নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Jinnatul Hasan Blog | জিন্নাত উল হাসান ব্লগ

আমার সাথে যোগাযোগ করতে http://bn.jinnatulhasan.com/blog এ ভিজিট করুন।

হাসান

আমার নাম হাসান, পুরো নাম জিন্নাত উল হাসান। ২০০৫ সালের অক্টোবরে এসেছি লন্ডনে। আপাতত মাস্টার্স শেষ করে একটা বহুজাতিক কোম্পানীতে ওয়েবমাষ্টার হিসেবে র্কমরত আছি। কম্পিউটার নিয়ে আমার কাজ সারাদিন। ওয়েবসাইট বানাই, ব্লগ লিখি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করি … দিন কেটে যায়। সার্চ ইঞ্জিন, বিশেষ করে গুগল, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ব্লগিং আর ইন্টারনেটে আয়ের উপায় নিয়ে পড়তে ও লিখতে ভালবাসি। আর অর্জিত জ্ঞানগুলো ঝাড়ি বিভিন্ন ব্লগে।

হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সিলেটি আমাকে দাওয়াত করেছিল

২৬ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১২:৪৫

লন্ডনে যারা থাকেন কিংবা লন্ডন সম্বন্ধে যারা খানিকটা জ্ঞানও রাখেন, বাংলাদেশী(!) আর সিলেটীদের মধ্যে রেশারেশির ঘটনা তাদের কাছে নতুন কিছু না।



সিলেটী লোকজনের প্রায় 100% ই হোটেল ব্যবসায় আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছে কিন্তু স্বভাব কিংবা জ্ঞান-বিজ্ঞানে শূন্যতেই থেকে গেছে, হয়তো শূন্যতেই থেকে যাবে। প্রচন্ড ধরনের কিপটা স্বভাবের এবং নতুন কিংবা বিপদগ্রস্থ লোকদের টাকা মেরে দিতে কিংবা কম টাকায় খাটিয়ে নিতে ওস্তাদ। যাই হোক, আমি ধারনা করতাম সব সিলেটী এমন না, কেউ কেউ ভাল লোকও আছে। তেমনি এক ভাল লোকের কথা বলি।



আমার ক্যাফেতে একজন নিয়মিত কাষ্টমার আছে, যে কিনা সিলেটি এবং হোটেল ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। আমাকে হাসান ভাই, হাসান ভাই বলতে বলতে ফেনা তুলে ফেলে। বাঙ্গালীর সমর্্পক তুলে কম পয়সায় কিছু কাজও করিয়ে নিয়েছে। আমি ভাবলাম সিলেটি কম, বাঙ্গালী বেশি। আমাকে প্রায়ই বলে আমার রেস্টুরেন্টে আসবেন, একটু ডাল ভাত খেয়ে যাবেন । আমি যাব যাব বলেও যাই না, কেন জানি যেতে ইচ্ছা করে না।



একদিন ফোন করে বলল আমি রেস্টুরেন্টে বসে আছি, আপনি আসেন। গেলাম, বেশ বড়, এলাকার সবচেয়ে এবং দামী রেস্টুরেন্ট। গিয়ে বসলাম, মেনু নেড়ে চেড়ে দেখছি ... দামী দামী খাবার। আমি তো মনে মনে বললাম আজকে জম্পেস খানা দানা হবে। আমাকে বলল একটু বসেন, আপনার খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করছি।



আধা ঘন্টা বসে থাকলাম।



তারপর কোনার একটা টেবিল দেখিয়ে বলল, যান ভাই আপনার জন্য খাওয়া দেয়া হয়েছে, খেয়ে আসেন। আমি গেলাম, খাবার দেখে তো হতবম্ব, মেনুর সবচেয়ে সস্তা তিনটা খাবার আমাকে দেয়া হয়েছে, ভাত, ল্যাম্ব ও বুটের ডাল। এতটাই অবাক হয়েছি যে, কিছুক্ষন কি করবো বুঝতে পারলাম না। দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে কাউকে এমন মেনু পরিবেশন করা হতে পারে আমার ধারনা ছিল না।



শেষমেষ গুটিকয়েক ভাত ডালে মেখে মাংস দু'টুকরো মুখে পুরে চলে আসছিলাম, উনি বললেন আপনি তো কিছুই খেলেন না। বুঝলাম না, খাবার মতো কি দিয়েছিলেন, নাকি টিটকারী করলেন। ওই দিনেই তওবা করেছি আর ওই মুখো হবো না।



এখনও মাঝে মাঝে উনি আসেন আমার ক্যাফেতে, বলেন ভাই আপনি তো আমাদের ওইদিকে আসেন না, উইকএন্ডে আসবেন, ওইদিন আমাদের ব্যুফে ডিনার থাকে, অনেক কিছু খেতে পারবেন।



