| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কালপুরুষ
জন্মঃ নারিন্দা, ঢাকা। পেশাঃ নগর গবেষক। শখঃ আড্ডা, বিতর্ক, লেখালেখি, ফটোগ্রাফী, রান্না, বই পড়া, গান শোনা ও ছবি আঁকা। এক সময় রাশিফল ও হস্তরেখা বিদ্যা চর্চায় যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। বিশ্বাসঃ মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও মৃত্যুর মুখোমুখি হতে আমার ভীষণ ভয়।
ফটোগ্রাফীর টুকিটাকি (রাতের ছবি) -১
ব্লগার নুভানের রাতের ছবি (নাইট ফটোগ্রাফী) পোস্টে করা মন্তব্যটি পোস্ট আকারে দিলাম। Click This Link
আলোকচিত্র বা ফটোগ্রাফী আজকাল এক ধরণের সৃজনশীল, নান্দনিক ও ক্রিয়েটিভ পর্যায়ের শিল্প। আর এই শিল্পের প্রধান উপকরণ ক্যামেরা। এই শিল্প সৃষ্টিতে যে জিনিষটি খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হলো আলো। এই আলো আর ছায়ার যুগলবন্দীতেই সৃষ্টি হয় অপূর্ব সব শিল্পকর্ম। অতীতে আলোকিচত্রের মাধ্যম ছিল একটাই- সাদাকালো। পরবর্তীতে সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন বা কালার ফটোগ্রাফীর প্রচলন শুরু হয়। বিগত কয়েক দশকে বিশ্বজুড়ে রঙিন আলোকিচত্রের প্রভাবে সাদাকালো ছবির প্রায় বিলুপ্তি ঘটে।
কখনো কখনে আমরা আলোকচিত্র বিষয়ক বইপত্র বা ম্যাগাজিনে যা পড়ে থাকি বাস্তবে তা অনেকক্ষেত্রে ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারিনা বা করার সুযোগ হয়না বা ইচ্ছে থাকলেও হয়ে ওঠেনা। তার কারণ উপযুক্ত উপকরণ। আমরা যারা ফটোগ্রাফী করি তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। প্রয়োজনীয় রসদের অভাব, টেকনিক্যাল বা কারিগরী জ্ঞান ও উপকরণের অভাব বা স্বল্পতা এবং প্রয়োজনে হাতের কাছে তোমন যুৎসই কিছু না পাওয়া। তাই আমরা পরীক্ষানিরিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের উপযোগী কিছু একটা বিকল্প ব্যবস্থা বের করি কিংবা বের করতে বাধ্য হই। আর ক্রমশঃ তা ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠি। যা হয়তো ফটোগ্রাফীর মূলধারা বা প্রচলিত ব্যকরণের আওতায় পড়েনা। ফটোগ্রাফী এমনিতেই ব্যয়বহুল একটা শিল্প মাধ্যম বিশেষতঃ প্রফেশনাল ফটোগ্রাফী সত্যিই খুবই ব্যয়বহুল একটা ব্যাপার যা আমাদের অনেকের সামর্থের বাইরে।
আমাদের দেশে ফটোগ্রাফীকে প্রফেশন হিসেবে নিয়ে তেমন কেউ বিত্তশালী হয়েছে এমন নজির নেই আবার তেমন কোন বিত্তশালীরা ফটোগ্রাফীকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তেমন নজিরও নেই। উন্নত দেশগুলোতে যেমন ফ্রান্স, বৃটেন, ইতালী, জার্মানী, যুক্তরাস্ট্র ও কানাডায় পেশাদার আলোকচিত্র শিল্পীরা যে সুযোগ সুবিধা ভোগ করে বা এই মাধ্যমকে পেশা হিসেবে নিয়ে যে পরিমাণ আয় বা রোজগার করে তা দিয়ে তারা তাদের প্রয়োজনীয় সব উপকরণই কিনতে। বলতে গেলে তারা ফটোগ্রাফীকে পেশা হিসেবে নিয়ে সুনাম এবং অর্থ দুটোই অর্জন করতে পারে। কিন্তু আমরা সেক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছি। কারণ ফটোগ্রাফীর কাজে ব্যবহৃত সবকিছুই ব্যয়সাপেক্ষ। ক্যামেরা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের লেন্স, ফ্লাশ, ফিল্টার, ট্রাইপড এমন কি ক্যামেরা ক্যারিং ব্যাগ ও ক্যামেরার কভার কিনতেও বেশ পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হয়।
একটা ব্যাপারে আমরা কিছুটা এগিয়ে আছি তা হলো নিজস্ব প্রয়োজনে ক্রিয়েটিভিটি ও মেধার ব্যবহার। আমাদের প্রয়োজনের তাগিদেই আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা বের করে নিতে হয়। আলোকচিত্র বা চলচ্চিত্রের বিশ্ববাজারে আমরা আজো সেভাবে জায়গা করে নিতে পারিনি আর সেকারণেই আন্তজার্তিক বাজারে আমাদের ফটোগ্রাফী বা সিনেমাটোগ্রাফী তেমন পরিচিত নয়। এ ব্যাপারে ভারত যথেষ্ট এগিয়ে। মুম্বাইয়ের বেশ কিছু আলোকচিত্রী তাঁদের কাজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছেন। তবে আমাদের দেশের বেশ কয়েকজন আলোকচিত্র শিল্পী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছন। এঁদের মধ্যে যাঁরা অগ্রজ তাঁরা হলেন মাহবুব আলম বেগ, নওয়াজেশ আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, শফিকুল ইসলাম স্বপন, শামসুল ইসলাম আলমাজি প্রমুখ। আমার জানা মতে ফ্রান্স প্রবাসী জনাব আনোয়ার হোসেন বেশ কয়েকবার আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফী প্রতিযোগিতার জুরি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আলোকচিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যেতে পারে। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করছি ব্লগার জর্জিসের কয়েকটা প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে। নীচের লিংকের ১২ নং কমেন্টের প্রেক্ষিতে পোস্টদাতা নুভান অনেকটাই আলোচনা করেছিলেন। Click This Link
ব্লগার জর্জিস পোস্টের লেখক এবং আমার কাছে কয়েকটা প্রশ্ন রেখেছিল। প্রশ্নগুলো হুবহু এখানে তুলে দিলাম-
১। রাতের বেলা দূরের মুভিং অবজেক্টের (যেমন রাতের ষ্টেজ প্রোগ্রাম বা চলমান গাড়ি) ম্যানুয়াল মোডে জন্য ফ্ল্যাশ কতটুকু দরকারী? যদি ফ্ল্যাশ দিতে হয় সেক্ষেত্রেও কি আইএসও বাড়াতে হবে?
