![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবশেষে বাংলার সেরা ব্লগারের পদধূলি পড়ল!
সম্প্রতি ব্লগে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী যিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে খ ইউনিটে প্রথম হয়েছেন তাকে নিয়ে ব্লগার রায়হান রাহির পোস্ট পড়লাম । এখানে অনেকেই স্বতঃস্ফূর্ত মন্তব্য করেছেন যার যার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে । এটা সম্পর্কিত আর ২ টা পোস্ট পড়লাম নাম মনে নেই একটা পোষ্টে একজন জানতে চেয়েছিলেন আপনি আপনার ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পরাবেন কিনা ? যাই হোক আসল কথায় আসি । পোস্ট গুলা পড়ে আমার মনে কিছু প্রশ্নের উদয় হল । প্রস্নগুলাই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই- জানতে চাই আর ও বিস্তারিত ও গভীরভাবে । বিষয়গুলা ত ভাবার মতই ।
প্রস্ন গুলা করছি আপনারা ইচ্ছে করলে প্রতেক প্রস্নের উত্তর দিতে পারেন বা কোন নিদিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন । ত হয়ে যাক না একটা আলোচনা
১) অনেকেই মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার এর কথা বলেছেন । কন জায়গাটায় সংস্কার করা দরকার বলে আপনি মনে করেন?
২) আমাদের মূলধারার শিক্ষার কোন সংস্কার এর প্রয়োজন আছে কি? থাকলে কন জায়গাটায় সংস্কার দরকার ?
৩) আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রয়োজন আছে? উত্তর হ্যাঁ হলে কেন আর না হলেও কেন?
৪) আপনি মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কে কতটুকু জানেন ? আপনি মাদ্রাশায় পড়েছেন ? মাদ্রাসার সিলেবাসে কি কি বিষয় পড়ানো হয়?
৫) আপনি কি আপনার ছেলেমেয়ে বা আত্মীয় দের মাদ্রাসায় পড়াতে চান ? উত্তর যাই হোক জানতে চাই কেন?
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩২
আমি কিন্তু সেইরকম! বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য । ত আপনার যেরকম ইচ্ছে সেরকম কন ইসলামিক স্কুল আপনার চোখে পড়েছে কি?
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩২
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ১) অনেকেই মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার এর কথা বলেছেন । কন জায়গাটায় সংস্কার করা দরকার বলে আপনি মনে করেন?
উত্তরঃ পড়ায় ঘটনার শব্দার্থ করতে দেয়া হয় না মাদ্রাসা শিক্ষায়, ফলে তাদের মেধা বিকাশ হয় না: ভোতা রয়ে যায়। অবশ্য তাদের মেধা বিকাশ হলে তাদের অন্ধের মত জঙ্গী কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
২) আমাদের মূলধারার শিক্ষার কোন সংস্কার এর প্রয়োজন আছে কি? থাকলে কন জায়গাটায় সংস্কার দরকার ?
উত্তরঃ মূলধারার শিক্ষার মাঝে প্রতি সরকারের সময় সংস্কার হয় হবে আজীব। তবে হ্যাঁ মানুষের জন্য সমাজতান্ত্রিক চিন্তার সংস্কার প্রয়োজন।
৩) আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রয়োজন আছে? উত্তর হ্যাঁ হলে কেন আর না হলেও কেন?
উত্তরঃ প্রয়োজন নাই। কেন নাই? এই কারনে নাই যে, শিক্ষা ব্যবস্থা সমান্তরাল হওয়া উচিত। বর্তমানে আমাদের দেশে তিন ধরনের শিক্ষা চালু আছে ফলে, শুর থেকেই গড়ে উঠতে নানান বৈষম্য। একমূখি শিক্ষা হলে চাকুরির জন্য ও সমাজ নীতির জন্য কোন কোন পার্থক্য থাকবে না।
৪) আপনি মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কে কতটুকু জানেন ? আপনি মাদ্রাশায় পড়েছেন ? মাদ্রাসার সিলেবাসে কি কি বিষয় পড়ানো হয়?
উত্তরঃ যতটুকু জানি তা থেকে বললাম। তবে আপনার মত জানি না। মাদ্রাসায় পড়িনী তবে জানি, আর সিলেবাস সেতো মাতৃভাষা পাশকাটিয়ে আরবী, ফাসসী উর্দ্দু আর মানুষের দ্বারা গঠিত তিন থেকে চারশত বছর পরে মানুষের মূখে শুনে শুনে লিখা কিছু কেচ্ছা কাহিনীর নামে কিছু সহীহ বই নামে খ্যাত। কেবল অন্ধত্ব আর জঙ্গী করে রাখার জন্য একটি কারখানা।
৫) আপনি কি আপনার ছেলেমেয়ে বা আত্মীয় দের মাদ্রাসায় পড়াতে চান ? উত্তর যাই হোক জানতে চাই কেন?
