নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের প্রচলিত ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা (প্রবন্ধ)

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৩৩


আমার ছোটবেলার খুব ঘনিষ্ট এক বন্ধু তিন বছর আগে একটি ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছে, তার সাথে দেখা হলে শুধু ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে, পড়ালেখার বিষয়াদি নিয়ে কথা বলে; ভেতরে ভেতরে খুব উদ্বিঘ্ন দেখায় তাকে। সে একটি কলেজের প্রভাষক, তার স্ত্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। যদিও ছেলেটির স্কুলে ভর্তির বয়স এখনো দুই-তিন বছর বাকি! বড় হলে ছেলেকে কোথায় ভর্তি করবে; স্কুলে না মাদ্রাসায়? মাদ্রাসায় হলে কওমি না আলিয়ায়? স্কুলে হলে বাংলা না ইংলিশ মিডিয়ামে? বাংলায় হলে সরকারী প্রাইমারিতে না প্রাইভেট স্কুলে? ইংলিশ মিডিয়াম হলে বৃটিশ কারিকুলাম না বাংলাদেশী সিলেবাসে ইংলিশ মিডিয়ামে? নাকি ক্যাডেট কলেজে? আরো কত কী সিস্টেম এ বঙ্গে আছে!

আসলে প্রশ্নগুলো কোন একজন অভিবাবকের নয়, এটা পুরো দেশেরই সাম্যক চিত্র। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সঠিক গাইডলাইন না থাকায় দেশের অভিবাবকরা কমিবেশি এমন সমস্যার মোকাবেলা করছেন; ভয় পাচ্ছেন বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত। ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষার সঠিক মাধ্যম কোনটি তা নিয়ে সন্দিহান সবাই।

বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে, তা বহু বছর আগে। এজন্য সরকারের তরফ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে কোন ছেলে-মেয়ে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের উদাসীনতা এবং সরকারি স্কুলগুলোর নিম্নমান ও অপ্রতুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য কিন্ডার গার্ডেন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। কোন কোন স্কুলে তো এসব শিশুদের রীতিমত ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে, লিখিত পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি করা হয়। স্বাধীনতার এত বছর পরও শিশুদের জন্য সমমান ও একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা আজও আমরা চালু করতে পারলাম না।

এজন্য ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের মনে মানুষের শ্রেণী বৈষম্যের বিষ রোপিত হয়। যারা দামী স্কুলে পড়ে তাদের কাছে কমদামী স্কুলের বাচ্চাদের 'ছোটলোক' মনে হয়। যারা দামী গাড়ি নিয়ে স্কুলে যায় তাদের কাছে হেঁটে আসা সহপাঠীকে 'কামলা শ্রেণীর' মনে হয়। তবে এ শ্রেণী বৈষম্যটা শুরু হয় পরিবার থেকে। বাচ্চাটি ঘরের কাজের মেয়েটার সাথে বাবা-মায়ের ইতরামী দেখে এই মেয়েটিকে মানুষ নয় 'ভিন্ন প্রজাতির' ভাবতে শেখে। নিজেও পিচ্চি বয়স থেকে তার চেয়ে বয়সে অনেক বড় মেয়েটিকে গালি দেয়, তুই-তুকারী করে। এখানেই 'অমানুষ' হওয়ার প্রাথমিক শিক্ষাটা হাতে কলমে পায় সে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এগুলো ডালপালা মেলে বিশাল আকার ধারণ করে।

এখন কিন্ডার গার্ডেন স্কুল বাংলাদেশের অন্যতম সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেখান থাকার কথা ছিল সরকারের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ সেখানে হচ্ছে ব্যবসা। পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে এমন নির্লজ্জ ব্যবসা নেই। সেবা খাতগুলো যখন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন তা লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়। শিক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসা ও গণ পরিবহন তার নিষ্টুর উদাহরণ।

প্রাইমারি লেভেলের একটি বাচ্চাকে চৌদ্দ পনেরটি বই নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়। তার সাথে খাতা-কলমসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র তো আছেই। এজন্য অনেক সময় বইয়ের ব্যাগ বহন করার জন্য বাবা-মা অথবা অন্য কেউ বাচ্চাটির সাথে যেতে হয়। অথচ শিশু শিক্ষা হওয়ার কথা ছিল আনন্দের। সে হেসে খেলে পড়াশুনা করবে, যাতে তার মনে শিক্ষাভীতি না আসে। ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে দেখেছি শিশুরা বই খাতা নিয়ে স্কুলে যায় না, তার প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো স্কুলে থাকে। তার পড়াশুনার পাঠ স্কুলেই শুরু, স্কুলেই শেষ। নেই হোমওয়ার্কের বাড়তি ঝামেলা। এজন্য মনের আনন্দে শিশুরা স্কুলে যায়।


আর আমাদের দেশে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। যত দামী স্কুল তত বেশী বই-খাতা ও হোমওয়ার্ক। এটা কেমন শিক্ষা ব্যাবস্থা? একটি বাচ্চার ওজনের চেয়ে বইয়ের ব্যাগের ওজন বেশি হবে কেন? তাহলে শিক্ষা কি শিশুদের জন্য বোঝা? যে বয়সে আনন্দের সাথে বাচ্চারা শিক্ষা অর্জন কারার কথা সে বয়সে আমরা শিশুদের মনে শিক্ষা ভীতি তৈরি করছি। শিক্ষা কী? তা বুঝে উঠার আগেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার পর পরীক্ষা নিচ্ছি, তোতা পাখির মত মুখস্থ করাচ্ছি, ভয় দেখিয়ে দিচ্ছি। আর উপরি উপদ্রব হিসেবে আছে বিভিন্ন সিস্টেমের গৃহশিক্ষকের ব্যাবস্থা।

