নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল

সাংবাদিক ও লেখক

কাউসার ইকবাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়ার ভাঙা সুটকেসের উত্তরাধিকার কাউসার ইকবাল বলছি

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩১



জিয়ার ভাঙা সুটকেসের উত্তরাধিকার কাউসার ইকবাল বলছি

বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের সময় ইন্ডিয়ার

পশ্চিম বঙ্গকে ভালবাসি এমন গান কেন গাইব?

ক্স জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা হবে

ক্স স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে ২৭ মার্চ

ক্স লেজ নিয়ে রাজনীতি করা হবে না

ক্স চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের রাজধানী করা হবে

ক্স ৭ মার্চকে পালন করা হবে ‘জাতির সঙ্গে মুজিবের বিশ্বাসঘাতকতা দিবস’

ক্স শেখ হাসিনাকে আখ্যায়িত করা হবে ‘রানিকার’

ক্স আন্দোলন হবে মনুষ্যত্ববাদী কাঠামোয়





জিয়ার ভাঙা সুটকেসের উত্তরাধিকার কাউসার ইকবাল বলছি। যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাঙা সুটকেসের আদর্শ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেহেতু ভাঙা সুটকেসের উত্তরাধিকার হিসেবে আমার কাছে দলের চেয়ারপার্সনের পদ হস্তান্তর করার দাবি জানচ্ছি। এ নিশ্চয়তাও বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতা-কর্মী ও দেশবাসীকে দিচ্ছি যে, আমার দায়িত্বকালে বিএনপিকে যথার্থ জাতীয়তাবাদী দলে পরিণত করা হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ সকল মিথ্যা পরিহার করে সত্যসমূহ দেশে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বর্তমানে সাদা চোখে দেশের রাজনীতির অনেক অসঙ্গতি দেশবাসীর চোখে ধরা না পড়ায় কোন রকম প্রশ্ন তোলা ছাড়াই দেশের মানুষ মূর্খের মতো কিংবা আবেগী হয়ে এমন অনেক কাজ করে চলেছেন, যা যুক্তিসঙ্গত নয়। যেমন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের সময় ইন্ডিয়ার পশ্চিম বঙ্গকে ভালবাসি এমন গান বাংলাদেশীদের কিছুতেই গাওয়া উচিত নয়। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় এই যে, ‘সোনার বাংলা’ বলতে ভারতের পশ্চিম বঙ্গসহ বাংলা ভাষাভাষি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত বিশাল এলাকা বোঝায়, যা বাংলাদেশের অন্তর্গত নয় এবং সেসব এলাকা বাংলাদেশের আওতায় না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’ বলে অভিহিত করাও যুক্তিযুক্ত নয়। অর্থাৎ, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ বললে ভারতের পশ্চিম বঙ্গসহ বাংলা ভাষাভাষি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত বিশাল এলাকাকে ভালবাসার কথাও বোঝায়। এতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবোধের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে এবং বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম ও মনুষ্যত্ববোধেও ঘাটতি দেখা যায়। এ গানের কুপ্রভাবেই বাংলাদেশের অনেকের মধ্যে বাংলাদেশপ্রেমের চেয়ে ভারতপ্রেম বেশি দেখা যায়। এমনকি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেশপ্রেম লোপ পাচ্ছে এর কুপ্রভাবে। যে কারণে কোটি টাকা নিয়ে মানুষ হত্যাসহ দেশ ও মনুষ্যত্ববিরোধী কর্মকান্ডেও জড়িয়ে পড়ছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। অতএব, এদেশের মানুষের মধ্যে সত্যিকারের দেশপ্রেম ও মনুষ্যত্ববোধ বলীয়ান রাখতে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ’ সঙ্গীতকে জাতীয় সঙ্গীত করার জন্য সোচ্চার হতে হবে দেশবাসীকে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পেলে আগামীতে ক্ষমতায় গিয়ে দেশবাসীর সমর্থন নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা হবে। সেইসঙ্গে দেশের স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হবে ২৭ মার্চকে। কারণ ২৭ মার্চই আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। এর আগে কেউ স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও তা যেহেতু দেশবাসীর কানে পৌঁছেনি তখন এবং এর কোন প্রভাবও ছিল না বিশ্ব অঙ্গনে, সেহেতু ২৭ মার্চকেই সত্য ও যথার্থ দিন হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হবে। আর যেহেতু চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছিল, সেহেতু আমি ক্ষমতায় গেলে চট্টগ্রামকেই বাংলাদেশের রাজধানী করা হবে।