উত্তরঃ মোটেও মাদ্রাসায় পড়াতে চায় না। কেন? আপনি একটি বিষয় খেয়াল করবেন। আপনার চারটি ছেলে, কেউ ডাক্তারী পড়ছে, কেউ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, কেউ জার্নালিজম। আর চার ছেলের মাঝে যার মেধা একটু কম তাকে দিচ্ছেন মাদ্রাসা লাইনে। বোকা কিসিমের ছেলেটিকেই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে মাদ্রাসায় পড়তে দেওয়া হয়। এত কি বোঝা যায় না এখানে মেধার দরকার হয় না। কোন ডিগ্রী না নিয়েও কোরআনের হাফেজ হওয়া যায় কিন্তু ডাক্তার হওয়া যায় না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫২
আমি কিন্তু সেইরকম! বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।''পড়ায় ঘটনার শব্দার্থ করতে দেয়া হয় না মাদ্রাসা শিক্ষায়''- দুঃখিত এ কথাটা দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন বুঝতে পারছি না। মানে ওখানে যা পড়ানো হয় তার শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করা হয় না বা পরান হয় না এটা বুঝাতে চেয়েছেন? একটু ব্যাখ্যা করলে বুঝতে সুবিধা হত ।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৫
কলম.বিডি বলেছেন: আছে। খুঁজেন আপনিও পেয়ে যাবেন।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি মাদ্রাসা লাইনে পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে তায় সহজ কথা বুঝতে পারছেন না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৩
আমি কিন্তু সেইরকম! বলেছেন: এটা ত আর জবাব হল না । আমি বুঝতে পারিনি তাই জিজ্ঞেস করেছি । বুঝতে চাওয়াটা কি ভুল? আর এটার সাথে মাদ্রাসা লাইনে পড়ার সম্পর্ক কি!! আজব!
''আপনি মাদ্রাসা লাইনে পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে তায় সহজ কথা বুঝতে পারছেন না।''
ধরলাম আমি মাদ্রাসা লাইনে পড়েছি । এবার বুঝিয়ে বলুন।
ধরলাম আমি মাদ্রাসা লাইনে পড়িনি । কিন্তু বুঝতে পারছি না ।
বুঝিয়ে বলুন ।
আমি আপনাকে সহজ ভাবেই প্রশ্ন করেছি । আপনাকে প্রশ্ন করেছি বুঝার জন্য ই । সহজভাবে নিতে পারলেন না কেন বুঝলাম না ।
বুঝার অক্ষমতার জন্য নিজেকে দোষী করা ছাড়া কন উপায় রাখলেন না আপনি !!
ধন্যবাদ আপনাকে । ভাল থাকবেন ।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:১১
বাঘ মামা বলেছেন: ঘুম থেকে উঠে নেটে আসলাম ইচ্ছে ছিলো অফলাইন থেকে কিছু পড়বো কিন্তু আপনার পোস্টে আমাকে লগইন করতে বাধ্য করলো।
আমি আপনার প্রশ্ংুলোর আলাদা করে কোন জবাব দেবনা, সব গুলো বিষয় নিয়েই আমি কথা বলছি,
প্রথম কথা হলো মাদ্রাসা আরবি শব্দ যার মানে হলো বিদ্যালয়, সেটা আমরা সবাই জানি হয়তো, আরব দেশে মাদ্রাসা ব্যতিত আর অন্য কোন নামের আলাদা বিদ্যালয় নেই আমাদের দেশের মত এতাট ব্যবধান করে, ওদের ভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে ওরা আরবি ব্যকরণ রেখেছেন ওদের মাতৃভাষার জন্য।এরপর আসে কোরান হাদিসের ব্যপার সেটা আরবি ভাষা রপ্ত করলেই এসে যায় ।সুতরাং তাদের ধর্মীয় বিষয় ছাড়াও মুখের ভাষার জন্য আরবি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আছে।
আমাদের দেশে মাদ্রাসায় পাঠ্য পুস্তকে যেই সব বিষয় গুলো আছে তা হলো আরবি, উর্দ ( গত ৫ বছর আগেও ছিলো),ফারসি, অংক ইংরেজি ও অন্যান্য বিষয় গুলো।
আরবির প্রয়োজনীয়তা আসলেই কি দরকার এখন? কোরান হাদিস বুঝার জন্য হলে বলবো না, কারণ এগুলো বাংলা সংস্করণ অনেক আগেই বের হয়ে গেছে, নামাজ আদায়ের জন্য আরবির সুরা শুদ্ধ উচ্চারণ জরুরী অর্থ করেতো ইহা পড়া যাবেনা। সুতরাং আরবী ভাষা শিখার কোন কারণ নেই আমাদের, বাকি উর্দু পাঠ্য পুস্তক স্বাধীনতার ৩০ বছর পর পর্যন্ত এই বাংলায় চালু ছিলো মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যম দিয়ে, সেটা কেন?কারা এই পাঠ্য পুস্তক এই স্বাধীন বাংলায় চালু রেখেছিলো, তা সহজেই অনুমেয়।