সেকেন্ডারী শিক্ষা ব্যাবস্থা তো আরো ভয়াবহ। প্রতিদিন স্কুলগুলোতে ৬-৮ টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়, গড়ে একেকটি বিষয় ৩০-৩৫ মিনিট করে পড়ানো হয়, এতে করে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। মফস্বলের কোন কোন ক্লাসে তো ২০০-২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকে। একজন শিক্ষকের দ্বারা ইচ্ছা থাকলেও এত অল্প সময়ে বিপুল শিক্ষার্থীদের কোয়ালিটি সম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। আছে শিক্ষক স্বল্পতা ও ছাত্র-ছাত্রীদের অপর্যাপ্ত বসার আসন । এছাড়া আছে কম দক্ষতাসম্পন্ন ও ফাঁকিবাজ শিক্ষকদের ছড়াছড়ি।

কিছু অসাধু শিক্ষক বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর জন্য শ্রেণীকক্ষে ঠিকমতো পাঠদান করে না। একটি ছাত্র যদি স্কুলে পড়ার পরও একই শিক্ষকের বাসায় সারা বছর প্রাইভেট পড়তে হয় তাহলে স্কুলের প্রয়োজন কেন? এমনও শোনা যায় স্কুলের শিক্ষকের বাসায় না পড়লে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা যায় না। আবার কোন কোন বেসরকারী স্কুল শিক্ষকদের এতো অল্প বেতন দেয়, তা শিক্ষকদের স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে শেষ হয়ে যায়। এজন্য অনেক সময় বাধ্য হয়ে তারা প্রাইভেট কোচিং করান।

ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত এত বিষয় পাঠ দান করা হয় সত্যি তা ভীতিকর। নবম শ্রেণীতে উঠলে তো আবার বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য কত যে শাখা প্রশাখা। আমাদের দেশের মুখস্ত নির্ভর শিক্ষা ব্যাবস্থা, যা আমাদের শিক্ষার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য যেখানে হওয়ার কথা ছিল জ্ঞান অর্জন করা, গবেষনা করা, মূল্যবোধ সৃষ্টি করা; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা আজ পরীক্ষা ও চাকরি নির্ভর। যে দেশে লক্ষাধিক ছেলে মেয়ে এস এস সি পরীক্ষায় A+ পায়, সে দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা শুধু গলদপূর্ণই নয়, জাতির মেধা বিকাশের অন্তরায়ও বটে।


ছেলে মেয়েরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যদি স্কুলের পাঠ্যবই নিয়ে স্কুল আর শিক্ষকদের বাসায় বাসায় দৌড়ায় তাহলে তার সৃজনশীল মন মানষিকতা সৃষ্টি হবে কখন? সবাইকে বুঝতে হবে মানুষের জন্ম হয়নি শুধু পড়াশুনা করা জন্য। সরকার ও অভিবাবকদের দায়িত্ব ছাত্র/ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় বিনোদন ও খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা; তাদের শারিরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য যা অত্যাবশ্যক। সৃজনশীল মননের জন্য প্রয়োজন স্বাধীনভাবে চিন্তা শক্তিকে বিকশিত করার পর্যাপ্ত সময় ও পরিবেশ। কিন্তু পাগলাটে এ শিক্ষা ব্যবস্থা ছাত্র ছাত্রীদের সৃজনশীল ও স্বাধীন সত্তাকে বিকশিত হতে দিচ্ছে না। ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি বাবা মায়েরা সারা বছর ব্যস্থ থাকেন সন্তানদের পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের নেশায়। যত টাকা লাগুক এ+ যে পেতেই হবে।

আমার মনে আছে ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় সারা রাত ল্যাণ্ঠন জালিয়ে গরুর রচনা মুখস্ত করেছি, অথচ জন্মের পর থেকে গরু দেখে দেখে বড় হয়েছি। কিন্তু বইতে লেখক যেভাবে গরুর বর্ণনা করেছেন, ঠিক সেভাবে মুখস্ত করতাম। যদি বলা হতো আমি যেভাবে দেখেছি সেভাবে নিজের মতে করে গরুর রচনা লেখতে, তাহলে আমি ঠিকই পারতাম। কষ্ঠ করে মুখস্থ করতে হতো না। এতে আমার বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা হত, চিন্তাশক্তিও বাড়তো। জীবনে না বুঝে কত যে উপপাদ্য মুখস্থ করছি তার কোন হিসাব নেই। একটি গাইড বইয়ে লেখক তার মত করে বিষয়টি নিয়ে লেখেন। এজন্য তার বিশ্লেষণটা শিখতে হলে মুখস্থ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। গাইড বই পড়ে হয়ত এ+ পাওয়া যায়, কিন্তু কখনো মেধার বিকাশ হয় না।

আসলে আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থাই গলদপূর্ণ। এ কেমন শিক্ষা ব্যাবস্থা? আর এর উদ্দেশ্যই বা কী? শিশু-কিশোররা কৌতুহল প্রবণ। তাদের সেই কৌতুহল বিন্দুমাত্র না মিটিয়ে বিরক্তিকর মুখস্থ শিক্ষার বোঝা চাপিয়ে তাদের শেখার আগ্রহ অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেওয়া হচ্ছে। এই রোবটিক শিক্ষা ব্যাবস্থার ফলে ছেলে মেয়েরা কোন বিষয়ে গভীরে যেতে পারছে না। একটা বা দুইটা বিষয়ের প্রতি আগ্রহ বা ভালোবাসা তৈরী হচ্ছে না। এজন্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমাদের ছেলে মেয়েরা অনেক বেশী পড়াশুনা করলেও তাদের মতো বড় মাপের সাইন্টিস্ট, দার্শনিক, প্রযুক্তিবিদ, ডাক্তার ইত্যাদি হতে পারে না।