২। রাতের বেলা পোর্ট্রেইট + গুড ব্যাকগ্রাইন্ড ডিটেইলস এর জন্য সিন্ক্রো ফ্ল্যাশ দিলে রেজাল্ট কেমন হয়? যদি ফ্ল্যাশ দিতে হয় সেক্ষেত্রেও কি আইএসও বাড়াতে হবে?
৩। রাতের বেলা ফিক্সড অবজেক্টের ক্ষেত্রে/পোর্ট্রেইটে এপারচার কত রাখা উচিত?
৪। রাতের বেলা আইএসও কি সবসময় বাড়াতে হয়? (এপারচার আর এক্সপোজার কম বাড়াতে কোন সমস্যা নাই, তবে কেন জানি আমার বেশি আইএসও তে ছবি তুলতে ইচ্ছে হয় না)
৫। দিনের বেলা আউটডোরে সিন্ক্রো ফ্ল্যাশ ব্যবহার করা উচিত কিনা??
৬। দেশে ট্রাইপড পাওয়া যায় কোথায়? দাম কেমন? (ম্যানুয়াল মোডে ট্রাইপড ছাড়া ১সেঃ এক্সপোজার পর্যন্ত ছবি তুলতে পারি...এরচে বেশি এক্সপোজারে হাত কেঁপে যায়, ব্লার আসে)রাতের বেলা ছবিতোলা প্রসঙ্গে-
প্রথম প্রশ্নঃ
রাতের বেলা দূরের মুভিং অবজেক্টের (যেমন রাতের ষ্টেজ প্রোগ্রাম বা চলমান গাড়ি) ম্যানুয়াল মোডে জন্য ফ্ল্যাশ কতটুকু দরকারী?...যদি ফ্ল্যাশ দিতে হয় সেক্ষেত্রেও কি আইএসও বাড়াতে হবে???
উত্তরঃ
এখানে বেশ কিছু ফ্যাক্টর কাজ করছে- ১। রাতের বেলা ২। মুভিং অবজেক্টে ৩। ম্যানুয়াল মোড ৪। ফ্লাশ এবং ৫। আইএসও।
১) রাতের বেলাঃ
আমি বহুদিন যাবৎ সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স (এসএলআর) ক্যামেরা ও ৩৫ মিমি নেগেটিভ ফিল্ম ব্যবহার করে অভ্যস্ত। তাই এখানে ডিজিটাল বিষয়টাকে ইচ্ছে করেই উহ্য রাখলাম। ডিজিটাল ক্যামেরার সাহায্যে একজন অন্ধ মানুষও যে কোন সাবজেক্টকে সামনে রেখে শ্যুট করলে নিঁখুত ছবি উঠবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু একটা এসএলআর ক্যামেরায় অতো সহজে ছবিতোলা সম্ভব নয়। কারণ অটোফোকাস ক্যামেরা বা লেন্স না হলে সাবজেক্টকে নিঁখুতভাবে ফোকাস করতে হবে। এরপর এ্যাপারচার ও শাটারস্পীড প্রয়োজন মতো সেট করে নিতে হয়। আর ফ্লাশ ব্যবহার করলে নির্দ্দিষ্ট সিনক্রোনাইজিং স্পীড-এ সেট করতে হয়।
নেগেটিভ ফিল্ম সাধারণত আলোর উৎসের উপর নির্ভর করে দু'রকমের হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিজেদের ব্রান্ডের একটা ধারা ধরে রাখে। যেমন ফুজি- ব্লুইশ টোন, কোডাক- রেডিশ টোন, সাকুরা- হলদে টোন, কণিকা- সবুজাভ টোন। তবে এগুলো এতোই সূক্ষ্ম ব্যাপার যে সহজে ধরা যায়না।
ক) ট্যাংগস্টান টাইপ (রাতের আলোয় ছবি তোলার জন্য)
খ) ডে-লাইট টাইপ (দিনের আলোয় ছবি তোলার জন্য)।
আমরা সাধারণত ডে-লাইট টাইপ ফিল্ম ব্যবহার করে থাকি। এই ফিল্মে দিনের আলোকে সোর্স বা স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরে নিয়ে “হোয়াইট ব্যালান্স” (কোন সাদা বস্তুকে পারফেক্ট সাদা দেখানো) করা হয়ে থাকে। আর বিশেষভাবে রাতের ছবি (যারা ন্যাচার বা ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফী বা মহাকাশ বিষয়ক ছবি তুলতে পছন্দ করেন) তোলার জন্য যে নেগেটিভ ফিল্ম ব্যবহার করা হয় তা হলো ট্যাংগস্টান টাইপ যা সাধারণ বাল্বের আলো বা ক্যান্ডেল লাইটকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে নিয়ে “হোয়াইট ব্যালান্স” করা হয়ে থাকে। রাতের আলোর উৎসের তারতম্যের কারণে যেমন- জোছনার আলো, সোডিয়াম আলো বা নিয়ন আলো, ফ্লোরেসেন্ট আলো বা টিউব লাইট, সাধারণ বাল্ব, মোমের আলো কিংবা ফ্লাশ লাইটের আলোর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের ফিল্টার (সাধারণত হালকা থেকে গাঢ় ব্লু ফিল্টার ব্যবহার করা হয়) ব্যবহার করা হয়। ট্যাংগস্টান