উর্দু পাঠ্য বই আমাদের মানব জীবনে কি উপকারে আসতো তা আমার বোধগম্য নয়।
এমনি করে ফারসী ভাষার বই গুলো এখনো মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে চালু আছে।
সব কিছু পর্যবেক্ষণ করলে বুঝা যায় যে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান শুধু মাত্র ধর্ম নামের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলের লক্ষ্য একটা বিশেষ রাজনীতির মানুষ তৈরীর কারখানা মাত্র।
আমাদের ইসলাম ধর্মকে বুঝতে ও যথাযত ভাবে পালন করতে আজ আর আমাদের আরবী ভাষা অধ্যা্যনের প্রজনীয়তা নেই এবং এটাও সত্য যে এইসব প্রতিষ্ঠানে আরবী শিখে কোরাআন হাদিসের যথাযত তরজুমা করা কঠিন, প্রতি ১০০ জন মাদ্রাসা ছাত্রের মধ্যে এমন একজন ছাত্র বেড়িয়ে আসেনা এমন প্রতিষ্ঠান থেকে,এরা শুধু মাত্র রাজনীতি বা সাধারন মাদ্রাসার শিক্ষকের ভুমিকা পালন ও কিছু ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পরিচালনা ভুমিকা রাখেন।
আমি এমন শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে নই।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৪
আমি কিন্তু সেইরকম! বলেছেন: ধন্যবাদ । পোস্ট দেয়ার উদ্দেশ্য এখানেই । কারন একটি বিষয় এর সব দিক একজনের কাছে ধরা পড়ে না । একেকজনের কাছে একেকটি আঙ্গিক ধরা পড়ে । আর সব সমষ্টিকে একত্রিত করলেই একটা পরিপূর্ণ চিত্র পাওয়া যায় বা পাওয়ার কাছা কাছি পৌঁছানো যায় । ভাল থাকুন ।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:২১
আত্তার প্রতিধ্বনি বলেছেন: খুঁজেন আপনিও পেয়ে যাবে. Click This Link
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৫৬
রাহীম বলেছেন: আমাদের দেশে প্রচলিত যে শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা জাতি কি পাইতেছে ?? শিক্ষিৎ সমাজ যেখানে খুব বেশি সরকারী চাকুরীজীবি তাদের মধো দেখা যায় বেশির ভাগ ঘোষখোর দেশের সার্থের চাইতে নিজের সার্থের প্রতি আগ্রোহী বেশি । অথচ এই শিক্ষার পিছনে সব খরচই জাতি বহন করছে, আমি মনে করি শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হওয়া দরকার যাতে এমন একটা জাতি তৈরী হয় যে নিজেকে যেমন ভালো বাসবে নিজের দেশ এবং জাতিকে ও তেমনি ভালো বাসবে। এবং ইহকাল ও পরকাল উভয় জাহানে নিজেকে ধন্য করবে। বর্তমানে প্রচলিত যে শিক্ষা রয়েছে তাতে ইহকালে মাল-দৌলত কামানোই একমাত্র উদেশ্য চিরস্থায়ী পরকালের ব্যপারে একদম বেখবর । যা কারো জন্য কাম্য নয়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৩
আমি কিন্তু সেইরকম! বলেছেন: আমাদের ভাবার অনেক কিছুই আছে আর ভাবতে হবে । ধন্যবাদ ।
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১২
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আমি রাতে আপনার জবাব দিতাম কিন্তু নেট থেকে বের হয়ে গিয়েলিাম। এইমাত্র আবার আসলাম আপনার জবাব দিতে। আপনাদের মাঝে যারা মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত, তারা অবশ্যই নিজেকে আলেম ওলামা হিসাবে জ্ঞান করে। আচ্ছা কোন দিন কি তারা চিন্তা করেছে, ইসলামে মাদ্রাসা নামে কি কোন প্রতিষ্ঠান ছিল? সমগ্র ইউরোপ মহাদেশ যখন অন্ধকারের আবর্তে তখন বর্তমান স্পেনের কর্ডোভা থেকে মুসলমানরাই সমগ্র পৃথিবীর বুকে জ্ঞানের মশাল জ্বেলেছিলো এবং তখন মাদ্রাসা বলে কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিলো না। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠ প্রথমে তারাই করে যারা ইসলামের অভ্যুথ্থানকে মেনে নিতে পারেন নাই এবং তারাই হলো ইয়াহুদী ও নাসারা এবং তারাই বৃটিশ রাজত্বকালে কোলকাতায় প্রথম আলিয়া মাদ্রাসার উদ্বোধন করে।"