ইংল্যান্ডে GCSE (General Certificate of Secondary Education) যেটি আমাদের SSC সম মানের, পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক ভাবে English, Mathematics ও science নিতে হয়। তার সাথে অপশনাল হিসাবে থাকে আরো ৪টি সাবজেক্ট। এটা ডিপেন্ড করে ছাত্র ছাত্রীদের পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটিতে কোন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করতে চায় তার উপর। তবে চাইলে ৫টি বিষয় নিয়ে ও পরীক্ষা দেওয়া যায়। Advanced Level (A Level)-এ মাত্র চারটি বিষয় নিলেই হয়। সেখানে ছাত্র ছাত্রীদের পূর্ণ স্বাধীনতা (freedom of choice) থাকে এবং অপেক্ষাকৃত কম বিষয়ে পড়তে হয় বলে স্বাধীনভাবে চাপমুক্ত হয়ে আগ্রহ নিয়ে এর গভীরে গিয়ে চর্চা করার পর্যাপ্ত সময় পায়। তাদের কোন ছাত্রকে কোচিং করতে হয় না, সর্বোচ্চ ১০% ছেলে মেয়ে প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ে, তবে আমাদের মত সারা বছরব্যাপী নয়। বড়জোর একমাস।


লন্ডনে কিছুদিন স্কুলে পড়ানোর সুযোগ হয়েছিল। ওদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাকে অবাক করেছে। ওরা কোন ছাত্রকে জোর করে পড়ায় না। ক্লাসে অন্যদের সাথে পেরে না উঠলে আলাদা করে কেয়ার করে। তারপরও না পারলে রেখে দেয়। শুধুমাত্র প্রকৃত মেধাবীদের এরা পুস করে আর ভাল করার জন্য। এ হার শতকরা ২৫-৩০%। কিন্তু কখনো এদেরে প্রেসার দেয় না। ছাত্ররা যাতে মনের আনন্দে পড়াশুনা করে তার ব্যবস্থা করে দেয়। এদের আলাদা কোচিং লাগে না, টিচারের বাসায় গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করা লাগে না। এমনকি বাসায় এসে সর্বোচ্চ ২-৩ ঘন্টা পড়াশুনা করে। গার্ডিয়ানদের কোন হেল্প লাগে না।

ওদের সিলেবাসটা আমাদের চেয়ে ছোট, বইয়ের সংখ্যাও অনেক কম। এরা এ+ এর ফ্যান্টাসিতে ভোগে না। স্কুল থেকে ছাত্রদের সহজাত প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে। তাদের ইচ্ছার বিরূদ্ধে যায় না। এজন্য মেধাবীরা স্বাধীনভাবে তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে। এজন্য আমাদের ছাত্রদের তুলনায় এরা অনেক মেধাবী হয়। একেকটা ছাত্র একজন গবেষক হয়। কারণ ছোটবেলা থেকে বাচ্ছাদের এরা থিংকার বানায়, তোতাপাখি নয়।

আমরা জোর করে মেধাবী বানাতে চাই, আর ওরা মেধাবীদের চেনে গবেষক বানায়। এখানেই আমাদের সাথে তাদের পার্থক্য। তারা জানে মেধা হচ্ছে সহজাত। জোরাজুরিতে হয়ত পরীক্ষায় ফল আসে, কিন্তু দেশ ও জাতির কোন লাভ হয় না। ইউকেতে এখনো GCSE পাশের হার ৬০-৬৭%। গত ৫-৭ বছর আগেও ছিল ৪০-৪৫%।

আর সৃজনশীলতার নামে আমাদের দেশে যা হচ্ছে তা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। এই শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষাও নয়, আবার সৃজননশীলও নয়। আর কোচিং বাণিজ্য নিয়ে কী আর লেখবো। শিক্ষাকে ক্লাসরুমে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ, যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যাবস্থার প্রচলন, প্রয়োজনীয় কিন্তু ছোট আকারের সিলেবাস তৈরী করা, চাকরি ও রিজাল্ট নির্ভর মেন্টালিটি পরিহার করে জ্ঞান নির্ভর ও গবেষনাধর্মী শিক্ষা ব্যাবস্থা শুরু করা। সর্বাপরি অভিবাবকদের সচেতন হওয়া, যাতে বাচ্চাদের প্রকৃত শিক্ষা অর্জন বাদ দিয়ে কত ব্যয়বহুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছে এবং কতজন শিক্ষক/কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে তা মুখ্য না হয়।

আসলে ভাল স্কুল, ভালো কলেজ বলতে কিছুই নেই। ভাল পড়াশুনা নির্ভর করে ছাত্র ছাত্রীদের মেধা, পরিশ্রম ও শিক্ষকদের সঠিক গাইড লাইনের উপর। কিন্তু আমাদের সমাজে ভাল স্কুল হচ্ছে; যে স্কুলগুলোতে ভর্তি ফি বেশি, ভর্তি হওয়া কঠিন, মাসিক টিউশন ও পরীক্ষার ফি বেশী, স্কুলের বিল্ডিং ও অবকাঠামো সুন্দর, স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষক ব্যাচ আকারে বেশি পারিশ্রমিকে বাসায় প্রাইভেট পড়ান এবং ধনী ও উচ্চ পদস্থ চাকরীজীবীদের ছেলে মেয়ে যে স্কুলে পড়াশুনা করে। কিন্তু এ ধারণা সঠিক নয়। এটি অভিবাবকদের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় মাত্র।