টাইপ ফিল্মের “হোয়াইট ব্যালান্স”-এ বিভিন্ন রঙের কারণে তারতম্য ঘটে এবং তা এ্যাডজাস্ট করা খুবই কঠিন কাজ। আর যদি তা করা সম্ভব হয় তবে রাতের আলোয় ভাল ছবি পাওয়া সম্ভব। তবে বিপত্তি হলো রাতের আলোর উৎসের বিভিন্নতার কারণে যে কোন ছবির রঙ সম্পূর্ণ পাল্টে যেতে পারে। আর এই পরিবর্তনের কারণ হলো বিভিন্ন রঙের আলোর তরঙ্গের দৈর্ঘের পার্থক্য। বিভিন্ন রঙের আলো ফিল্মের সেনসিটিভিটির উপর প্রভাব ফেলে। তাই বাস্তবে আমরা যে রঙ দেখি রাতের ছবিতে সেই রঙ দেখতে হলে আমাদের উপরের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। রাতের ছবি তোলার জন্য যে আলোর স্বল্পতা মেটানোর জন্য হাই স্পীড (বেশী আইএসও) ফিল্ম ব্যবহার করা হয়ে থাকে যাকে আমরা আইএসও (এএসএ) বলি। রাতের ছবির জন্য ৪০০ বা ৮০০ আইএসও ফিল্ম ব্যবহার করে ভাল ছবি পেতে পারি। তবে যত বেশী আইএসও ভ্যালু হবে ছবির নয়েজ (ডিসটরশন লেভেল) তত বেশী হবে। সেক্ষেত্রে শাটার স্পীড সিলেকশন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফিক্সড্ অবজেক্ট হলে ট্রাইপড অত্যাবশ্যক। মুভিং অবজেক্ট হলে এ্যাপারচারের চেয়ে শাটার স্পীড অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
২) মুভিং অবজেক্টঃ
এখানে কিছু বিষয় খেয়াল করতে হবে।
ক) ক্যামেরা ও সাবজেক্টের মুভমেন্ট কি একই দিকে? সেই ক্ষেত্রে এ্যাপাচার সেটিং নরম্যাল (এফ ৪-৫.৬) ও শাটার স্পীড খুব না বাড়ালেও চলবে। মোটামুট ১/১২৫ থেকে ১/৫০০ এর মধ্যে থাকলেই ভাল হয়। তবে পেছনের দৃশ্য আরো বেশী ভাল পেতে হলে এ্যাপাচার সেটিং এফ ৮ থেকে ১৬ করে নিলে ভাল হয়।
খ) ক্যামেরা ফিক্স কিন্তু সাবজেক্ট মুভ করছে সেই ক্ষেত্রে সাবজেক্টের মুভমেন্ট বা প্রতিসরণ যদি শাটার স্পীডের (১/১২৫ বা ১/৫০০) চেয়ে কম হয় তবে সাবজেক্টের ছবি ভাল আসবে বা ডিসটরশন লেভেল কম হবে। আর যদি সাবজেক্ট খুব বেশী দ্রুতগামী হয় তবে শাটার স্পীড আরো বেশীতে সেট করতে হবে।
গ) ক্যামেরা ও সাবজেক্ট যদি বিপরীতমুখী হয় তবে সেইক্ষেত্রে শাটার স্পীড অবশ্যই দ্বিগুন সেট করতে হবে। এখানে ভাল ছবি বা ডিসটরশন লেভেল কম পেতে হলে নরম্যাল এ্যাপাচার সেটিং -এ (৩.৫-৫.৬, ডেপথ্ ওফ ফিল্ড বেশী পেতে হলে ৮-১৬) রেখে শাটার স্পীড অনেক বেশীতে (১/১০০০-১/২০০০) সেট করতে হবে। এসবই নির্ভর করছে সাবজেক্ট বা অবজেক্ট কতটা দ্রুত বা কতটা স্পীডে মুভ করছে তার উপর। উড়ন্ত মাছি, ফড়িং কিংবা প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর ছবি তুলতে হলে শাটার স্পীড তুলনামূলকভাবে অনেক বেশীতে সেট করতে হবে।
৩) ম্যানুয়াল মোডঃ
আগে যা কিছু বলা হলো সবই মোটামুটি ম্যানুয়াল সেটিং-এর আওতায় পড়ে। তবে ক্যামেরা সম্পূর্ণ বা সেমি-অটো হলে সেক্ষেত্রে ফটোগ্রাফার কি চাচ্ছে বা তার ছবির বিষয় কী বা কেমন হবে তার উপর নির্ভর করে সে এ্যাপাচার প্রাইয়োরিটি বা শাটার স্পীড প্রাইয়োরিটির যে কোন একটা মোড বেছে নিতে পারেন। যেমন এ্যাপারচার কমালে শাটার স্পীড বাড়তে হবে আর এ্যাপারচার বাড়ালে শাটার স্পীড কমাতে হবে। আবার প্রয়োজনে দুটোই কমিয়ে বা দুটোই বাড়িয়ে ছবি তোলা যাবে। সবই নির্ভর করছে একজন ফটোগ্রাফার কি চায় তার উপর। অনেক অটোমেটিক বা ইলেকট্রনিক ক্যামেরায় “পি” সেটিং অপশন থাকে। সেটাকে বলে “প্রোগ্রামড্” সেটিং। সেক্ষেত্রে ক্যামেরার লাইট সেন্সর বা আই নিজে থেকেই বাইরের আলোর উপর নির্ভর করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার পছন্দসই এ্যাপাচার ও শাটার স্পীড দুটোই বেছে নেবে। এখানে ফটোগ্রাফারএর কাজ হলো ফোকাস এন্ড শ্যুট্। আর যদি আটো-ফোকাস ক্যামেরা হয় তাহলে জাস্ট ফোকাস দা সাবজেক্ট এন্ড শ্যুট্। তবে সব সময় ক্যামেরায় ফোকাস করার আগে সুন্দর বা দৃষ্টিনন্দন একটা কম্পোজিশন অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
