নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাকে অভিবাদন,বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ লাল সবুজ আঁকা পতাকার ভেতরে।।

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে।-------হাসান হাফিজ

কাউসার আলম

কতজনের কত কিছুই হল আমার না হয় পান্তা ভাত আর নুন, কত কী যে হওয়ার কথা ছিল আমার না হয় পাগলামিটাই গুণ।।

কাউসার আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

টেনশন তোমায় দিলাম ছুটি

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

টেনশন তোমায় দিলাম ছুটি



ঘড়ির এলার্ম বাজতেই প্রচণ্ড মাথাব্যাথা নিয়ে ঘুম থেকে উঠলেন কামাল সাহেব। ঘুম না হলেও অফিসে যাওয়ার সময় ছুঁইছুঁই, তাই না উঠে উপায় নেই। কিন্তু গত কয়েক রাত ধরে কামাল সাহেবের ঠিকমত ঘুম হচ্ছে না, কারণ একটাই টেনশন (দুশ্চিন্তা)। কামাল সাহেবের মত এরকম অনেকেই আছি যারা টেনশনের কারণে ঠিকমত কাজ-কর্ম, অধ্যাবসায়, খাওয়া-দাওয়া এমনকি বিশ্রামে মন দিতে পারিনা।

আমাদের জীবন চলার পথে টেনশন থাকবেই । কিন্তু তাই বলে এর ক্ষতিকর প্রভাব যেনো স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে স্থবির না করে এর জন্য আমরা ‍অনুসরণ করতে পারি কিছু পদ্ধতি:



*** যে কোন কাজ করার আগে পরিকল্পনা মাফিক এগুনো উচিত। এতে কাজের চাপও কমবে এবং কাজটিও গোছানো হবে।



*** খুব টেনশন হলে বুকের ভেতরে গভীর শ্বাস টেনে নিন। রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢুকলে মস্তিষ্ক উজ্জীবিত হয়, মাংসপেশি শিথিল হয় এবং মন ঠাণ্ডা হয়। গভীর শ্বাস টেনে নেয়ার পাশাপাশি মেডিটেশন বা প্রার্থনা করুন। মস্তিষ্কে প্রায় ঘুমের সমপর্যায়ের অবস্খা তৈরি হবে। শূন্যে মনোনিবেশ করলে চাপ কমে যায়।



*** হালকা শরীর চর্চা করুন। রক্ত সঞ্চালনের ফলে হতাশার লেভেল কমে যাবে। মাংসপেশি শিথিলের অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথমে মুখ, তারপর ঘাড়, কাঁধ এভাবে মাথা থেকে পা পর্যন্ত। নিয়মিত ব্যায়াম, ইয়োগা, যোগ ব্যায়াম করলে টেনশন কমানো যায় এবং শরীরকে চাঙা করতে পারে নিমিষেই। আর শরীর ফিট তো মনও ফিট ।



*** চোখ বন্ধ করে ৯৯ থেকে উল্টো করে ১ পর্যন্ত তিনবার গুনতে থাকুন। এতে টেনশনের বিষয় থেকে খানিকটা সময় মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া যায় ।



*** যতটা পারা যায় হাসি-খুশি থাকুন , হাসি আমাদের উদ্বেগ বাড়ানো হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। এছাড়া যান্ত্রিক এই জীবনে মানসিকভাবে সুস্হ থাকতেও হাসি যোগায় প্রাণশক্তি!



***আত্মসম্মোহনের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি, বদ অভ্যাস ত্যাগ, কম ব্যথা বা দু:খ অনুভবের শক্তি বাড়ান।

**** মনছবি গড়ে তুলুন। মনের ছবিটাকে আরো বেশি বাস্তব করার জন্য প্রকৃতির সুরারোপ করুন বা নিজের চারপাশে এই সুর বাজতে দিন। মনছবির ভেতর নিজের শুভ চাওয়ার প্রতিফলন ঘটান।



*** ডায়েরিতে লিখে ফেলুন মনের সব বলা না বলা কথা কিংবা প্রিয় মূহুর্তের ছবির অ্যালবামে চোখ বুলাতে পারেন। পেইন্টিং বোর্ডে সবগুলো রঙে সেড দিয়ে এঁকে ফেলুন মনের ইচ্ছে মত রংধনু।



*** কম্পিউটারে বা টিভিতে দেখুন প্রিয় কোন মুভি, খেলুন গেইমস্, সুর হোক আর নাই হোক উচ্চস্বরে গেয়ে উঠুন পছন্দের কোন গান অথবা মিউজিকের ছন্দে নাচের ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ হাত-পা হেলিয়ে দুলিয়ে নাচতেও পারেন।



*** প্রিয় লেখকের উপন্যাস, কবিতার বই মনকে হালকা করার সাথে সাথে মনের জগতটাকেও করে বিশাল। তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।



*** আনন্দদায়ক কোন স্মৃতির ভেলায় বেরিয়ে আসতে পারেন প্রকৃতি আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। লেকের ধারে, ঝিলের পাড়ে কিংবা সবুজ চত্বরে যেখানে যেতে মন চায় ঘুরে আসুন। পথ থেকে কুড়িয়ে নিন একটি-দুটি বকুল বা ঘাস ফুল ...



দীর্ঘদিন কোনো বিষয় নিয়ে টেনশন করা আমাদের শরীর এবং মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন



সূত্র: ইন্টারনেট

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫০

কাউসার আলম বলেছেন: অন্তবিহীন পথ চলাই জীবন, শুধু জীবনের কথা বলাই জীবন । জীবন প্রসব করে চলাই জীবন , শুধু যোগ বিয়োগের খেলাই জীবন । শুধু সূর্যের পানে দেখাই জীবন , জীবনকে ভোগ করে একাই জীবন , একই কক্ষ্যপথেঘোরাই জীবন , স্বপনের সমাধি খোড়াই জীবন , মনের গোপন ঘরে, যে শাপদ ঘর করে, তাকেই লালন করে চলাই জীবন । ফুটপাথে বেওয়ারিশ শিশুরা জীবন , রাম, ইসলাম আর যিশুরা জীবন , ...

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৫৬

কাউসার আলম বলেছেন: পুরুষের চেয়ে নারীই বেশি দুশ্চিন্তায় ভোগেন। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কমপক্ষে ২২ শতাংশ নারী বলছেন, তারা প্রতিদিন কিংবা সপ্তাহে অন্তত ১ দিন উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা কিংবা স্নায়বিক উত্তেজনায় ভোগেন। অন্যদিকে পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার শতকরা ১৬। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, দুশ্চিন্তার হার শিশু ও বৃদ্ধদের চেয়ে তরুণ ও মাঝবয়সীদের মধ্যে বেশি। এর আগে এক গবেষণায় দেখা যায়, তরুণদের চেয়ে নিজেদের বেশি সুখী ভাবেন বয়স্করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.