নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কতজনের কত কিছুই হল আমার না হয় পান্তা ভাত আর নুন, কত কী যে হওয়ার কথা ছিল আমার না হয় পাগলামিটাই গুণ।।
আগামীকাল সারাদেশে ১ থেকে ৫ বছরের শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। কিন্তু ভিটামিন-এ ক্যপসুলগুলো কেনা হয়েছে ভারতের OLIVE HEALTH CARE নামক কোম্পানী থেকে, যারা পূর্বে কখনো কোন দেশে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল সরবরাহ করেনি, এমন কি নিজেদের দেশে পর্যন্ত ভিটামিন-এ ক্যাপসুল সরবরাহ করেনি। বিশ্বব্যাঙ্ক আপত্তিও করেছিল এই কোম্পানীকে মনোনয়ন দিতে। WHO(World Health Organization) এর লিস্টেও এই ভারতীয় কোম্পানীটির নাম নেই। তাই এই কোম্পানীর বানানো ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মানের ব্যপারে সবায়-ই অজ্ঞ। তা সত্বেও সরকার আগামীকাল ২ কোটি শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়াবে।
-----------------------------------------------------------------
মান নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও দেশের আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনবার সময় পরিবর্তন করে ১২ মার্চ এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, ভারতের বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা এসব ক্যাপসুল ‘ক্ষতিকর নয়’ প্রমাণ করতে তিনবার তারিখ পরিবর্তন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপত্তি জানানো এসব ক্যাপসুল সম্পর্কে পুরোপুরি আশ্বস্ত করতে পারেনি ভারতীয় অপর এক প্রতিষ্ঠান। সবশেষে সিঙ্গাপুরের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারো ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের সঙ্গে কৃমিনাশক অ্যালবেন্ডাজল ট্যাবলেটও খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্র জানায়, গত ২ মার্চ ‘ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন’ এর আওতায় সারাদেশের শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী আড়াই কোটি শিশুকে খাওয়ানোর জন্য ভারতের বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ভারতীয় অলিভ হেলথ কেয়ারের কাছ থেকে ১০ কোটি পিস ক্যাপসুল কেনে সরকার। কিন্তু এসব ক্যাপসুল শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে আপত্তি জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর এসজিএস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এসব ক্যাপসুল পরীক্ষা করে। তারা মান আপত্তি না জানালেও তাদের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় ক্যাপসুল খাওয়ানোর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের নির্দেশে পরীক্ষার জন্য দ্বিতীয় দফায় সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় এসব ক্যাপসুল।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান ব্যানার ফার্মা থেকে কেনা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মধ্যে ২ লাখ ইউনিটের প্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার পিস ও ১ লাখ ইউনিটের প্রায় ১২ লাখ পিস ক্যাপসুল এখনও রয়ে গেছে। চলতি বছরের এপ্রিলে এসবের মেয়াদ শেষ হবে। সারাদেশে ২ লাখ ইউনিটের ক্যাপসুলের চাহিদা রয়েছে ২ কোটি পিস এবং ১ লাখ ইউনিটের ক্যাপসুলের চাহিদা ৩০ লাখ পিস। এই হিসাবে অবশিষ্ট ক্যাপসুলের সঙ্গে চাহিদার পার্থক্য যথাক্রমে ৪২ লাখ ও ১৮ লাখ পিস। সূত্রগুলো জানায়, অলিভের ক্যাপসুল মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর নির্ধারিত ২ মার্চ এবং পরবর্তীতে ৬ মার্চ ক্যাপসুল খাওয়ানোর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু ১২ মার্চ ওই ক্যাপসুলই খাওয়ানো হবে।
অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা বিতর্কিত অলিভের ক্যাপসুলের পক্ষে সাফাই গায় এবং সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে প্রশ্নবিদ্ধ অলিভের পক্ষ নেন। অলিভ সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো যাচাই-বাছাইও করা হয়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নীরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
প্রসঙ্গত, শিশু মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস, অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে সরকারিভাবে দেশের ২ কোটি ৫০ লাখ শিশুকে বছরে দুবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। যার অর্থ যোগানদাতা বিশ্বব্যাংক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিদেশ থেকে এই ক্যাপসুল সংগ্রহের ব্যবস্থা করে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অলিভের কাছ থেকে কেনা ১০ কোটি ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বিশ্বব্যাংকের আপত্তির মুখে দু’দফা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স অলিভ হেলথ কেয়ার অনভিজ্ঞ এবং ভিটামিন জাতীয় ক্যাপসুল সরবরাহের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায়ও এর নাম নেই। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ইতিপূর্বে অন্য কোনো দেশে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সরবরাহও করেনি। এমনকি নিজ দেশ ভারতেও নয়। তবে অলিভ হেলথ টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটিকে জানিয়েছিল তারা নাইজেরিয়াতে ২০ কোটি ক্যাপসুল সরবরাহ করে। কিন্তু টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি অলিভের পেশকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই না করে কেবল সর্বনিু দরদাতা বিবেচনা করেই তাদের এ কাজের জন্য মনোনীত করে।
এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি ইনস্টিটিউটের (আইপিএইচএন) পরিচালক অধ্যাপক ডা. এখলাসুর রহমান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি সারাদেশে শুধুমাত্র ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। ওষুধ সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার আর সর্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকে মন্ত্রণালয়। মেসার্স অলিভ হেলথ কেয়ার কর্তৃক সরবরাহকৃত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত। ওষুধ আমদানি রফতানি এবং মান নির্ণয়ের বিষয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের আওতাধীন। তাই আমি কোনো মতামত দিতে পারছি না।’
কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে গিয়ে এবং টেলিফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সিএমএসডি পরিচালকের ফোন নম্বর চাইলে তার পিএ প্রতিবেদকের সাঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে অধিদফতরের এবং সংযুক্ত বিভাগগুলোর কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের মোবাইল নম্বরে (০১৭৩০৪৪১৮১৭) একাধিকবার ফোন ও এসএমএসএ করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে আগামী ১২ মার্চ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর যে তারিখ নির্ধারণ হয়েছে, সেখানে পূর্বের মতো কোনো পরিবর্তন থাকবে কিনা সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
খবর ও ছবির সূত্র:
Click This Link
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
কাউসার আলম বলেছেন: ভারতের OLIVE HEALTH CARE নামক কোম্পানী সম্পর্কে জানতে চাই
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সত্য জাতীয় ঠিকা দিবস
সারা দেশে ১২ ই মার্চ
৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: OLIVE HEALTH CARE এফডিএ অ্যাপ্রুভড একটা কম্পানী। তার মানে এই নয় যে তার সব প্রডাক্ট এফডিএ অ্যাপ্রুভ করেছে। যেহেতু WHO এর ভিটামিন এ ক্যাপসুল নেয় না, কাজেই এটাকে বাদ দেয়াই ভালো ছিলো।
তাছাড়া এরা ক্যাপসুল জিলাটিন হিসাবে বোভিন বোন জিলাটিন ব্যবহার করে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে এই জিলাটিন হালাল সোর্স থেকে নেয়া কিনা।
বাংলাদেশে যেসব দেশ থেকে মাল নেয়া হয়, বানিজ্য মন্ত্রণালয় এইটা দেখে হালাল জিনিস ব্যবহার করা হয় কিনা। আমার জানা নেই এই ক্যাপসুল হালাল জিলাটিন দিয়ে বানানো কিনা।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
দারাশিকো বলেছেন: আমিও এই বিষযে জানতে পেরে একটু সার্চ দিছিলাম। তখন এই নিউজটা চোখে পড়ছিল।
সম্ভবত মিথ্যা কিছু না। দেখতে পারেন
http://www.amarhealth.com/bg/?p=4795
৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৯
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
নিজের দেশে মেরে ভারত বাচাঁবো -
৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
অচেনা আগন্তুক বলেছেন: ভাদা সরকার ভারতের পা চাটতে কি নিজ দেশের শিশুদেরও বলি দিতে চাইছে!!!!
একটা শিশু ক্ষতিগ্রস্থ হলে এর দায় ভাদা সরকারকেই বহন করতে হবে।
৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
অবয়ব বলেছেন: "WHO(World Health Organization) এর লিস্টেও এই ভারতীয় কোম্পানীটির নাম নেই।"
পুরোপুরি মিথ্যা। এই কোম্পানীটি সফট জিলাটিন প্রস্তুত করে বহু বছর ধরে এবং বিদেশে রপ্তানী করে। হু এর জিএমপি সার্টিফিকেট আছে ২০০১ সাল থেকে।
"Olive Healthcare’s product manufacturing plant was designed to meet the stringent Australian TGA and UK MCA requirements and has received GMP certification by the World Health Organization (WHO). Olive’s state-of-the-art plant incorporates cutting edge technological advances in pharmaceutical manufacturing."
হু র লিস্টে যারা ঢুকে তাদের এই সার্টিফিকেট বহাল রাখার জন্য প্রোডাক্টের মান ঠিক রাখতে হয় এবং হু নিয়মিত তদারকি করে।
এমনকি সিঙ্গাপুরের যে কোম্পানি ক্যাপসুল পরীক্ষা করে সঠিক বলে জানিয়েছে সেটাও হু এর সার্টিফাইড।
তবে এত সব খবর তো আর মানুষ খাবে না। তাই বাশেরকেল্লা গুজবই সহিহ। আফসোস এই নির্লজ্জ গুজবের ফাঁদে পড়ে কত শিশু না জানি টিকা না পেয়ে মারা যাবে।
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
কাউসার আলম বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
কাউসার আলম বলেছেন: সত্যতা জানি না, তাই জানার জন্য এই পোস্ট। কেউ ভুল বুঝবেননা।