মানুষের লেজ থাকে না। তাই মনুষ্যত্ববাদী রাজনীতি করতে অন্য কোন দলকে ‘লেজ’ হিসেবে গ্রহণেরও দরকার পড়ে না। বর্তমান বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কোন দলই মনুষ্যত্ববাদী রাজনীতি করছে না বলে এ দুটি দলের নেতৃবৃন্দ ‘লেজ’ হিসেবে গ্রহণ করেছে অন্য রাজনৈতিক দলকে। আমার নেতৃত্বে বিএনপিতে কোন ‘লেজ’ রাখা হবে না। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে যারা বিশ্বাসী তাদের সকলকে জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দিয়েই রাজনীতি করতে হবে। অন্যথায় যার যার রাজনীতি তার তার।

বিএনপির চেয়ারপার্সন হতে পারলে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচার বন্ধ করতে সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি ৭ মার্চকে ‘জাতির সঙ্গে মুজিবের বিশ্বাসঘাতকতা দিবস’ হিসেবে পালন করব। কারণ, শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের আগেই দশ লক্ষাধিক বাঙালি বর্শা-বল¬¬ম যার যা আছে তা হাতে নিয়ে রেসকোর্স ময়দানে হাজির হয়েছিল শেখ মুজিব কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা তথা যুদ্ধ শুরুর নির্দেশ পেয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মুজিবের মুখ কেউ চেপে ধরে না থাকলেও তিনি বললেনÑ ‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্র“র মোকাবেলা করবে।’ হুকুমটা তখনই তিনি দিতে সক্ষম ছিলেন। কিন্তু দিলেন না। কেননা, এতে তার পাকিস্তানের শাসনক্ষমতা লাভের পথ বন্ধ হয়ে যেত। তখন তার হুকুম শুনে দশ লক্ষাধিক বাঙালি ক্যান্টনমেন্ট ছুটে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। সংগঠিত জনতা একসঙ্গে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে ছুটলে তার যে ফল পাওয়া যেত, তার চেয়ে বিচ্ছিন্ন জনতার হেথা-হোথা বর্শা-বল¬ম ধরার ফল অনেক কম। একথা বোঝার ক্ষমতা যে শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল না, তা কিন্তু নয়। তিনি বুঝে-শুনেই সংগঠিত জনতাকে ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে ছুটে যাবার হুকুম দেন নাই। বরং ভন্ডামিপূর্ণ কথা শুনিয়ে সুকৌশলে সংগঠিত জনতাকে তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা বর্শা-বল¬¬ম অব্যবহৃত রেখেই ক্যান্টনমেন্টের বিপরীত রাস্তা ধরিয়ে ফেরত পাঠালেন। এতে প্রকৃত ফল হিসেবে সেদিন মুজিবের ভূমিকা ছিল পাকিস্তানিদের পক্ষেই। কারণ, পাকিস্তানিরা বাঙালিদের আন্দোলন দমাতে সৈন্য সমাবেশের সুযোগ পেয়ে যায় এতে। শেখ মুজিবের এক নির্দেশেই ৭ মার্চ যেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতালাভের পথ অনেক সহজ হয়ে যেত, সেখানে পাাকিস্তানের ক্ষমতালাভের পথ খোলা রাখতে তিনি সংগঠিত জনতাকে নিষ্ক্রিয় করার বাসনা নিয়ে যে অপকৌশলে দশ লক্ষাধিক বাঙালিকে ক্যান্টনমেন্টের বিপরীত রাস্তা ধরালেন, তা স্বাধীনতাকামী সকল বাঙালির সাথে প্রতারণার শামিল। এই লোকগুলো ৭ মার্চই শেখ মুজিবের এক নির্দেশে হাসিমুখে সম্মুখ সমরে প্রাণ দিতে রাজী ছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে মুজিবের বিশ্বাসঘাতকতায় ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র অবস্থায় অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হলো অনেককে, যার প্রভাব বরং নেতিবাচক হলো জাতির জন্য। ৭ মার্চের সংগঠিত জনতার শক্তির স্থলে ২৫ মার্চ রাতের আক্রমণের পর স্বাধীনতাকামীরাই অসহায় বোধ করে পালাতে শুরু করল এদিক-ওদিক। এদের অনেকেই অতিরিক্ত পাক বাহিনীর সৈন্যদের সম্মুখে পড়ে প্রাণ হারাল। আর অনেকে ভারতে পাড়ি দিয়ে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করতে করতে ৫/৬ মাস সময় পেরিয়ে গেল। এতে সামগ্রিকভাবে দেশে থাকা বাঙালিদের প্রাণহানি ঘটল ব্যাপকভাবে এবং নারীদের সম্ভ্রমহানিও ঘটতে থাকল