আমি শুধু মনে মনে হাসি, মাঝে মাঝে বিরক্তও হই, শালা সিলেটি ... সারাজীবনই সিলেটি থেকে যাবি।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

অতিথি বলেছেন: আমি লন্ডনের এক সিলেটি বাড়িতে ছিলাম ক'দিন। শিক্ষিত পরিবার, ভাল অবস্থায় থাকেন, ভাল খাইয়েছেন। কিন্তু সারা বাড়ীতে একটা বই বা পত্রিকার দেখলাম না।
কিন্তু সবাই সমান নন। আমার এক ভাল বন্ধুও সিলেটি।
তবে আরেক সিলেটি বন্ধুু সিলেটি জানেনা বলে সিলেটি মেয়েই বিয়ে করতে পারল না, পরে রেগে মেগে ভারতীয় বিয়ে করেছে।

২| ২৬ শে মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

হযবরল বলেছেন: আমি লন্ডনে যাই নাই , বাট এই রকমের কেতরা লোক সব জায়গায় আছে ।

৩| ২৬ শে মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাশীদ বলেছেন: হি হি হি!

আহারে হাসু... এক কাজ কর ... এই সেপ্টেম্বরে একটা সিলেটি মেয়ে বিয়ে করে ফেল। এরপর থেকে তোকে সমগোত্রীয় ভেবে আসলেই বুফের সব আইটেম খেতে দিতে পারে।

৪| ২৬ শে মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

হযবরল বলেছেন: ভাল আইডিয়া মাশীদ । আমরা অবশ্য ব্লগে হাসানের জন্য পাত্রী খুজতেছি । মাশীদের চেনা পরিচিত কেউ থাকলে আওয়াজ দিও ।

৫| ২৬ শে মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: কি জানি লন্ডনের সিলেটিরা বোধহয় টিপিক্যাল । আমারে যেই সিলেটি দাওয়াত দিছিরো সে কিন্তু 5 প্রকার সব্জি আর দুইপ্রকার মাংস দিয়া আপ্যায়ন করছে ।

৬| ২৬ শে মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: সিলটিরা একটা দেয়ালের ঐপাশে থাকে। দেয়াল ভেঙে পড়লে তারা বড়ই জাননেসার, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি। আর কান্টু লোক সব জায়গাতেই আছে। দুখখু কইরেন না হাসান।

৭| ২৬ শে মে, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: হাসান ভাই সিলেটিরা আপনার এই লেখা দেখতে পেলে....... ;-)
আমার কোন এলাকার মানুষকেই স্পেশাল কিছু মনে হয় না। সব জায়গাতেই ভাল খারাপ আছে... তবে দেশের বাইরের বাঙ্গালীদের ব্যাপারে খুব বাজে অভিজ্ঞতা আছে... সেটা সিলেটি বা চটগাইয়া বা ঢাকাইয়া 'র জন্য নয়.... যাই হোক...দেশের বাইরে বাজ্ঞালী ও বাঙ্গালী কমিউনিটি খুবই ভয়ংকর জিনিস... তাই এই ব্যাপারে একটু সাবধানে থাকি :-)

৮| ২৭ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: হাসান ভাই !
.....আঙুল ফুলে বটগাছ.......এই বাক্যটিকে আমি আপনার উন্নাসিকতার পরিচয় হিসাবেই নিলাম । তবে দয়া করে ভুল বুঝবেন না ।
আরেকটি কথা বলতে চাই যে, আজকের বাংলাদেশের বিপুল অগ্রগতির পেছনে কিন্ত সিলেটিদের অবদান কম নয় ।

৯| ২৭ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: লেখার সময় আরেকটু সচেতনতার পরিচয় দিবেন বলে আশা করি.......

১০| ২৭ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

হাসান বলেছেন: বদরূল ভাইঃ যদি আমার লেখায় আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে দুঃখিত। দ্্বিতীয় অনুচ্ছেদে আমি যে কথা কয়টি বলেছি, সেটা এই দেশে আমারই অভিজ্ঞতার ফল আর সিলেটি ভাল লোক যে নাই তা বলবো না, তবে এ পযনর্্ত এখানে যাদের মুখোমুখি হয়েছি, তাদের সবাইকেই এমনটি পেয়েছি। কি করবো আমারই মন্দ ভাগ্য।