অভিবাবক ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যতটুকু সম্ভব ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি সদয় ও বন্ধুভাবাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। কখনো গালি গালাজ ও তিরষ্কার করা যাবে না। পড়ালেখায় অমনোযোগী হলে এবং দুষ্টামী করলে বুঝিয়ে বলতে হবে। বাচ্চার সামনে কোন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীর কাছে তার ব্যাপারে কম্প্লেইন করা যাবে না। বাসায় সব সময় পাঠ্য বই নয়, তার পছন্দের বিষয়টি নিয়ে পড়াশুনা করতে উৎসাহ দিতে হবে এবং কোন সমস্যা দেখা দিলে তিরস্কার নয়, খোলামেলা আলোচনা করতে হবে।

আপনি কী চান তা বাচ্চার উপর চাপিয়ে না দিয়ে, বরং সে কী চায়, কোন বিষয়টি তার পছন্দ বোঝার চেষ্টা করুন। বাসায় বাচ্চাদে সাথে নিজের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা উচিৎ, এতে সম্পর্ক আর গাঢ় হবে। স্কুলে যাতে শুদ্ধ করে বাংলা শিখতে ও বলতে পারে সেজন্য শুরু থেকে শুদ্ধ উচ্চারণে বাংলা বর্ণমালা শেখানোর চেষ্টা করা প্রয়োজন। খেলাধুলা ও সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন, তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন, সময় পেলে বাচ্চাদের নিয়ে তাদের পছন্দের জায়গায় ঘুরে আসুন। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং কৃষ্টি-কালচার নিয়ে আলোচনা করুন।

যাদের ছেলে মেয়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশুনা করে, খেয়াল রাখবেন যাতে শুদ্ধ করে বাংলা লেখতে, পড়তে ও কথা বলতে পারে। পৃথিবীর কোন সভ্য সমাজ নিজের মাতৃভাষা বাদ দিয়ে বিজাতীয় ভাষা চর্চা করে না। এজন্য সন্তান ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করে বলে বাংলার ব্যাপারে উদাসীন হলে চলবে না। শুধু ইংরজি কেন? সম্ভব হলে জাপানিজ, চায়নিজ, রাশিয়ান, কোরিয়ান, জার্মান, স্পেনিশ, পর্তুগিজ, ফ্রেঞ্চ ও ডাচ ইত্যাদি ভাষা চর্চায় উৎসাহ দিতে পারেন।

ব্রিটিশ কারিকুলামের ছাত্র ছাত্রীদের ইংরেজিতে কথা শুনলে দুঃখ হয়, অনেকটা আমেরিকান উচ্চারণের মতো হলেও আসলে বাংলাদেশের FM Radio মার্কা বাংলিশ, ব্রিটিশদের মতো নয়। চাইলে ছাত্র ছাত্রীরা BBC news, BBC documentary ফলো করতে পারে। এতে ছাত্ররা সঠিক উচ্চারণে British English শিখতে পারবে।

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা মানে ভাল ছাত্র হওয়া বুঝায় না। এটা যদি হতো তাহলে ৯০% এ+ প্রাপ্ত ছেলে মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে ফেল করত না। আপনি কয়টা জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন এটা মুখ্য বিষয় নয়। এটা যদি হতো তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষকরা অন্যের গবেষণা পত্র হুবহু নকল করতেন না, নিজে থেকে গবেষণা করতেন। আসল কথা হলো আপনি এত বছর পড়াশুনা করে নিজে কী অর্জন করেছেন এবং সমাজ ও রাষ্ট্র আপনার কাছ থেকে কি পেয়েছে।

খোঁজ নিলে দেখা যায় পৃথিবীর বেশীরভাগ খ্যাতিমান সাইন্টিস্ট, দার্শনিক, সমাজ কর্মী ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনদিন পড়াশুনা করেন নাই। এদের বেশিরভাগের একাডেমিক শিক্ষার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না, এজন্য ক্লাসের পরীক্ষায় তাদের ফলাফল আশানুরুপ হতো না। আজ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী ও গবেষক প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ালেখা করে সফলতা পান নাই।। সফলতা আসে নিজের সৃজনশীল চিন্তা-চেতনা, গবেষণা ও সঠিক দিকনির্দেশনার ফলে।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




বিভিন্ন সিস্টেম ( স্কুল, মাদ্রাসা, ক্যাডেট কলেজ, ইংরেজী স্কুল) থেকে ১২ ক্লাশ অবধি সবার জন্য সমান সিলেবাস করার দরকার; তবে, এটা মুল সমস্যা নয়। আপনি যেগুলোর কথা বলছেন, এগুলো ছোটখাট ও আপেক্ষিক সমস্যা; মুল সমস্যা এগুলো নয়।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: তাহলে মূল সমস্যা কোনগুলো?

২| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০৮

শহীদ আম্মার বলেছেন: ধন্যবাদ দেশের অন্যতম মৌলিক সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য। "শিক্ষাই জাতরি মেরুদন্ড" এই নীতিবা্ক্যটির ঠিক বিপরীত মেরুর প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমরা । অর্থাৎ জগাখিচুড়ী মাার্কা শিক্ষা ব্যবসার (ব্যবস্থা নয়)মাধ্যমে এক মেরদন্ডহীন জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছি। এর থেকে পরিত্রাণের কোন সম্ভাবনাও দেখছি না।

পারলে আমার ব্লগে একটু যাবেন। প্রথম লিখলাম।
বসে আছি মালয়েশিয়ার নির্বাচনের খবর শুনার জন্য কিন্তু কারো কোন খবর নেই।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শহীদ ভাই, ধন্যবাদ। অনেকদিন থেকে লেখবো লেখবো করে হচ্ছিল না। কারণ বিষয়টি অনেক গভীর আর বিশ্লেষণধর্মী। তাই সময় নিয়ে লেখলাম। বিষয়টির খুঁটিনাটি তুলে ধরতে লেখাটির আকার একটু বড় হয়েছে। আশা করি সম্মানিত পাঠক সমাজ বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন।
আপনার লেখাটি এক্কুনি পড়ছি।