আলীয়া মাদ্রাসার ইতিহাস" মূলঃ আব্দুস সাত্তার। অনুবাদঃ মোস্তফা হারুন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন)। 'Reports on islamic Education and Maadrasha Education in bengal' Dr. Sekander Ali Ibrahim (Islamic Foundation in Bangladesh) প্রায় এক যুগ ধরে ঐ মাদ্রসার প্রিন্সিপাল এবং সুপারিনটেনডেন্ট ছিলো ইয়াহুদী এবং খৃষ্টান। অবশ্য পরে অনেক মাদ্রাসা বিভিন্ন নাম ধারন করে। কিন্তু হলে কি হবে? গোড়াতেই তো গলদ। মাকাল ফলের বীজ থেকে মাকাল ফলই হবে। এই প্রতিষ্ঠানে কোরআন নিয়ে কোন গবেষনাই হয় না, হয় ফেকাহ্ শাস্ত্রের। যেটা নবী জানতেন না এবং কোরআনেও এর উল্লেখ নাই। পরগাছা যেমন আসল গাছটিকে নিজের লতাপাতা দিয়ে ঢেকে দেয়, ঠিক তদরুপ মাদ্রসার তথাকথিত ওলামারা কোরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে শিক্ষার প্রচার চালিয়ে ইসলামের সৌন্দর্য্যকে পরগাছার মত ঢেকে দিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা মানব মন্ডলিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন 'ইয়া আইউ হান্নাসু ইন্নি রাসুলুল্লাহে ইলায় কুম জামিয়া।" হে মানব জাতি তোমাদের সকলের জন্য নবীকে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক মানুষের জন্য এটাই কর্তব্য যে সে যেন রাসুল (সাঃ) এর জীবন পদ্ধতিকে পূর্ণভাবে অনুসরণ করে। তাহলেই সে কোরআন শিক্ষাকে নিজের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারবে। কারন মা আয়েশা (রাঃ) নবীকে উল্লেখ করে বলেতেন "খুলুকুহুল কোরআন, বা জিন্দা কোরআন"ইসলাম ধর্মটাকে আজ আমরা দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছি। মোল্লার ইসলাম আর আল্লাহর ইসলাম। যারা মোল্লাদের মনগড়া ইসলাম পালন করে তারাই সংখ্যা গরিষ্ঠ। সংখ্যা গরিষ্ঠদের সম্বন্ধে আল্লাহ কোরআনে রাসুলকে সাবধান করে সূরা আন আম-এর ১১৬ আয়াতে বলেছেন, "আর যদি আপনি অধিকাংশ লোকের কথা গ্রহণ করেন তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দিবে, তারা শুধু অলৌকিক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে।" আপনি বলেছেনঃ আমি বুঝতে চেয়েছি বুঝতে চাওয়াকি ভুল? মোটেও ভুল নয় মানুষ মানুষের কাছেই জানবে এটাই সাভাবিক। ভালো থাকুন আর বেশী বেশী কোরআন পড়ুন। আল্লাহ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুন---আমেন
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৬
ঈশান বলেছেন: মাদ্রাসা বলতে আপনি সম্ভবত আলিয়া মাদ্রাসা বুঝিয়েছেন। আলিয়া মাদ্রাসার ব্যাপারে বলি, ( আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস সেলিম জাহাংগীর লিখেছেন, ঐ প্রসংগে গেলাম না) মাদ্রাসা শিক্ষায় সংস্কারের দরকার আছে। মাদ্রাসাতে ইসলামিক বিষয়ের পাশাপাশি বাংলা ইংরেজি গণিত বিজ্ঞান ইত্যাদি পড়ানো হয়। তবে টেক্স্ট বুক গুলো অতি নিম্ন মানের। পুরাপুরি কলেজের কারিকুলাম ফলো করতে হবে।
১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪০
ঈশান বলেছেন: প্রচলিত সাধারণ শিক্ষাকে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যাবস্থায় রূপান্তর করতে হবে। নৈতিকতা, সামাজিক আচরণ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২
ঈশান বলেছেন: প্রাথমিক ও মৌলিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য মাদ্রাসার পরিবর্তে মসজিদ ভিত্তিক মক্তব চালু করা যেতে পারে। পরবর্তিতে আগ্রহী হলে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভর্তি হবে। কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ে ইসলামিক বিষয়ে আলাদা বিভাগ খুলে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে।
১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