প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতালাভে আন্তরিক হতেন এবং পাকিস্তানের ক্ষমতালোভ তার না থাকত, তবে ৭ মার্চই সংগঠিত জনতাকে ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণের নির্দেশ দিলে ২৫ হাজার পাকসেনাকে পরাভূত করা বাঙালিদের জন্য অনেক সহজসাধ্য হতো। সবচেয়ে বড় কথা হলোÑ ক্ষমতার লোভ না থাকলে তিনি পাকিস্তানিদের সঙ্গে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১৬-২৫ মার্চ পর্যন্ত দর কষাকষি করতে যেতেন না। আর তার ক্ষমতার লোভের কারণেই ২৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে বাঙালিদের স্বাধীনতার চেতনা দমিয়ে দেবার জন্য এদেশে পাক সেনা মোতায়েনের সুযোগ করে দিলেন। সেই সুযোগে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ১৮ দিনে আরো ৬৫ হাজার সৈন্য মজুত করল বাংলাদেশে এবং ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকে বাঙালিদের স্বাধীনতার চেতনা গুঁড়িয়ে দিতে তৎপরতা চালাল। মুজিব তখনও স্বাধীনতার জন্য নেতৃত্ব দিতে অন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো গৃহত্যাগ না করে পাকিস্তানের ক্ষমতা লাভের পথ খোলা রাখতেই গৃহে থেকে গেলেন। আর অনেকে বিশ্বাস করতে না চাইলেও একথাও সত্য যে, ছাত্রনেতাদের তরফ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর যে চাপ ছিল, তা এড়াতে ৬ মার্চ গভীর রাত ২টায় গুপ্ত সংবাদসহ মুজিব তার ২ জন প্রতিনিধি পাঠান ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জিওসি’র বাসায়। মেজর সিদ্দিক সালেকীর ডরঃহবংং ঃড় ঝঁৎৎবহফবৎ গ্রন্থের ৫৩ নং পৃষ্ঠায় এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জিওসি রাত ২টায় ঘুম থেকে জাগেন তার ইন্টেলিজেন্স অফিসার দ্বারা। ইন্টেলিজেন্স অফিসারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ২ জন প্রতিনিধি ছিল। মুজিবের গুপ্ত সংবাদ নিয়ে আসা প্রতিনিধি জিওসিকে বলেন: ‘ঝযবরশয ঝধযরন রং ঁহফবৎ রসসবহংব ঢ়ৎবংংঁৎব ভৎড়স বীঃৎবসরংঃং. ঞযবু ধৎব ভড়ৎপরহম যরস ঃড় সধশব ঃযব ট.উ.ও. ঐব ফড়বংহ’ঃ ভরহফ বহড়ঁময ংঃৎবহমঃয ঃড় ৎবভঁংব ঃযবস. ঐব ংঁমমবংঃং ঃযধঃ যব নব ঃধশবহ রহঃড় সরষরঃধৎু পঁংঃড়ফু.’ (শেখ সাহেব উগ্রপন্থিদের দ্বারা বিশাল চাপে আছেন। তারা তাকে পূর্ব পাকিস্তানের একপক্ষীয় স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য চাপ দিচ্ছে। তিনি তাদের প্রত্যাখ্যান করার মতো শক্ত যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, তাকে সেনা তত্ত্বাবধানে নেয়ার।) জবাবে জিওসি বলেন, ‘ও ধস ংঁৎব ধ ঢ়ড়ঢ়ঁষধৎ ষবধফবৎ ষরশব গঁলরন শহড়ংি যড়ি ঃড় ৎবংরংঃ ংঁপয ঢ়ৎবংংঁৎব. ঐব পধহ হড়ঃ নব সধফব ঃড় ধপঃ ধমধরহংঃ যরং রিষষ. ঞবষষ যরস ও রিষষ নব ঃযবৎব (ধঃ ঃযব জধসহধ জধপব ঈড়ঁৎংব) ঃড় ংধাব যরস ভৎড়স ঃযব ৎিধঃয ড়ভ ঃযব বীঃৎবসরংঃং. ইঁঃ ঃবষষ যরস ঃড়ড় ঃযধঃ, রভ যব ঃধষশং ধমধরহংঃ ঃযব রহঃবমৎরঃু ড়ভ চধশরংঃধহ, ও রিষষ সঁংঃবৎ ধষষ ও পধহ- ঃধহশং, ধৎঃরষষবৎু ধহফ সধপযরহব-মঁহং- ঃড় শরষষ ধষষ ঃযব ঃৎধরঃড়ৎং ধহফ রভ হবপবংংধৎু, ৎধুব উধপপধ ঃড় ঃযব মৎড়ঁহফ. ঞযবৎব রিষষ নব হড় ড়হব ঃড় ৎঁষব, ঃযবৎব রিষষ নব হড়ঃযরহম ঃড় ৎঁষব. (আমি নিশ্চিত, মুজিবের মতো একজন জনপ্রিয় নেতা জানে কিভাবে এমন চাপ প্রতিরোধ করতে হয়। তিনি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে পারেন না। তাকে বোলো, আমি সেখানে থাকব (রমনা রেসকোর্স-এ), উগ্রপন্থিদের ক্রোধ থেকে তাকে রক্ষার জন্য। কিন্তু তাকে এটাও বোলো যে, যদি সে পাকিস্তানের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কোন কথা বলে, আমি প্রচুর পরিমাণে ট্যাঙ্ক, কামান, মেশিন গান সমবেত করব সকল দেশদ্রোহীকে হত্যা করতে এবং যদি প্রয়োজন হয়, ঢাকাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেব। ঢাকায় কেউ থাকবে না শাসন করার মতো। ঢাকায় কিছুই থাকবে না শাসন করার মতো।)

