নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবিঃ বছর চারেক আগে তোলা
সকাল বেলা পিসি খুলতেই নিচের কোণায় চোখ পড়ল। মাইক্রোসফট জানিয়ে দিল আজকের বাতাস এর অবস্থা "সিভিয়ার", মানে বাতাস ভয়াবহ দূষিত। আমাদের জন্য এটা নতুন কোন বিষয় না। প্রায় প্রতিদিনই আমরা দূষিত বায়ুতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাচ্ছি। এই বাতাসে যেমন আছে বিষাক্ত নানা গ্যাস, তার সাথে নিশ্চয়ই আছে সাম্প্রদায়িক, মুমিনীয় বিষবাষ্প। খুব বেশি কিতাবি শুনালেও এর চেয়ে ভালোভাবে এটি প্রকাশ করার কোন শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না।
ঘটনা অনেকটা এমন-
বাসা থেকে বেরিয়ে দোকানে গিয়ে সিগারেট কিনলাম। কিনে ঠিক বাসায় ফিরে আসছিলাম। সিগারেট পকেটে। পরনে ছিল হাফপ্যান্ট আর একটা টিশার্ট। টিশার্টটা একটা মেটাল ব্যান্ডের। তো, টিশার্টের আর্টওয়ার্কটা অনেকটা এরকম যে, দেবী কালী জিহবা বের করে দাঁড়িয়ে আছেন। ভাবতে পারেন কেনো এগুলা পরি? কারণ এটাই আমার চয়েস অফ ড্রেস। শীতকালেও হাফপ্যান্ট পরি, সবসময়ই এমন আর্টওয়ার্কের টিশার্টই পরি। এই সভ্য যুগে এসে কাউকে আমার ড্রেস কোড নিয়ে ব্যখ্যা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না। ড্রেস এর কথা ঊল্লেখ করার যুক্তি অচিরেই খুঁজে পাবেন।
তো, গলিতেই এলাকার কিছু ছোটভাই বসা। ওরা আমাকে বেশ সম্মান করে সবসময়ই। চলে যাচ্ছিলাম। ডাক দিল-
-"ভাই"
-"কিরে?"
-"রোজা রাখছেন?"
-"না"
টিশার্টের আর্টওয়ার্কের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল-
-"ভাই, তুমি কি মুসলমান?!"
অবাক হয়ে তাকালাম পাঞ্জাবী, টুপি পরা ছোটভাইয়ের দিকে। সবসময় পরে না। রোজা দেখেই হয়ত পরল। আমি তাকিয়ে হাসলাম একটু। আবার একই প্রশ্ন। সাধারনত আমি পলিটিক্স, ধর্ম এগুলা নিয়ে কথাবার্তা এড়িয়ে চলি। কিন্তু যে এপ্রোচে ও আমাকে জিজ্ঞেস করল, উত্তরটা দিয়েই দিলাম।
-"না"
-"মানে? তুমি মুসলিম না?"
আবারও হেসে বললাম-
-"না"
-"কি বল ভাই, কষ্ট পাইলাম। তুমি আল্লারে বিশ্বাস কর না?"
আমি ঠিক বুঝতে পারলাম ওর উদ্দেশ্য। যেভাবে দেশে মুমিনরা বিশ্বাস সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাতে ও আমাকে যতই সম্মান করুক ইসলামের দিকে তাকিয়ে চাপাতি হাতে নিতে সময় লাগবে কয়েক সেকেন্ড। তাঁর উদাহরণ দেয়াটা বাহুল্য মনে করছি। চোখের সামনে হাজার উদাহরণ। অভিজিত, দীপন এর কথা ভুলে যাওয়ার কোন কারন দেখি না!
বলে রাখা ভালো, ধর্ম নিয়ে এই ছোটভাই এর জ্ঞান চেতনা পর্যন্তই। এলাকার নিয়মিত গাজাখোরদের মধ্যে ও একজন। এমনকি ইফতারের পর গাজার দাওয়াত ও দিলো।
-"দেখ, তুই রোজা রাখসস। আমি হুদাই তোরে প্যারা দিতে চাইতেসি না।"
-"না ভাই, তুমি বল। আমার কোন সমস্যা নাই। কেন তুমি ইসলাম মানো না। ইসলামে তো সব দেয়া আছে"
মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল।
-"কি দেয়া আছে?"
-"দুনিয়ার যা কিছু আছে সবই দেয়া আছে কোরানে"
চুপ থাকলাম কয়েক দন্ড।
-"কেমনে মাছ উলটে খেতে হয়ে সেইটা পর্যন্ত বলা আছে।" (কেঊ জানলে জানাবেন!)