৪) ফ্লাশ ফটোগ্রাফীঃ
প্রতিটি ক্যামেরায় ফ্লাশের জন্য নির্দ্দিষ্ট একটা সিনক্রোনাইজিং শাটার স্পীড রেঞ্জ (১/৩০ থেকে ১/১২৫) সেট করা থাকে যা ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার সাথে সাথে ফ্লাশ জ্বলে ওঠে। প্রতিটি ফ্লাশ নির্দ্দিষ্ট একটা রেঞ্জ পর্যন্ত আলো সরবরাহ করে যার কারণে ছবি পরিস্কার বা অস্বচ্ছ হতে পারে। সাবজেক্ট যত কাছে হবে আলো তত কম লাগবে আর এজন্যে এ্যাপাচার সেটিং করতে হয় উপরের দিকে (এফ ৫.৬-১৬/২২)। আবার দূরত্ব যত বাড়বে এ্যাপারচার সেটিং তত কমবে।
ফ্লাশ ফটোগ্রাফী করার ক্ষেত্রে ক্যামেরার শাটার স্পীড সেটিং বলতে গেলে ফিক্সড। তবে বিভিন্ন ফ্লাশের আলো দেবার ক্ষমতা, ব্যবহারের সুবিধে এবং ছবি তোলার কোয়ালিটি সবকিছউ দামের উপর নির্ভর করে। সাধারণতো ম্যানুয়াল ও অটো দুই ধরণের ফ্লাশ বাজারে পাওয়া যায়। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাদের জন্য আরো বিভিন্ন ধরণের ফ্লাশ পাওয়া যায়। যেমন রিং ফ্লাশ, সিনক্রোনাইজড্ ফ্লাশ, আন্ডার ওয়াটার ফ্লাশ, মিরর ফ্লাশ, টাইম-ডিল্যে ফ্লাশ।
ম্যানুয়াল ফ্লাশে সবসময়ই ক্যামেরা ও সাবজেক্ট উভয়ের দূরত্বের উপর নির্ভর করে এ্যাপারচার সেটিং করতে হয় আর অটো ফ্লাশ তার নিজস্ব “সেন্সর আই” দিয়ে সাবজেক্টের দূরত্ব নির্নয় করে অপটিমাম বা প্রয়োজনীয় পরিমাণ আলো সরবরাহ করে। এতে ছবি ওভার বা আন্ডার হবার আশংকা কম থাকে। তবে ফ্লাশ ফটোগ্রাফীর জন্য ১০০ বা ২০০ আইএসও ফ্লিম ব্যবহার করা ভাল এতে নয়েজ বা ডিসটরশন কম আসে। অত্যাধুনিক বা ডিজিটাল ফ্লাশগুলোতে সরাসরি বা রিফ্লেক্টেড লাইটে ছবি তোলার সুবিধে আছে। কারণ এই ফ্লাশগুলোকে টিল্ট করার বা উপর-নীচ করার সুবিধে আছে। এতে ছবির বা সাবজেক্টের পেছনের শেড বা ছায়াকে এড়ানো যায়।
৫। আইএসওঃ
এটা হলো ফিল্মের সেনসিটিভিটি বা ফিল্মের আলো স্পর্শকাতরতার মাত্রা বা স্কেল। আইএসও যত কম হবে ছবি তুলতে তত বেশী আলো প্রয়োজন হবে আর ছবির রেজ্যুলুশন অনেক ভাল হবে। আর আইএসও যত বেশী হবে তত কম আলোতে ছবি তোলা যাবে তবে এতে ছবির নয়েজ বা ডিসটরশন লেভেল বেশী হবে। সাধারণত ১০০ থেকে ২০০ আইএসও-র ফ্লিমকে স্ট্যান্ডার্ড বা অল পারপাস ফিল্ম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে একসময় বাজারে ২৫ থেকে ৮০০ আইএসও লেভেল পর্যন্ত ফিল্ম পাওয়া যেত। ২৫ ও ৬৪ আইএসও ফিল্ম ইদানিং পাওয়া যায়না। এককালে ইস্টম্যান-কোডাকের কোডাকক্রোম বা এক্সট্রাক্রোম যার আইএসও ছিল ২৫ ও ৬৪ এই ট্রান্সপারেন্সী ফিল্মগুলো (পজিটিভ ফিল্ম যা থেকে স্লাইড তৈরী করা যায়) প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের খুব পছন্দের ফিল্ম ছিল। এখনো অবশ্য কোডাকক্রোম বা ফুজিক্রোম পজিটিভ ফিল্ম বাজারে খুঁজলে পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ
রাতের বেলা পোর্ট্রেইট+ গুড ব্যাকগ্রাইন্ড ডিটেইলস এর জন্য সিন্ক্রো ফ্ল্যাশ দিলে রেজাল্ট কেমন হয়??...যদি ফ্ল্যাশ দিতে হয় সেক্ষেত্রেও কি আইএসও বাড়াতে হবে???
