নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাকে অভিবাদন,বাংলাদেশ,তুমি ফিরে এসেছ লাল সবুজ আঁকা পতাকার ভেতরে।।

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে।-------হাসান হাফিজ

কাউসার আলম

কতজনের কত কিছুই হল আমার না হয় পান্তা ভাত আর নুন, কত কী যে হওয়ার কথা ছিল আমার না হয় পাগলামিটাই গুণ।।

কাউসার আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবেশ দূষণ ও বিশ্বের পাঁচ শহর

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৮



প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। মূলত জীবনের নানা ক্ষেত্রে যত দূর মানুষ এগিয়েছে বিজ্ঞানের হাত ধরেই এগিয়েছে। বিজ্ঞানের অবদানেই স্থাপিত হয়েছে কলকারখানা, ছুটছে গাড়ি, উড়ছে বিমান। এসব প্রযুক্তি আমাদের জন্য শুভ বার্তা বয়ে এনেছিল সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আবার এ প্রযুক্তিই নিয়মিত দূষিত করে যাচ্ছে আমাদের চারপাশ। এ অশুভ বার্তাটি নিয়েও সন্দেহের অবকাশ নেই।



চীনের ফেন নদীর তীরে অবস্থিত লিনফেন (Linfen, China) পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত শহর। কয়লা খনিসমৃদ্ধ শহরটির বাতাস খনিগুলোর কালো ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে, এ শহরে ভেজা কাপড় রোদে শুকাতে দিলে তা শুকানোর আগেই কালো হয়ে যায়। প্রায় তিন লাখ লোকের বাস লিনফেন শহরে। যাঁদের অনেকেই শহরটির দূষিত পরিবেশের কারণে ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদি রোগে ভুগছেন। দূষিত হওয়ার প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনেরই আরেকটি শহর তিয়ানইয়েং। চীনের উত্তর-পূর্বের এ শিল্প শহরটির পানি ও মাটিতে মিশে আছে সিসা। ফলে এ শহরের প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। চীনের মোট উৎপাদিত সিসার প্রায় অর্ধেকই এ শহর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে উৎপাদিত হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারতের সুকিন্দা ও ভাপি। সুকিন্দা ভারতের ওডিষা প্রদেশের জয়পুর জেলার একটি শহর। এখানকার ক্রোমিট খনিগুলোই এ শহরের দূষণের মূল কারণ। সুকিন্দার পানিতে প্রায় ৬০ শতাংশ হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি রয়েছে। এ উচ্চ মাত্রার দূষিত পানির কারণে শহরটির প্রায় ২৬ লাখ মানুষ নানা রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। গুজরাটের দক্ষিণে অবস্থিত ভাপির মাটি এবং পানিতে মিশে আছে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য। শিল্পসমৃদ্ধ এ শহরটির পানিতে পাওয়া যায় মারকারি। ফলে শহরটির প্রায় ৭১ হাজার মানুষ রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।



দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পেরুর লা অরোয়া। সিসা, দস্তা, তামা ও সালফারের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে শহরটির প্রায় ৯৯ শতাংশ শিশু বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছে। অস্বাভাবিক দূষণের কারণে পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এ শহরটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছেন বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৮

কাউসার আলম বলেছেন: আসুন সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতো আমরাও দৃঢ় অঙ্গীকার করি ,
'এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি
নব জাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার'

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নিজে সচেতন হও অন্যরা শিখবে

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

অকপট পোলা বলেছেন: ১ম টার পানি তো খুবই পরিস্কার!! দেখেন না কেমন সুন্দর সাবানের ফেনা উইঠা গেসে??!!

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩

কবিেহপী বলেছেন: পরিবেশ সংক্রান্ত যেকোন সংবাদ, ফিচার, আর্টিকেল, ফটো, ভিডিও সহ তথ্য পেতে যুক্ত থাকুন

http://www.bdenvironment.com/ সাথে।

বিজ্ঞাপন করার জন্য মনে কিছু নিবেন। ইহা একটি অলাভজনক পোর্টাল। ধন্যবাদ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.