নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাকে অভিবাদন,বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ লাল সবুজ আঁকা পতাকার ভেতরে।।

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে।-------হাসান হাফিজ

কাউসার আলম

কতজনের কত কিছুই হল আমার না হয় পান্তা ভাত আর নুন, কত কী যে হওয়ার কথা ছিল আমার না হয় পাগলামিটাই গুণ।।

কাউসার আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুম ভেঙেছে মিডিয়ার

২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮

ঘুম ভেঙেছে মিডিয়ার। তারা এখন বলছে, অনেক হয়েছে। আর নয়। আলোচনায় বসুন রাজনীতিকরা। এতদিনএই মিডিয়া উস্কে দিয়েছে সবকিছু। ঘটনার এক পিঠ দেখেছে। অন্য পিঠে কি আছে তা একবারও তলিয়ে দেখার চেষ্টা করেনি। অভিযোগ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টাতেও রসদ দিতে চেয়েছিল কতিপয় মিডিয়া। দু’সপ্তাহ আগে কলকাতার আশপাশে দাঙ্গা হয়েছিল। একজন পেশ ইমাম খুনের ঘটনার পর। বিবিসি এ খবর দিয়েছিল। আগ্রহবশত অনলাইনে পরদিন খবরটি কলকাতার পত্রপত্রিকায় খুঁজলাম। একটি হরফও পেলাম না। অথচ ঢাকার মূলধারার গণমাধ্যম যেসব খবর প্রচার করেছে তাতে আতঙ্কিত না হয়ে পারা যায় না। রাজনৈতিক ফায়দাতোলার জন্য এসব মিডিয়া একপেশে খবর ছেপেছে। যাতে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভিন্ন বার্তা গেছে আধুনিক দুনিয়ায়। বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক নয়। তারা রাজনীতি নিয়ে লড়াই করতে পারে। বেছে নিতে পারে হিংসার পথ। কিন্তু কখনও সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেয়নি। বরং জান দিয়ে রুখে দিয়েছে। এখনও তা করবে। জামায়াতে ইসলামী পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বলেছে তারা মন্দির কিংবা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আগুন দেয়ার সঙ্গে জড়িত নয়। বিরোধী নেত্রী বেগম জিয়াও বিবৃতি দিয়ে নিন্দা করেছেন। তদন্ত দাবি করেছেন। সরকার এ নিয়ে রাজনীতি করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি আরেকধাপ এগিয়ে। তিনি বর্তমান অবস্থাকে ১৯৭১ সালের সঙ্গে তুলনা করছেন। বাস্তব অবস্থা কি তাই! দেশের বেশিরভাগ না হলেও অর্ধেক মানুষ কি এই জঘন্য খেলায় মাততে পারে! রাজনৈতিক বিরোধিতারমানে কি স্বাধীনতার বিরোধিতা। দেশে দেশে এমন ঘটনা ঘটছে। কিন্তুসেসব দেশের শাসকদেরকে বলতে শোনা যায় না এরা রুয়ান্ডা, সিরিয়া, মিশর কিংবা তিউনিসিয়ার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরোধী। এখন রাজনীতির সময় নয়। সংখ্যালঘুদেরকে যে কোন হিংস্র হামলা থেকে বাঁচাতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে কারা এই হামলা করছে। পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখন মিডিয়াকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আসল সত্যটা প্রচার বা লিখতেহবে। একটি ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদকীয় দেখে কিছুটা আশ্বস্ত হলাম। এতে বলা হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে সংলাপে বসতে হবে। বলেছে, সমস্যাটি রাজনৈতিক। তাই শক্তি প্রয়োগ না করে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আরেকটি প্রভাবশালী বাংলা দৈনিকের সম্পাদকীয়তেও একই ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মনে রাখতে হবে সমস্যাটি নিছক আইনশৃঙ্খলাজনিত নয়। রাজনৈতিক সমস্যা সবাইকে সঙ্গে নিয়েই সামাল দিতে হবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে এ ধরনের খবর প্রচারে বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, এখন একটি খবর আমাদের সব অর্জন ওলট-পালট করে দিতে পারে। বিপন্ন হতে পারে গণতন্ত্র। ঝুঁকিতে পড়তে পারে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সর্বদলীয় বৈঠকের যে খবরা-খবর এসেছে তা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। তাতে মনে হয় নোংরা প্রচারণার মধ্যে বিবেক হারিয়ে যায়নি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সাংবাদিকরা দলীয়ভাবে বিভক্ত হওয়ার কারণে আমরা একবাক্যে বলতে পারছি না, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ।একটি অভিন্ন সম্পাদকীয় লেখার কোন উদ্যোগও নেয়া যাচ্ছে না। সম্পাদকদের কোন ফোরাম নেই। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক হিংসা হানাহানির জের ধরে ভেঙে গিয়েছে সেই ঐক্য। সরকার অনেক কিছুই বুঝতে পারে না অন্ধ দলবাজিআর মোসাহেবির কারণে। তাই বলে সাংবাদিকরা কেন বুঝতে পারবেন না বাংলাদেশ এখন কোন পথে হাঁটতে শুরু করেছে। মানুষইবা কি ভাবছে। নির্বাচিত সরকার বাদ দিয়ে যখন ‘গণজমায়েত’কে বিকল্প সরকার ভাবা শুরু হলো তখন থেকেই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। মিডিয়া যদি বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় তাহলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত যে অনিশ্চিতএটা বোধ করি কাউকে বলতে হবে না। তাই সময় এসেছে সাদাকে সাদা বলার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪

কাউসার আলম বলেছেন: প্রথম আলো আজ ‘স্কুলপড়ুয়াদের যাতায়াত বাড়ছে যৌনপল্লিতে’ এই নিউজের শেষে দেয়া আমার একটি মন্তব্য প্রকাশ করেনি, এমনকি এরপর থেকে ওই নিউজে কমেন্ট দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

কিন্তু পাঠ্যবইয়ে পর্ণোগ্রাফি - প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হয়েছিল, দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাই আমাদের শিশুদের বিপদগামীতার জন্য প্রধানত দায়ী।

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬

উড়োজাহাজ বলেছেন: Valo likhsen. Obosthata emon hoisa 2 ta vinno moter paper na porlay sotto bujhe newa kothin.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.