নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐতিহাসিক বা নাগরিক চেতনা ধারন করতে পারিনি ,অনেকটা আদিম ,বর্বরই রয়ে গেছি ।আমার লেখা আমার এই আদিম ,বর্বর জীবনের প্রতি বাঁকেরই প্রতিফলন

কাল্পনিক সত্ত্বা

মনোপ্রকাশ

কাল্পনিক সত্ত্বা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সুখী মুরগী দম্পতি ও 'বন্ধুপ্রতিম' শিয়াল

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫২

একদা এক বনে এক মুরগী দম্পতি বাস করত ।২ ছেলে নিয়ে তার বেশ সুখে শান্তিতেই বসবাস করত ।তাদের বাড়ির পরের বাড়িতেই বসবাস ছিল এক শিয়ালের ।আর অন্য বাড়িগুলো বিবিধ প্রকার প্রানী বসবাস করত ।বলে রাখা ভাল এই বন অন্য যেকোন বনের চেয়ে বেশি সভ্যতার ছোঁয়া লাভ করেছিল তাই এই বনে সকল প্রকার প্রানীর সহঅবস্হান ছিল । যাই হোক ঐ মুরগী দম্পতির সামনের বাড়িতে থাকত এক ব্যাচেলর বানর ।তো তার সাথে যেমন মুরগী দম্পতির ভালো খাতির ছিল তেমনি শিয়ালের সাথেও ভালো সম্পর্ক ছিল ।ঐ ব্যাচেলর বানর বাবাজি ছিলেন আবার বিশাল বড় পল্টিবাজ ;'নাই কাজ তো খই ভাজ' অবস্হা আরকি ।সে মুরগীদের বাড়িতে গিয়ে শিয়ালের প্রসংশা করত আর শিয়ালের কাছে গিয়ে কিভাবে মুরগীদের খাওয়া যায় তাই নিয়ে পরিকল্পনা করত ।মুরগী বাড়িতে গিয়ে একদিন বানর শিয়ালের প্রসংশা করতে থাকলে বাড়ির কর্তা মোরগ এড়িয়ে যায় । বানর ব্যাপারটি খেয়াল করে এবং বলে 'আরে মিয়া আপনি এহন পশু চিনেন নাই ।উনি তো আমাদের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী উনার মত পশুই হয়না ' । কথাটা মোরগ মনযোগ দিয়েই শুনে ।তারপর থেকে বানরের মুখে 'বন্ধুপ্রতিম' কথাটি শুনতে শুনতে মোরগের মনে হতে থাকে শিয়াল মনে হয় আসলেই ভালো । তো একদিন শিয়াল ঐ মুরগীদের বাড়িতে বেড়াতে আসে ,তো স্বাভাবিকভাবেই ভদ্রতার খাতির মুরগী তাকে আপ্যায়ন করে ।আর শিয়াল মুরগীকে বলে 'আমার মনে হচ্ছে আমি আমার নিজের বাড়িতেই আছি ।আপনার যে কোন সমস্যা বা কোন দরকার হলেই আমাকে বলবেন আমি সাধ্যমত চেষ্টা করব ।' বানরও সাথে সাথে সায় দেয় ।যাই হোক পরদিন শিয়াল তার বাড়িতে চলে যায় এবং মুরগীরও শিয়াল সম্পর্কে ভালো ধারনা জন্ম নেয় ।এভাবে কিছুদিন কেটে যায় ।একদিন মোরগ বাজার থেকে এসে দেখে মুরগী কাঁদছে তখন সে ঘটনা জানতে চায় এবং শুনে যে সকাল থেকেই তাদের আদরের ছোট ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না ।মোরগ দেরি না করে বেরিয়ে পড়ে এবং তার ছেলেকে খুঁজতে থাকে পথে বানরের সাথে তার দেখা ।বানরকে সে তার ছেলের কথা জিজ্ঞেস করলে বানর বলে সকালের দিকা সে তাকে দেখেছিল পাশের বনের কিছু দুষ্ট মুরগীর সাথে কোথায় যেন যাচ্ছে ।এরপর অনেক খোঁজাখোঁজির পরও সে তার ছেলেকে পায় না ।কেটে যায় আরো কিছুদিন ।একদিন তার বড় ছেলেও একইভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় ।এবার বানরকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে 'আপনার এই ছেলের পাখনা একটু বড় ছিল ও মনে হয় অন্য কোন বনে চলে গেছে ' । এবার মোরগের বানরকে সন্দেহ হয় এবং সাথে সাথে শিয়ালকেও ।সে শিয়ালের বাড়ির দিকে যায় এবং দেখে ঘরের বাইরে মুরগীর পশম পড়ে আছে ।সে ঘটনা বুঝতে পারে কিন্তু বানর তাকে দেখে ফেলে ।সে শিয়ালকে বিষয়টি খুলে বলে ।শিয়াল এসে মোরগকে দিয়ে বেশ ভালো মধ্যাহ্নভোজ সারে ।পরের দিন সে আর বানর গিয়ে মুরগীকেও খেয়ে ফেলে ।এভাবেই শেষ হয় একটি সুখী মুরগী দম্পতির কাহিনী । যাই হোক এরপর বেশকিছুদিন কেটে যায় ।হঠাত্‍ একদিন বনবাসীরা এক হিজল গাছের নিচে বানরের লাশ আবিষ্কার করে এবং তারা অদ্ভুতভাবে খেয়াল করে শিয়ালকে বনের কোথাও দেখা যাচ্ছে না

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.