ঈশান বলেছেন: আমি মাদ্রাসায় পড়িনি তবে আমার পরিবারে মাদ্রাসা পড়ুয়া আছে। মাদ্রাসা শিক্ষক, সুপার, ইমাম, হাফেজ, ক্বারীদের সাথে সুসম্পর্ক আছে। তাদের দেখলে আমার মনে হয় " মেধার কি বিপুল অপচয় "। প্রচলিত মাদ্রাসা শিক্ষায় কাউকে পড়াতে আমি মোটেও আগ্রহি নই। তার বদলে তাকে হাফেজ ক্বারী বানিয়ে স্কুলে পড়াবার পক্ষপাতী।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৪
আমি কিন্তু সেইরকম! বলেছেন: ঈশান ভাই আপনার পরিচিত যারা পড়ছে তাদের কে একটু জিজ্ঞেস করুন- তাদের কাছে মাদ্রাসার সিস্টেম টা কেমন লাগে ? তারা কি সন্তুস্ত? তারা কি তাদের সিস্টেমে সংস্কার এর প্রয়োজন অনুভব করে ? আশা করি এতে আমরা আরেকটু ধারণা পাব । বার বার কষ্ট করে কমেন্ট করেছেন এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯
ঈশান বলেছেন: প্রসংগতঃ কওমী মাদ্রাসার প্রাথমিক স্তরে বাংলা ইংরেজী থাকলেও পরবর্তী পর্যায়ে শুধু আরবী ফার্সী উর্দু ভাষায় লিখিত বই থাকে। কারণ ঐসব বিষয়ে মান সম্মত বাংলা বই নাই। এই একটি কারণে হলেও মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার জরুরী। এতদিন ধরে এইসব বই অনুবাদ করার মত কাউকে গড়ে তুলতে তারা ব্যার্থ হয়েছে।
১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৩
বাঘ মামা বলেছেন: সেলিম জাহাঙ্গীর ভাইয়ের আলোচনা অত্যান্ত সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে, যেখানে আপনার প্রশ্নের উত্তর নিহীত,
একটা স্বাভাবিক বিষয়ের দিকে নজর দিলেই বুঝবেন যে আমাদের দেশে মাদ্রাসা গুলোর লক্ষ্য কি, মাদ্রাসা মানেই আরবীটাকে প্রাধান্য দেওয়া, আমাদের দেশে যারা মাদ্রাসা আলমে ফাজিল কামিল পাশ করে বের হয় তাদের নামের আগে মাওলানা মৌলভি মুফ্তি (কাওমি ) ইত্যাদি বিশেষণ গুলো বসাতে কেই ভুল করেনা।অথচ এই একি বিষয়ের উপর পড়া লেখা করে আরব দেশে কেউ এমন বিশেষণ লাগায়না, কারণ আরবি ভাষার জন্য আরবি পড়া আর কোরআন হাদিস বিশ্লেষন কাজ এক কথা নয়।
একটা গোষ্ঠি নিজেদেরকে ইসলামের ধারন বাহক হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করার উদ্দেশ্য এমন বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন আর বাকি যারা আছেন তারা ইসলাম বুঝেনা বা বুঝবেনা এমন বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবির্ভাব ঘটে এই দেশে।
আমরা বা আমাদের পুর্ব পুরুষ গুলো এবং আগামি প্রজন্ম যারা মাদ্রাসায় পড়া লেখা করেনি তাদেরকে ইসলাম সম্পর্কিত বিষয়ে ওদের দ্বারস্থ করতেই এমন ব্যবস্থা ওরা করে রেখেছে।
অথচ মাদ্রাসা লাইনে পড়েনি এমন মানুষ অনেক আছেন যারা ইসলাম সম্পর্কে যুক্তিক জ্ঞান রাখেন ওদের চেয়ে বেশি ও সঠিক।
ভালো থাকবেন
১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৫
কলম.বিডি বলেছেন: বাঘ মামার সাথে আমিও একমত।আমার আম্মা আমাদের সব ভাই বোনকেই মাদ্রাসায় দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন আর আব্বু ঠেকিয়েছিলেন এই বলে যে, আমি অন্নদা স্কুল আর বুয়েটে পড়ে কোরানকে যেভাবে জানতে পেরেছি অনেক মুফতীও সেভাবে জানে না বা মানে না। সুতরাং আমরা অনেক মাদ্রাসায় ঘুরে দেখেছি,আম্মু লুকিয়ে বইও কিনে দিয়েছেন কিন্তু যাওয়া হয়নি। এখন আমিও আব্বুকে সমর্থন করি। আল্লাহর রাসুল কিংবা খলিফারা এবং পরবর্তী মুসলিম শাসকরাও কেউ দুই ধারার শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেন নাই। আমাদের উপমহাদেশে মাদ্রাসা চালু হয়েছে ইংরেজ শাসনামলে। কেন? একটু চিন্তা করেন,জবাব পেয়ে যাবেন
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৯
আমি কিন্তু সেইরকম! বলেছেন: আচ্ছা কলম বিডি ভাই আমি শুনছি কউমি মাদ্রাসা আমাদের দেশের লোকদের টাকায় গড়ে উঠছে । ইংরেজ দের কাছ হতে নাকি অনুদান নিত না কও মি মাদরাসা গুলো । এটা সম্পর্কে কি আপনি সঠিক জানেন?
