চোখের ইশারা করেন।

- নামাজ পড় তুমি? (চাচির পালটা প্রশ্ন )

- জি

- সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ি করেন। ছেলের ভাবী হাই হিলের সব্দ করতে করতে উঠে এসে ফাহমির পাশে দাঁড়ান। ফাহমি বুঝে উঠতে পারছেনা কি হচ্ছে। ছেলের ভাবী ফাহমির গায়ে আলতো হাত রাখেন। একটু মুচকি হেসে চুলে হাত বুলান সন্তর্পণে। যেন টারসেল খোঁজার চেষ্টা। তারপর আবার জায়গায় ফিরে জান।



ছেলের মা ছোট খালার দিকে তাকিয়ে বলেন... আচ্ছা, কিছু মনে না করলে একটা কথা বলতে পারি। খালা জি জি জি করে উঠলেন। মহিলা বললেন ... বিয়ে তো আসলে ওরা করবে। আমরা তো নামেমাত্র। ওদের কে একটু আলাদা কথা বলতে দেই আমরা। কি বলেন?

উত্তরের অপেক্ষা না করেই মহিলা আবার বললেন ...। ওরা কথা বলুক, বুঝুক নিজেদের, ঠিক আছেনা?



একটু সময় পর ড্রয়িং রুমটি খালি হয়ে গেল। গুল্টুগাল্টু ছেলেটা মনে হয় লজ্জা পাচ্ছে। কি বলবে বুঝে উঠতে পারছেনা। হঠাত বলে উঠল ...।

- আমাদের কিন্তু এই শহরে তিন তিনটা বাড়ি আছে। আর নারায়ণগঞ্জে আরও একটা। ড্যাডি বলেছেন এ মাসেই আরেকটা গাড়ি কিনবেন......।

- ফাহমি চমকে উঠে, এ কেমন কথা বার্তা। অর্থ আর আভিজাত্তের বড়াই? ফাহমি চুপ থাকে।

- এর পর ছেলেটা ফাহমির আপাদমস্তক একবার ভাল করে দেখে নেয়, কি জঘন্য সে দৃষ্টি!!!! ফাহমির গা ঘিন ঘিন করে উঠে

- শুনেন, আপনাকে কিন্তু আমার অনেক পছন্দ হয়ে গেছে। বিয়ের পর ভাবছি আমরা থাইল্যান্ডে জাব হানি মুনে। ড্যাডির অবশ্য ইচ্ছা আমরা মেরিকা তে যাই...। যাই হোক আপনাকে কিন্তু আমার ভাল লেগেছে।

ফাহমি অস্বস্তি বোধ করে। কি বলবে ভেবে পায়না। নিজেকে হঠাত করেই যেন কুরবানির গরুবাজারের গরু মনে হতে থাকে তার। কেউ একজন এসে চারপাশ থেকে ভাল করে দেখল, পছন্দ হল, আর পকেটে টাকা থাকলে কিনে নিয়ে গেল। ফাহমির মুখে এক দলা থথু জমে, কিন্তু সেটা ফালানোর কোন উপায় খুজে পায়না।



অবয়বে মানুষরূপী অমানুস ছেলেটা কিছু না বলে আচমকা মা মা বলে চিল্লাতে চিল্লাতে উঠে পড়ে।

- ছেলেটা ফিরে এসেছে মাকে নিয়ে। অনেকটা জোরে জোরেই বলে চলছে... মা, আমার পছন্দ হয়েছে... আংটি টা পরিয়ে দাও...। মহিলা অনেকটা হাসি হাসি মুখ নিয়ে ছেলের গায়ে হাত বুলান... হ্যাঁ বাবা, দেখছি আমি। অস্থির হয়না বাবা। ভাবটা এমন যেন, কোন বাচ্চা ছেলে তার মায়ের কাছে পছন্দের খেলনার জন্য বায়না ধরেছে... মা সেই খেলনা কেনার ব্যাবস্থা করতে যাচ্ছেন।