উত্তরঃ
একটা ফিল্মের আইএসও হলো ফিক্স। তেমন ফ্লাশ ব্যবহার করলে শাটার স্পীডও ফিক্স। সেক্ষেত্রে একমাত্র যা বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে তা হলো এ্যাপারচার। তবে ফ্লাশ ব্যবহার না করে রাতের ছবি তুলতে গেলে এ্যাপাচার ও শাটার স্পীড দুটোই ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের ছবি তোলা সম্ভব সেক্ষেত্রে অবশ্যই ট্রাইপড ও শাটার রিলিজ ক্যাবল বা ষেলফ্ টাইমার ব্যবহার করতে হবে। কারণ হাতে নিয়ে লো-শাটার স্পীডে যে কোন ছবি তুলতে গেলেই হাত কাঁপবে বা শাটার টিপতে গেলে ক্যামেরা নড়বেই তাই সেটা ফিক্স বা স্ট্যাবল কিছুর উপর রেখেই ছবি তোলা উচিৎ।
গুড ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য সেই ব্যাকগ্রাউন্ডে আলো কেমন আছে সেটা অবশ্যই দেখতে হবে। যদি আলোর স্বল্পতা থাকে তবে এ্যাপারচার বাড়িয়ে শাটার স্পীড কমাতেই হবে। লং ব্যাকগ্রাউন্ডে ফ্লাশের আলো অকার্যকর। তবে সামনে কোন সাবজেক্ট থাকলে সেটা ব্যবহার করা যেতে পারে আর তখন প্রয়োজন টাইম-ডিল্যে সিনক্রোনাইজড্ ফ্লাশ। একটা নির্দ্দিষ্ট সময় পরে যা জ্বলে উঠবে। এক্ষেত্রে সিরিজভাবে ফ্লাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। সিরিজ ফ্লাশগুলো একটার আলোতে আরেকটা জ্বলে উঠবে অর্থাৎ অন্য ফ্লশের সেন্সরে এসে আরেকটা ফ্লাশের আলো পড়ার সাথে সাথেই সেই ফ্লাশটি জ্বলে উঠবে। এটা একটা একস্পেন্সিভ এন্ড টাইম কনজ্যুমিং প্রসেস।
তৃতীয় প্রশ্নঃ
রাতের বেলা ফিক্সড অবজেক্টের ক্ষেত্রে/পোর্ট্রেইটে এপারচার কত রাখা উচিত?
উত্তরঃ
দুটো বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। ফিক্স অবজেক্ট হলো যা নড়াচড়া করেনা বা করবেনা। সেক্ষেত্রে ছবি তুলতে হলে ট্রাইপড দরকার হবে এবং এ্যাপারচার নরম্যাল (এফ ৪-৫.৬) সেটিং-এ রাখলেই চলবে। ফ্লাশ ব্যবহার না করলে আলোর স্বল্পতা অনুসারে শাটার স্পীড ৮ থেকে ৩০ সেকেন্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।
আর পোট্রেইট ছবি তুলতে হলে স্পশাল রিং ফ্লাশ বা নরম্যাল ফ্লাশের উপর সফট বা ডিফিউজড্ ফিল্টার ব্যবহার করে (দূরত্বের উপরে আর কি ধরণের লেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে) এ্যাপারচার সেটিং করতে হবে (এফ ৮ থকে ১৬, নরম্যাল ৫০এমএম বা ৮৫এমএম টেলি লেন্স ব্যবহার করলে)।
চতুর্থ প্রশ্নঃ
রাতের বেলা আইএসও কি সবসময় বাড়াতে হয়?? (এপারচার আর এক্সপোজার কম বাড়াতে কোন সমস্যা নাই, তবে কেন জানি আমার বেশি আইএসও তে ছবি তুলতে ইচ্ছে হয় না)
উত্তরঃ
আইএসও হলো ফিল্মের সেনসিটিভিটি। এটা ইচ্ছেমতো বাড়ানো বা কমানোর সুযোগ নেই। তবে বিভিন্ন আইএসও মাণ দেখেনিজের পছন্দমতো ফিল্ম ব্যবহার করার সুযোগ আছে। রাতের ছবির জন্য ৪০০ আইএসও বেশী সমাদৃত।
পঞ্চম প্রশ্নঃ
দিনের বেলা আউটডোরে সিন্ক্রো ফ্ল্যাশ ব্যবহার করা উচিত কিনা??