শেখ মুজিবুর রহমান জিওসি’র এমন হুমকিতে ভয় পাওয়ার পাত্র নয়। বরং, দশ লক্ষাধিক লোককে সেদিন ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণের হুকুম দিলে জিওসিসহ পাকিস্তানিরাই মাটির সাথে মিশে যেতে পারত। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান রাষ্ট্রকে ভাঙতে চাননি বলে এবং তিনি পাকিস্তানের দুই অংশেরই শাসনক্ষমতা চেয়েছিলেন বলে একাংশের ক্ষমতালাভের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। আর দুই অংশের শাসনক্ষমতা লাভের উদ্দেশ্যে ১৬ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ইয়াহিয়া খানসহ পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও চালিয়েছিলেন। এরপর ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে ২৫ মার্চ বাঙালি নিধন শুরু হলে শেখ মুজিব স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে বাঙালিদের পাশে না থেকে ৬ মার্চ গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তারের যে দাবি জানিয়েছিলেন পাকিস্তানি জেনারেলের কাছে, সেই ইচ্ছাটাই পূরণের সুযোগ করে দিলেন পাক সেনাদের। কারণ, মুজিবের বিবেচনাতে ছিলÑ এতেই তার সমস্যার সমাধান সম্ভব। উগ্রপন্থিদের স্বাধীনতার বাসনা পাক সেনারা দমিয়ে দিলে পাকিস্তানের ক্ষমতালাভের পথতো তার খোলা থাকছেই! এ কারণে ২৫ মার্চের ক্র্যাক-ডাউনের পর আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীনতা ঘোষণার ছোট্ট একটি খসড়া তৈরি করে টেপ-রেকর্ডারে ধারণ করার জন্য তা শেখ মুজিবুর রহমানকে পড়তে দিলে শেখ মুজিব খসড়াটি পড়ে নিরুত্তর থাকেন এবং এড়িয়ে যান। তাজউদ্দীন আহমদ ঘোষণাটি দিতে অনুরোধ জানালে শেখ মুজিবুর রহমান উত্তর দেনÑ ‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটা দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের অভিযোগে বিচার করতে পারবে।’ স্বাধীনতা ঘোষণার ব্যাপারে শেখ মুজিবুর রহমানের এ বক্তব্যও প্রমাণ করে যে, তিনি বাংলাদেশ স্বাধীনে বা পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করার ব্যাপারে আন্তরিক ছিলেন না। লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজীও তার লেখা ঞযব ইবঃৎধুধষ ড়ভ ঊধংঃ চধশরংঃধহ গ্রন্থের ৯৪ পৃষ্ঠায় লিখেছেন: দগঁলরন যধফ হড়ঃ উবপষধৎবফ ঁহরষধঃবৎধষ রহফবঢ়বহফবহপব ড়ৎ ধিমবফ ধ ধিৎ.’ [মুজিব একপক্ষীয় (পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের) স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি কিংবা যুদ্ধ চালানোর কথাও বলেননি। অতএব, শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বলে বিবেচনা করা যায় না। বরং তাকে ‘বঙ্গশত্র“’, ‘জাতির হন্তারক’, ‘জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক’ এ জাতীয় বিশেষণে ভূষিত করা দরকার সঠিক ইতিহাস চর্চার স্বার্থে।