১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৪
হানী বলেছেন: মাদরাসা সম্পর্কে অনেকের অনেক কিছুই পড়লাম। সবার আগে এই উপমহাদেশে মাদরাসা শিক্ষার ইতিহাস জানা উচিত। প্রথমদিকে শিক্ষাব্যবস্থায় দু'টি ধারা ছিল : মক্তব ভিত্তিক আর উস্তাদের বাড়িতে গিয়ে বছরের পর বছর তার কাছে থেকে বিভিন্ন কিছুতে পান্ডিত্য অর্জন। পরবর্তীতে চলে আসে বর্তমান ব্যবস্থা। আমাদের উপমহাদেশে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয় ধর্মের তাগিদে, যখন ইংরেজদের শাসনে মুসলমানরা সংকটের মুখে ছিল তখন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মাদরাসা গড়েছিল উপমহাদেশের আনাচে কানাচে, যে গুলো এখনো টিকে আছে।
আমার ব্যাকগ্রাউন্ড মাদরাসা। সো, সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি, সিলেবাস ভাল করেই জানা।মাদরাসার সিলেবাসে বহুদিন উর্দূ-ফারসী ছিল। এর একটাই কারণ, কুরআন ও হাদীস ভালভাবে বুঝার তাগিদে যুগে যুগে আলেম-ইলামা,মুজাদ্দিদরা ইজমা -কিয়াস করেছেন, অনেক গ্রন্থ লিখেছেন যে গুলো ছিল আরবীতে রচিত, আবার কিছু কিছু উর্দূ-ফারসীতেও ছিল। এ দেশে ফারসী চলার আরেক কারণ ছিল, এখানে রাজভাষা ছিল ফারসী। আর মাদরাসা যেহেতু ছিল ধর্ম নিয়ে জ্ঞান-চর্চার আলয় সেহেতু সেখানে এই সব ভাষায় রচিত এসব মূল বইগুলোই সিলেবাসভুক্ত ছিল। এখন উর্দূ-ফারসীর চর্চা না থাকায় আলিয়া শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে তা উঠে গেছে, আমি নিজে এর প্রত্যক্ষদর্শী, আমি আমার শিক্ষাজীবনে এই দুই ভাষা পাই নি। আর বর্তমান সিলেবাসে যা আছে : কুরআন, হাদীস, ফিকহ ও উসূল, ফারায়েজ..যেগুলো মাদরাসা শিক্ষার মূল বস্তু তার মূল বই গুলো সব আরবীতে। সো, আরবী তো থাকতেই হবে সেখানে।
অনেকে বলেন, ধর্মকে জানার জন্যে তো প্রচুর বাংলা বই আছে , আরবীর আর মাদরাসার দরকার কি? ধর্মকে জানার জন্যে বাংলা বই হয়েছে, আর সেগুলো যারা লিখেছে তারা এই মাদরাসা পাশ ছাত্র। সাধারণ মানুষ যারা আরবী পারে না তারাও যাতে ধর্মকে জানতে পারে তারই জন্যে এই সাধনা। বই বাংলায় হয়েছে বলে যে আরবীর প্রয়োজন ফুরিয়েছে তা নয়, এর যাতে ভন্ডরা জাল কপি-পেস্ট না করতে পারে সে জন্যেও তো থাকা দরকার। আর কুরআন নাযিল হয়েছে শুধু হাফেজ-ক্বারী হওয়ার জন্যে নয়, এর ভেতরে কি আছে তা নিয়ে গবেষণা+বিশ্লেষন করার জন্যেও।
মাদরাসা শিক্ষার বর্তমান দুরবস্থা যা দেখে সবার হাহুতাশ, যার জন্যে অনেকে এটাকে বাতিল করতে বলে সেটার জন্যে দায়ী আমরা নিজেরাই, মাদরাসা কখনোই দায়ী নয়। চেন্জ করতে হবে শিক্ষকদের মানসিকতা আর পাঠদানের ধারা, চেন্জ করতে হবে স্টুডেন্ট আর গার্ডিয়ানদের মানসিকতা। মাদরাসা আর তার আরবী বইগুলো কোনই ক্ষতি করেনি, যা যেটুকু হচ্ছে তা ঐ মানসিকতা আর মেথডের জন্যে। মেথড অবশ্যই এমন হতে হবে যার মাধ্যমে একজন মানুষ ধর্মীয় শিক্ষায় পান্ডিত্য সহকারে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৩
আমি কিন্তু সেইরকম! বলেছেন: ধন্যবাদ । এখন পর্যন্ত আপনাকেই একমাত্র মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ড এর পাওয়া গেল । আপনি আপনার আর ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে ভাল হয় । আপনি যে পড়েছেন আপনার কাছে মাদ্রাসার টোটাল সিস্টেমটা কেমন লাগে ?