উত্তরঃ
দিনের বেলা আউটডোর মানে খোলা আকাশের নীচ থেকে শুরু করে গাছের ছায়া বা বীচ সবই হতে পারে। আবার মেঘলা দিনের ঘোলাটে আলোও হতে পারে। যদি পরিস্কার আলো হয় তবে সেক্ষেত্রে ফ্লাশের দরকার হবেনা। আর যদি সোর্স লাইটের বিপরীতে কারো ছবি তোলা হয় তবে ফ্লাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। আর সান-সেটের ছবি তুলতে গেলে কেউ যদি সামনে এসে দাঁড়ায় যেমন বীচে অনেকেই সানসেট পেছনে রেখে নিজের ছবি তুলতে চান সেক্ষেত্রে ফ্লাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ ক্যামেরার সামনে যে দাঁড়িয়েছে তাকে পরিস্কার দেখার জন্য। নয়তো শুধু ছায়ার মতোই তার কায়াই দেখা যাবে। ফ্লাশ ছাড়া স্পষ্ট চেনা যাবেনা। আর শুধু সানসেটের ছবি তুলতে গেলে ফ্লাশের দরকার নেই।
ষষ্ঠ প্রশ্নঃ
দেশে ট্রাইপড পাওয়া যায় কোথায়? দাম কেমন? (ম্যানুয়াল মোডে ট্রাইপড ছাড়া ১সেঃ এক্সপোজার পর্যন্ত ছবি তুলতে পারি...এরচে বেশি এক্সপোজারে হাত কেঁপে যায়, ব্লার আসে)
উত্তরঃ
স্টেডিয়াম ও বায়তুল মোকাররম মার্কেটে পাবেন। দাম ২০০০ থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত আছে। দামটা কোয়ালিটি, সাইজ, ব্রান্ড ও কোন দেশে তৈরী সেটার উপর নির্ভর করে। জার্মানীর তৈরী ট্রাইপডের দাম তুলনামূলকভাবে বেশী।
হাত কোনকিছুর উপর রেখে বা ক্যামেরা কোন কোন কিছুর উপর রেখে শাটার ক্লিক করলে একটু কম কাঁপার সম্ভবনা থাকে।
ছবি সূত্রঃ আমার বউ। ছবিটা অবশ্যই গ্রামে তোলা নয়, এই ঢাকা শহরেই তোলা। সম্ভবত বিয়ের ২/৩ বছর পরে। তখন ঢাকা শহরে নিয়মিত লোড শেডিং হতো। থাকতাম বড় মগ বাজার এলাকায়।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫০
কালপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:০৮
মুহম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।প্রিয়তে নিলাম। ফটোগ্রাফিতে বেশ আগ্রহ আছে। শেখার চেষ্টা করছি। দেখা যাক কতটুকু পারি।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫১
কালপুরুষ বলেছেন: শুভ কামনা রইলো।
৩|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২৬
পাগলা বাবু বলেছেন: প্রথম দিকে একদম আমার মনের কথা। ধন্যবাদ আপনাকে, আমার মনের কথা তুলে আনবার জন্য ।
আজো একটা ভালো ক্যামেরার জন্য মন কাঁদে। কিন্তু ক্ষুধা যে বড় বালাই ...
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৬
কালপুরুষ বলেছেন: মানুষের সাধ্য ও সামর্থ কখনো কখনো প্রবল আকাঙ্খার পথকে রুদ্ধ করে দিলেও মানুষ তার স্বপ্নকে মনের মধ্যে লালন করতেই থাকে।
৪|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২৭
অপ্সরা বলেছেন: বাহ !! ভাবীর ছবিটা দেখে আমি ভাবছিলাম কোনো সিনেমার ছবি বুঝি।
তুমি খুবি ভালো ছবি তুলো ভাইয়া।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৮
কালপুরুষ বলেছেন: একসময় ভাল ছবি তুলতাম এখন আর আগের মতো ছবিতোলার আগ্রহ আর উদ্দোম নেই। তবে একেবারে ছাড়তে পারিনি।
৫|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪১
রনি রাজশাহী বলেছেন: 
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৮
কালপুরুষ বলেছেন: u r welcome.
৬|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৯
কাজী দিদার বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে,
কিছু যানা হলো , কিছু শেখা হলো ।
ধন্যবাদ কবি ভাই
৭|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৩
নুভান বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে কালপুরুষদা +
৮|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৪
মহলদার বলেছেন: ফটোগ্রাফিতে শখ ছিল কিন্তু নেট ঘেটে যখন বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, লেন্সের ধরণ ও দাম জানলাম তখন থেকেই সেই শখ চুপসে গেল। এখন কোন রকম একটা সস্তা এসএলআর ও একটা সস্তা লেন্স কিনে ছবি তুলব এই শখটুকুই জিইয়ে রেখেছি। তবে "আমাদের দেশে ফটোগ্রাফীকে প্রফেশন হিসেবে নিয়ে তেমন কেউ বিত্তশালী হয়েছে এমন নজির নেই আবার তেমন কোন বিত্তশালীরা ফটোগ্রাফীকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তেমন নজিরও নেই।" কথাগুলো পড়ে বেশ অবাক হয়েছি। আপনার পোষ্ট পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম কি হবে এসব জেনে, ভাল গিয়ার কিংবা লেন্স, অন্যান্য ইকুইপমেন্ট তো কিনতে পারব না
। দাদা কোন এক পোষ্টে(সম্ভবতঃ) পড়েছিলাম আগে ছবি তুলতেন, এখন ছেড়ে দিয়েছেন। কেন ছেড়ে দিলেন অনুগ্রহ করে বলবেন কি? জানতে ইচ্ছে করে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৪