জানতাম ওর সাথে যুক্তি খাটবে না। তাও বললাম-
-"আচ্ছে। তো, মোবাইল ক্যামনে চালাইতে হয়? বলা আছে না কোরানে, বল আমারে"
চুপসে গ্যালো। গিয়ে বসলো।
-"ভাই, কষ্ট পাইলাম।"
-"মানে কষ্ট পাবি ক্যান। কোন হিন্দু বা বৌদ্ধ্য যদি এসে তোরে দাওয়াত্ দিত, তুই মানা করলে ওরা কি কষ্ট পেত? কি ধরনের কথা এগুলা?"
পাশ থেকে আরেকজন বলল-
-"ভাই বাদ দেন। ওরে রোজায় ধরসে, হুদাই প্যাচাল পারতেসে"
সে আবার বলল-
-"ভাই, তোমার টিশার্টে এগুলা কি। আর হাফ প্যান্ট পরে আছ"
-"তো? আমি কি আজকে নতুন পরতেসি?
পাশের জন যোগ করল-
-"ভাই সারাবছর যাই করি, এই এক মাস তো ঠিক হয়ে চলা উচিত"
কি আর বলব!
-"তোর কি ধারনা আমি এগারো মাস ভন্ডামি করার জন্য, তোগো দেখানোর জন্য এগুলা পরি?"
-"না ভাই, তাও। সবাইরে তো হিসাব দিতে হইব"
প্রথম ছোটিভাইটা উইক প্লটে ফিরে গ্যালো।
-"ভাই, তুমি কি নবিরে মানো না?"
বুঝলাম ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে। অ ওপেক্ষা করছে আমার মুখ থেকে কোন একটা বেফাস কথার।
-"কি মানমু? মানে, মানা বলতে তুই কি বুঝাইতেসস?"
-"ভাই, খুব কষ্ট পাইলাম। ভাবসিলাম তুমি মুসলিম"
-"দেখ, এ জন্যই তোরে প্রথমেই মানা করছিলাম, এগুলা নিয়ে কথা না বলতে"
-"না ভাই, কোরানে কিন্তু সব বলে দেয়ে আছে"
-"তাই? গাড়িতে চড়ার নিয়ম কি? কেমনে চড়ব?"
-"এইডা কি কইলা ভাই, রাস্তায় চলার আদব ছয়টা, কোরানে বলা আছে", পাশের জন যোগ করল
-"কোরানে কোন যায়গায় বলা আছে বল, রাস্তায় চলার আদব ছয়টা?"
-"সূরা বাকারার ৩০ নাম্বার.."
মোবাইল বের করলাম সাথে সাথে। ভুলভাল রেফারেন্স দেয়া ছোটভাই পল্টি নিল-
-"যেখানেই থাক, বলা আছে ভাই"
আর বাড়াতে চাইলাম না।
-"দেখ, তোর যা বিশ্বাস করতে মন চায় কর, তোরে বাধা দেয়ার রাইট আমার নাই। আবার আমারে বাধা দেয়ার কোন রাইট তোর নাই। আর হ্যাঁ, আমি যা করি, সব দিক দেখে, বুঝে, শুনে, পড়ালেখা করে তারপরই করি। তুই আমারে বলসস ঠিক আছে। ওট্টুকেই থাক"
অন্য একজন আসতেই প্রসংগ পালটে হালকা করলাম। বলা বাহুল্য, সন্ধ্যার পর গাজার দাওয়াত আবার পেলাম।
এই মুমিনীয় সন্ত্রাস দিনকে দিন বাড়ছে। আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, আমার পরিবার ইসলাম মানে কি না, আমি কেন ইসলাম মানি না এটা জিজ্ঞেস করার অধিকার কারো নাই। সাংবিধানিকভাবে কিংবা নৈতিকভাবে কোন সভ্য সমাজে এগুলা কল্পনাতীত। কিন্তু যেহেতু অচিরেই আমরা আফগানিস্থানের মত শরিয়া শাসন চালু করতে যাচ্ছি, সেহেতু এটাই উত্তম আচরণ। অভিনন্দন ও শুভকামনা বাংলাদেশ!
শেষ করছি ব্যান্ড ক্রিয়েটরের লাইন দিয়ে-
"We're not afraid to live
We're not afraid to die,
We are the antidote to the radicalized
And as the cities drown in bloodbaths worldwide
We will survive
Totalitarian terror!
Welcome the destroyer!
Wielder to strike
Totalitarian terror,
Feeding the oppressor;
Resistance must rise when freedom has died......."
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: মানুষ যা করে, একসময় তা সংস্কৃতি হয়ে ওঠে। আর কোন সংস্কৃতির ধারক বাহক হওয়ার চেষ্টা করি নি কখনো। আর হ্যাঁ, বেশিরভাগই অগোচরে গাজা খায়, পালিয়ে না!
২| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
সোনাগাজী বলেছেন:
আরবী না'বুঝে বাংগালীরা কোরানের বাণীকে ভুল ব্যাখ্যা করে আসছেসব সময়। বেশীরভাগ বাংগালী বাংলা ভাষায় সঠিকভাবে কোন গল্প, প্রবন্ধ কবিতা লিখতে পারে না; তারা ১২ বছর ইংরেজী পড়ে ইংরেজীতে কথা বলতে পারে না; আরবী কিভাবে বুঝবে?
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার পাঠকের সংখ্যা খুবই কম; কারণ কি?
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: কদাচিত আসা হয় ব্লগে। এটা একটা কারণ হতে পারে।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনি তো ওদের সাথে ভালো সময়ই ব্যয় করলেন।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: ওই যে বললাম, ছোটভাই! অপরিচিত কেউ নয় তো।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
রানার ব্লগ বলেছেন: এই রকম শীতকালীন মুসুল্লী দিনে দিনে বাড়ছে।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ এখন
৬| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
কামাল১৮ বলেছেন: আগে সমাজটা এমন ছিলো না।জাকির নায়েক,আরিফ আজাদ আর কিছু কাঁঠ মোল্লার ওয়াজের ফল।গল্পের ছলে আপনার বক্তব্য পরিস্কার।খুবই ভালো লাগলো পড়ে।একটা বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।
সব লেখা সবার জন্য না।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫০
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: রাজনীতিবীদ আর ব্যবসায়িদের হাইব্রিড মুমিন চাষ প্রকল্পের ফুল, ফলে ভরে উঠছে বাংলাদেশ। ধন্যবাদ!
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: When I was born the seed was sown
I will not obey, my life is my own
Battle those who wish to enslave me
Expose the lies that enrage me
I don't believe in Heaven I don't believe in Hell
Never joined the herd could not adjust well
Slave and master it's not for me
I chose my own path set myself free
I go my own way
I swim against the stream
I will fight the power that be
The eagle flies alone
Reject the system that dictates the norm
The world is full of lies and deceit
I have felt betrayal
Cut so deep suffered defeat
Only to rise again.
ARCH ENEMY - The Eagle Flies Alone
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @জ্যাক_স্মিথ আপনি আমার প্রিয় গানটাই দিলেন !!
৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @নিবর্হণ নির্ঘোষ_ ARCH ENEMY এর Alissa White এর সবগুলো গানই আমার ভালো লাগে। এমন বৈচিত্রময় ফিমেল কন্ঠ আমি পৃথিবীতে দেখিনি, সেই সাথে তার অদ্ভুত সব গায়কি ঢং আমার আসাধারণ লাগে। আর লিরিক্সের কথা কি আর বলবো এক কথায় জটিল সব অনুভূতি থাকে এসব লিলিক্সের মধ্যে।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫২
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: এলিসার ভোকালের ডেপথ বেশ ভালো!
১০| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @জ্যাক স্মিথ , ডেথ বা থ্রাশে এমন ভালো নারী কণ্ঠ আর পাওয়া যায় না । তবে গিটার সলো আর রিফ ভালো লাগে না , এই ব্যান্ডের এইসবে কাজ তত ভালো না গড়পড়তা যেমন তেমনই মনে হয় । কিছু কিছু ভালো তবে সবগুলো না !! আর মেটালের মধ্যে আমি বরাবরই ইকবাল আর কাজী নজরুলকে খুঁজে পাই । এই গানটা শোনার আগে আমি এমন একটা কবিতা লিখেছিলাম । এরপর এই গান শুনে থমকে গিয়েছিলাম !
আপনি দেখছি একজন অতি উত্তম মানের মেটাল হেড !! জেনে ভালো লাগল !!
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: ব্যান্ড হিসেবে আর্চ এনিমি খুব একটা রিচ বলে হয়নে আমারও। আর হ্যাঁ, নজরুল একালে জন্মালে অবশ্যই মেটাল মিউজিক করতেন বলেই আমার মনে হয়।
১১| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৪৪
সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লিখা।
দেশে এখন আজাদ সাহেবদের জয়জয়কার। আর সাথে হিজাবী আপাদের। ক'দিন আগেও মনে হয় এরকম এগ্রেসিভ মোল্লা দেখিনি কিন্তু এখন দেখছি। হিজাবী আর ননহিজাবী গ্রুপ। ধর্ম এখন টুপি আর হিজাবের মাঝে আবোধ্য।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী আপনাকে। শুভবুদ্ধির জয় হবেই।
১২| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৪১
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে আমার একটু ভয়ই লাগলো।
আপনার বক্তব্যেব সাথে একমত হওয়ার পরেও বললো - সাবধানে থাকতে হবে, সাবধানে চলতে হবে। জংগীদের সাথে তর্কবিতর্ক কোন কাজের কথা নয়। এরপর এইসব কিছু জিজ্ঞাসা করলে বলবেন আপনি সব মানেন সব বিশ্বাস করেন! কোন নাস্তেক-কাফেরের কল্লা ফেলতে হবে কি না তাও জেনে নিতে পারেন ।
শুভকামনা ।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে, কখনো হয়ত বলতে পারবো না আমি সব মানি, সব বিশ্বাস করি। এভয়েড করে যাব সবসময় এর মতই।
১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১০
রানার ব্লগ বলেছেন: আমি ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এটা জানি যে যারা গাঁজা খায় বা ইয়াবা খায় এদের মধ্যে ধর্মীয় ভাব প্রবল থাকে । এরা মনে করে এরা ধর্মের উচ্চ শিখরে আছে। এদের সাথে তর্ক করা আর নিজের গালে নিজে থাপ্পর দেয়া সমান।
১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: এই রকম নিজের বিশ্বাস অন্যের উপর চাপিয়ে মানুষ আমাদের দেশে অভাব নেই । আরও ভাল করে বলল বেশির ভাগই আপনি এই রকম পাবেন । অনলাইনে তো প্রচুর । এদের সাথে কথা বলা মানে সময় নষ্ট করা ! আপনি এদের যতই বোঝানোর চেষ্টা করেন না কেন ফল বৃথা ।
১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অফিসে কেউ নামাজ পড়তে ডাকলেও আমার বিরক্ত লাগে। আজ অফিসে জোহরের নামাজের জন্য ডাকাডাকি করবে। রোজার মাস বলে কথা।
কিছু মনে করবেন না ভাই।
রোজার মাসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঢোক ঢোক করে ঠান্ডা ফান্টা খান নাকি একটু অগোচর করেন ? মানে এমন বাচ্চা কোন ছেলেমেয়ে রোজা থাকতে পারে ভেবে।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪১
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: বেশির ভাগ সময়ই রাস্তায় কোন কিছু খাওয়া এড়িয়ে চলি
১৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি খুব সূক্ষ্মভাবে যা বুঝাতে চাইছেন সেটা অনেকেই টের পায়নি। ভালো রাস্তায় যে কেউ আসতে পারে, সেটার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। আজকে যে গাজাখোর কালকেই সে আল্লাহর রাস্তায় ফিরে যেতে পারে।
আর একজন গাঁজাখোরই খুব ভালোভাবে আরেকজন গাঁজাখোরকে চেনে।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: আমি যাক বুঝিয়েছি স্থুলভাবেই বুঝিয়েছি। কে গাজা খাবে, কে ভালো রাস্তায় যাবে, কে খারাপ রাস্তায় যাবে তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র চিন্তা নাই। আর হ্যাঁ, যখন আপনার বাসার পাশেই বসে কেউ গাজা খাবে তখন কিন্তু আপনার নিজের গাজাখোর হওয়া লাগবে না তাকে চিনার জন্য। ভালো থাকবেন!
১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: দুই বছর আগে জুমার নামাজের পর এক আড্ডায় একটি অল্টারনেটিভ রক ব্যান্ডের ভোকালের সাথে তর্ক বেধে গেল গান হালাল না হারাম নিয়ে । তো সেদিন সে আমাকে বলেছিল " আপনি বিভ্রান্তি ছড়াবেন না যা মানেন মানেন গিয়ে । " আমি বলেছিলাম আমার কথা আমি বলব এবং আমি হলফ করে বলতে পারি আমি যা বলছি মোটেও বিভ্রান্তি না ।
সেই ছেলে আবার ব্যান্ডে যোগ দিয়েছে । বেশ পরিচিতি পাচ্ছে এখন ওদের ব্যান্ড তাই নাম বললাম না । আপনার পোস্টের প্রাসঙ্গিকতায় এই কথা না বলে পারলাম না ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন !!
১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি হাফ প্যান্ট পড়ি।
একবার হাফ প্যান্ট পড়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার চলে গিয়েছিলাম।
১৯| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
জ্যাকেল বলেছেন: মুমিন মানে আপনে কি বুঝেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
সোনাগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের সমাজে ঘরের বাহিরে "হাফপ্যান্ট" পরার মতো সংস্কৃতি কখনো ছিলো না; বাংলায় গাঁজাখোর ছিলো, ওরা পালিয়ে গাঁজা খেতো।