১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৬
হানী বলেছেন: মাদরাসার টোটাল সিস্টেম বর্তমানে যা আছে তা তার সব শিক্ষার্থীকে যোগ্য করতে পারছে না। আমি পড়েছি পাবনা আলিয়ায় যা বর্তমানে দেশের ৩১টি মডেল মাদরাসার একটি। সেখানেই আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত এমন স্যারদের দেয়া হয় ক্লাস নিতে যারা বড়জোর আলিম পর্যন্ত পড়েছে । ফলে ভাল শেখাতে পারে না....এতে বেসিক দূর্বল হয়ে যায়। এরপর যত উপরের ক্লাসে ওঠা হয় তত পন্ডিত-প্রবরদের ক্লাস নিতে দেয়া হয়। এতে করে ঐ দূর্বল বেসিকের উপরে লোড পড়ে যায়...যাতে করে পড়ে এমন সব স্টুডেন্ট বের হয় যাদের যোগ্যতা নেই। ফলে, এখানে দায়ী ঐ শিক্ষকরা। সব স্টুডেন্টের বেসিক গড়তে অবশ্যই নিচ ক্লাসে দক্ষ টিচার দরকার।
বর্তমানে মাদরাসার যে সিলেবাস আছে (গত বছর অনার্সও চালু হয়েছে আর ইংরেজী-বাংলা সাধারণ শিক্ষার সম-পর্যায়ের করা হচ্ছে)তাতে যদি ভালভাবে শিক্ষা দেয়া হয় তবে অবশ্যই এখান থেকে স্টুডেন্টরা যোগ্য সম্পদ হিসেবে বের হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে কয়েক হাজার মাদরাসা রয়েছে। হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা ঐ বাংলা ভাই আর আব্দুর রহমানের মত লোকেরা জঙ্গী কারখানা করেছে, কিন্তু এই হাজার হাজার মাদরাসা কখনোই জঙ্গী কারখানা নয়। এগুলোতে সরকারের সার্বক্ষণিক চোখ ও ছত্রছায়া রয়েছে। আমি নিজে দেখেছি......আমার মাদরাসার পাশেই পাবনা সরকারী বুলবুল কলেজ, আমি নিজে থেকেছি মাদরাসার শান্ত - স্নিগ্ধ পরিবেশে, একেবারে নিরিবিলি । আর বুলবুলের পাশ দিয়ে গেলেই দেখতে পেতাম তার উত্তপ্ত পরিবেশ। এখন ঢাকা ভার্সিটি ক্যাম্পাসে থাকি, আগের লাইফ আর এখনকার লাইফের মধ্যে কম্পেয়ার করে বুঝি কোন টা কেমন !
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
আমি কিন্তু সেইরকম! বলেছেন: ধন্যবাদ আবারও । পুরা দেশেই ত ভাল শিক্ষক এর সংকট ! সেটা মাদ্রাসায় হক আর সাধারণ শিক্ষায় হোক । আপনার কথায় যুক্তি আছে । সব মাদ্রাসা যদি জঙ্গি উৎপাদন করত তাহলে দেশ ত বোমার উপর ভাসত ! তবু একশ্রেণীর লোক আছে যারা মনে করে জঙ্গি বের করা ছাড়া মাদ্রাসার আর ভুমিকা নেই । এবং অব্যাহত ভাবে ঢালাও প্রচার করে । অনেকেই তাদের কারনে ভুল ধারণার স্বীকার হয় । আপনারাই পারেন সঠিক চিত্রটাকে তুলে ধরতে । ভাল থাকবেন । ঈদ মোবারক !
১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক আপনি নিজে আমার কাছে জানতে চাওয়া কথা লিখেছেন। ২) মাদ্রাসায় করান হাদিস এর শব্দের আক্ষরিক অনুবাদ করিয়ে পড়ানো হয় ঠিকই কিন্তু ভাবার্থ অনুধাবন করার কোন পদ্ধতি নাই বা ওদিকে শিক্ষার্থীদের মোটিভেট করার কোন পদ্ধতি মাদ্রাসায় নাই ।
আপনি বই পড়তে চেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। তবে মাদ্রাসা ব্যবস্থা মানে একটি ধর্মীয় শিক্ষা। যে ধর্মের কথা বলি তাহলো ইসলাম ধর্ম। আমার কাছে মনে হয়েছে কারবালার যুদ্ধের পরে ইসলাম এর মুল স্রোত ভুলণ্ঠিত হয়েছে। যাহোক পারলে নিম্নের বই গুলি পড়েন, মাওলানা আকরাম খাঁ'র "মোস্তফা চরিত" সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী'র মাওলার অভিষেক ও মতভেদের কারণ, "বেঁহুশের চৈতন্য দান" লেখন কাজী বেনজীর হক চিশতী নিজামী। আর যদি পারেন তাহলে বেদ, শ্রীমত ভগবত গীতা, ত্রিপিটক গীতা, তৌরাত, জাবুর, ইঞ্জিল এবং আমাদের বর্তমান কোরআন। কোরআন অবশ্যই খুব দিব্য জ্ঞানে অনুবাদসহ পড়তে হবে। তাহেলে কিছু গাইড লাইন পাবেন। মাবুদ আপনাকে আমাকে আমাদেরকে আরও অনেক দূরে নিয়ে যাক তার চালিত পথে। আপনি একজন লেখক হিসাবে মানুষের কর্ল্যাণে ভালো ভালো লিখা লিখেন এই কামনা করি---আমেন
০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০০
আমি কিন্তু সেইরকম! বলেছেন: ধন্যবাদ এবং ঈদ মুবারক!
১৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪২
mrof বলেছেন: আমি একজন কওমি মাদ্রাসার ছাত্র।
আমি আপনাদের সবার লেখা খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছি।
পড়ে শুধু মনে হল নিজের মনে যা সায় দিয়েছে তাই আপনারা লিখেছেন। সত্যানুসন্ধান বলে মনে হয় কিছু নেই।
২০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮
mrof বলেছেন: আমাদের কওমি মাদ্রাসার লক্ষ হচ্ছে শুধু মাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি।আমাদের দুনিয়াবি কোন চাওয়া পাওয়া নেই।
আমাদের একমাত্র লক্ষ জান্নাত!
আমরা মুসলমান হয়েছি .এখন আমাদের জন্য প্রয়োজন আল্লাহ পাকের পরিচয় লাভ করা।
আর সেটা ভালোভাবে জানা যাবে কওমি মাদ্রাসার যেই নিয়ম রয়েছে সেই অনুযায়ি পড়া ও চলার মাধ্যমে।
তবে আমরা অনেক মাদ্রাসার ছাত্ররা সেইভাবে পড়িনা ও চলিনা। সেটা আমাদের দোষ।
সেটা কখনোই মাদ্রাসার দোষ না।
মাদ্রাসা ব্যবস্হা এটা নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগ থেকে চলে আসছে।
তাঁর যুগের আসহাবে সুফ্ফার আধুনিক রূপ
২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: mrof
আমাদের কওমি মাদ্রাসার লক্ষ হচ্ছে শুধু মাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি
আপনি যা বলেছেন আসলে আপনাদের এই ভুলটি কিভাবে যে খন্ডন করবেন জানিনা। আল্লাহর সন্তুষ্টি মানে কি? আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইলে আগে মানুষকে ভালো বাসতে হবে। কেবল বেহেস্তে ৭১ টা হুর পাবো এই আশায় কপালে ঘটা ফেললে কোন লাভ হবে না।
২২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১২
Tohidur Rahman বলেছেন: আপনারা আপনাদের মতামত দিয়েছেন সবার নিজ নিজ চিন্তা ভাবনা থেকে। আপনার দিক থেকে আপনার টা ঠিক। তবে আমার কাছে কিছু তথ্য সূত্র রয়েছে আমি শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন। আপনার সন্তানকে কেন মাদরাসায় পড়াবেন বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন ।
২৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৪
Tohidur Rahman বলেছেন: আপনারা আপনাদের মতামত দিয়েছেন সবার নিজ নিজ চিন্তা ভাবনা থেকে। আপনার দিক থেকে আপনার টা ঠিক। তবে আমার কাছে কিছু তথ্য সূত্র রয়েছে আমি শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের সকলের প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন। আপনার সন্তানকে কেন মাদরাসায় পড়াবেন বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন । Click Here
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৫
কলম.বিডি বলেছেন: ৪ নং এর উত্তর আগে দিই। আমি নিজের আগ্রহে মাদ্রাসার কারিকুলাম এবং পাঠ্যবই দেখেছি।কামিল পর্যন্ত।
এখন ১, ২ আর ৩ এর জবাব একসাথে দিব। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থা বলে কোন কিছু থাকা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় না।কারণ সাধারণ শিক্ষা থেকে নৈতিকতাকে বাদ দিয়ে যেমন রাস্কেল বানানো হচ্ছে,তেমন মাদ্রাসায় ইসলামের কিছু বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে এমন একটা জনগোষ্ঠী তৈরী করা হচ্ছে যারা ট্র্যাক না বদলালে টিকে থাকতে পারে না।এদের সামনে একটাই ভবিষ্যতঃ কোন মসজিদের ইমামতি করা যেখানে তাঁদের নিয়ন্ত্রক মসজিদ কমিটি।উনারা সাহস করে সুদ ঘুষের বিষয়ে কথা বলেন না,পাছে কমিটি বিরক্ত হয়।উনাদেরকে দিয়ে ইসলামের কি উপকার হয় এটা সহজেই অনুমেয়। এজন্য এমন শিক্ষাব্যবস্থা দরকার যেটা মানুষকে দুনিয়ায় ভালোভাবে চলতে শিখাবে আর এটাও মনে করিয়ে দেবে যে এই জীবন আল্লাহরই দান।
৫। আমার সন্তানকে আমি চাই সে আল্লাহর ভাল বান্দা হোক। কিন্তু মাদ্রাসায় দেয়ার সাহস পাই না। ঢাকা শহরে সবগুলা বড় বড় মাদ্রাসায় গিয়েছি। কোনটার পরিবেশ, শিক্ষক বা পাঠ্যকে আমার কাছে এ জন্য পরিপূর্ণ মনে হয়নি। আমি চেষ্টা করবো কোন ইসলামিক স্কুলে দিতে যেখানে উপরে শিক্ষাব্যবস্থা যেটার কথা আমি বলেছি সেটার অন্তত কিছু হলেও পাওয়া যায়