৩| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩০

শহীদ আম্মার বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব মূল সমস্যার কথা তো বললেন না এখনো। মনে হয় মূল সমস্যার ফাইলটা চাঁদে খুঁজতে গেছেন। যাক বসে আছি ওটা দেখার জন্য। চাঁদে আসা যাওয়ার দূরত্বও তো কম না। কতক্ষন লাগে আল্লাহই জানেন।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আরে উনি আমাদের অনেক সিনিয়র। পরম শ্রদ্ধেয়। মাঝে মাঝে একটু রসিকতা করেন। সিরিয়াস কিছু না।

আপনি এতো ভোরে ঘুম থেকে উঠলেন!! নাকি এখনো ঘুমান নাই?

৪| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৩৯

শহীদ আম্মার বলেছেন: না এখনো ঘুমাই নাই।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সকালে কাজ নেই? কোন সিটিতে থাকেন?

৫| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৬

শহীদ আম্মার বলেছেন: চট্টগ্রামে। কাজ করি কম্পিউটারে। রাতে।ফজরের পরে ঘুমাই।
আর চাঁদগাজী সাহেবরে একটু খোঁচাইতে পারলে এক পরম প্রশান্তিতে হৃদ-মন ভরে যায়। জানি উনি বুড়া মানুষের আমারে পিটানোর বল নাই।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাদ দেন, সবাই কী সমান হয়। আচ্ছা আপনার নামের মানেটা বুঝলাম না!!

৬| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৮

শহীদ আম্মার বলেছেন: শহীদ=সাক্ষ্যদাতা
আম্মার=রাজমিস্ত্রি

১০ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ওহ!! এখন বুঝতে পেরেছি। এটা কী মালায়ী ভাষা?

৭| ১০ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:১০

শহীদ আম্মার বলেছেন: আরবী।

১০ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বুঝতে পারছি এখন।

৮| ১০ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সবার জন্য স্কুল দরকার। মাদ্রাসা, প্রিক্যাডেট কিংবা কিন্ডারগার্টেন নয় সবার জন্য একই মাধ্যমের শিক্ষা চাই।

১০ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, শিক্ষার মাধ্যম হবে একটি।

৯| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:১৩

সনেট কবি বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে আমরা যথেষ্ট শিক্ষা পাচ্ছি।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পাশাপাশি, অভিবাবকদের মানসিকতার পরিবর্তনও জরুরী।

১০| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬

মাকামে মাহমুদ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ। ধন্যবাদ।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১১| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল কাওসার ভাই। আপনার শিক্ষার উপর আপনার মৌলিক রচনাটি পড়লাম। সুন্দর তুলনামূলক বিশ্লেষণ। তবে আমার অভিমত আমরা মায়ের পেট থেকে এসেই যে দমবন্ধ প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে তাতে আমাদের সমস্ত সুকুমার প্রবৃত্তি গুলি নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের অন্তরের সম্পদশালী ও সম্পদহীনতার দ্বন্দ্বই এশিয়া আফ্রিকার এই অসুস্থ মানসিকতার প্রধান কারন। প্রত্যেকে প্রত্যহ নিজের নিজের স্থানে অপরকে বঞ্চিত করছে একটু উপরে ওঠার আশায়। যে প্রতিযোগিতায় আমরাও চলমান, পিছনে তাকানোর রাস্তা নেই। হাঁপুস নয়নে কেঁদে কেটেও আমরা সব মেনে নিয়েছি।

অনেক অনেক ভাল লাগা আমার প্রিয় কাওসার ভাইকে।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "আমরা মায়ের পেট থেকে এসেই যে দমবন্ধ প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে তাতে আমাদের সমস্ত সুকুমার প্রবৃত্তি গুলি নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের অন্তরের সম্পদশালী ও সম্পদহীনতার দ্বন্দ্বই এশিয়া আফ্রিকার এই অসুস্থ মানসিকতার প্রধান কারন। প্রত্যেকে প্রত্যহ নিজের নিজের স্থানে অপরকে বঞ্চিত করছে একটু উপরে ওঠার আশায়। যে প্রতিযোগিতায় আমরাও চলমান, পিছনে তাকানোর রাস্তা নেই। হাঁপুস নয়নে কেঁদে কেটেও আমরা সব মেনে নিয়েছি।"........

শুভ সকাল পদাতিক চৌধুরী ভাই। আপনি যথার্তই বলেছেন। এটাও একটা বড় কারণ।

১২| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শিক্ষা পরিস্তিতি নিয়ে সময়ের চিত্র তুলে ধরেছেন।

আমরা উন্নত দেশৈর এতকিছূ ফলো করি- শিক্ষ নীতি ফলো করি না ! কেন???
সার্টিফিকেট ধারী গাধা কেরানী, অনুগত রোবট বানানোর ব্রটিশ ফর্মূলা স্বাধীন দেশে কেন ফলো করব???
আসলেই স্বাধীনতার মানেই বুঝিনি আমরা! তাইতো আজো গোলামীর চেতনা থৈকে মুক্ত হতে পারিনি!

শিক্ষনীতি যুগোপযোগী করা হোক। উন্নত দেশের আলোকে পড়ানো হোক।যাতে জাতি প্রকৃত শিক্ষত হতে পারে।

পোষ্টে ++++++++

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য ভাই। আপনার কথার সাথে পুরোপুরি একমত আমি। আর +++++++ দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

১৩| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার প্রবন্ধটি খুব মন দিয়ে পড়লাম। আমার মনের কথা গুলো লিখেছেন।
ভিড়ে ঠাসা শ্রেণীকক্ষে কীভাবে শিক্ষা দেয়া যায়?
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ছাড়া শিক্ষার গুণ ও মান নিশ্চিত হয় না।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা অনুযায়ী একটি কল্যাণমূলক আধুনিক রাষ্ট্রের যে সকল উপাদান থাকা উচিত, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন অনেকটা সময়। একটি উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে সময়টা অত্যন্ত জরুরি বিষয়।

সামগ্রিক বিবেচনায় শিক্ষার মান উন্নয়নে পাঠদানই গুরুত্বপূর্ণ।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, শুভ সকাল। লেখাপড়াকে শ্রেণীকক্ষে নিয়ে আসতে হবে। কোচিং বন্ধ করতে হবে। আর শিক্ষাব্যবস্থারর পাশাপাশি আমাদের অভিবাবকদের মানসিকতা পরিবর্তনন করাটাও জরুরী।

"খোঁজ নিলে দেখা যায় পৃথিবীর বেশীরভাগ খ্যাতিমান সাইন্টিস্ট, দার্শনিক, সমাজ কর্মী ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনদিন পড়াশুনা করেন নাই। এদের বেশিরভাগের একাডেমিক শিক্ষার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না, এজন্য ক্লাসের পরীক্ষায় তাদের ফলাফল আশানুরুপ হতো না। আজ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী ও গবেষক প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ালেখা করে সফলতা পান নাই।। সফলতা আসে নিজের সৃজনশীল চিন্তা-চেতনা, গবেষণা ও সঠিক দিকনির্দেশনার ফলে।"...............

১৪| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কাওসার ভাই,বরাবরের মতই সুন্দর আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলেন।
এদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার পরিবর্তন দরকার।কিন্তু কে পরিবর্তন করবে?শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে তেমন কেউ চিন্তিত নয়।সবাই এ প্লাস নিয়েই খুশি।
গত পোষ্টে আহমেদ জী এস ভাইয়ার কথা গুলো আরেকবার দেখবেন।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সোহেল ভাই, শুভ সকাল।
"এদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার পরিবর্তন দরকার।কিন্তু কে পরিবর্তন করবে?শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে তেমন কেউ চিন্তিত নয়।সবাই এ প্লাস নিয়েই খুশি।"...........

এজন্য সরকারের পাশাপাশি অভিবাবকদেরও দায় আছে বলে আমি মনে করি।

১৫| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: কঠিন সব বিষয় আপনি খুব গুছিয়ে সহজ করে লেখেন। পড়তে ভালো লাগে, অনেক কিছু জানা হয়। তার চেয়েও বড় কথা আপনার লেখা মনে চিন্তা আর প্রশ্নের জন্ম দেয়। আপনি খুব ভালো প্রাবন্ধিক। আমি এই ধরনের লেখা পড়তে ভালো না বাসলেও আপনার লেখাগুলো পড়েছি আর ভালোও লেগেছে।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন। আর লিখতে থাকুন।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, আপা। আমার লেখাগুলো ফ্যাক্ট নির্ভর ও গবেষণাধর্মী হওয়ায় একটু বড় হয়। আসলে আমি যে বিষয়টি নিয়ে লেখি তার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করি। এজন্য এগুলো লেখতে অনেক সময় ব্যয় করি। আমি গতানুগতিক কিছু লেখতে চাই না। এজন্য প্রতিটি লেখায় খুব সতর্ক থাকি এবং মনযোগী হই।

আপনি খুব ভাল লেখেন। আপনার কয়েকটি লেখা পড়েছি। আপনি নিয়মিত লেখবেন, প্লীজ। আমার বিশ্বাস, বাংলা সাহিত্যে আপনার একটা অবস্থান হবে। দেশে এখন পরিশ্রমী লেখকের বড়ই অভাব। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৬| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

গরল বলেছেন: স্কুল ড্রেস যেমন পোষাকের বৈষম্য দুর করে, স্কুলের টিফিনও খাবারের বৈষম্য দুর করে, তেমনি স্কুল বাসও বৈষম্য দুর করতে পারে। অতএব স্কুলের টিফিন ও স্কুল বাস বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। আমাদের সরকার গুলো শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই বাস দেয়, স্কুলে দেয় না কেন? জাপানের স্কুলের ছেলে মেয়েরা মাসে একদিন করে টয়লেট পরিষ্কার করে, এটা ওদের কারিকুলামের একটা অংশ। তাতে করে বাচ্চারা বুঝে যে এই কাজেও লজ্জার কিছু নাই। এরকম কিছু করা গেলে কাজের লোকের প্রতি হয়ত ঘৃনা ভাবটা কমত।

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "স্কুল ড্রেস যেমন পোষাকের বৈষম্য দুর করে, স্কুলের টিফিনও খাবারের বৈষম্য দুর করে, তেমনি স্কুল বাসও বৈষম্য দুর করতে পারে। অতএব স্কুলের টিফিন ও স্কুল বাস বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। আমাদের সরকার গুলো শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই বাস দেয়, স্কুলে দেয় না কেন? জাপানের স্কুলের ছেলে মেয়েরা মাসে একদিন করে টয়লেট পরিষ্কার করে, এটা ওদের কারিকুলামের একটা অংশ। তাতে করে বাচ্চারা বুঝে যে এই কাজেও লজ্জার কিছু নাই। এরকম কিছু করা গেলে কাজের লোকের প্রতি হয়ত ঘৃনা ভাবটা কমত।"...........

