নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কতজনের কত কিছুই হল আমার না হয় পান্তা ভাত আর নুন, কত কী যে হওয়ার কথা ছিল আমার না হয় পাগলামিটাই গুণ।।
প্রজন্ম চত্বরকে নিয়ে কিছু প্রশ্ন৷ সেখানে যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি আদায়ের আন্দোলন কি সরকার নিয়ন্ত্রিত? এই প্রশ্ন ছাড়াও আরও অনেক বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ‘অগ্নিকন্যা’ লাকি আক্তার৷
রাজনৈতিক বিরোধিতার দীর্ঘ অতীত এখনো গুরুত্ব পেলে কিংবা যু্দ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে ঐতিহাসিকভাবেই বিপরীত অবস্থানের হলে কেউ কেউ এসব বিষয়ে নিজস্ব ধারণা বা কৌশলগত অবস্থান থেকে হয়তো সরবেন না৷ তবে যাঁদের মনে এসব নিয়ে ন্যূনতম সংশয়ও আছে তাঁদের জন্য প্রশ্নগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ স্বাধীনতার ৪১ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে, সুবিচারের দাবিতে তরুণ প্রজন্ম জেগেছে৷ এ অবস্থায় শুধু দলীয় অবস্থান থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লোটা অথবা কেবলই ভোটের রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়া-না-পড়ার ভাবনা মাথায় রেখে একটা আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করা কি মেনে নেয়া যায়?
সহায়ক ব্লগ
‘নতুন প্রজন্ম বাংলা ছেড়ে হিন্দির প্রতি বেশি উৎসাহী’
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
কাউসার আলম বলেছেন: ***ইতিহাসের কিছু অনুচ্চারিত সত্য // যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে প্রথম আন্দোলন ***
যুদ্ধকালে নিরস্ত্র নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধের ওপর সশস্ত্র দখলদার বাহিনীর আক্রমণ, হত্যা,অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, নির্যাতনই যুদ্ধাপরাধ। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশে এইরকম যুদ্ধাপরাধ ঘটেছে অসংখ্য। মূল যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লোকজন পার পেয়ে গেছে প্রথমেই। স্বাধীনতার পর ‘দালাল আইন’ করে এই দেশী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়। সেসময় এই আইনে বেশ কিছু রাজাকার আলবদর নেতা আটক হয়, বিচারও হয় কয়েকজনের। অন্যদিকে তখন এই আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে অভিযোগও ওঠে। একপর্যায়ে ১৯৭৩ সালে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বাদে বাকি সকলের জন্য ‘সাধারণ ক্ষমা’ ঘোষণা করা হয়। এর ফাঁক দিয়ে অনেকেই বের হয়ে আসে। ১৯৭৫ এর পর এই বিচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে মুশতাক ও পরে জিয়ার শাসনামলে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বৈধ হবার সাথে সাথে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সক্রিয় ব্যক্তিরাও সমাজে রাজনীতিতে আবারো ফিরে আসতে থাকে।
এরকম পরিস্থিতিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে প্রথম আন্দোলন সূচিত হয় ৭০ দশকের শেষে। কর্নেল (অবঃ) কাজী নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এই আন্দোলন সারাদেশে বিস্তৃত করে। আন্দোলন বেশ বেগবান হবার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কাজী নূরুজ্জামানকে প্রতিশ্রুতি দেন। কর্নেল জামান একাধিকবার জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা জানিয়ে বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান এবিষয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথাও তাঁকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ততদিনে জিয়া সরকার তাদের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে গেছে, সরকারের ভেতর কিংবা আশে পাশে যুদ্ধাপরাধী বা তাদের সমর্থকদের ভিড়। ঐ বৈঠকের কিছুদিনের মধ্যেই জিয়াউর রহমান নিহত হন।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত