নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাকে অভিবাদন,বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ লাল সবুজ আঁকা পতাকার ভেতরে।।

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে।-------হাসান হাফিজ

কাউসার আলম

কতজনের কত কিছুই হল আমার না হয় পান্তা ভাত আর নুন, কত কী যে হওয়ার কথা ছিল আমার না হয় পাগলামিটাই গুণ।।

কাউসার আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুব চমৎকার একটি শিক্ষণীয় গল্প

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩০

একটি চীনা গল্পঃ ভালবাসা দিয়ে কঠিন হৃদয়কেও জয় করা সম্ভব

=============================================

অনেক অনেক দিন আগে, চীন দেশে ছিল Leu নামের এক মেয়ে । সে বিয়ে করে স্বামী এবং শ্বাশুড়ীর সাথে বাস করতে ছিল। খুব অল্প সময়েই Leu দেখল যে তার শ্বাশুড়ীর সাথে বাস করাটা প্রায় অসম্ভব। ক্রমশ তাদের মধ্যে মতানৈক্য আর ঝগড়া শুরু হয়। শ্বাশুড়ী প্রায়শ Leu কে কটাক্ষ করতো বিভিন্ন কাজে। কিন্তু, চাইনিজ পরম্পরা অনুয়ায়ী, Leu-তার শ্বাশুড়ীকে সবসময়েই মাথা নুইয়ে সন্মান জানাতে হতো এবং শ্বাশুড়ীর সমস্ত আদেশ মেনে নিতে হতো।



অনেক দিন এবং সপ্তাহ পার হয়ে গেল কিন্তু তাদের বিবাদ না কমে দিন দিন বাড়তেই থাকল।

এ সমস্ত ঘটনা ক্রমেই Leu-র স্বামীকে হতাশাগ্রস্থ করে তুলল। Leu কোনভাবেই তার শ্বাশুড়ীর এই খারাপ আচরন সহ্য করতে পারছিলনা, এবং সে সিদ্ধান্ত নিল যে কিছু একটা করতেই হবে।

একদিন Leu তার বাবার এক বন্ধু Mr. Hong এর কাছে গেল যার একটা ফার্র্মেসি রয়েছে। Leu তাকে সমস্তঘটনা খুলে বললো এবং তার কাছে কিছু বিষ চাইল যা দিয়ে তার শ্বাশুড়ীকে মেরে ফেলে এ সমস্ত সমস্যার সমাধান করা যায়। Mr. Hong কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন, " Leu, আমি তোমাকে সাহায্য করবো তোমার সমস্যার সমাধান করবার জন্য, কিন্তু আমি তোমাকে যা যা বলবো তাই তোমাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।" Leu খুশিমনে তার কথায় রাজী হয়ে গেলো।



Mr. Hong পেছনের রুমে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন একটা ঔষধের প্যাকেট নিয়ে। তিনি Leu-কে বললেন," তোমার শ্বাশুড়ীকে মেরে ফেলবার জন্য এমন কোন বিষ দেয়া উচিৎ হবে না যা তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে মেরে ফেলবে। এতে লোকের সন্দেহ তোমার উপর পরবে। তাই আমি তোমাকে এমন একটা ঔষধ দিচ্ছি যা তোমার শ্বাশুড়ীর শরীরে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া করবে। প্রতিদিন তার খাবারের সাথে এটা অল্প করে মিশিয়ে দিবে। এটার কার্যকারিতা শুরু হতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে, আর তাই তুমি তোমার শ্বাশুড়ীর সাথে এ কয়দিন ভাল ব্যবহার করতে থাক যাতে লোকের সন্দেহ কোনক্রমেই তোমার উপর না পরে। কখনই তার সাথে তর্ক করবে না, তার প্রতিটি ইচ্ছা পুরণ করবে এবং তার সাথে রানীর মতো আচরণ করবে।" Leu খুবই খুশী হল । সে Mr. Hong-কে ধন্যবাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এল তার শ্বাশুরীকে হত্যা করবার কাজ শুরু করবার জন্য।



সপ্তাহ পার হয়ে মাস পার হয়ে গেল, Leu তার ঔষধটা শ্বাশুড়ীকে নিয়ম করে খাওয়াতে লাগল।

সে সবার সন্দেহের উর্দ্ধে থাকবার জন্য Mr. Hong এর উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে লাগলো । সে তার বাজে রাগকে প্রশমিত করলো, তার শ্বাশুড়ীর সমস্ত আদেশ মাথা পেতে পালন করতে লাগলো এবং তার সাথে আচরণ করত তার নিজের মায়ের মতই।



ছয়মাস পর পুরো ঘরের দৃশ্যপট পাল্টে গেল। Leu তার রাগকে এতটাই দমন করা শিখে গেল যে, সে আর তেমন করে উত্তেজিতই হতে পারত না। তার সাথে তার শ্বাশুড়ীর এই ছয়মাসে কোন তর্কই বাঁধল না, আর এখন Leu তার শ্বাশুড়ীর সাথে অনেক বেশী ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠল। Leu-র প্রতি তার শ্বাশুড়ীর আচরণেরও পরিবর্তন হল, এবং তিনি Leu-কে তার মেয়ের মতই ভালবাসতে শুরু করলেন। তিনি তার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদেরকে বলতে লাগলেন যে, পৃথিবীতে যত বৌমা আছে তার মধ্যে Leu হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট। Leu এবং তার শ্বাশুড়ী, মেয়ে এবং মা এর মতই বাস করতে লাগল। সবকিছু দেখে Leu-র স্বামীও খুব খুশি হয়ে উঠল।



একদিন Leu আবারও মি: হং এর কাছে সাহায্যের জন্য আসল। সে মি: হংকে বলল, " প্রিয় Mr. Hong, আপনার বাকি ঔষধ আপনি ফিরিয়ে নিন এবং যতটুকু ক্ষতি আমার শ্বাশুড়ীর হয়েছে তা কাটাবার কোন ঔষধ দিন। তার মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং এখন তাকে আমি আমার মায়ের মতই ভালবাসি।" Mr. Hong হেসে সামান্য মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, " Leu, ভয় পাবার কোন কারন নেই, আমি তোমাকে কোন বিষ দেইনি। যেটা দিয়েছিলাম সেটা ছিল একপ্রকার ভিটামিন, যা তোমার শ্বাশুড়ীর স্বাস্থ্য ভাল হতে সাহায্য করেছে। একমাত্র বিষ ছিল তোমার মনে এবং তার প্রতি তোমার আচরণে, যেটা তুমি পুরোপুরি ধুয়ে ফেলেছ তাকে ভালবেসে।"



মনে রাখবেন," যে যাকে যতটা ভালবাসা দেবে, প্রতিদানে ততটা ভালবাসাই পাবে। আপনি যেমন ব্যবহার করবেন, তার থেকে ভালো ব্যবহার আপনি আশা করতে পারেন কি?? ভালো ব্যবহারই মানুষকে সুন্দর ও সুখী পথের নির্দেশনা দেয়।"



(সংগৃহীত)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪০

কাউসার আলম বলেছেন: আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যাও সমাধান করা সম্ভব, যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে দেশের প্রতি ভালবাসা থাকে , দেশপ্রেম থাকে ।।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪১

কাউসার আলম বলেছেন: মনে রাখবেন," যে যাকে যতটা ভালবাসা দেবে, প্রতিদানে ততটা ভালবাসাই পাবে। আপনি যেমন ব্যবহার করবেন, তার থেকে ভালো ব্যবহার আপনি আশা করতে পারেন কি?? ভালো ব্যবহারই মানুষকে সুন্দর ও সুখী পথের নির্দেশনা দেয়।"

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৬

কাউসার আলম বলেছেন: একমাত্র বিষ ছিল তোমার মনে এবং তার প্রতি তোমার আচরণে, যেটা তুমি পুরোপুরি ধুয়ে ফেলেছ তাকে ভালবেসে।"

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৬

কাউসার আলম বলেছেন: মনে রাখবেন," যে যাকে যতটা ভালবাসা দেবে, প্রতিদানে ততটা ভালবাসাই পাবে। আপনি যেমন ব্যবহার করবেন, তার থেকে ভালো ব্যবহার আপনি আশা করতে পারেন কি?? ভালো ব্যবহারই মানুষকে সুন্দর ও সুখী পথের নির্দেশনা দেয়।"

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৩

বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার সংগ্রহ

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৪

রুদ্র মানব বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে।

৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১১

কাউসার আলম বলেছেন: আপনি তাই করুন যা আপনাকে সুখী করে, তার সাথেই থাকুন যে আপনার মুখে হাসি ফোঁটায়, ততক্ষন হাসুন যতক্ষন আপনার নিঃশ্বাসে কুলায়, ততদিনই ভালোবাসুন যতদিন আপনি বেঁচে আছেন।

৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৬

আন্দোলন বলেছেন: হু শিক্ষনীয় গল্প

৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: প্রিয় তে রাইখ্যা দিলাম। ভবিষ্যতে বৌয়ের লগে মা'য়ের কাইজ্জা লাগলে কামে দিবার পারে !!

:)

২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

কাউসার আলম বলেছেন: হুমম.....

৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: জটি :|| :|| :|| :||

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০২

কাউসার আলম বলেছেন: মায়ের ভালবাসা অন্ধ !! কারণ, যখন আমরা এই পৃথিবীর আলোও দেখিনি আমাদের মা তখন
আমাদের না দেখেই ভালবাসতেন আর আজকের গল্পটি হল মায়ের ভালবাসা নিয়েঃ
♥ ♥ ♥♥ ♥ ♥♥ ♥ ♥♥ ♥ ♥♥ ♥ ♥♥ ♥ ♥♥ ♥ ♥♥ ♥ ♥♥ ♥ ♥♥ ♥ ♥
ছেলেটির নাম Eric । ওর মায়ের একচোখ অন্ধ। এটা নিয়ে স্কুলের বন্ধুদের সামনে Eric খুবই
বিব্রত হয়। একবার ওর মা খাবার নিয়ে স্কুলে গেলে Eric চিৎকার করে বললো '' তুমি মরে যাও না কেন ? তাহলে বন্ধুদের কাছে আমাকে লজ্জা পেতে হয় না। ছিঃ, কি বিশ্রি দেখা যায় একটা চোখে যখন তাকাও!"

Eric খুব মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করছে, কারণ যত দ্রুত সম্ভব প্রতিষ্ঠা পেয়ে এই বাড়ী থেকে সে চলে যেতে চায় । খুব ভালো রেজাল্ট করলো Eric, সেই সাথে প্রতিষ্ঠা! তার নিজের বাড়ি, গাড়ি, বউ, ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার! একচোখা অন্ধ মায়ের কোন চিহ্নই নেই তার জীবনে।

এদিকে বৃদ্ধা মা মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। কিন্তু মরবার আগে একটি বারের জন্য নাতিগুলোর মুখ দেখার লোভ সামলাতে না পেরে ঠিকানা খুঁজে খুঁজে চলে এলেন ছেলের বাড়ি। বৃদ্ধাকে দরজায় দেখে Eric হুংকার দিলো,
"কোন সাহসে এসেছো এখানে? দেখছনা, তোমাকে দেখে আমার বাচ্চারা ভয় পাচ্ছে? এখনি দূর হও এখান থেকে"।

এর কয়েক বছর পরে স্কুলের পুনর্মিলনীতে বিশেষ অতিথী হয়ে গেলো Eric! অনুষ্ঠান শেষে কি মনে করে যেন বৃদ্ধাকে দেখতে গেলো সে। প্রতিবেশী অপর বৃদ্ধা জানালো, বছর দুই আগেই তিনি গত হয়েছেন আর যাবার আগে Eric-এর জন্য রেখে গেছেন একটি চিঠিঃ

আমার সোনামনি Eric, জানি, তুমি তোমার মা'কে অনেক ঘৃণাকরো। আমি তোমাকে জীবনে কিছুই দিতে পারিনি, দিয়েছি শুধু লজ্জা। মা হিসেবে আমি ব্যর্থ। এ জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। ছোটবেলায় তোমার একটা এ্যাক্সিডেন্ট হয়ে তোমার একটা চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তুমি সারাজীবন একচোখ দিয়ে দেখবে, মা হিসেবে এটা আমি মেনে নিতে পারিনি, তাই নিজেই বাকি জীবন একচোখ দিয়ে দেখবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আজ তুমি দু'চোখ দিয়ে দেখতে পারছো, আমার কাছে এর চেয়ে বড় আনন্দের আর কিছু নেই। তুমি ভালো থেকো বাবা!!!
ইতি,
তোমার ব্যর্থ মা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.