কালপুরুষ বলেছেন: ফটোগ্রাফী একেবারে ছেড়ে দিয়েছি সেটা ঠিক না। এখনো ছবি তুলি। তবে সেটা শুধু ঘরোয়া পর্যায়ে কিংবা একান্তই শখ করে। আমার জীবনে কোন শখ চিরস্থায়ী হয়নি। তার কারণ আমি কোন শখ পূরণ হলেই নতুন আরেকটা নতুন শখের পেছনে ছুটতাম। এক সময় ক্যামেরা ও লেন্স কেনা ও বদলানো অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেল। আমি জীবনে বহু ধরণের ক্যামেরা ব্যবহার করেছি তার লিস্ট দিতে গেলে অনেক বড়। আমি হ্যাসেলব্ল্যাড (সুইজারল্যান্ড), রোল্যিফ্লেক্স (বক্স ও এসএলআর) ও লাইকা (জার্মানী), আগফা (ইন্সাম্যাটিক) থেকে শুরু করে নাইকন (১০/১২ টা মডেল), ক্যানন (১০/১২টা মডেল), পেন্টাক্স ৮/১০টা মডেল), মামিয়া (১২০ ও ৬ বাই ৬), প্র্যাকটিকা, জেনিথ, ইয়াসিকা (৫/৭টা মডেল), সিনন, কোসিনা, মিনোলটা(৮/১০ টা মডেল, দুটো এখনো ব্যাবহার করি) আরো অনেক ব্র্যান্ডের ক্যামেরা ব্যবহার করেছি। আমার জীবনে কোন সঞ্চয় করিনি এই শখের পেছনে দৌঁড়াতে গিয়ে। ৮৯/৯০ সালে আমার এক শিল্পী বন্ধু কিছু প্রডাক্টের ছবি তোলার জন্য আমার সবচাইতে প্রিয় "নাইকন-এফ" (১৯৬৮ সালে প্রস্তুত, ক্রোম বডি উইথ নিক্কর ১.৪ নরম্যাল লেন্স) ক্যামেরাটা নিয়ে আর ফেরৎ দেয়নি এবং পরে সেই ক্যামেরার আর হদিস পাইনি। সেই কারণেই হয়তো ফটোগ্রাফীর শখে ভাটা পড়ে। আমি ১৫ বছর একনাগাড়ে ফটোগ্রাফী করেছি। আর কত? আমার শখ এবং ক্যামেরা যা ছিল ছোট ভাই হায়দারকে দিয়ে দেই। সেও ফটোগ্রাফীতে কয়েকটা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। বর্তমানে আমার বড় ছেলে ফটোগ্রাফী করছে। ওর ছবি দিয়ে ফটো ব্লগ পোস্ট দিয়েছি আরো দেবো সামনে।
আমার পরবর্তী শখ ছিল অডিও/ভিডিও। অনেক ধরণে প্রফেশনাল অডিও ইক্যুইপমেন্ট আমি ব্যবহার করেছি। সেটার লিস্ট দিতে গেলেও একটা বিরাট পোস্ট হয়ে যাবে।
আর সত্যি কথা বলতে কি চাকরি, সংসার এবং ব্লগ নিয়ে সময় কেটে যায় বলে অন্য কোন শখে জড়াতে ইচ্ছে করেনা।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৪
কালপুরুষ বলেছেন: আমি একসময় যে হ্যাসেলব্লাড ক্যামেরা ব্যবহার কেছি তার দাম এখন প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দাম (আমি ৮৪/৮৫ সালে সেকেন্ড হ্যান্ড কিনেছিলাম পঞ্চাশ হাজার টাকায়) । আমি যে লাইকা ক্যামেরা ব্যবহার করেছি সেটার দাম প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা ছিল ৮২/৮৩ সালে। ক্যানন এফ-১ (১.২ নরম্যাল লেন্স) কিনেছিলাম ২৫০০০ টাকায়, আর নাইকন-এফ কিনেছিলাম মাত্র ১০,০০০ টাকায় (অবশ্যই সেকেন্ড হ্যান্ড)। আর এই নেশা বা শখের সুবাদে বাংলাদেশের স্বনামধন্য সিনিয়র সব আলোকচিত্রিদের সাথে মেশার সুযোগ পেয়েছি। ফটোগ্রাফার (মূলতঃ আর্কিটেক্ট) আনোয়ার হোসেন আমার খুব ভাল একজন বন্ধু ছিলেন।
৯|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৪
জর্জিস বলেছেন: কৃতজ্ঞতা কালপুরুষদা.... এবং ++++
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৪৯
কালপুরুষ বলেছেন: ![]()
১০|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৯
মনপুরা বলেছেন: ফটোগ্রাফি সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না। অনেক কিছু জানলাম।
ভাবীর ছবিটা অসাধারণ হয়েছে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৪৮
কালপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ। ![]()
১১|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৯
আনিসুজ্জামান রাসেল বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৪৮
কালপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৪
আহমদ ময়েজ বলেছেন: আমি এতো পড়াশোনা করে ক্যামেরা হাতে নেইনি। ভালোলাগে তাই। বাস্তবতায় আটকে যেতে যেতে কিছুটা আয়ত্ব করেছিলাম। এখন ডিজিটাল এসএলআর পেয়ে যাওয়া নতুন করে আর ভাবতেও চাই না। নাসির আলী মামুনের ছবি দেখে খানিকটা আগ্রহ বেড়েছিল। এখন আবার থিতু দিয়েছি।
আপনার বিশ্লেষণ পড়াশোনা এবং প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছেন সেটা বোঝা যায়। ভালো হয়েছে।
বিলেত প্রবাসী প্রয়াত ফটোগ্রাফার ইউসুফ চৌধুরী ৭১ সালে লন্ডন থেকে কলকাতা হয়ে বাংলাদেশ হয়ে আবার লন্ডনে - এ বিষয়ে একটি এ্যালবাম বের করেছিলেন ড. রেনু লুৎফা। বলা যায় চিত্রে ৭১ সাল পূর্বে ও পরের দৃশ্যাপট তুলে ধরা হয়েছে। প্রয়াত ইউসুফ চৌধুরী বেশ কিছু এওয়ার্ডও পেয়েছেন।
চিরকল্যাণার্থে ...