আমার মনে কথাটি বলেছেন। আসলে নিজেদের অজান্তেই এদেশের শিশুরা মানুষের মধ্যে শ্রেণী বৈষম্য শিখে বড় হয়। এর দায়ভার পরিবারের পাশাপাশি রাষ্ট্রকেও নিতে হবে। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৭| ১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

নীল মনি বলেছেন: চমৎকার করে সাজানো পোস্ট।খুব সুন্দর লিখেছেন।
আমি চাই আমাদের শিশুরা হাসতে হাসতে বেড়ে উঠুক ;মাথার উপর বইয়ের চাপ নিয়ে নয়।
কিন্তু সময়টা এমন বেশিরভাগ মা-বাবা একটা অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মাঝ দিয়ে শিশুকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।তাকে ছাড়তে ভয় পাচ্ছে পাছে সন্তান ছিটকে পড়ে প্রতিযোগিতা থেকে।

পোস্টে ++++++++++++++

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: যাক আপনাকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল!! এই লেখাটা আমার রিসার্চ বেইস। যেহতু বিষয়টি শিক্ষা সংক্রান্ত, এজন্য অনেক সতর্কতার সাথে লেখতে হয়েছে। জানি না এই লেখাটি নীতি নির্ধারকদের চোখে পড়বে কী না, অভিবাবকরাও পড়লে হয়ত উপকৃত হবেন। বিশৃঙ্খল শিক্ষাব্যবস্থা কিছুটা হলেও পথ ফিরে পাবে।

লেখাটি পড়ে আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আর ++++ জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৮| ১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

নীল মনি বলেছেন: আপনি অনুসারিত ছিলেন,পোস্ট পড়তে গিয়ে কী যেন হল! আবার ঠিক করে নিয়েছি।

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কষ্ট পেলাম!! যাক শেষ পর্যন্ত আবার দীর্ঘ লিস্টে অনুপ্রবেশ করতে পারলাম এতেই খুশি। B-) অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৯| ১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

নীল মনি বলেছেন: আপনি ইন শা আল্লাহ লিস্টে থাকবেন।এ নিয়ে ভাবতে হবে না।
দোয়া করবেন।
আসি।

১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খুশি হলাম। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

২০| ১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



গত ৩ বছরে,"শিক্ষা পদ্ধতির উপর" কমপক্ষে ৪০০/৫০০ পোষ্ট পড়েছি ; মনে হয়, শিক্ষা পদ্ধতি কঠিন বিষয়, এই বিষয়টি অন্য বিষয়গুলোর মতো সহজ নয়।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: জি বিষয়টি খুব কঠিন না হলেও স্পর্শকাতর।

২১| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫১

প্রামানিক বলেছেন: বর্তমানে যে শিক্ষা ব্যবস্থা বাচ্চাদের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে তাতে বাচ্চারা তো দূরের কথা বাচ্চার বাবা ময়েরও ঘুম হারাম। আমার ছোট বাচ্চার ক্লাস এইটের পরীক্ষার সময় বুঝলাম শিক্ষাপদ্ধতী কি জিনিষ, পরীক্ষা পাসের জন্য বাচ্চা দৌড়ায় তিন মাইল বাচ্চার মায়ে দৌড়ায় চার মাইল, আমার দৌড়াদৌড়ি তো ফাও। অথচ আমরা পড়া লেখা করেছি আমাদের বাবা মা স্কুলের বেতন ফি ছাড়া অন্য কোন বিষয় নিয়ে চিন্তাই করতো না।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "অথচ আমরা পড়া লেখা করেছি আমাদের বাবা মা স্কুলের বেতন ফি ছাড়া অন্য কোন বিষয় নিয়ে চিন্তাই করতো না।"............
আমি গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়েছি। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত বইয়ের বাইরে কোন বই পড়িনি। কোন প্রাইভেট টিউটরের কাছে যাইনি। এভাবেই এসএসসি, ইন্টার, গ্রেজুয়েশন, মাস্টার্স, এমবিএ, এমফিল............. আমার তো উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে কোন সমস্যা হয়নি। আর এখন দেখে মনে হয় ছাত্রদের চেয়ে বাবা-মায়েরাই বেশি পড়াশুনা করে। দৌড়ায়........ এই ইদুর দৌড় বন্ধ না হলে জাতির কপালে দুঃখ আছে।

২২| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লিখেছেন চৌধুরী ভাই!!!
আমার বাচ্চারা বাংলাদেশ সহ চার টা দেশের বিভিন্ন স্কুলে পড়ছে,কিছু কম বেশি করে আমার ও দেখা হল।সব চাইতে বড় সমস্যা এই অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা ভালো রেজাল্ট এর জন্য অভিভাবকের ও নীতি বিসর্জন প্রাইভেট টিউশন!!!
বাচ্চাদের নিয়ে এত বড় যুদ্ধ আর কোন দেশে করতে হয় বলে ঠিক জানি না :(

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, শুভেচ্ছা নেবেন। এখন শিক্ষা নিয়ে অভিবাবকদের মধ্যে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। এই সুযোগে শিক্ষকরা পকেট ভারী করছে।

"ছেলে মেয়েরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যদি স্কুলের পাঠ্যবই নিয়ে স্কুল আর শিক্ষকদের বাসায় বাসায় দৌড়ায় তাহলে তার সৃজনশীল মন মানষিকতা সৃষ্টি হবে কখন? সবাইকে বুঝতে হবে মানুষের জন্ম হয়নি শুধু পড়াশুনা করা জন্য। সরকার ও অভিবাবকদের দায়িত্ব ছাত্র/ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় বিনোদন ও খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা; তাদের শারিরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য যা অত্যাবশ্যক। সৃজনশীল মননের জন্য প্রয়োজন স্বাধীনভাবে চিন্তা শক্তিকে বিকশিত করার পর্যাপ্ত সময় ও পরিবেশ। কিন্তু পাগলাটে এ শিক্ষা ব্যবস্থা ছাত্র ছাত্রীদের সৃজনশীল ও স্বাধীন সত্তাকে বিকশিত হতে দিচ্ছে না। ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি বাবা মায়েরা সারা বছর ব্যস্থ থাকেন সন্তানদের পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের নেশায়। যত টাকা লাগুক এ+ যে পেতেই হবে।".................