শেখ মুজিবের মতো শেখ হাসিনাকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী বলা যাবে না। কারণ, ১৯৭১ সালে শেখ হাসিনা পাকিস্তানি বাহিনীর সেবা-শুশ্র“ষা নিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের সিএমএইচে সজীব ওয়াজেদ জয়কে জন্ম দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একাত্তর সালে তার মধ্যে থাকলে তিনি কিছুতেই পাকিস্তানি বাহিনীর তত্ত্বাবধানে জয়কে জন্ম দিতে যেতেন না। বর্তমানে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে তিনি জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বিরোধিতা করলেও ৭১ সালে তিনি ছিলেন পাকিস্তানপন্থীই। কেননা, পাকিস্তানপন্থী ছাড়া আর কাউকে সেবা-শুশ্র“ষা দেয়নি পাক বাহিনী। অন্যদের হত্যা করেছে তারা। আর পাকিস্তানপন্থীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়েছে। অতএব, পাকিস্তানপন্থী জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ১৯৭১ সালে ‘রাজাকার’ থাকলে শেখ হাসিনা ছিলেন ‘রানিকার’।

এই ভণ্ডদের রাজনৈতিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে চাইলে এবং মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা থাকলে দেশবাসীর উচিত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ক্ষমতা না ছাড়া পর্যন্ত দেশের যে যেই প্রান্তে অবস্থান করছে, সেখানেই রাজপথে বসে থাকা। তবে বিধ্বংসী হয়ে দেশের জনগণের জানমালের ক্ষতি করা কারোরই উচিত হবে না। কারণ, বিএনপিকে মনুষ্যত্ববাদীদের দলে পরিণত করতে হবে। এজন্য পশুত্ববাদীদের রাজনীতি অনুসরণ করে বাস-ট্রাক-কার-ট্যাক্সি ভাঙচুর করা বা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি ত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশি চেতনার মনুষ্যত্ববাদীরা রাজপথে যে যেখানে আছে, সেখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েই শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। তবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যদি মহিষ-গন্ডারের দল হামলা চালাতে চায়, তবে মহিষ-গন্ডারদের ঠ্যাঙাতে যা করণীয়, তাতো করতেই হবে। আর পুলিশ-বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যেন মুক্তিযুদ্ধে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী মুজিবের পরিবারের পক্ষে অবস্থান না নিয়ে জাতীয়তাবাদী দেশবাসীর পক্ষে অবস্থান নেন। নাহলে যে তাদের পূর্বসূরিদের প্রতি তারা অবিচার করে বসবেন।



কাউসার ইকবাল

লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতিক

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

গাংচিল ২ বলেছেন: মাথায় কি বেশি সমস্যা হচ্ছে নাকি ?

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

াহো বলেছেন:

বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.


========================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


===========================

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,


যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১




=======================



তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
Click This Link
তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল




=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)


(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)

যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

==================================


নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস

Click This Link



LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 197


---------------------====================================================================================================================

1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.

নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

===================

বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ


1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973






লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় ২৭শে মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর




নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর





-Times of India 27 March 1971
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর






এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971


এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

াহো বলেছেন:


আমি আবার পুনরাবৃত্তি
আমি আবার পুনরাবৃত্তি


1971/1972 সংবাদপত্রে

বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে







আমি আবার পুনরাবৃত্তি
আমি আবার পুনরাবৃত্তি


1971/1972 সংবাদপত্রে

বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে







আমি আবার পুনরাবৃত্তি
আমি আবার পুনরাবৃত্তি


1971/1972 সংবাদপত্রে

বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২০

তিক্তভাষী বলেছেন: পোস্টে াহো-র উপস্থিতি ও যথারীতি অর্থহীন কপিপেস্ট প্রমাণ করে মোটামুটি সঠিক জায়গায় খোঁচাটি লেগেছে।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: গাঞ্জা কি বেশি পইড়েছে রে কাউসার?

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: এই মালডার লগে আপনের হালকা মিল আচে উস্তাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.