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৪৮
কালপুরুষ বলেছেন: দুঃখিত আহমদ ময়েজ। বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী ফটোগ্রাফারদের সম্পর্কে আমার ধারণা অনেক কম। আর স্বাধীনত যুদ্ধের সময় ও পরে অনেক সৌখিন ও পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং ফটোসাংবাদিক অনেক কালজয়ী ছবি তুলেছেন। তাঁদের সম্র্পর্কে অনেক পরে কিছু কিছু জেনেছি। আমি এই লেখায় আমার চোখে দেখা এবং পরিচিতদের কথাই তুলে ধরেছি। তবে অনেকে আছেন নাম প্রচারে বিমুখ তাদের অনেক অসাধারণ ছবি আমাদের চোখের আড়ালেই রয়ে গেছে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। প্রয়াত ফটোগ্রাফার ইউসুফ চৌধুরীর প্রতি রইলো আমার গভীর শ্রদ্ধা।
১৩|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:২৫
রোদেলা খাতুন বলেছেন: দাদা, আপনি অনেক বিষয়ই জানেন। আপনার এই শখ অগ্রগামি হোক। তবে ছবি দেখতে পছন্দ করি। তার ভেতরগত বিষয় বুঝি না। এও ঠিক সবার সব কিছু জানতে নেই।
ছবি তোলা সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ভালো লাগলো।
সময় সহায় হোক।।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:২৫
কালপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ শুভাকাঙ্ক্ষী।
১৪|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৪৩
সাকিরা জাননাত বলেছেন: শেখার আছে অনেক কিছু।খুব ভালো একটা পোষ্ট।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:২৬
কালপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ সাকিরা।
১৫|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫১
ফিরোজ-২ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
১৬|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।+
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:২৪
কালপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ কবির ভাই।
১৭|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯
যীশূ বলেছেন: দারুন পোস্ট। সংগ্রহে রাখলাম। পরে আরও সময় নিয়ে পড়তে হবে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৯
কালপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ যীশূ।
১৮|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫২
বাংলাদেশ-ফয়সাল বলেছেন: হুররে ফটো গ্রাফি নিয়ে দাদার পোস্ট।
এতো অল্পতে পেট ভরবে নাহ।আরো চাই, পেট না ভরলে কিন্তু বাসায় চলে যাবো।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৭
কালপুরুষ বলেছেন: হাহাহাহাহা..... । বাসার দরজা খোলা আছে।
১৯|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৩৬
আইরিন সুলতানা বলেছেন: ভাবীর ছবিটা খুব ভাল লাগছে । অপসরা'র মত আমারও প্রথমে মনে হয়েছিল সিনেমার ছবি এটা ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৬
কালপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ। ![]()
২০|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৬
রঙধনূ বলেছেন: উপকারী পোষ্ট।
প্রিয়তে রাখলাম।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০৩
কালপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০৬
জাভেদ জহীণ বলেছেন: খুব ভাল লেগেচে
২২|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:১৯
পল্লী বাউল বলেছেন: এত কাজের একটা পোস্ট এত দেরীতে দেয়ার জন্য আপনারে মাইনাচ।
জানলাম প্রয়োজনীয় অনেক কিছু।
মনপুরা বলেছেন : ভাবীর ছবিটা অসাধারণ হয়েছে।
আপসুচ ![]()
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৩
কালপুরুষ বলেছেন: মনপুরা বলেছেন : ভাবীর ছবিটা অসাধারণ হয়েছে।
আমিও বলি আড্ডায় তোলা ভাবির ছবিটা অসাধারণ হয়েছিল। ![]()
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৪
কালপুরুষ বলেছেন: আগামীতে এই ধরণের পোস্ট আরো আসবে বলে আশা রাখি।
২৩|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৪৫
যাদুকর... বলেছেন: অডিও...ভিডিও...এনিমেশনের উপর তথ্য চাই।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২৭
কালপুরুষ বলেছেন: অডিও ও ফটোগ্রাফির উপর কোন তথ্য জানার হলে জিজ্ঞেস করতে পারেন। ভিডিও উপর কিছু কাজ করলেও এনিমেশনের উপর কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা নেই।
২৪|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মহসিন০৮ বলেছেন: ধন্যবাদ.............
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৫
কালপুরুষ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৫|
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২৪
চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: আঁপনি তোঁ দেঁকি খুঁপই গিঁয়ানি!!!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০১
কালপুরুষ বলেছেন: তাঁই নাঁকি। সঁবই ভূঁতের রাঁজার বঁর।
২৬|
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫
শ্রাবন্য বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম। অনেক সময় নিয়ে পড়তে হবে।
ফটোগ্রাফীতে শখ ছোটবেলা থেকেই। ছোট মামা একটা একটা এসএলআর দিয়েছিলো, জাপানী কী একটা নাম ছিল, বড় জুমলেন্স সহ। কিন্তু এতসব ফাংশন অপারেটিং জ্ঞানের অভাবে শুধু নেগেটিভ নষ্ট করে বাদ দিয়েছিলাম। সময় আর সুযোগ এর অভাবে শেখা হয় নি। এখন ক্যামেরাটা ছোট ভাইয়ের দখলে, কী করছে কে জানে।
একটা ডিজিটাল এসএলআর কিনবো শীঘ্র। অনেক কাজের পোষ্ট। ধন্যবাদ।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫০
কালপুরুষ বলেছেন: ফটোগ্রাফীর বেলায় চর্চার চাইতে তোলার নেশা এবং একাগ্রতা বা ধৈর্য অনেক বেশী থাকতে হয়। আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৭|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৭
ফটো পাগল বলেছেন: জাতির কাছে প্রশ্ন, ফটো পাগল কি পারবে ১টা ক্যামেরার মালিক হতে ???
আর আপনার পোস্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।ভালো লাগলো। কাজে লাগাতে পারলেই হয়
০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০০
কালপুরুষ বলেছেন: ইনশাল্লাহ্ পারবেন।
আগামী ফটোওয়াকে আসুন আমি আপনাকে ছবি তোলার জন্য সাময়িকভাবে একটা ক্যামেরা দেবো। এসএলআর/ডিজিটাল যেটাতে আপনি তুলতে চান সেটাই পাবেন।
২৮|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২৯
গালিব উল্লাহ হাজারী বলেছেন: ভালোই
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৫৬
কামার বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।