ছোট্ট একটা উদাহরন দেই, তাহলে বুঝতে পারবেন। প্রথম প্রথম এখানে কাজ পাচ্ছিলাম না, খুবই কষ্টে ছিলাম, বলে বোঝাতে পারবো না। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে ব্রিকলেনে গেলাম, এক রেস্টুরেন্টে বেয়ারা কাজ করতে হবে। ওরা সাধারনত সারা সপ্তাহ খাটিয়ে (6 কিংবা 7 দিন) 120 পাউন্ড দেয়। যদিও বাংলাদেশি হিসেবে অংকটা অনেক, এখানে পরিশ্রমের তুলনায় খুবই কম। আমার দূদর্শার কথা বললাম,আমার একটা চাকুরি খুবই দরকার ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা কোক খাইয়ে বলল ঠিক আছে কাজে লেগে যান, সারা সপ্তাহ কাজ করতে হবে, 70 পাউন্ড পাবেন। বুঝেন তাহলে, সবাইকে দেয় কমপক্ষে 120 পাউন্ড আর আমি যেহেতু নিরুপায় তাই আমার জন্য 70 পাউন্ড।

১১| ২৭ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: সিলেটিদের যে বৈশিষ্ট গুলো তুলে ধরে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে দেখিয়েছেন , তা কি অন্যান্য জেলার মানুষদের বেলায় বলা যাবেনা ?

১২| ২৭ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: প্রথমত আমি সিলেটি। খারাপ ভাল সব এলাকায়ই আছে। আমি ও ইউ.কে এক বছর ছিলাম। আমার নিজের অভিক্ষতা ও খুব একটা ভাল না।আসলে একটা প্রজন্ম যারা এখন বেশ টাকা পয়সার মালিক, ওদের শিক্ষার অভাব।ওরা শুধু হিতরো টু সিলেট এয়ারপোর্ট বুঝে। তবে পরবর্তী প্রজন্ম মোটামোটি ভালই। যারা ড্রাগে নিমোজ্জিত। সন্ধ্যার পর সব কয়টি চিপায় ওদের দেখা যায়। আর ও কঠিন পরিসিহতিতে পড়তে হয়েছে। বল্লে নিজের বদনাম হবে। ওদের অবসহা দেখে নিজেকে পরিচয় দিতে লজ্জা করে।
হোটেল ব্যবসা টোটাল চুরির উপর। ওরা প্রতি সপ্তাহে মিনিমাম 15/20 হাজার পাউন্ড ব্যবসা করে অথচ সরকারকে দেখায় মাএ 3/4 হাজার। এদের ছেলেমেয়ে ভাল হবে এটা আশা করা যায় না।
বেশ ভাল শিক্ষিত ফ্যামেলির সাথে মনে হয় আপনার যোগাযোগ হয় নাই।

১৩| ২৭ শে মে, ২০০৬ দুপুর ২:০৫

হাসান বলেছেন: ভাইরে ... বললাম তো ভাল-মন্দ মিলিয়েই তো মানুষ। লোকে তো নোয়াখাইল্যা বলেও তো গালি দেয়, তাই বলে কি নোয়াখালিতে ভাল মানুষ না। শুধু শুধু মাইন্ড খাচ্ছেন কেন রে ভাই। আমার খুব ভাল বন্ধুদের মধ্যে একজনের বাসা সিলেটে, ওকে এই ঘটনা বলেছি ... তারপর বললাম মাইন্ড করেছিস ... ও বলল মাইন্ড করলে এতক্ষনে আমার সামনে দাঁড়াইতে পারতি না।

ব্যাপারটা সেরকমই, আমি আমার লেখায় যদি সিলেটি বলে অপমান করে থাকি, সেটা সামগ্রিক ভাবে সব সিলেটে বসবাসরত সবাইকে বোঝায় না, এটা কেন বুঝতে পারছেন না।

১৪| ১৩ ই জুন, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

সারিয়া তাসনিম বলেছেন: আমাদের গ্রুপে চারটা সিলেটি ছেলে ছিল । প্রেম করতো চুটিয়ে আর বেশ জোড়ে সোড়েই বলতো , বিয়া করুম না , কারণ বাপ-মা সিলেটি মেয়ে ছাড়া বিয়া দিবো না ।

১৫| ১৩ ই জুন, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

সারিয়া তাসনিম বলেছেন: আমার চার সিলেটি বন্ধু চুটিয়ে প্রেম করতো আর বেশ জোড়ে সোড়েই বলতো , বিয়া কিন্তু করবার পারুম না , কারণ বাপ-মায়ে ধইরা সিলেটি বিয়া করাইবো , এইটাই নাকি রীতি

১৬| ২৭ শে জুন, ২০০৬ রাত ১০:০৬

আলী বলেছেন: SARIYA TASNIM AKTA NEWS DIO ODER BAPARAE TAR POR KI HOILO.... KITA MATO.......:-}}

১৭| ২৮ শে জুন, ২০০৬ রাত ৯:০৬

সারিয়া তাসনিম বলেছেন: দুই জন যথারীতি ননসিলেটি প্রেমিকা কে ভুলে সিলেটি মেয়ে বিয়ে করেছে এবং ততধীক যথারীতি এখন লইন্ডত আছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.