- ফাহমি আতকে উঠে। এমন একটা ছেলেকে যদি তার বিয়ে করতে হয়, এ জীবনের আর মূল্য কি। মুহূর্তেই তার চোখের সামনে ভেসে উঠে একটি অকল্পিনিয় দৃশ্য... আলিসান একটি বাড়িতে ভারি ভারি গহনা পড়ে সে হেটে বেড়াচ্ছে। ড্রয়িং রুমের পাশে যে রুমটি, সে রুম থেকে ভেসে আসছে একটি পরিচিত কণ্ঠস্বর... আরে ও আর কি বলবে, তুমি এসে পড় হানি। দারুন মাস্তি হবে...। কণ্ঠস্বরটি ফাহমির অতিচেনা। সে আর কেউ নয় তারই হাজবেন্ড। ফাহমি নিজের অজান্তেই মাথা নেড়ে উঠে। তার মনে হচ্ছে সে মরে যাবে। ছোট খালা পাশে এসে দাঁড়ান। হাল্কা টানে ফাহমি কে উঠিয়ে বাসার ভেতরের দিকে নিয়ে জান। ফাহমি্র কদম গুলো ভার হয়ে আসে, শরীর দুলতে থাকে। ছোট খালা ফাহমির দিকে চেয়ে জিজ্ঞাসা করেন... শরীর খারাপ করছে কিনা...। ফাহমি না সুচক মাথা নাড়ে।

রুমে যাওয়ার পথে বাবার সাথে দেখা হয় ফাহমির। দেখা হতেই কোন কিছু না ভেবে বাবাকে জড়িয়ে ধরে। চোখ থেকে ঝরে পড়া অশ্রুতে বাবার সাদা পাঞ্জাবি গায়ের সাথে কিছু জায়গায় মিশে যায়। ফাহমির প্রকৌশলী বাবা কিছুতেই বুঝতে পারেন না তার মেয়ের এমন কান্নার কারণ



ফাহমি তার রুমে ঢুকে পড়ে। ড্রেসিং টেবিলে বাধিয়ে রাখা মায়ের ছবিটায় আলতো করে হাত বোলায়। চোখের এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে ছবিতে। ফাহমি বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে মায়ের ছবিটাকে। পিছন থেকে তার নাম ধরে কেউ একজন ডেকে উঠে... ফাহমি...



মা, আমরা আসি। লক্ষ্মী হয়ে থেকো। ইচ্ছে করছিল তোমাকে এখনি নিয়ে যেতে, কিন্তু তোমার ছোট খালা কিছুতেই রাজি হচ্ছেন না। ভাল থেকো মা...। ফাহমি মহিলাকে পা ছুয়ে সালাম করে। একে একে সবাই বিদায় নেয়। ফাহমি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।



বর পক্ষ থেকে ওইদিনই বিয়ের জন্য অনেক চাপাচাপি করা হয়। ছোট খালা ছিলেন বলেই রক্ষা । দারুনভাবে সব কিছু মানেজ করে ফেললেন ছোট খালা।

ফাহমির বাবার ছেলেটাকে খুব পছন্দ হয়েছে। ছোট খালা সিদ্ধানত জানানোর জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন।



সেইদিন রাতে ফাহমির কাছে ছোট খালা মতামত জানতে চেয়েছেন। ফাহমি খালাকে উল্টো একটা প্রশ্ন করে বসেছে... তোমরা কি আমাকে কোন ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাও? নাকি দাম্ভিকতায় পরিপূর্ণ কোন টাকার বলদের কাছে, বল???? ছোট খালা নিরুত্তর থাকেন। কারন, ছোট খালা ভাল করেই জানেন, ছেলের এমন রুপ দেখার পর ফাহমি এ বিয়ে কক্ষনোই করবেনা। কক্ষনোই না...।।



( ফাহমির সাথে দেখা হয়নি কখনোই। কল্পনায় একে চলা ফাহমির স্বপ্নগুলোে মাঝে মাঝে আমাকেও ছুয়ে যায়। সেই সপ্ন গুলো সাথে নিয়ে একদিন ফাহমির চোখে চোখ রাখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু সেই ইচ্ছে মিলিয়ে যায় শিগগিরই। বাউন্ডুলের যে সপ্ন দেখতে নেই।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.