২৩| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:২৮

মাআইপা বলেছেন: এক কথায় চমৎকার হয়েছে।

শুভকামনা রইল

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৪| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২৪

সোহানী বলেছেন: দেশের শিশু শিক্ষার তুলনা নিয়ে আমার একটি লিখা আছে, হামা ভাইয়ের অনুরোধে লিখেছিলাম।

যাহোক আবারো অরন্যে রোদন, এটলিস্ট কিছু বললেন। কিন্তু যাদের শোনার কথা ওরাতো কানে সিমেন্টযুক্ত তুলা দিয়েছে।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কেমন আছেন, আপা? হোপ, সময়টা ভাল কাঁটছে। আমার এতো পরিশ্রমের লেখাগুলো "অরণ্য রোদন"-ই। কারণ, চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। ভাবছি একটু বিরতি নেব। এতো সমস্যার কথা বলে মানুষকে জাগিয়ে তোলে কী লাভ? বরং যেমন চলছে তাতেই মানুষ খুশি, মানিয়ে নিয়েছে। আপনি যেমন কানাডা দেখে বুঝতে পারেন, এ বঙ্গে কোথায় সমস্যাটা। আমার বেলায়ও তাই।......... না, একটু ব্রেক নেই।

পাঠকরা এই সুযোগে "বঙ্গবন্ধু সেটেলাইট"....... "মধ্যম আয়ের দেশ" নিয়ে খুশির ঢেঁকুর তুলুন। আপনি কী বলেন?..... ইউ আর মাই মেন্টর।

২৫| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ২:০৭

সোহানী বলেছেন: ওএমজি!!!!!! মেন্টর শব্দটা শুনে কি মন্তব্য করবো তাই ভুলে গেছি। আপনি নিজেই অসাধারন লিখেন, আপনার বিশ্লেষন, সমস্যা নিয়ে চিন্তা, জীবনমুখী সমস্যার অনুধাবন............... সত্যিই অসাধারন। আপনি যা লিখেন বা বলেন তা আমরা সবাই অনুভব করি কিন্তু বলতে পারি না। আপনার লিখা আমাদের সবার কথারই প্রতিধ্বনি..................।

দেশের কেউ খুশির ঢেঁকুর তুলে, কেউ কানে তুলো দিয়ে থাকে, কেউ মানিয়ে নেয় সব কিছুর সাথে, কেউ প্রতিবাদকারীর মুখে তালা লাগানোর ব্যবস্থা করে... তাই বলে কেউ কি কিছু বলবে না????? আপনার মতো কেউতো এগিয়ে আসতেই হবে, এভাবে স্যাটেলাইট আর সোফিয়া বা মধ্যম আয়ের দেশ বলে ঢেঁকুর তুলে আর কতদিন চলবে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আজ কোন লেখা দেব না। এজন্য কিছুটা খারাপ লাগছিল।
এখন...... প্রাণ..... খুলে..... হাসছি।..........
আপনি চমৎকার বলেন B-) মেন্টর তো আর এমনিতে বানাইনি B-)

"দেশের কেউ খুশির ঢেঁকুর তুলে, কেউ কানে তুলো দিয়ে থাকে, কেউ মানিয়ে নেয় সব কিছুর সাথে, কেউ প্রতিবাদকারীর মুখে তালা লাগানোর ব্যবস্থা করে... তাই বলে কেউ কি কিছু বলবে না?"................ আপনার মতের সাথে, চিন্তা-চেতনার সাথে আমার ভীষন রকম মিল আছে।.......... সামুকে ধন্যবাদ, আপনার সাথে পরিচিত হতে সহযোগী হওয়ায়।

জানেন,........ পৃথিবীর সব ভাল মানুষদের সাথে, ইন্টেলেকচুয়াল কিন্তু নির্লোভ/সরল মানুষদের সাথে পরিচিত হওয়ার খুব ইচ্ছা আমার।........ কিছু ভাল মানুষ, কিছু প্রেরনাদায়ী/মেন্টর আছেন বলে উদ্যোগী মানুষগুলো সফল হওয়ার রাস্তা খুঁজে পায়।

"মানুষ হওয়া" নিয়ে একটি প্রবন্ধ আছে এটা কী আজ দেব?.......

২৬| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি খুশি, আপনার সেরা পোষ্ট গুলোতে পড়ে এবং মন্তব্য করে থাকতে পেরেছি।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খুব খুশি হলাম, প্রিয় রাজীব ভাই। ভাল থাকুন সব সময়। B-)

২৭| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:২২

রাকু হাসান বলেছেন: বাহ! চমৎকার । সরাসরি প্রিয়তে নিলাম । বিশ্লেষণ ভাল লেগেছে । অনেক কিছু জানতে পারলাম । অবচেতন মন জানতে চাচ্ছিলো উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন জানতে বেশ কিছু দিন আগে থেকেই । গুগল করে কিছু জেনেছি । এখন আপনার লেখার পরিষ্কার ধারণা পেলাম । উন্নত বিশ্বের কত কিছুই তো আমরা অনুসরণ করে আসছি সেই সংবিধান থেকে শুরু করে তবে কেন শিক্ষা ব্যবস্থা নয় !!

২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "উন্নত বিশ্বের কত কিছুই তো আমরা অনুসরণ করে আসছি সেই সংবিধান থেকে শুরু করে তবে কেন শিক্ষা ব্যবস্থা নয় !!"...... চমৎকার একটি কথা বলেছেন আপনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.